প্রতিযোগিতার ৯ম সপ্তাহ - ঐতিহ্যবাহী খাবার মিষ্টান্ন।
সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
আমি @rahulkazi, #bangladesh. থেকে।
ছবিটি তৈরি করা হয়েছে ক্যানভা দিয়ে। |
---|
আসসালামু আলাইকুম। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালই আছেন সবাই প্রতিযোগিতার নবম সপ্তাহ ঐতিহ্যবাহী খাবার মিষ্টান্ন এই প্রতিযোগিতাটি ইতিমধ্যে দেওয়া হয়ে গেছে।কমিউনিটির পক্ষ থেকে তাই এই সুন্দর প্রতিযোগিতা আয়োজন করার জন্য @hive-131369 কে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই।
মিষ্টান্ন বা মিষ্টি জাতীয় কোন কিছু খেতে আমাদেরকে আসলে খুব ভালো লাগে।বাঙালি জাতির ইতিহাস ও ঐতিহ্য এই মিষ্টির বা মিষ্টান্ন অনেক গল্প ও ইতিহাস পাওয়া যায়।এই মিষ্টান্ন জাতীয় খাবার গুলোর বেশ পুরনো অনেক ঐতিহ্য পাওয়া যায় আমাদের দেশে। আমাদের দেশে ছোট বড় প্রায় সবাই মিষ্টান্ন জাতীয় খাবার খেতে খুব ভালোবাসে। মিস্টি নিয়ে জাতীয় খাবারের মধ্যে বিশেষ একটি খাবার হল মিষ্টি বা রসগোল্লা।যা প্রায় সবার মাঝেই খুব জনপ্রিয় ও খেতে খুব ভালোবাসে সবাই।মিষ্টান্ন জাতীয় খাবারের ভিতরে এই রসগোল্লা হলো অন্যতম।রসগোল্লা বিভিন্ন প্রকার হয়ে থাকে এ রসগোল্লার প্রচলন বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন রকম দেশ। যেমন, বাংলাদেশ,ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান এসব দেশে রয়েছে ।বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানে মিষ্টান্ন ছাড়া যেন চলে না কারো।
মিষ্টান্ন বা মিষ্টি জাতীয় জিনিস আমার তেমন সত্যি কথা খাওয়া হয় না।যখন কেউ বাড়িতে মিষ্টি জাতীয় জিনিস নিয়ে আসে তখন মাঝে মাঝে খাওয়া হয়। তবে আমি শখ করে কোনদিন হোটেলে মিষ্টি জাতীয় কোন জিনিস খাইনি।কারণ মিষ্টি জিনিস আমার তেমন পছন্দ না আর সব সময় অনেকটা ভয়ে ভয়ে থাকি যে ডায়াবেটিস হয় নাকি আবার। তাই মিষ্টি জাতীয় জিনিস তেমন খাই না।মিষ্টি সম্পর্কে বলতে গেলে অনেক কিছুই বলা যাবে। মিষ্টান্ন জাতীয় খাবারের ভিতরে মিষ্টি যেহেতু সব থেকে বেশি জনপ্রিয় তাই একটু মিষ্টি সম্পর্কে বেশি লিখবো।বাঙালির ও দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশের আনন্দঘন মুহূর্তের এক বিশেষ অংশ হল এই মিষ্টি বা রসগোল্লা। কারণ বাংলার মানুষেরা বা বলতে গেলে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের মানুষেরা সবথেকে বেশি এই মিষ্টি জাতীয় জিনিসটাকেই পছন্দ করে খুব বেশি। কিছু কিছু আনন্দ উতসব যেমন নববর্ষ,বিয়ের মুহূর্ত,ধর্মীয় বিভিন্ন প্রকার অনুষ্ঠানে এই মিষ্টি খাওয়া হয়।
যাইহোক আজকে আমি একটি মিষ্টির দোকানে গিয়েছিলাম। সেটি হল দিনাজপুর রেলওয়ে স্টেশনের পাশেই একটি মিষ্টান্ন ভান্ডার রয়েছে সেখানে।দোকানটি রাস্তার পাশেই অবস্থিত। দোকানটিতে আমি ঢুকলাম, ঢোকার পর মিষ্টি গুলো দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করতেছিল তাই দুটো মিষ্টি নিয়ে খেয়েছিলাম সেখানে।সেখানকার মিষ্টি গুলো বেশ ভালই ছিল।দোকানদার বলল যে টাটকা ছানা দিয়ে মিষ্টি তৈরি করা হয়েছে আসলে আমাদের দেশে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সানা দিয়ে খুব গাঢ় ভাবে মিষ্টি তৈরি করা হয়। যাতে মিষ্টির স্বাদ ও গুনাগুন খুব ভালো থাকে।এটা ঠিক যে মিষ্টান্ন জাতীয় খাবারের ক্ষেত্রে কাঁচামাল যত ভালো হবে এর গুনাগুন তত ভালো হবে।
সন্দেশের দাম৩৪০ টাকা কেজি | ৩.৩ মার্কিন ডলার। |
আমাদের দেশের সবথেকে বেশি মিষ্টান্ন জাতীয় খাবার গুলো পাওয়া যায় বিভিন্ন প্রকার হোটেল গুলোতে। কারণ এখন আর তেমন কেউ মিষ্টান্ন জাতীয় খাবার গুলো বাড়িতে তৈরি করে না। আগে আমি শুনেছিলাম আমার দাদীর কাছে বাড়িতেই নাকি মিষ্টি মন্ডা সন্দেশ ইত্যাদি তৈরি করা হতো এবং গ্রামের মানুষের কাছে বিলানো হতো। বাঙালির মিষ্টান্ন জাতীয় খাবারের ভেতর আরেকটি বিশেষ খাবার হল দই।দই খেতে প্রায় সবাই কে ভালোলাগে আমাকেও খুব ভালো লাগে দই খেতে। বিশেস করে যখন বিয়ে বাড়িতে দই দেয় তখন আমি বলি যে আরো একটু বেশি করে দেন কারণ দই জিনিসটা দেখলেই যেন খুব খেতে ইচ্ছে করে। মিষ্টির দোকানে কিছু ছবি। আমাদের দিনাজপুর শহরে বেশ কিছু মিষ্টির দোকান রয়েছে যেমন পাবনা সুইট, দিলশান রেস্টুরেন্ট,আরো অনেকগুলো হোটেল রয়েছে যেগুলোতে খুব সুন্দর সুন্দর মিষ্টান্ন জাতীয় বিভিন্ন প্রকার খাবার পাওয়া যায়।তবে মিষ্টান্ন জাতীয় খাবারের ভেতর দই টা সব থেকে বেশি ভালো লাগে। তাই আমি হোটেলে গেলে দই খাই আর তেমন মিষ্টি খাই না। মিষ্টান্ন জাতীয় খাবারের ভিতরে আরেকটি খাবার আমার খুব ভালো লাগে সেটি হল গরম গরম জিলাপি। যখন গ্রামে থাকি বাজারে যাই তখন গুডের জিলাপি গরম গরম খাওয়ার মজাই আলাদা।প্রায়ই আমি হোটেলে বসে বসে একাই গুড়ের জিলাপি খাই।ছোটবেলা থেকে দেখে আসতেছি গ্রামের বাজারে সন্ধ্যা হলেই জিলাপি ভাজা হয় গরম গরম।তখন থেকেই প্রায় খাওয়ার ইচ্ছা জেগেছে সেই ইচ্ছাটা এখনো অব্যাহত রয়েছে আমার। যাহোক মিষ্টান্ন হলো আমাদের বাঙ্গালীদের ঐতিহ্যবাহী খাবার।এমনও এমনও মানুষ আছে যাদের মিষ্টি ছাড়া দিনটাই চলে না। দিন দিন এই ঐতিহ্যবাহী খাবার গুলো হারিয়ে যাওয়ার পথে। কারণ শহরের বিভিন্ন রকম ফাস্টফুড এর কাছে এসব খাবার জন্য এখন কিছুই না।তবুও বাঙ্গালী সংস্কৃতি কে লালন করে মিষ্টান্ন খাবার এখনো দাঁড়িয়ে আছে তার সগৌরবে। মিষ্টান্ন জাতীয় খাবারের উপাদান:
ধন্যবাদন্তে,
You can also vote for @bangla.witness witnesses |
---|
বাহ্ চমৎকার পোস্ট। মিষ্টি আমার অনেক পছন্দের। মিষ্টি ছাড়া বিশেষ কোনো অনুষ্ঠান সম্পূন্ন হয় না, যেমন বিয়ে,হালখাতা, মুসলমানী ইত্যাদি। তবে মালাই চপ আমার অনেক পছন্দের। আপনি অনেক সুন্দর পোস্ট করছেন ভাই অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে
ধন্যবাদ আপনাকে মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য।
আপনি অনেক দারুন মার্কডাউন ব্যবহার করেছেন। আপনার ছবিগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে।আপনার সন্দেশ এর কালার অনেক সুন্দর হয়েছে। দেখে খাওয়ার ইচ্চাহ করতেছে। আপনি দাম সহ উল্লেখ করেছেন অনেক ভালো ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপনাকে মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য।
মিষ্টি আমার অনেক পছন্দের একটি খাবার। তবে সন্দেশ আমার সবচেয়ে পছন্দের খাবার। এটি দেখতেও যেমন সুন্দর খেতেও তেমন অনেক সুসাদু। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে সেয়ার করেছেন।সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে লেখার জন্য ধন্যবাদ ভাই। অসাধারণ হয়েছে আপনার পোস্টি।
ধন্যবাদ আপনাকে মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য
মিস্টি নিয়ে অসাধারণ লেখছেন ভাই মিস্টি জাতীয় জিনিস কম বেশি সবাই পছন্দ করে। আমিও মিস্টি জাতীয় জিনিস খেতে খুব ভালো বাসি তবে বেশি একটা মিস্টি খেতে পছন্দ করি না আবার খাইতেও পারি না।আমাদের যখন কোন অনুষ্ঠান বা কারো কোন বাসায় মেহমান আসলে তারা সবাই এই মিস্টি জাতীয় জিনিস নিয়ে আসে।আর এই মিস্টি না নিয়ে আসলে মানুষ অনেক খারাপ ভাবে।আপনার তোলা মিস্টির ছবি গুলো অসাধারণ হয়েছে ভাই আপনার প্রতিটা ছবি আমাকে খুব ভালো লাগছে।আপনি এই আমাদের প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে মিস্টি মূল্য গুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটা পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য
আমিও মিস্টি জাতীয় জিনিস খেতে খুব ভালো বাসি তবে বেশি একটা মিস্টি খেতে পছন্দ করি না আবার খাইতেও পারি না।আমাদের যখন কোন অনুষ্ঠান বা কারো কোন বাসায় মেহমান আসলে তারা সবাই এই মিস্টি জাতীয় জিনিস নিয়ে আসে।আপনি সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখছেন ভাই। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ আপনাকে মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য
Misti amr khub e vlo lage. Misti niye onk kisu likhesen. Onk informative ekta post. Asa kori future e erokom aro vlo post kore amderke information diben.
ধন্যবাদ আপনাকে মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য
আপনি বেশ চমৎকার ভাবে পোস্ট টি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।মিষ্টি গুলো বেশ লোভনীয় লাগছে। অনেক রকমের মিষ্টি নিয়ে আমাদের সাথে বিভিন্ন তথ্য শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপনাকে মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য
মিষ্টি জাতীয় খাবার নিয়ে আপনার পোস্টটি অসাধারণ হয়েছে। খুব ভালোভাবে বিস্তারিত তুলে ধরেছেন আপনি এবং লিখেছেন অনেক ভালো। আপনার পোস্ট কোয়ালিটির উন্নতি দেখে সত্যিই অনেক ভালো লাগলো। বেশি বেশি ঐতিহ্য নিয়ে পোস্ট করার চেষ্টা করবেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
ধন্যবাদ আপনাকে মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য
খুবই সুন্দর ভাবে মিষ্টির ফটোগ্রাফি করেছেন এবং সব কিছু বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। সন্দেশ আমার অনেক প্রিয় একটি খাবার। কিন্তু বর্তামান সময়ে চিনি এবং অন্যান্য জিনিসের দাম বাড়ার কারনে এই সকল মিস্টার দাম অনেক বেড়ে গেছে আবার দুর্বল হয়েছে। আপনার তোলা ছবি গুলো অসাধারণ হয়েছে, আপনি মিস্টির মূল্য গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন যা অনেক সময় থাকে না। খুব ভালো লাগলো আপনি প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহন করছেন। আমিও পোস্ট রেডি করছিলাম কিন্তু ছাড়ার সময় কিছু ত্রুটির কারনে পোস্টি সম্পূর্ণ হয়নি। পরে মন খারাপ হয়ে গেছে তাই আর প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করি নাই। প্রতিযোগিতার ৯ম সপ্তাহ- ঐতিহ্যবাহী খাবার মিষ্টান্ন নিয়ে একটি সুন্দর পোস্ট করেছেন। আপনার উপস্থাপনা অনেক সুন্দর হয়েছে।
ধন্যবাদ আপনাকে মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য