বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
হ্যালো বন্ধুরা,,
আমি @kabir21🇧🇩
৬ ই সেপ্টেম্বর, বুধবার
আসসালামু আলাইকুম আশা করি আপনার সবাই অনেক ভাল আছেন আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভালোবাসি আজ আমি আবার উপস্থিত হয়েছি আপনাদের সাথে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আজ আমি আপনাদের সাথে গ্রাম বাংলার অতি পরিচিত একটি খাবার ছাতু নিয়ে আলোচনা করব আশা করি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।।
![IMG_20230906_201800.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmP22daDGHTAD1CJAiStNwvmMfVkrDf2PMUuww7EYF3pqu/IMG_20230906_201800.jpg)
গ্রামে যাদের ছোটবেলা কেটেছে তারা কম বেশি সবাই এই ছাতুর সাথে পরিচিত। গ্রামাঞ্চলের মানুষ সকালে নাস্তা হিসেবে এই ছাতুকে খেয়ে থাকে। সকালে ঘুম থেকে উঠে দাঁত ব্রাশ করে ছাতুর সাথে পানি মিশিয়ে তার সাথে হালকা পরিমাণ চিনি দিয়ে এই ছাতু গ্রামাঞ্চলে সাধারণ মানুষ খেয়ে থাকে। কেউ কেউ আবার বিকেল বেলা নাস্তা হিসেবে এই ছাতু গ্রহণ করে থাকে। কেউ কেউ আবার সময় অসময় যখন ইচ্ছা হয় তখনই এই ছাতু খেয়ে থাকে।
![IMG_20230906_201642.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmexAo9Vx3CiLztBaJAGKaNegvRecNtWm6ri53ci7B33Dj/IMG_20230906_201642.jpg)
দুদিন আগে আমি আমার খালার বাড়ি যাই। আসলে আমার বাসা আর আমার খালার বাসা একই গ্রামে। তাই কমবেশি প্রতিদিনই সেখানে যাওয়া হয়। সেখানে গিয়ে দেখি আমার খালাতো বোন ছাতু তৈরি করতেছি। আসলে বাড়িতে চাল ভেজে ভুট্টা ভেজে তার সাথে কিছু পরিমাণ দেশি বুট মিশ্রণ করে হামু দিয়ে পিসতেছে। আমি গিয়ে তার সাথে বিভিন্ন রকমের কথা বলতে থাকি আর হাসাহাসি করতে থাকি যে এই গরুর খাবার কে খায়!
সে দেখতে দেখতে সবগুলো হামু দিয়ে পিসে ছাতু তৈরি করে ফেলে। আর একটি বৈয়ম এ রেখে দেয়। তারপর সে একটি প্লেটে করেন নিয়ে খেতে শুরু করে। আমার জন্য ও একটি বাটিতে করে কিছু পরিমাণ ছাতু আমাকে দিয়ে দেয়। আসলে অনেক আগে ছাতু খেয়ে ছিলাম তো তারপর থেকে আবার তেমন একটা খাওয়া হয় না। গুনে গুনে তিন চার চামুচ নেওয়ার পর বাকিগুলো তার প্লেটে উঠিয়ে দেই। আর দুই চামচ পরিমাণ চিনি সেখানে ঢেলে দেই।
আমি আবার ছাতু সুপের মত করে খাই। অনেক বেশি পানি দিয়ে থাকি আর একদম টোল টোল পানির মত করে চামচ দিয়ে খাই। আর আমার খালাতো বোন আবার একটু পানি দিয়ে হালকা ভিজিয়ে ভাতের মত করে খাচ্ছে। দুইজনে খাইতেছি আর হাসাহাসি করতেছি। আসলে ভাই বোনের সম্পর্কটা অন্যরকম হয়ে থাকে। সুমধুর একটা সম্পর্ক হয়ে থাকে ভাই আর বোনের মধ্যে। সেখানে আরো কিছুক্ষণ দুজনেই গল্প করি আর খেতে থাকি।
ধন্যবাদ সবাইকে। আবার দেখা হবে নতুন কোন পোস্টে ততক্ষণ পর্যন্ত সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকুন এই কামনাই করি। শুভকামনা রইল আপনাদের প্রতি❤️
ছাতু বা চালের গুড়া আমাদের গ্রাম অঞ্চলের পুরনো খাবার। ১০-১২ বছর আগে ছাতু বা চূলের গুরা মানুষ খুবই খেত। তবে এখন আর তেমন একটা দেখা যায় না। শৈশবে আমিও অনেক ছাতু খেয়েছি। এখন শহর অঞ্চলে ছাতু খাওয়া দেখলে মানুষ ক্ষেত মনে করে। যাইহোক প্রাচীনকালে ছাতু বা চালের গুড়া সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ
https://twitter.com/Smn97541366047/status/1699433085010329717?t=PxVu6GdH8hmbEon_al1vAA&s=19
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
ছাতুর প্রচলন ১০ বছর আগে অনেক বেশি ছিলো। বর্তমানে এর প্রচলন তেমন আর দেখতে পাওয়া যায় না। তবে গ্রাম অঞ্চলে কিছু বাড়িতে এখনো সকালে নাস্তা হিসবে ছাতু খাওয়া হয়। আমি মনে হয় ১৫ বছর আগে ছাতু খেয়েছি তারপর আর খাওয়া হয়নি। চাল, ভুট্টার সাথে অনেকেই আবার বাদাম দিয়ে থাকে। ছাতু গুলো দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে। আশা করি খেতেও অনেক মজার হয়েছে।
ধন্যবাদ
ছাতুর সাথে শৈশবের অনেক মিল রয়েছে, ছোটবেলায় অনেক ছাতু খেয়েছি। চালের ছাতু খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। চালের গুড়ার সাথে চিনি এবং পানি মিশিয়ে খেতে খুবই ভালো লাগে। আর যদি পানি বাদ দিয়ে দুধ মিশানো যায় , আহ তাহলে তো কথাই নেই। ভীষন সুস্বাদু লাগে খেতে। ছোটবেলায় মাঝেমধ্যে ছাতু খেতাম। আমার দাদি ভাত খেতে পারতো না। তার জন্য সব সময় আমাদের বাড়িতে ছাতু থাকতো, দাদির সাথে সাথে আমিও খেতাম, আপনার পোষ্টের মাধ্যমে সেই স্মৃতি মনে পড়ে গেলো। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ
ছোটবেলায় অনেক ছাতু খেয়েছি। কিন্তু বেশ কয়েক বছর হয়ে গেছে এসব ছাতু খাওয়া হয়না। আপনার এই পোস্টে মাধ্যমে ছোটবেলায় ছাতু খাওয়ার কথা মনে পড়ে গেল। ছাতুর সাথে চিনি আর হালকা পানি মিশিয়ে খেলে ভালোই লাগে। খাবার চালের গুড়া বা ছাতু নিয়ে আপনি খুব সুন্দর লিখেছেন। পোস্টটি ও খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট মাঝে মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
চালের গুড়া সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন আপনি। আসলে আমাদের গ্রাম অঞ্চলে আগে এই চালের গুড়া অনেক বিখ্যাত ছিল। এবং সবার বাড়িতে কমবেশি চালের গুড়া থাকতো এবং এই চালের গুড়া দিয়ে সকালে নাস্তা করত। আসলে এই চালের গুড়াতে অনেক পরিমাণ ভিটামিন রয়েছে তাই এটি মানুষ সকালে নাস্তা হিসেবে ব্যবহার করত। আমরাও আগে ছোট বেলায় এই চালের গুড়া ভিজে খেতাম আসলে এগুলো খেতে অনেক ভালো লাগে বিশেষ করে এগুলো গুড় দিয়ে খেতে সবচেয়ে বেশি মিষ্টি লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
ধন্যবাদ
ছাতু বা চালের গোড়া সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া। এই খাবারগুলো আমাদের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য। আগেরকার মানুষ ছাতু বা চালের গুড়া অনেক খেতেন। তবে এখন আর মানুষদের এসব চালের গুড়া খাওয়া দেখা যায় না। যুগ পরিবর্তনের কারণে আমাদের ঐতিহ্যবাহী সুন্দর একটি খাবার আজ বিলুপ্তের পথে। আমি নিজেও ছোটবেলায় ছাতু বা চালের গুড়া অনেক খেয়েছি । ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ
চালের গুড়া নিয়ে আপনি অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আপনাদের মত আমরাও এটাকে ছাতু বলে থাকি। এটি উচ্চ পুষ্টিগুণ সম্পন্ন একটি খাবার। কারণ এটা বিভিন্ন ধরনের খাবারের সংমিশ্রণে তৈরি করা হয়। ছাতু আমাদের দেশের ঐতিহ্যবাহী একটি খাবার। অনেকেই এটাকে সকাল বা বিকেলে নাস্তা হিসেবে গ্রহণ করে থাকে। মূলত এই ছাতু দেখে ছোট বাচ্চাদের সেরেলাক তৈরি করা হয়েছে। গ্রামাঞ্চলে ভুট্টার সিজনে ছাতু তৈরী করা হয়। মূলত ভুট্টা,ছোলা,চাল,বিভিন্ন ডাল ও গম ভেজে মেশিনে গুড়ো করে ছাতু তৈরি করা হয়। তবে আমি হামানদিস্তায় এভাবে কোনদিনও ছাতু তৈরি করা দেখিনি। আর আমি এত পাতলা করে ছাতু খেতে পারি না।পানি একটু কম দিয়ে শক্ত মিশ্রন তৈরী করি।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ
চালের গুড়া বা ছাতু নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন। গ্রামের ছেলেদের কাছে এটি খুবই পরিচিত একটি খাবার। এমন কেউ নেই যে চগেলেভেলায় এই ছাতু খায় নি। অনেক বছর ধরে ছাতু খাও না হলেও গতবছর আমার রুমমেট আমাকে ছাতু খাইয়েছে। সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ