বাঙালি জাতির একটি ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান শুভ হালখাতা
সবাইকে আদাব
আমি বিপ্লব সরকার
তারিখঃ২৩-০৬-২০২৩ ইং
প্রিয় বন্ধুরা আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আমি আজকে একটি বিশেষ ঐতিহ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
|
---|
আমরা বাঙালি জাতি। আমাদের বিভিন্ন ধরনের আনন্দ উৎসব পালন করতে হয় এবং আমরা বিভিন্ন ঐতিহ্য মেনে চলি। আমাদের এসব ঐতিহ্যের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে শুভ হালখাতা। হালখাতা আমাদের জাতির সাথে জড়িত। আমরা প্রতিবছর বিভিন্ন দোকান এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হালখাতার আয়োজন দেখে থাকি। দোকান এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের বকেয়া টাকা আদায় করার জন্য এই হালখাতার আয়োজন করে থাকে। আমি আজকে এই হালখাতা নিয়ে কিছু তথ্য আপনাদের কাছে শেয়ার করব।
![]() | ![]() |
---|
আমরা বাজারে প্রতিটি দোকানে গেলে দেখতে পাই সবাই যে কোন দ্রব্য বাকিতে নিয়ে যায়। কেননা সবার কাছে সব সময় টাকা থাকে না। সব দোকানে এখন বাকিতে মাল কেনাবেচা হয়। পণ্য কেনাবেচা হওয়ার পর কিছু টাকা দোকান ওয়ালা অথবা মহাজনের কাছে থেকে যায়। সেই টাকা হালখাতার সময় তুলতে হয়। হালখাতা আয়োজন করে মহাজনেরা এ সময় এনারা কিছু খাওয়ার আয়োজন করে। খাওয়ার আয়োজন করার ফলে যারা বাকি নিয়ে গেছেন পণ্য তারা তাদের বকেয়া টাকা দিয়ে যায়।
এই হালখাতা সম্পন্ন করার জন্য প্রথমে একটি নিমন্ত্রণ চিঠির প্রয়োজন হয়। সেই চিঠি দোকান থেকে তৈরি করে নিতে হয়। এই চিঠির উপরে প্রধান যে লেখা সেটি হচ্ছে শুভ হালখাতা। এটি লেখার পর এখানে যাকে এই চিঠিটি দেওয়া হবে তার নাম ঠিকানা এবং ফোন নম্বর দেওয়া থাকে। এর ভিতরে সুন্দর করে কিছু কথা লেখা থাকে এবং যাকে দেওয়া হচ্ছে তার কাছে কত টাকা মহাজন পাবে সেই টাকার পরিমাণ দেওয়া থাকে এবং হালখাতা কত তারিখে সেই তারিখ দেওয়া থাকে।
![]() | ![]() |
---|
হালখাতা আমাদের বাঙালিরা অনেক আগে থেকে পালন করে আসছে। আমরা ছোটবেলা থেকেই এরকম হালখাতা দেখে আসছি। আমিও নিজে অনেক হালখাতা খেয়েছি। হালখাতা খেতে গেলে বেশ আনন্দ লাগে কেননা এই দিন বেশ ভালো খাওয়ার আয়োজন করা হয়। কেননা মহাজনেরা টাকা আদায় করার জন্য একটু ভালো খাবার আয়োজন করলে বকেয়া পাওনা টাকা গুলো সহজে উঠে আসে। হালখাতা শেষে মহাজনেরা সবগুলো টাকা একসাথে পেয়ে সেই টাকাগুলো তাদের কাজে লাগিয়ে দেয় এবং তাদের ব্যবসা আবার নতুন করে শুরু করে দেয় পরবর্তী বছরের জন্য এবং পরবর্তী বছরে ক্রেতারা আবার তাদের কাছে কিছু টাকা দিয়ে পণ্য নেয় এবং কিছু আবার বাকিতে নিয়ে যায় এবং এভাবে পরবর্তীতে আবার এই হালখাতার আয়োজন করা হয়। এভাবে পর্যায়ক্রমে প্রায় কয়েক যুগ থেকে এভাবে হালখাতা আয়োজনের প্রচলন চলে আসছে।
বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের আলোচনার বিষয়। আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য।
তথ্য | বিস্তারিত |
---|---|
বিষয় | ঐতিহ্য |
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ ৫২ |
সম্পাদন করা | হ্যাঁ |
অবস্থান | পার্বতীপুর,দিনাজপুর ,বাংলাদেশ |
ফটোগ্রাফার | @biplobsarker |
অনেক আগে থেকেই হালখাতার প্রচলন ছিল আমাদের দেশে। পুরো হালখাতা বিষয়টি সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন। আপনার পোস্ট থেকে হালখাতা সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম।
ধন্যবাদ
হালখাতা হলে দোকান সুন্দর করে বিয়ে বাড়ির মত সাজানো হয় আমি দেখেছি। আর সারা বছরের বাকীর টাকা শোধ দিয়ে হয় এই হালখাতার দিনে। দোকানে টাকা শোধ করে মিষ্টি খেয়ে ঘরে ফেরে ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ
বাঙালি জাতির একটি ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান শুভ হালখাতা নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন। এই হালখাতার মাধ্যমে দোকানের বকেয়া টাকা উত্তলন করা হয়।
ধন্যবাদ
ঠিক বলেছেন ভাই শুভ হালখাতা বাঙালির ঐতিহ্যের সাক্ষী, অতীতের গ্লানি মুছে নতুনের আগমন ঘটে হালখাতার মাধ্যমে। ব্যবসায়ীরা তাদের পাওনাদারের কাছে পাওনাদী হিসাব নিতে দাওয়াত দেয় হালখাতার মাধ্যমে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ
হালখাতা অনুষ্ঠানটি যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে। এটি সাধারণত নতুন বছরে ধান কাটার পর হয়ে ধাকে। কৃষক দোকান থেকে অনেক কিছুই বাকিতে কিনে থাকে তারপর ধান কাটার পর সেই বাকি টাকা হালখাতা অনুষ্ঠানে শোধ করে। অনেক সুন্দর লিখেছেন।
হালখাতা বাঙালি জাতির অন্যতম একটি অনুষ্ঠান। এই হালখাতা প্রতি বছরই হয়। তবে ইরি ও আমন মৌসুমে। হালখাতা নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই।
ধন্যবাদ
বাঙালি জাতির ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান হলো শুভ হালখাতা।হালখাতা অনুষ্ঠিত হয় বছরে দুই বার।আপনি নতুন একটা বিষয় নিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোস্ট করার জন্য।
ধন্যবাদ
https://twitter.com/SarkerBipl19781/status/1672179523608268800?s=20
হালখাতা অনেক প্রাচীণ একটি অনুষ্ঠান। আগেরকার হালখাতা আর এখনকার হালখাতার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। আগে হালখাতার সময় পান সুপারি খাওয়ানো হত।ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ