পুরনো দিনের ওজন পরিমাপের জন্য দাঁড়িপাল্লা
সবাইকে আদাব
আমি বিপ্লব সরকার
তারিখঃ২৫-০৬-২০২৩ ইং
প্রিয় বন্ধুরা আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আমি আজকে একটি বিশেষ ঐতিহ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
|
---|
আমরা আধুনিক যুগে প্রবেশ করে বিভিন্ন রকমের যন্ত্র পেয়ে আমরা প্রাচীন যুগের কিছু ঐতিহ্য ভুলে যেতে চলেছি। এমন কিছু ঐতিহ্য আমরা এখন আর তেমন দেখতে পাই না। এই অতীত গুলো আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। আমি এমন একটি ঐতিহ্য নিয়ে আজকে আলোচনা করব যা আমরা আগে দেখতাম তবে এখন আর তেমন দেখতে পাই না। আমি আজকে আগের দিনের দাঁড়িপাল্লা নিয়ে কিছু তথ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
![]() | ![]() |
---|
আমরা আগে প্রতিটি দোকানে দাঁড়িপাল্লা দেখতে পারতাম এবং এই দোকানগুলোতে এই দাঁড়িপাল্লার সাহায্যে প্রাচীন সেই কিছু পাথর দিয়ে ওজন পরিমাপ করে পণ্য বিক্রয় করা হতো। এই দাঁড়িপাল্লা গুলোতে একপাশে ওজনের পাথর এবং অন্য পাশে পণ্য দিয়ে ওজন সঠিকভাবে মেপে নেওয়া হত। উপের একটি কাটা থাকে সেই কাটার সাহায্যে সঠিক মাপ দেওয়া হতো। এভাবে আমরা দেখে এসেছি দোকানগুলোতে পণ্য বিক্রয় করা। তবে এটি এখন আর তেমন দেখা যাচ্ছে না। এখন সবাই আধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করে ওজন নির্ণয় করছে এবং খুব সহজে এবং দ্রুত তাদের কাজ সম্পন্ন করছে।
এই দাঁড়িপাল্লায় ওজন পরিমাপ করার জন্য কিছু পাথর রয়েছে সেই পাথরের সাহায্যে ওজন পরিমাপ করা হয়। পাথরগুলো বিভিন্ন ওজন হয়ে থাকে ৫০ গ্রাম ১০০ গ্রাম ৫০০ গ্রাম এবং ১০০০ গ্রাম অথবা এক কেজি ওজনের পাথর এবং ৫ কেজি পাথর ১০ কেজি পাথর ৪০ কেজি পাথর। এভাবে পাথর দিয়ে যে কোন পণ্য ওজন করে ক্রয় বিক্রয় করা হতো। বর্তমানে ডিজিটাল স্কেলের সাহায্যে ওজন পরিমাপ পরে বিভিন্ন পণ্য কেনাবেচা করা হচ্ছে। বিভিন্ন হাট বাজার এবং দোকানগুলোতে এটি দেখা যাচ্ছে।এই যন্ত্রের মাধ্যমে কাজগুলো খুব সহজে হচ্ছে। কিন্তু আমরা আমাদের ঐতিহ্যগুলো হারিয়ে ফেলছি যা আমাদের বাঙালি জাতির সাথে জড়িয়ে রয়েছে বহুদিন আগে থেকে। তবে কিছু কিছু দোকানে এখনো দেখা যায় তারা সেই পুরনো দাঁড়িপাল্লা দিয়ে ওজন পরিমাপ করে পণ্য কেনাবেচা করে। আমার এলাকায় এমন একটি দোকান রয়েছে যেখানে এখনো আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি। এখানে এখনে সেই দাঁড়িপাল্লা দিয়ে ওজন করে পণ্য বিক্রয় করা হচ্ছে। আমি এই দোকানে বসে প্রায় সময় আড্ডা দিয়ে থাকি এবং আমি লক্ষ্য করি এই ঐতিহ্য আসলে উনি ধরে রেখেছেন। এনাকে ধন্যবাদ দেওয়া দরকার।
![]() | ![]() |
---|
বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের আলোচনার বিষয়। আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য।
তথ্য | বিস্তারিত |
---|---|
বিষয় | ঐতিহ্য |
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ ৫২ |
সম্পাদন করা | হ্যাঁ |
অবস্থান | পার্বতীপুর,দিনাজপুর ,বাংলাদেশ |
ফটোগ্রাফার | @biplobsarker |
একসময় এই দাঁড়িপাল্লার ব্যবহার অনেক বেশি ছিল। বর্তমানে এগুলোর ব্যবহার অনেক কমে গিয়েছে। অধিকাংশ দোকানে এখন ডিজিটাল দাঁড়িপাল্লা ব্যবহার করতে দেখা যায়। লিখেছেন অনেক ভালো,শুভকামনা রইল আপনার জন্য
ধন্যবাদ ভাই
https://twitter.com/SarkerBipl19781/status/1672903274884677632?t=NVGsjoYPc7b1GAMzHiZAYw&s=19
আগেকার সময়ে দেখা যেত দাঁড়িপাল্লা একমাত্র মাধ্যম ছিল। দাঁড়িপাল্লায় যেকোন পন্য সামগ্রী মাপার জন্য ব্যবহার করা হয়। এই দাঁড়িপাল্লায় সব কিছুই ওজন করা হয়। দাঁড়িপাল্লা নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন।
ধন্যবাদ
আগেরকার দিনে ওজন পরিমাপের একমাত্র মাধ্যম হলো দাঁড়িপাল্লা।ধান, চাল, ভুট্টা, গম ইত্যাদি সব ধরনের পন্যসামগ্রি এই দাঁড়িপাল্লার মাধ্যমে পরিমাপ করা হতো। কিন্তু এখন দাঁড়িপাল্লার পরিবর্তে বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল পাল্লা ব্যবহার করা হয়।ধন্যবাদ ভাইয়া দাঁড় পাল্লা নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ
আগের দিনে ওজন পরিমাণ করার একমাত্র মাধ্যম ছিলো এই দাঁড়িপাল্লা, আপনি দাঁড়িপাল্লা নিয়ে খুবই সুন্দর লিখছেন ভাই, এখন আধুনিক মিটার বের হওয়ার কারণে দাঁড়িপাল্লা বিলুপ্ত প্রায়। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ
দাঁড়িপাল্লা নিয়ে দারুণ লেখছেন দাদা। দাঁড়িপাল্লা আমাদের পুরনো একটা পরিমাপের জিনিস।আগের দিনে এই ধরনের পাল্লা বেশি ব্যবহার হইতো।এখন বর্তমান ডিজিটাল পাল্লা সবাই ব্যবহার করে।আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
ধন্যবাদ
পুরনো দিনের ওজন পরিমাপের জন্য দাঁড়িপাল্লা নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।আমারও বাসায় এই ওজন মাপার দাঁড়িপাল্লা আছে।
ধন্যবাদ
আগে দাঁড়িপাল্লা দিয়েই সবকিছু পরিমাপ করা হতো। এটাই ছিল যে কোন জিনিসের ওজন মাপার একমাত্র মাধ্যম। কিন্তু এখন এগুলোর জায়গা দখল করে নিয়েছে ডিজিটাল পাল্লা। যেগুলো দিয়ে খুব কম সময়ে মাপা যায়। অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ
অনেক প্রাচীনকাল থেকে এই হাড়ি পাল্লা ব্যবহার করে পরিমাপ করা হতো। বর্তমানে ডিজিটাল যুগে এসে এমন পাল্লা আর তেমন দেখতে পাওয়া যায় না। এখন এই দাড়ি পাল্লা আমাদের একটি ঐতিহ্য মাত্র। আপনি অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাই।
ধন্যবাদ