গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য হচ্ছে সাঁকো ও টং
প্রিয় ব্লগারবাসী,
আসসালামু আলাইকুম, স্টিম ফর ট্রেডিশন কমিউনিটির সকলকে আমার ছালাম। সকলেই কেমন আছেন? আশা করি সকলেই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে হারিয়ে যাওয়া কিছু স্মৃতি তুলে ধরার চেষ্ট করছি।
স্মৃতির পাতায় আমাদের গ্রামঃ
১) বাঁশের সাকো
২) বাঁশের টং
আমাদের গ্রামঃ
প্রথম যে ছবিটি দেখছেন আমাদের গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া যার বর্তমান নাম মরা নদী। অনেক আগে শুনছিলাম এর নাম আগে মরা নদী ছিল না ইছামতী নাম ছিল যা তিস্তা নদীর শাখা। তৎকালীন সময়ে এক রাজার ছেলের বিয়ের পর তার স্ত্রীসহ তিস্তা নদীর শাখা অর্থাৎ মরা নদী দিয়ে ভ্রমন করার সময় হঠাৎ রাজার ছেলের সোনার তৈরী নৌকাটি হঠাৎ তলিয়ে যায় এবং নৌকায় ভ্রমনরত সকল সৈন্যসহ মাঝিও আর রাজার ছেলে, ছেলেবউ সবাই এই ইছামতি নদীতে মারা যায়। তখন এই নদী অনেক ক্ষরস্রোত আর গভীর ছিল কালের বিবর্তনের ফলে সেই ক্ষরস্রোতা নদীতে আজ মানুষ কৃষি কাজ করে। আরকিছু দিনের মধ্য আর বাঁশের সাকোর প্রয়োজন হবে না। এই ছবিটি তোলা ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে। এখন আর বাঁশের সাকো ব্যবহার হয় না ২০২১ সালে সেখানে ব্রীজ নির্মান হয়েছে। হারিয়ে গেছে ইছামতি নদী হারিয়ে গেছে বাঁশের সাকো। বর্ষার মৌসুমে পানি প্রবাহমান না হওয়ায় বর্ষা শেষে ভিবিন্ন জায়গায় অল্প পানিতে আমাদের গ্রামের মানুষ মাছ ধরে। শুধু নদী পড়ে আছে কিন্তু নদীতে নেই পানি নেই স্রোত। আর নদীতে পানি এবং স্রোত না থাকার কারনে পূর্বের ইছামতি নদীকে আমাদের প্রজন্ম তাঁকে মরানদী নাম চিনছে। শুধু রয়ে গেছে তার স্মৃতি।
দ্বিতীয় ছবিটি বাঁশের টং। আমাদের পুকুরপাড়ে ছিল দেখতে অনেক ভালো লাগতো আমার দাদা মারা যাওয়ার পর আর এই টংটি বানানো হয় না। এখন টং নেই। এই জায়গাটি দেখলে দাদার স্মৃতি মনে পড়ে আমার। প্রিয় ভিউয়ার্স আপনার এলাকায় এই রকম টং আছে কিনা জানাবেন দয়াকরে।
কারো সাথে স্থান, সময়, কথা মিলে গেলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সকলেই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
বাঁশ দিয়ে তৈরি সাঁকো আমাদের ঐতিহ্যবাহী স্থাপন আমাদের নাগর নদীতে যখন কোন ব্রিজ তৈরি হয়েছিল না। তখন এই বাঁশের তৈরি সাকো দিয়ে আমার বাবার হাত ধরে ছোটবেলায় বাজারে যাতায়াত করতাম। বাঁশের তৈরি সাঁকো সম্পর্কে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে শুভকামনা রইলো।
ধন্যবাদ আপনাকে
আপনাকে স্বাগতম জানাই স্টিম ফর ট্রেডিশন কমিউনিটির পক্ষ থেকে। আমরা সকলেই আশাবাদী যে আপনি কমিউনিটির সকল নিয়ম-কানুন মেনে চলার চেষ্টা করবেন। পোস্ট, কমেন্ট আর ডিসকোর্ডে সময় দিবেন। পোস্ট কমপক্ষে ৩০০ শব্দের হতে হবে এবং ছবি যক্ত করতে হবে ৫ বা ৬ টা।আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ধন্যবাদ।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ।
সাকো বা টং নদী অঞ্চল এলাকায় বেশি দেখা যায়। এটি গ্রাম অঞ্চলের ঐতিহ্য। সাকো বা টং নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন।আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাই। ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকে।
ইছামতি নদীর কাহিনী টা সম্পর্কে খুব সুন্দর লিখেছেন।বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করে মানুষ আগে খাল বিল পার হত।কিন্তু এখন তেমন আর নেই এই ঐতিহ্যবাহী জিনিসটি বিলীন হয়ে গেছে।ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর পোস্ট করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে
সাঁকো নিয়ে অসাধারণ লেখছেন ভাই।সাঁকো এখন আর দেখা যায় না, আমাদের গ্রামের পার্শে একটা সাঁকো ছিল কিন্তু এখন আর নাই, ঐ সাঁকোর স্থানে তার পার্শে আমাদের নতুন ব্রিজ তৈরি করছে।তবে টং নিয়েও খুব সুন্দর লেখছেন। টং আগে গ্রামে গ্রামে ছিল, মানুষ সেখানে আড্ডা দিত,গল্প করতো,আরো অনেক কিছু করতো ইত্যাদি। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে
বাঁশের সাঁকো আমাদের গ্রাম বাংলার অনেক পুরনো ঐতিহ্য। ভাই আপনাকে নিয়মিত ক্লাস করতে হবে। কমিউনিটির নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে।শুভকামনা রইল আপনার জন্য
ধন্যবাদ আপনাকে
গ্রামের ঐতিহ্য বাঁশের সাঁকো, গ্রামের ছোট ছোট খাল পারাপারের জন্য এসব এসব সাঁকো ব্যবহার করা হয়। তবে মরা নদী সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখছেন ভাই। শুভ কামনা রইলো
ধন্যবাদ আপনাকে।
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
গ্রামের মানুষের জন্য গাছের নিচে বসে অথবা আরামদায়ক স্থানে প্রকৃতি উপভোগ করা এবং একটু আরাম করার অন্যতম একটি জায়গা হল টং। আর নদী বা ছোট কোন খাল পার হওয়ার অন্যতম একটি মাধ্যম বা রাস্তা হিসেবে তৈরি করা হয় সাঁকো । গ্রামের দুটি সুন্দর ঐতিহ্য নিয়ে আপনি আলোচনা করেছেন । আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আপনাকে
বাঁশ দিয়ে তৈরি সাঁকো আমাদের ঐতিহ্যবাহী।বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করে মানুষ আগে খাল বিল নদী নালা পার হত,কিন্তু এখন তেমন আর এই রকম সাঁকো দেখা যায় না । যাই হউক অনেক সুন্দর হয়েছে পোস্ট এত সুন্দর একটা পোস্ট করার জন্য ধন্যবাদ
ধন্যবাদ আপনাকে