ধান কাটার পর জমিতে যে অবশিষ্ট অংশ থাকে তা কেটে শুকিয়ে স্তুপ করে রাখা
সবাইকে আদাব
আমি বিপ্লব সরকার
তারিখঃ১৪-০৯-২০২৩ ইং
প্রিয় বন্ধুরা আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আমি আজকে একটি বিশেষ ঐতিহ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
|
---|
বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে ধান চাষ হয়। ধান চাষ করার পর পরিপক্ক হয়ে গেলে সেগুলো কেটে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। এরপর ধানগুলো মাড়াই করে ধান রেখে দিয়ে অবশিষ্ট অংশ শুকিয়ে স্তুপ আকারে রেখে দিতে হয়। এরপর সেগুলো বাড়ির গরুর খাদ্য এবং জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু ধান কাটার পর জমিতে কিছু গাছের নিচের অংশ থেকে যায় সেগুলো বেশকিছু মহিলারা জমিতে কেটে রেখে দেয় এবং সেগুলো শুকিয়ে এনে বাড়িতে রেখে দেয়। এরপর এগুলো তারা আস্তে আস্তে ব্যবহার করে জ্বালানির কাজে।
এগুলো গরুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহার হয় না কারণ এগুলো অনেক নিচের অংশ। এগুলো গরু খেতে চায় না এগুলো দিয়ে শুধু জ্বালানির কাজ করা হয়। এগুলো বেশ ভালো জ্বালানি হিসেবে কাজ করে কারণ এগুলো ধানের গাছের গোড়ার অংশ এই অংশগুলো মোটা হয়ে থাকে। কিছু কিছু মহিলারা এগুলো কেটে রাখেন কারণ তাদের ধানের জমি নেই তারা এগুলো ব্যবহার করে তাদের রান্নার কাজে ব্যবহার করে। এনারা এগুলো কেটে রেখে দেন এরপরে জমিতে শুকিয়ে রাখে। জমিতে শুকানোর পর সেগুলো আবার বাড়ির যারা পুরুষ লোক থাকে তারা নিয়ে আসে এবং উঁচু একটু স্থানে সেগুলো পূজ করে রেখে দেয়। কারণ এগুলো দিয়ে তারা সারা বছর জ্বালানোর কাজে লাগাবে।
এগুলো জ্বালিয়ে তারা ভাত রান্না করে। আমরা এগুলোকে স্থানীয় ভাষায় নাড়া হিসেবে চিনি। ধানের নাড়া বেশ কাজের একটি জিনিস এই নাড়া দিয়ে বেশ কিছু কাজ করা যায় অনেক সময় ধান সিদ্ধ করার জন্য এ নাড়া ব্যবহার করা হয়। এই নাড়া কেটে আনাতে জমিরও কিছু উপকার হয়েছে। নাড়ার মধ্যে অনেক প্রকার জীবাণু লেগে থাকে সেগুলো যদি কেড়ে নিয়ে আসা হয় তাহলে সেখানে আর কোনো রোগ জীবাণু থাকে না এবং পোকা থাকে না যা পরবর্তীতে চাষাবাদ করার জন্য বেশ ভালো কাজ করে।
এজন্য আমাদের সবার উচিত এগুলো সবাইকে কাটতে দেওয়া সবাই যেন এগুলো এ ধরনের মহিলাদের কাটতে দেয় যাতে জমি থেকে সব ধরনের রোগ জীবাণু এবং পোকা মাকর এর মধ্য দিয়ে চলে যায়। এতে করে জমির উপকার অনেক গুনে হয়।
বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের আলোচনার বিষয়। আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য।
তথ্য | বিস্তারিত |
---|---|
বিষয় | ঐতিহ্য |
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ ৫২ |
সম্পাদন করা | হ্যাঁ |
অবস্থান | পার্বতীপুর,দিনাজপুর ,বাংলাদেশ |
ফটোগ্রাফার | @biplobsarker |
এগুলো কে আমরা নাড়া বলে থাকি। এই নাড়া গুলো জালানির কাজে ব্যবহার করা হয়। আপনি ঠিক বলেছেন ভাইয়া এগুলো নিচে থাকার কারণে গরু এই নাড়া গুলো খায় না। জমিতে যে অবশিষ্ট অংশ নিয়ে অনেক সুন্দর আলোচনা করেছেন ভাইয়া। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
https://twitter.com/SarkerBipl19781/status/1702296237545013542?t=S_ShP56ygzppr3jRKCV4Gg&s=19
আমাদের দেশ কৃষি প্রধান হওয়ার কারণে ধান কাটার পর খড় অনেকগুলো থেকে যায়। যার কারণে সেগুলো আমাদেরকে সংরক্ষণ করতে হয় এবং এরকম বড় বড় ছোট ছোট স্তুপ তৈরি করা হয় খড়ের। মূলত জ্বালানি এবং গো খাদ্যের জন্য এসব খড়ের স্তুপ তৈরি করা হয়। শুধু ধানের খড় নয় ধানের নাড়াও অনেক কাজের জিনিস আপনি ঠিক বলেছেন।কারণ নাড়া দিয়ে জ্বালানি হয় অর্থাৎ নাড়া দিয়ে আগুন জ্বালানো হয়। খড়ের স্তুপ নিয়ে দারুন একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
ধান কাটার পর যে অংশটি বাকি থাকে সে অংশটিকে আমাদের এলাকায় নাড়া বলা হয়। গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ ধান চাষ করে। ধান কাটার পর গ্রামের মানুষেরা এই বাকি অংশটা কেটে শুকিয়ে খড়ের মতো করে পালা করে সংরক্ষণ করেন। এবং পরবর্তীতে সেগুলোকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আমাদের এলাকাতেও এভাবেই নাড়া কেটে শুকিয়ে সংরক্ষণ করা হয়। অনেক সুন্দর ভাবে গুছিয়ে পোস্টটি আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। এত সুন্দর পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপু
আমন সিজনে ধান কাটার পর তা জমি থেকে বাসায় আনার পর ধানের গাছের যে অবশিষ্ট অংশ থাকে তা গ্রামের মানুষেরা কেটে নিয়ে এসে পালার মতো স্তুপ করে রাখে। এই পদ্ধতি শুধু আমন সিজনে না এখন ইরির সিজনে এই রকম দৃশ্য দেখা যায়। এই কাটা অংশগুলো গরুর খড় হিসেবে ও জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন ভাই।
@md-sajalislam.
ধন্যবাদ ভাই
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ, এদেশে ধান কাটার পর মাড়াই শেষে ধানের খড়, রৌদ্রে শুকিয়ে সংরক্ষণের জন্য পালা করে রাখা হয়। গবাদিপশুর খাদ্য হিসাবে এই খড় ব্যবহার করা হয়। এবং জ্বালানি হিসাবেও এই খড় ব্যবহার করা হয়। আমি এই পালা দিতে পারি, বিশেষ এই পদ্ধতিতে পালা দেওয়া হয় । আমি এই পালা এমন ভাবে দিতে হয় যাতে এর ভিতরে পানি প্রবেশ না করতে হয়। মাড়াই শেষে অনেক যত্নের সাথে এই খড় শুকানো হয়। এই কাজে বাড়ির প্রতিটি সদস্য কাজ করে, কারণ এই খড় শুকানোর জন্য রৌদ্রে থাকতে হয়। আমাদের এলাকায় প্রতিটি পরিবারে এই খড় সংরক্ষণ করা হয়। আপনি অনেক সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করছেন ভাই। ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমাদের এলাকায় এগুলোকে নাড়া বলে থাকে। ধান কাটার পর যে অবশিষ্ট অংশ থাকে সেগুলো গ্রামের মানুষ কেটে নিয়ে রোদে শুকায় এরকম পালা করে রেখে দেয় যাতে করে পরবর্তী সময়ে গরু কে খাওয়াতে পারে আবার মাঝে মাঝে এগুলো দিয়ে অনেকে রান্নাবান্নার কাজ করে থাকে। গ্রাম অঞ্চলে মানুষ মাটির চুলায় এগুলো দিয়ে রান্না করে থাকে। অনেক সুন্দর ছিল আপনার তোলা প্রতিটি ফটোগ্রাফি। ধন্যবাদ আপনাকে
ধন্যবাদ ভাই
আমাদের দেশ কৃষিপ্রধান দেশ । এদেশে সাধারণত দুই মৌসুমে ধান চাষাবাদ করা হয়। তবে ইরি মৌসুমে ধান কাটার পর অবশিষ্ট খড় রোদে শুকিয়ে তা পালা দিয়ে রাখা হয়। গরুর খাবারের জন্য বিশেষ ভুমিকা পালন করে। খড় মুলত প্রতিটি গ্রামেই দেখা এই ভাবে পালা দিয়ে রাখা।খড়ের পালা নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট লিখেছেন ভাই।
ধন্যবাদ ভাই
এই নাড়াটা সাধারণ অনেকে গরুর জন্য ভালভাবে রেখে দেয়। আবার কেউ বর্ষা কালে জ্বালানির জন্য ভালোভাবে রেখে দেয়। আর আপনি অনেক সুন্দর ভাবে বিষয়টা নিয়ে আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
ধন্যবাদ ভাই