মামাতো বোনের গায়ে হলুদ যা কখনো ভোলার মতো নয়🥰🥰🥰
সবাইকে স্বাগতম
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে আমিও ভালো আছি সবার প্রিয় কমিউনিটিতে আজকে আমি আপনাদের সামনে একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি যে বিষয়টা নিয়ে আপনাদের সামনে আলোচনা করবো সেটি হলো মামাতো বোনের গায়ে হলুদ। তো বন্ধুরা চলুন দেরি না করে আজকের বিষয়টা নিয়ে আপনাদের সামনে আলোচনা করা যাক:-----------
বিবাহ হলো একটি সামাজিক বন্ধনে আবদ্ধ দুইজন মানুষের দাম্পত্য জীবন স্থাপিত করে সুখের শান্তিতে সংসার করাকে বিবাহ বলে।সাধারণত আনুষ্ঠানিকভাবে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিবাহ সম্পন্ন করা হয়।
তেমনি বিয়ে হওয়ার আগে সাংস্কৃতিক রীতিনীতি হিসেবে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান পালন করে থাকি। হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন দাদাভাইয়ের কাছ থেকে শুনেছিলাম, অশুভ শক্তিকে বর এবং কনের কাছ থেকে দূরে রাখতে হলুদ মাখার পর্ব আরম্ভ করা হয়। প্রথমত বরপক্ষের বরকে হলুদ মাখানোর পর অবশিষ্ট হলুদগুলো কন্যা পক্ষের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। ছেলের গায়ের মাখানো হলুদের অবশিষ্ট গুলো কনের গায়ে মাখানো হয়।
মামাতো বোন অনার্সের ছাত্রী, স্কুল লাইফ থেকে একটা ছেলের সাথে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ছেলেটা আপুর চেয়ে চার বছরের বড়। বড় আপু যখন নবম-দশম এ পড়তো তখন ভাইয়েরা ইন্টার পরীক্ষা দিয়েছিলো। তাদের মাঝে তারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিল একে অপরকে নিয়ে সারাটা জীবন বেঁচে থাকবে।
তাদের বয়সের ডিফারেন্স চার বছর হওয়ায় আপু ইন্টার পরীক্ষা দিতে দিতে ভাইয়ার অনার্স শেষ। আর যখন আপু অনার্সে দ্বিতীয় তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী তখন ভাইয়া চাকরিজীবী। তাদের বয়সের কমিউনিকেশন অসাধারণ। এখনকার ছেলে মেয়েরা আমরা এখন ক্লাসে পড়ালেখা করি আবার রিলেশনও করি একই ক্লাসের মেয়ে ছেলের সাথে। আবার দেখা যায় ক্লাস এইট নাইনে পড়ি অথচ সিক্স সেভেন এই মেয়ের সাথে রিলেশন করি। এই অল্প বয়সে রিলেশন এর মাধ্যমে অল্প মনোমালিন্য নিয়ে ছেড়ে চলে যায়।
এই ছেড়ে যাওয়ার পূর্বে ছেলেরা বেশি উদাসীন হয়ে থাকে। আমার আর ভাইয়ার বয়সের ডিফারেন্স হওয়ায় ভাইয়া চাকরি পাওয়া পর্যন্ত আপু পড়ালেখা করতো। কারণ তাদের চার বছরের ডিফারেন্স রয়েছে। গায়ে হলুদে আমরা অনেক আনন্দ করেছি যা কখনো বলার মতো না। একটা বিবাহ অনুষ্ঠানে অনেকদিন পর পরিচিত মুখগুলো দেখা যায়। সব আত্মীয়-স্বজন একসঙ্গে ভিড় জমায় গল্প আড্ডা কথাবার্তা জীবন কাহিনী ইত্যাদি নিয়ে মেতে থাকা হয়।
তো বন্ধুরা এই ছিলো আমার আজকের ছোট্ট একটি পোস্ট। আশা করি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। সকলের সুস্বাস্থ্য এবং মঙ্গল কামনা করি, সকলে ভালো থাকবেন ধন্যবাদ।
ডিভাইস | রিয়ালমি ছি১৫ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mdparvaj |
বিষয় | গায়ে হলুদ |
স্থান | পার্বতীপুর, জমির হাট |
🙋♂️আমার পরিচয়🙋♂️ |
---|
Vote for @bangla.witness
আমাদের দেশের রীতিমতো বিয়ের আগে গায়ে হলুদ দেয়া । তবে বিয়ের অনুষ্ঠানে গায়ে হলুদ দেয়ার সময় অন্যরকম আনন্দ উপভোগ করা যায়। বিশেষ করে গ্রামের মহিলারা নাচে আর গীত পরিবেশন দেখতে বেশ ভালই লাগে।
জী ভাই
https://twitter.com/ParvejAkter1/status/1671008164513460225?t=V_kKWt209JUJ_lrsghlwVw&s=19
সুন্দর একটি সময় পারকরেছেন। তাদের দাম্পত্য জীবন সুখের হোক এই কামনা করি। আপুর বিয়েতে আপিনার কোনো মেয়ে পছন্দ হয় নি...???
কনে বাদে সবাইকে পছন্দ হইছে
মাসআল্লাহ আপনার মামাতো বোন অনেক সুন্দর। আপনি অনেক সুন্দর ছবি তুলেছেন ভাইয়া। আপনার মামাতো বোনের বিয়ের হলুদের অনুষ্ঠানে ভালই সময় উপভোগ করেছেন।আপনার আপুর সাথে থাকা সবাই সুন্দর ভাই। অনেক সুন্দর উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া।
তাই নাকি ভাই
ভাই একা একা মামাতো বোনের বিয়ের দাওয়াত খাইলেন।আমাদেরও দাওয়াত দিলে আমরাও যাইতাম। সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই। ধন্যবাদ।
আপনি আমার বিয়া খাবেন
আমাদের দেশের প্রথা বিয়ের অনুষ্ঠানে মেয়ে কিংবা ছেলে উভয়কে গায়ে হলুদ দেয়া। গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান গুলো বেশ সুন্দর হয় কারন আগের রীতিনীতি অনুযায়ী গীত গাওয়া হয়। বিয়ের অনুষ্ঠান নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন।
ধন্যবাদ ভাই
আপনার মামাতো বোনের গায়ে হলুদে সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন।বিয়ের আগের দিন গায়ে হলুদে ভাই বোন সবাই মিলে একসাথে সময় কাটানোর মজাই অন্যরকম।আপনার তোলা প্রতিটি ছবিই দারুণ হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু
গায়ে হলুদ নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট লিখেছেন। গায়ে হলুদের সময় দেখা যায় গ্রামের বয়স্ক মহিলারা গীত গায় আর নাচে এই দৃশ্যগুলো দেখার মতো।গায়ে হলুদ নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন।
ধন্যবাদ আপু
খালি মানুষের বিয়ে খেয়ে বেড়ালে হবে, নিজেকেও বিয়ে করে দেখায় দিতে হবে যে আমিও পারি 🙂
অবশ্যই ভাই