আমার বাসায় আমি সখ করে কবুতর পালন করি।
আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি।
আমি প্রায় তিন বসর থেকে কবুতর পালন করতেসি। আমি বাসায় কবুতর লাগানোর আগেই নিজে হাতে কবতুরের খাঁচা তৈরী করি খাঁচা বানাতে অনেক কষ্ট হয়। প্রথমে বাজার থেকে প্লাস্টিকের নেট আর তারকাটা কিনে আনি তারপর বাসায় থাকা কাট, বাস দিয়ে খাঁচা তৈরী করি প্রথমে একটি খাঁচা তৈরী করে বাজার থেকে এক জোড়া কবুতর কিনে আনি।
আমি কবুতর বিষয়ে কিছুই জানতামনা এর আগে কখনো কবুতর পালন করিনি। কবুতর বাজার থেকে এনে খাঁচায় রেখে আবার গেলাম বাজারে কবুতরের খাবার আনার জন্য দোকানদারকে বললাম কবুতরের খাবার দেন উনি আমাকে এক কেজি খাবার দিলো আর আমার কাছে ৬০ টাকা নিলো আমি আগে জানতামনা কবুতরের খাবারের এতদাম নিয়ে চলে আসলাম বাসায় কবতুরকে খেতে দিলাম এভাবে চলতে থাকে। এরপর তিন মাস পর আমার কবুতর দুটা ডিম দেয় ডিম দেওয়ার ২০/২৫ মধ্যে দুটো বাচ্চা দেয় বাচ্চা দেখে আমার খুশিতে মন ভোরে যায়। আমি প্রতিদিন বাচ্চা গুলোকে দেখি দেখতে দেখতে বাচ্চাগুলো বরোহয়ে যায়।
বড়ো ভালোলাগার বিষয়টা হলো বাচ্চা দুইটা আমার এতো শিকারী হয়ে যায় যে আমাকে দেখলেই আমার মাথায় উঠবে ঘরে উঠবে হাতে উঠবে আমার ভীষণ ভালো লাগতো। এরপর বাচ্চা গুলার জন্য আরো একটি খাঁচা তৈরী করলাম।
এভাবে আমার কবুতরের সংখ্যা দিন দিন বাড়তে লাগলো আমি কবুতরের খাবার কিনতে হিমশিম খাসসিলাম কারণ আমি একজন বেকার তাই ভাবলাম আমি নিজেই কবুতরের খাবার তৈরী করবো। তাই বাজার থেকে ভুট্টা, গম, শরিষা, মশুর ডাল, সয়াবিন,সোলার খোসা কিনে নিয়ে আসলাম বাসায় এরপর ব্যালেন্ডার দিয়ে তৈরী করে ফেললাম কবুতরের খাবার।
কবুতরের খাবার তৈরী করে আমার এখন প্রায় প্রতি কেজি খাবারে ২০ টাকা করে কম লাগতেছে এখন আমার আট জোড়া কবুতর আছে। আমায় নিজে তৈরী করা খাঁচায় এখন সব কবুতর থাকে সব কবুতরে আমার শিকারী হয়ে গেসে।
কবুর একটা শখের জিনিস। সৌখিন মানুষরাই কবুতর পালন করে থাকে বেশী আর কিছু কিছু উদ্যোক্তা কবুতর পালন করে থাকে। আমাদের বাড়িতেও ২৫-৩০ টার মতো কবুতর আছে। আমার আব্বু প্রতিদিন সেগুলোকে খাবার দেয়। আপনার কাছে কোন কোন প্রজাতির কবুতর আছে...???
ধন্যবাদ ভাইয়া। আমার কাছে আছে লোটন, আর লক্ষা এই দুই প্রজাতির।
আলহামদুলিল্লাহ জেনে ভালো লাগলো একদম শুন্য থেকে কবুতর পালন করে আপনি এখন সফল। আপনি অনেক সুন্দরভাবে কবুতরের খাঁচা বানানোর পদ্ধতির কথাও বলেছেন। আমি এর আগে বড় খামারিদের এমন ভাবে খাবার সংরক্ষণ করা দেখেছি। কিন্তু আপনি বাসায় পালন করেন কবুতর তারপরও খাবার সংরক্ষণ করেন এটা অনেক ভালো লাগল আমার কাছে। আমি আশা করি আপনি ভেরিফাই হয়ে আমাদের সাথে কাজ করবেন। @shamimhossain ভাইয়ার সাথে দয়া করে যোগাযোগ করবেন।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
কবুতর কে সুখের পায়রা বলা হয়। জেনে ভালো লাগলো আপনি একজন নতুন উদ্যোগতা, কবুতরের খাবার কিনতে আপনার হিমশিম খেতে হচ্ছে, তাই আপনি নিজে খাবার তৈরি করেন। বিষয়টা আমার অনেক ভালো লাগলো। আগের দিনে কবুতরের মাধ্যমে চিঠি আদান-প্রদান করা হতো, যা এখন বিলুপ্ত। আমিও আগে কবুতর পালন করতাম। এখনো আমাদের বাড়িতে কবুতর রয়েছে। শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া
কবুতর আসলেই একটি পোষ মানা পাখি।জেনে ভালো লাগলো আপনার নিজের কবুতর আছে।খুব সুন্দর করে আপনি সেগুলোকে লালন পালন করেন।আপনি কবুতরের খাঁচা বানান নিজে,সেটা জেনে ভালো লাগেলো।নিজে পরিশ্রম করে নেট বানান,তার পদ্ধতি সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন।সব কিছুর দাম বেড়ে যাবার কারণে,কবুতরের খাবারের দামও অনেক বেড়ে গিয়েছে।এতে ব্যবসায়ীদের লাভ হলেও সাধারণ মানুষ সব কিছু কিনতে কষ্ট করতে হচ্ছে।আপনি আপনার কবুতর নিয়ে অনেক সুন্দর করে বিস্তারিত লিখেছেন।ছবি গুলো সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে।
কবুতর পালন করতে অনেকেই পছন্দ করেন। অনেকেই আবার শখের বশে কবুতর পালন করেন।আমাদের বাসায়ও দুই জোড়া বিদেশি জাতের কবুতর ছিল। তবে আপনি কবুতরের খাবার নিজেই তৈরি করেছেন এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। আর এটাতে আপনার প্রতি কেজিতে ২০ টাকা করে কম লাগছে।আপনি খুব সুন্দর একটি বিষয় তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
বিশেষ করে পাখি জাতীয় জিনিসগুলোকে লালন পালন করতে বেশ ভালই লাগে। আগে আমাদের বাড়িতেও কবুতর ছিল। আমি রোজ সকালে তাদের খাবার দিতাম। অনেকগুলো কবুতর হয়েছিল কিন্তু বিড়ালের অত্যাচার সব কবুতর চলে গেছে। এখন 6 থেকে 7 টা কবুতর অবশিষ্ট রয়েছে। তবে আমাদের বাড়িতে কবুতর রাখার জন্য কাঠ দিয়ে ছোট্ট একটি ঘর তৈরি করে নেই। আর সেটিকে বাঁশের সাহায্যে উপরে সেট করে নেই। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
কবুতর পালন মানুষের সৌখিনতার নিদর্শন হিসেবেও কাজ করে। আমাদের বাড়িতেও আমার ভাই শখের বসেই কবুতর পালন করেন। আমরা কবুতরের জন্য বাজার থেকে কোন খাবার কিনে আনি না। আমার ভাই গম আর মসুর কালাই খাওয়ায়। কবুতরগুলো পাখি হিসেবে দেখতে অনেক সুন্দর। আপনার এখন মোট কয়টা কবুতর?
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।অনেক সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।
ধন্যবাদ আপু।আমার এখন ১৬ টা কবুতর আছে।
আপনার কবুতরের খাঁচা এবং কবুতর গুলো অনেক সুন্দর। আপনি নিজে নিজেই খাবার তৈরি করেন এ বিষয়টা অনেক ভালো। কারণ অনেক খরচ কমে যায় এতে। যতটা সাশ্রয়ী হওয়া যায় ততই ভালো। আপনার কবুতর পালনের অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, খুব সুন্দর ভাবে আলোচনা করেছেন, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া