কালের গর্ভে বিলীন বিশুদ্ধ পানির প্রাচীনতম উৎস - ঐতিহ্যবাহী কুপ, কুয়া বা ইন্দারা
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি, আলহামদুলিল্লাহ। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি গ্রামীণ ঐতিহ্য নিয়ে লিখব যেটি সম্পর্কে আপনারা সবাই শুনেছেন আমি মনে করি। আপনাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো বাস্তবে এটি দেখেননি কিন্তু এটি ছবি, ভিডিও এবং বইয়ের পড়েননি এমন মানুষ বা বাঙালি পাওয়া যাবে না । আজকে আমি আপনাদের সাথে লিখব কুয়া বা কূপ নিয়ে।চলুন শুরু করি,
আমি আমার লেখাটি শুরু করার আগে প্রথমেই আপনাদের জানিয়ে নিচ্ছি যে এই "কূপ" এবং "কুয়া" বানানে একটিতে ঊ-কার এবং অপরটিতে উ-কার ব্যবহার করা হয় কেননা কূপ শব্দটি থেকে পরবর্তীতে কুয়া শব্দটি এসেছে। কূপ একটি তৎসম শব্দ। পানির বিশুদ্ধ উৎস সন্ধানে সৃষ্টি শুরু থেকেই বিভিন্ন ধরনের চেষ্টা করে আসছিল এবং নতুন নতুন বিভিন্ন উপায় ব্যবহার করেছে । প্রাচীনকাল থেকে প্রচলিত বিভিন্ন উপায়ে পানির সংগ্রহের মাধ্যম হিসেবে কুয়া ছিল অন্যতম যা কালের গর্ভে বর্তমানে বিলীন। তাই বলা যায় যে, বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া প্রাচীন গ্রামীন ঐতিহ্যের মধ্যে কুয়া একটি।
কুয়া থেকে পানি উত্তোলনের পদ্ধতি আমি দেখিনি। আমার জন্মের অনেক বছর আগে থেকে এই কুয়ার ব্যবহার কমে গিয়েছিল তবে আমি যখন ছোট ছিলাম তখন আমাদের গ্রামে দুটি কুয়া দেখেছি। আমাদের পুরো গ্রামে এই দুটি কুয়াই ছিল কিন্তু আমি যখন কুয়া গুলো দেখেছি তখন সেগুলোতে বিশুদ্ধ পানি ছিল না এবং একটিতে কোনরকম পানিই ছিল না। দুটি কুয়ার মধ্যে আমাদের পাশের বাড়িতে যে কুয়াটি ছিল সেটি তুলনামূলক সরু বা চিকন ছিল এবং আমাদের বাড়ি থেকে অল্প দূরে যে আরেকটি কুয়া ছিল সেটি তুলনামূলক বড় ছিল।
আমি শুনেছি বড় কুয়া থেকে অনেকেই পানি সংগ্রহ করে নিজ ঘরে এনে সংরক্ষণ করতেন। কিছুদিন আগে আমি এই পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা বড় কুয়াটির কিছু ছবি তুলি এখানে শেয়ার করার জন্য। আমি আমার গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম এবং সেখানে এই কুয়াটি দেখার পর আমার মনে হয়েছিল যে এই গ্রামীন ঐতিহ্য সম্পর্কে আপনাদের জানানোর জন্য এখানে লেখা উচিত যদিও আমার মনে হয় যে আপনারা সবাই এটি সম্পর্কে অবগত আছেন।
বর্তমানে এই কুয়াটির চারপাশ সহ ভিতরে অনেক ময়লা আবর্জনা রয়েছে। আমি ভেতরের কিছু ছবি তোলার চেষ্টা করে সেখানে কিছু বড় বড় আগাছা দেখতে পাই। আগাছা থাকার কারণে একদম নিচের ছবি তোলা সম্ভব হয়নি। তবে আমি চেষ্টা করেছি চারপাশ থেকে ছবিগুলো তুলে আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
এই কুয়াটি মাটি থেকে প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন ফুট উঁচু হবে। যদিও এই কুয়াটির উচ্চতা আমি মাপি নি। এটি সম্পূর্ণ আমি অনুমান করে বলছি। আর কুয়াটির গভীরতা সম্পর্কে আমি কিছু জানিনা। তবে দীর্ঘদিন এটি ব্যবহার না করার ফলে ময়লা আবর্জনায় এটি অনেকটা ভর্তি হয়ে গিয়েছে। আর আমাদের বাড়ির পাশের বাড়ির যে কুয়াটির কথা আমি শুরুতেই আপনাদের জানিয়েছি সেটি এখন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।আমাদের পাশের বাড়িতে অনেক বাচ্চা থাকায় সেটির উপর একটি ঘর তৈরি করা হয়েছে যেন কোন দুর্ঘটনা না ঘটে। ঘরটি তৈরি করার আগে কুয়ার মুখটি বন্ধ করে নেওয়া হয়েছিল। তাই সেই কুয়াটি এখন দেখা যায় না।
ধন্যবাদান্তে,
@pea07
ছোটবেলা যখন গ্রামের বাড়িতে যেতাম তখন বিভিন্ন জায়গায় এরকম কুয়া দেখা যেত। অনেক সময় আগ্রহ নিয়ে কুয়ার কাছে যেতাম এবং ভিতরে তাকিয়ে দেখতাম,অনেক ভয় লাগতো।বর্তমানে এগুলো আর কোথাও তেমন দেখা যায় না।অসাধারণ একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট করেছেন শুভকামনা রইল
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে
একসময়ের গ্রাম গঞ্জের আসল সৌন্দর্য ছিল এসব কূপ বা ইন্দিরা। আমাদের আঞ্চলিক ভাষায় ইন্দিরা বলা হতো। আমাদের একটা ছিল তবে এখন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে । অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন আপু। অসংখ্য ধন্যবাদ ।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
আমার নিজের ঘরের সঙ্গে একটি কুয়ো ছিল।তার পানি দিয়ে আমি গোসল করেছি পানি খেয়েছি।তবে বর্তমানে আর কুয়োটি নেই একদম বিলীন হয়ে গেছে। এভাবেই দিন দিন বিলীন হয়ে যাচ্ছে এসব কুয়ো।খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন আপু ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া
বেশ কিছুদিন ধরে আমি একটি কুপ খুজতেছি কিন্তু আমাদের এই দিকে প্রায় কূপ বিলুপ্ত। প্রাচীন যুগের পানির উৎস হিসেবে কূপ ছিলোএকমাত্র অবলম্বন। বর্তমানে প্রযুক্তির অনেক উন্নত হওয়ায় এই কূপ ব্যবহার করতে তেমন মানুষকে দেখা যায় না। আপনি একটি প্রাচীন ঐতিহ্য নিয়ে সুন্দর পোস্ট করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ
প্রাচীন কালের একমাত্র পানির উৎস ছিল কুয়া। কুয়ার পানি অনেক ঠান্ডা। আপনার পোস্টের মাধ্যমে ঐতিহ্যবাহী কুয়ার আরো দুই একটা নাম জানতে পারলাম। আপনি ঐতিহ্যবাহী কুয়া নিয়ে খুব সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করছেন আপু।ধন্যবাদ
ধন্যবাদ আপনাকে
আগের যুগে মানুষের পানির উৎস হিসেবে এই কুয়া বা কুপ ছিল। এই কুয়া বা কুপ আমাদের গ্রামেও ছিল। যা থেকে আগের মানুষেরা তারা পানি পান করা থেকে শুরু করে বাড়ির যাবতীয় সকল কাজে এই কুপের পানি ব্যবহার করতো। আপু আপনি অসাধারণ একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ছবিগুলো চমৎকার হয়েছে।
@md-sajalislam.
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
There are beautiful as well as ugly situations where garbage accumulates in a village. But I love to live village. Because it has more freedom and fresh air. You have written many valuable points with your experience in this article.
Thank you so much dear. Yeap, I also love to live in village and after a certain time I will go to my village to stay there permanently. Again, thanks.
কালের বিবর্তনে হারিয়ে গেছে এই কূপ বা গূহা। তবে আমাদের গ্রামে এখনো এই কূপ রয়েছে কিন্তু ব্যবহার হয় আর্বজনা দিয়ে পরিপূর্ণ। পানি খাওয়ার মতো কোন পরিবেশ।আগেকার সময়ে এই কুপ থেকে পানি উঠিয়ে খেত।
ধন্যবাদ আপনাকে
বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে কুয়ার ব্যবহার নেই বললেই চলে। কেননা আমাদের প্রাচীন কালে কুয়ার মাধ্যমে পানি তুলে ব্যবহার করত। আর বর্তমান প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা এই কুয়া কি জিনিস সেটাই জানে না। তবে দারুণ ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি। সেই সাথে কুয়া নিয়ে দারুণ উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে