প্রতিযোগিতা- স্কুল জীবনের মজার স্মৃতি যা কখনো ভোলার মতো না 🥰🥰🥰
সবাইকে স্বাগতম
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে আমিও ভালো আছি। সবার প্রিয় কমিউনিটিতে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। কমিউনিটি কর্তৃক আয়োজিত প্রতিযোগিতার বিষয় হলো স্কুল জীবনের মজার স্মৃতি। তো বন্ধুরা আজকে আমি সেই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি। তো বন্ধুরা চলুন দেরি না করে আমার স্কুল জীবনে কাটানো মজার স্মৃতি নিয়ে আলোচনা করা যাক:-----------
প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষাজীবনে অনেক কিছু ইনজয় করেছি যার মধ্যে কিছু কিছু স্মৃতি মনে গেথে রয়েছে। আমাদের প্রাইমারি স্কুলের সাথে রয়েছে একটি আঁকাবাঁকা সুন্দর রাস্তা যা রামনাথপুর ইউনিয়ন এবং গোপীনাথপুর ইউনিয়নে ঢুকেছে। স্কুল চলাকালীন সময়ে যখন ক্লাস টিচার ক্লাসে লেট করে আসে কিংবা যাওয়ার পরে আমরা জালানা দিয়ে যাতায়াতকারী লোকদের ডাকতাম।
লোক গুলো বলতো কি হয়েছে বাবু আমরা বলতাম আমাদের কলম পড়ে গেছে। লোকটা যখন এসে দেখত জানালার কাছে কোন কলম নেই তখন আমরা হাসাহাসি করতাম। আর লোকগুলোকে আমরা বোকা বোকা বলে ডাকতাম।মেয়ে মানুষ গেলে ডার্লিং বলে ডাকার ওস্তাদ ছিলো আমাদের শফিকুল মামু। আমরা প্রায় লোকজনদের বিরক্ত করতাম এবং মজা করতাম। তেমনি রাস্তার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় মামাতো ভাইয়ের চিৎকার ভাইয়া এ ভাইয়া। তারপর গেলাম অনেক কয়েকটা পিকচার তুললাম রাস্তা থেকে।
আমাদের সেই সময়ে স্কুল ব্যাগে ছিলো বই-খাতা, কলম,পেন্সিল, ছুড়ি,ব্লেড ইত্যাদি। ব্লেড আর ছুড়ি রাখতাম আমের সিজনে। অনেক স্মৃতি রয়েছে যা কখনো ভোলার মতো না।
ঘটনাটা সেই ২০১৮ সালের। স্কুল জীবনে কাটানো সময়গুলির মধ্যে একটি মজার স্মৃতি বন্ধুরা কখনো ভুলবে না। ঘটনাটা আমি এবং আমার বন্ধুকে নিয়ে। উল্লেখিত আমার বন্ধু আল আমিন ইসলাম খুবই সাদাসিধা এবং কিপটে। যেকোনো পরিস্থিতিতে পড়লে পকেট থেকে কখনো দশ টাকা বের হবে না। এই পরিস্থিতিটা শুধু আমাদের ছেলে বন্ধুদের জন্য। তার কাছে তার মেয়ে বন্ধুরা মহামূল্যবান। ঝাল মুড়ি, চানাচুর, বিস্কিট, আইসক্রিম যদি কোন বান্ধবী আবদার করে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে সে পূর্ণ করে। অতঃপর একদিন ফেঁসে গেল আমার কাছে।
ক্লাসরুমে সকলের কাছে টাকা ধার চাইছিলো কেউ তাকে টাকা ধার দেয়নি। টাকা ধার না দেওয়ার কারণ হলো সে কখনো তাড়াতাড়ি পাওনা টাকা শোধ করিনি। আজকাল- কাল-পরশু করতে করতে টাকা চাওয়াই বন্ধ হয়ে যায়। তারপর ক্লাসের টপার বন্ধু সোহাগ সরকার বললো তুই যদি কালকে টাকা না দিস তাহলে। আমার বন্ধু আল- আলামিন ইসলাম বললো কালকে টাকা না দিলে তোরা যা খুশি তাই করিস। তার কথাতে এলোমেলো গন্ধ পেয়ে সোহাগ বন্ধুর মাথায় একটা বুদ্ধি চলে আসলো। তারপর শুরু হয়ে গেল আমাদের স্ট্যাম্প পেপার তৈরি করা। স্টাম পেপারে আমাদের দুজনের তথ্য খুব সুন্দর ভাবে বন্ধুটা উপস্থাপন করলো। স্টাম পেপারের ২-৩ জন বন্ধুও সাক্ষী হিসেবে সিগনেচার করলো।
সেই দিনের কথাগুলো এখনো মনে পড়লে আমাদের বন্ধুদের মধ্যে হাসাহাসি সৃষ্টি হয়। সামনে পশুর হাটে সেই বন্ধুর সাথে বেশ অনেকক্ষণ আড্ডা দিয়েছি। আমাদের স্কুল জীবনটা অনেক সুন্দর এবং মধুময় ছিলো।
আমরা ক্লাস রুমে ক্লাস করার পর যখন স্যার চলে যায় তখন আমরা স্যারের টেবিলকে খেলার মাঠ বানিয়ে থাকি। আমরা ৫-৬ জন কলম নিয়ে টেবিলে খেলতাম। গনিত আর ইংরেজি টিচার খুব রাগী মানুষ ছিলেন এসে খেলা দেখলে আগে পিটুনি আর পড়া না পারলেও আবার পিটুনি। আমরা এতো পিটুনি খাওয়ার পরেও কলম খেলা ছাড়িনি। আসলে আমরা স্যারদের মাইর আনন্দের সাথে খেতাম।
তো বন্ধুরা এই ছিলো আমার আজকের প্রতিযোগিতা মূলোক পোস্ট। আশা করি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। সকলের সুস্বাস্থ্য এবং মঙ্গল কামনা করি, সবাই ভালো থাকবেন ধন্যবাদ।
ডিভাইস | রিয়ালমি ছি১৫ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mdparvaj |
বিষয় | প্রতিযোগিতা |
স্থান | পার্বতীপুর, জমির হাট |
এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করতে ভিন্ন কমিউনিটির দুইজন বন্ধুকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি @sabratul @shahin05. |
---|
🙋♂️আমার পরিচয়🙋♂️ |
---|
Vote for @bangla.witness
প্রাইমারি স্কুল জীবনে আসলে আমি অনেক মজা করেছিলাম। আপনার মতোএরকম ব্লেড ছুরি সাথে রাখতাম আম পেড়ে খাওয়ার জন্য স্কুলের বড় গাছের সব সময় ঢিল ছুড়তাম আমি। অনেক সুন্দর ও মজার সৃতি গুলো মনে করিয়ে দিলেন ভাই।
হুম ভাই
https://twitter.com/ParvejAkter1/status/1673673884694900736?t=P-kyiDDFiunuLsBnQlLSRg&s=19
স্কুল জীবনের সুন্দর কিছু স্মৃতি আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। তারপরে কি সেই বন্ধু ধার নেওয়া টাকা যথাসময়ে শোধ করেছিল? জানাবেন আমাদের। ধন্যবাদ আপনাকে।
হুম দিয়েছে আপু।
স্কুল জীবনের আনন্দের কিছু স্মৃতি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন। আপনার পোস্টটি পড়ে আমার ও স্কুল জীবনের অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল। যে মুহুর্ত গুলো কখনোই ভোলার নয়। আমিও ছোট বেলায় অনেক বার কলম খেলেছি।ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার স্কুল জীবনের মজার স্মৃতি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু
আপনি আপনার স্কুল জীবনের খুব সুন্দর স্মৃতি শেয়ার করেছেন। প্রতিযোগিতার জন্য শুভকামনা রইল। প্রতিটা ক্লাসেই এমন কিছু বন্ধু থাকে যারা খুবই কিপটা হয়ে থাকে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন। অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপু
আল-আমিন ভাইয়ের মান-সম্মান শেষ🤣🤣🤣 এই ডকুমেন্ট এখনো আছে। কলম খেলার রাজা জানি কে ছিলো...??? ওহ তুই তো খ শাখার মাল। যাই হোক তোমার স্কুল জীবনের স্মৃতিগুলো মধুর হয়ে থাক এই কামনা করি।
এই ডকুমেন্ট লেবেডিং করি থুইম রে
স্কুলের জীবনের সুন্দর একটা স্মৃতি নিয়ে আমাদের মাঝে পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই।এইরকম ছোট বেলায় আমিও অনেক কলম খেলা খেলছি।আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ছবি গুলো তুলছেন আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
জানালার ধারে কলমের কাহিনীটা দারুন লেগেছে ভাই।আসলে আপনাদের শৈশব অনেক ভালো কেটেছে আমি বুঝতে পারতেছি আপনার পোস্টটি দেখে।দারুন কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
স্কুল জীবনের স্মৃতিগুলো সবসময় স্পেশাল। স্কুল জীবন আমাদের সেরা সময়, যা আমরা পেছনে ফেলে এসেছি। এখন সেই সময়টার জন্য মায়া হয়। আপনার স্কুলের স্মৃতিগুলো সত্যিই অসাধারণ।
ধন্যবাদ বড় ভাই
আপনার পোস্টটি পড়ে আমার স্কুল জীবনের স্মৃতি গুলো মনে পড়ে গেল। জীবনের সবচেয়ে ভালো সময় ছিল স্কুল জীবনে কাটানো সময় গুলো। অসাধারণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাই। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
ধন্যবাদ ভাই