প্রতিযোগিতার বিষয়- আপনার এলাকার একটি ভিন্নধর্মী নামধারী স্থান
সবাইকে স্বাগতম
২৫-০৭-২০২৩ ইং
রোজ বুধবার
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে আমিও ভালো আছি। সবার প্রিয় কমিউনিটিতে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। কমিউনিটি কর্তৃক আয়োজিত প্রতিযোগিতার নাম হলো আমাদের এলাকার ভিন্নধর্মী একটি জায়গার নাম আর এই জায়গার নাম অদ্ভুত হওয়ার কারণ কি। আজকে আমি কমিউনিটি কর্তৃক আয়োজিত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি। তাহলে বন্ধুরা চলুন দেরি না করে আজকের বিষয়টা নিয়ে আপনাদের সামনে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করা যাক:-----
আমাদের এলাকার সুন্দর যে ভরা একটি জায়গায় রয়েছে যার নাম কোদাইল ধোয়া। আমরা সাধারণত জানি কোদালকে গ্রামের ভাষায় কোদাইল বলা হয়। অপরূপ সৌন্দর্যের মাঝে ২০০ বছর ধরে টিকে রয়েছে একটি তেঁতুল গাছ। এই তেতুল গাছটি আকারে ছোট হলেও এর বয়স কারো জানা নেই। এই গাছটি একবার মরে যাওয়ার মতো হয় আবার পুনরায় জীবিত হয়ে যায়।
অদ্ভুত এই গাছটি বিশাল আকারের নিথুয়া পাথরের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। শত শত বিঘের উপর ২০০ বছর ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছে এই গাছটি। এই গাছটি ছোট হলেও বছরে দুইবার প্রচুর পরিমাণে তেঁতুল দিয়ে থাকে যা গ্রামে ছেলেপেলেরা বড় হওয়ার আগেই খেয়ে ফেলে। কৃষকেরা প্রচুর পরিমাণে পরিশ্রম করে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য এই গাছের নিচে আশ্রয় নেয়। পুরো নিথুয়া পাতার জুড়ে বিশ্রাম নেওয়ার মতো কোন জায়গায় নেই। শুধু জমির মাঝখানে রয়েছে এই তেঁতুল গাছ।
যেদিকে চোখ যায় শুধু জমি আর জমি আর জমি গুলোর মাঝখানে রয়েছে একটি বড় আকারের তেঁতুল গাছ। কৃষক এটা বিশ্রাম নেওয়ার সাথে এখানে খাওয়া-দাওয়া করে থাকে। প্রত্যেকের বউ ভাত নিয়ে এসে গাছের নিচে রেখে স্বামীকে ডাক দিতে যায় জমিতে। তারপর কৃষক কাজ রেখে তেঁতুল গাছের নিচে বসে খাওয়া-দাওয়া করে। গ্রীষ্মকালীন সময়ে কৃষকদের স্বস্তি প্রদান করে থাকে এই কোদাইল ধোয়ার সুন্দর তেঁতুল গাছটি। এই তেঁতুল গাছটি আমার বেশ ভালোই লাগে আমরা মাঝে মাঝে এখানে গিয়ে আড্ডা দেই। জীবনে তিন থেকে চার বার এই গাছে তেঁতুল খাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে।
মাঝে মাঝে স্কুল যাওয়ার পথে বান্ধবীরা বন্ধুদের কাছে আবদার করলে বন্ধুরা তেঁতুল নিয়ে বান্ধবীদের দিত। অপরদিকে গ্রামের ছেলেপেলেরা এই গাছে উঠে তেতুল খাওয়ার পর সেগুলো আবার বাড়ি নিয়ে যেতো আচার করার জন্য। সব মিলিয়ে কোদাল ধোয়ার অসাধারণ একটি দৃশ্য চোখে পড়বে বিশাল নিধুয়া পাতার এর মাঝখানে দাঁড়িয়ে রয়েছে শুধু একটিমাত্র তেতুল গাছ।
বিশাল নিধুয়া পাথারটিতে অনেক কৃষি জমি জমা রয়েছে। চৈত্র মাসে আমাদের এলাকায় কিছুটা ক্ষয়ক্ষতি না হলেও এসের মাটি ফেঁটে চৌচির হয়ে যায়। আমাদের এলাকাটিতে যখন আমাদের সময় হয় তখন সেই জায়গার মাটি একেবারেই আঠালো হয়ে যায়। মাটিতে একটা করে কোপ দেওয়ার পর গাম আঠার মত মাটিগুলো লেগে থাকে। মাটিগুলো পা দিয়ে সরিয়ে কোদালটি ভিজিয়ে আবার পিচ্ছিল করা হয়। কোদাল একবার ধুয়ে পিচ্ছিল করার পর সুন্দরভাবে পাঁচ থেকে ছয়টা কোপ দেওয়া যায়। বড় এই তেতুল গাছের নিচে ছোট্ট একটি দীঘি রয়েছে যা ওই গাছের বয়সের সমান।
সেখান থেকে কৃষকের সাধারণত পানি নিয়ে জমি বাড়িতে কোদাল দিয়ে সমান করে এবং জমি প্রস্তুত করে। এই বড় আকারের পাতারে রয়েছে অনেকগুলো রক্ত চোষা জোক। বর্ষাকালীন সময়ে প্রচুর পরিমাণে জোক মানুষকে ধরে। মানুষেরা জমি বাড়ি পর্যবেক্ষণ করার পর গাছের নিচে উঁচু জায়গায় দাঁড়িয়ে জোক গা থেকে সরিয়ে দেয় এবং পুরো শরীর চেক দেয়।
সেখানে ভয়ংকরি জোক চেক দেওয়ার পর আবার পানির পথ পাড়ি দিয়ে রাস্তায় উঠে আবার চোখ চেক করে কারণ এগুলো দেহের ভিতরে প্রবেশ করলে মারাত্মক ক্ষতি সাধন করবে। এখানকার মানুষের ভাষ্যমতে হাত-পায়ে কত কাদা লাগে লাগুক কিন্তু। যখন তারা জমি প্রস্তুত করার জন্য কোদাল দিয়ে জমি প্রস্তুত করে তখন আঁঠার মতো মাটি গুলো লেগে থাকে যার কারণে বারবার কোদাল পানিতে ধুতে হয়, তাই সেই জায়গার নাম কোদাল নামে পরিচিত।
এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি ভিন্ন কমিউনিটির পাঁচজন বন্ধুকে। আশা করি আপনারা সবাই এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন।
@arshani
@ekatirina
@notannov
@vipnata
@mamamasha
তো বন্ধুরা এই ছিলো আমার আজকের প্রতিযোগিতা মূলোক পোস্ট। আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। সকলের স্বুস্বাস্থ এবং মঙ্গল কামনা করি,ভালো থাকবেন সবাই।
ডিভাইস | রিয়ালমি ছি১৫ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mdparvaj |
বিষয় | ভিন্ন ধর্মী একটা জায়গার নাম |
স্থান | পার্বতীপুর, জমির হাট |
🙋♂️আমার পরিচয়🙋♂️ |
---|
Vote for @bangla.witness
আপনার এলাকার ভিন্নধর্মী নামধার স্থান সম্পর্কে অনেক সুন্দর ব্যাখ্যা দিয়েছেন। ছবিতে তেঁতুল গাছটিকে দেখে মনে হচ্ছে না যে এর বয়স ২০০ বছর।আপনি স্থানটির অনেক সুন্দর ব্যাখ্যা দিয়েছেন। পাশাপাশি অনেক সুন্দর কিছু ছবি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
আমার বয়স ২৩ বছর, আমারে বিশ্বাস হয় না। আর গাছটির বয়স ২০০ বছর, আর আপনার গাছটি দেখে মনেই হচ্ছে না। এই গাছটা মানুষের অত্যাচারে বনসাই হয়ে গেছে।
ভাইরে ভাই স্ক্রিন স্ক্রল করতে করতে হাপসি গেইলাম কিন্তু পোস্ট শেষ হয় না। কোদাইল ধোয়া জায়গাটার নাম শুনতে আসলেই বেশ মজার। ফটোগ্রাফিগুলো চমৎকার হয়েছে। গাছটি কতো বছর আগের...???
২০০ বছর রে
এই জায়গাটির প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখে আমি মুগ্ধ। আপনি কি গাছে চড়েছিলেন নাকি? গাছটি দেখতে অনেক সুন্দর। জমির পাশে এরকম গাছের নিচে বসে বিশ্রাম নেয়ার মজাই আলাদা।
হ্যাঁ ভাই আমি গাছে উঠছিলাম।
আমি শুনেছি তেতুল গাছে ভূত থাকে আর আপনারা তেতুল হওয়ার আগে কাছ থেকে পেড়ে খেয়ে ফেলেন এটা কেমন কথা ভাই। আপনার ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে। জায়গাটির নাম অনেক অদ্ভুত। আশা করি আপনার প্রতিযোগিতাটি অনেক ভালো হবে।
কচি তেঁতুল ভর্তা খায় তাই বলেছি ওভাবে বলেছি।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
অনেক মজা লাগে খাইতে। আমিও মেলা চুরি করছি 🙃।
তাই নাকি
Hmm..
বাহ চমৎকার লাগলো জায়গাটা, দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। কোদাইল ধোয়া জায়গার নাম শুনে ভালো লাগলো, চৈত্র সময়ে মাটিতে কোদাল দিয়ে কোপ দেওয়া যায় না। এবং অন্য মৌসুমে কোদাল এ মাটি লেগে থাকে। সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন গাছে সাবধানে উঠবেন ভাই, একটি দূর্ঘটনা সাড়া জীবনের কান্না।
ধন্যবাদ ভাইয়া
https://twitter.com/ParvejAkter1/status/1683856991113060353?t=j6IoIQNte3D9Dhhc9fcj0A&s=19
২০০ বছর ধরে এই তেঁতুল গাছ টিকে রয়েছে এটা আমার কাছে খুব অবাকহীন কাহিনী। ২০০ বছর ধরে একটা টিকে রাখা তাপ ব্যাপার।আপনি তেঁতুল গাছ নিয়ে সুন্দর বিস্তারিত আলোচনা করছেন ভাই।আপনার পোস্ট পড়ে খুব ভালো লাগলো।আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই
২০০ বছর পুরনো এই গাছটি আসলে বিস্ময়কর একটি বিষয়। পাথরের মাঝে গাছটি এখনো টিকে রয়েছে শুনে অনেক ভালো লাগলো।দারুন লিখেছেন আপনি ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
আপনি বরাবরই সুন্দর ফটোগ্রাফি করেন।আজকের এই ফটোগ্রাফি গুলো ও দারুন হয়েছে।তেতুল গাছটিও দেখতে অনেক সুন্দর। আপনি ঐ জায়গাটি অনেক সুন্দর ব্যাখা দিয়েছেন। আপনাকে প্রতিযোগিতার শুভকামনা রইল ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপু আপনাকে