RE: গ্রাম-অঞ্চলের মানুষের জনপ্রিয় খাবার তাল বড়া ও রুটি পিঠা নিয়ে ফুড রিভিউ।
তালের বড়া আমার খুব পছন্দের একটি খাবার। ভাদ্র মাসে তাল পাকে,গাছে গাছে এবং কি ওই তাল বিক্রি হয় বাজারে। সেটা আমি ক্রয় করে বাড়িতে নিয়ে আসি। নিয়ে আসার পরেই মাকে বলি মা এটা প্রস্তুত করে আমাকে বড়া বানিয়ে দাও। আর মা সেটা চালের গুড়া দিয়ে সুন্দরভাবে চিনি দিয়ে মিষ্টি ভড়া বানিয়ে প্রস্তুত করে ফেলে। আর আমাকে গরম গরম দেয়। খেতে আহ কি ভারি মজা লাগে। তবে আমি পিঠা বেশি পছন্দ করি না। তবে আমার মা প্রতিবছরেই সিজনের পিঠা সিজনেই খাওয়াবেই তবে আমার পিঠা বেশি পছন্দ না কিন্তু আমার মা পিঠা বানিয়ে যদি আমি না খাই তাহলে মা মন খারাপ করে আর আমার পিছনে পিছনে ঘুরবে আর বলবে বাবু খাও একটা তখন আমি একটা হাতে নিয়ে খাওয়া শুরু করি। খাওয়ার পরে অনেক মজাই লাগে তারপর আরো কয়েকটা খাই। আর চালের গুড়া রুটি পিঠা আমার সবচেয়ে পছন্দের একটি পিঠা। পিঠা পছন্দের তালিকায় যদি কোন পিঠা থাকে তাহলে এই চালের গুড়া রুটি পিঠা। আমার মা দেশী মোরগের ঝোল করে, ঝোল করার পরে আমাকে রুটি পিঠা বানিয়ে দেয় আমি ওই পিঠা দিয়ে খুব মজা করে খাই। হাঁসের মাংসের সাথে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। মাংসের একটু সামান্য ঝোল হলেই হয়। মাংসের ঝোল দিয়ে সবচেয়ে বেশি খেতে সুস্বাদু লাগে রুটি পিঠা। আমাদের গ্রামের বাড়িতে শীতের সময় পিঠার আমেজ উঠে যায়। শীতের সন্ধ্যা বেলা থেকে নিয়ে রাত পর্যন্ত প্রায় প্রতিটি বাড়িতে পিঠাপুলির আয়োজন করা হয।নানান রকম বাহারি পিঠার মধ্যে রুটি পিঠা অন্যতম। শীতের দিনে রাত্রি বেলা যখন আমার মা গরম গরম মাংসের সাথে রুটি পিঠা দেয় তখন আমি একের পর এক খেয়েই থাকি। আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে এই চালের গুড়া রুটি পিঠা। সেদিন আর আমি কোন ভাত খাইনি কারণ আমার রুটি পিঠা খেয়েই পেটটা ভরে যায়।খুব সুন্দর ফুট রিভিউ পোস্ট করেছেন ভাই অনেক ভালো লাগলো, অনেক লোভনীয় ছিলো ভাই। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ।