গ্রাম অঞ্চলের কাঠের তৈরি কবুতরের ঘর।
আজ সোমবার
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
আসসালামু আলাইকুম।
প্রিয় স্টীম বাসী সবাই কেমন আছেন, আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। স্টীম ফর ট্রাডিশনে আপনাদের কে স্বাগতম। আপনাদের জন্য রইলো আন্তরের অন্তস্থল থেকে ভালোবাসা এবং শুভকামনা। আজকে আমি আপনাদের গ্রাম অঞ্চলের কাঠের তৈরি কবুতরের ঘর নিয়ে আলোচনা করবো, এবং দেখাবো আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে। তো দেরি কেনো চলেন শুরু করা যাক।
![]() |
---|
কবুতর কে সুখের পায়রা বলা হয়। গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতে কবুতরের ঘর রয়েছে। মোটামুটি সবাই কবুতর পালন করে। আগের দিনে কবুতরের মাধ্যমে চিঠি আদান প্রদান করা হতো। কবুতর আমাদের পোষা প্রাণী। কবুতরের মাংস অনেক সুস্বাদু । কাঠ দিয়ে কবুতরের ঘর তৈরি করা হয়। কাঠের ঘরে কবুতর ঠান্ডা পরিবেশের মধ্যে থাকতে পারে। সেজন্য কাঠ দিয়ে কবুতরের ঘর তৈরি করা হয়। আমাদের বাড়িতেও কবুতর পালন করা হয়। আমার মোট ১০ জোড়া কবুতর রয়েছে। কবুতর ১২ মাসে ১৩ বার ডিম দিয়ে থাকে, সেই ডিম থেকেই থেকে বাচ্চা হয়।
![]() |
---|
![]() |
---|
কবুতর পালনের জন্য উঁচু স্থান নির্বাচন করতে হয়। উঁচু স্থানে কাঠের তৈরি কবুতর ঘর রাখলে, তাতে বন্যপ্রাণী থেকে কবুতরকে রক্ষা করা যায়। শিয়াল কুকুরের ভয় থেকে বাঁচার জন্য কবুতরের ঘর উঁচু স্থানে রাখা হয়। কাঠ দিয়ে নিপুন হাতে কবুতরের ঘর বানায় কাঠমিস্ত্রী, দেখতে অনেকটা মানুষের থাকার ঘর এর মতোই।
![]() |
---|
বিভিন্ন হাটবাজারে এসব ঘর কিনতে পাওয়া যায়। যারা কবুতর পালন করে, তারা হাট থেকে এসব ঘর কিনে নিয়ে আসে কবুতরের জন্য। কবুতরের ঘর কিছুদিন পর পর পরিষ্কার করতে হয়। কারণ কবুতরের অনেক বৃষ্ঠা থাকে, যেগুলো থেকে রোগ জীবাণু হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আমাদের দেশে অসংখ্য রকমের কবুতরের জাত রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে হচ্ছে, গোলা কবুতর, গিরিবাজ কবুতর, হোমার, নোটন,জালালি, হেলমেট, লক্ষা, কিং ইত্যাদি
![]() |
---|
কবুতরকে তাই গৃহপালিত পাখি বলা হয়। প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ কবুতর পালন করছে। প্রতিযোগিতার জন্য কবুতরের প্রচলন রয়েছে। পৃথিবীতে পড়াই ২৫০ জাতের কবুতর রয়েছে। এরা শস্য ক্ষেত থেকে খাবার সংগ্রহ করে নিজেরাই খেতে পারে। তাই এদেরকে পালন করতে খরচ খুবই কম। অনেকেই কবুতর পালনকে ব্যবসা হিসেবে নিয়েছে, কারণ কবুতর পালন অনেক লাভজনক।
![]() |
---|
এবং অল্প খরচে ঘর নির্মাণ করা যায় কবুতরের থাকার জন্য। কবুতর বসত বাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।কে কে কবুতর পালন করেন সেটা কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। কেমন লাগলো কবুতর নিয়ে এবং কবুতরের জন্য নির্মিত কাঠের তৈরি কবুতরের ঘর নিয়ে আমার এই সামান্য লেখাটা সেটা কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। কার কার বাড়িতে কবুতর রয়েছে সেটাও কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন, সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আজকে পর্যন্তই।
মোবাইল | TECNO CAMON 16 PRO |
---|---|
ধরণ | কাঠের তৈরি কবুতরের ঘর |
ক্যামেরা | ৬৪ মেগাপিক্সেল |
ফটোগ্রাফার | @aslamarfin |
অবস্থান | সৈয়দপুর, নীলফামারী। |
কবুতর আমিও ভালবাসি ভাই শুধু আপনি না। গ্রামগঞ্জে এসব কবুতরের ঘর গুলো সব থেকে বেশি দেখা যায়।কারণ গ্রামের মানুষ কবুতর পালন করে কবুতরের ঘর গুলো দেখতে অনেক ভালো লাগে আমাকে।খোব খোব হয়ে থাকে। এসব কবুতরের ঘর গুলো সাধারণত হাটবাজারে সব থেকে বেশি পাওয়া যায়।তবে এগুলোর দাম বেশ ভালই চাওয়া হয়। দারুন ফটোগ্রাফি করেছেন খুব সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই
টুইটার লিংক-
https://twitter.com/Aslamarfin64366/status/1701154444036157809?t=_I5WWQwQxmwm4LzT5NTmJw&s=19
গ্রাম অঞ্চলে কতুরের ঘর কম-বেশি অনেকের বাড়িতে রয়েছে। গ্রামের লোকেরা কবুতর পালনে বেশি আগ্রহী। তারা কবুতর পালন করলেও দেশি জাতের কবুতর পালন করে থাকে। কবুতরের জন্য বর্তমানে এখন সবাই কাঠের তৈরি ঘর ব্যবহার করে থাকে। আগেকার দিনে মানুষ শুধুমাত্র একটি ডালা ঘরের টিনের কাঠে বেধে দিতো। এখন যুগের পরিবর্তনের সাথে মানুষ নিত্য নতুন জিনিস তৈরি করছে। আমার বড় আব্বুর বাসায় কাঠের তৈরি কবুতরের ঘর রয়েছে। তারা কবুতর পালন করে থাকে।
@md-sajalislam.
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই
কাঠের তৈরি কবুতরের ঘর সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া। গ্রাম অঞ্চলে এরকম কাঠের তৈরি কবুতরের ঘর প্রায় দেখা যায়। আমাদের এলাকায়ও অনেক কয়েকটি কাঠের তৈরি কবুতরের ঘর রয়েছে। কবে তোর অনেক শান্ত একটি প্রাণী। কেউ কেউ কবুতরকে সুখ পায়রা বলে থাকে। কবুতর লালন পালন করতে খুবই ভালো লাগে ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
কবুতরের খোঁপ বা ঘর গ্রামঞ্চলে দেখা যায়। এই খোপ গুলো সাধারণত বাঁশের বা কাঠের হয়ে থাকে। তবে বর্তমান সময়ে কাঠের তৈরি হওয়ায় খোপ গুলো মজবুত ও বেশি দিন ঠিকে। কবুতরের খোঁপ গ্রাম কম বেশি সকলের বাড়িতেই আছে। খোপ গুলো বাড়ির ছাদে বা চার কোণায় খুটি পুতে খোপ উঠানো হয়। কবুতরের খোঁপ নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই।
অনেক ধন্যবাদ ভাই
আপনি ঠিকই বলেছেন কবুতরকে বলা হয় সুখের পায়রা। মানুষ অনেকটা শখের বসে এই কবুতরকে লালন পালন করে থাকে। তাছাড়া সকাল বেলা কবুতরকে খাবার দিতে আমারও অনেক ভালো লাগে । গ্রামাঞ্চলের মানুষ কবুত রাখার জন্য এ ধরনের ঘর তৈরি করলেও শহর অঞ্চলের মানুষ খাঁচায় করে উন্নত জাতের কবুতর পালন করে থাকে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাই
গ্রাম অঞ্চলের প্রতিটি বাড়িতে এমন কবুতরের ঘর দেখতে পাওয়া যায়। গ্রামের মানুষ কবুতর লালন পালন করতে পছন্দ করে। তবে কবুতরের ঘরগুলো বেশ সুন্দর করে তৈরি করে দেয় কাঠমিস্ত্রিরা। এই ঘরগুলো এমনভাবে তৈরি করা যাতে এই ঘরে বিড়াল ঢুকতে না পারে। কবুতর বিড়ালকে খুব ভয় করে বিড়াল যদি একবার কবুতরকে তাড়ায় তাহলে সেই কবুতর আর ফিরে আসে না। আমাদের দেশে বিভিন্ন জাতের কবুতর এখন দেখা যায়। বিভিন্ন নামে কবুতরগুলো বাজারে পাওয়া যায় এই নতুন জাতের কবুতরগুলোর দাম বাজারে অনেক। তবে বেশি ভাগ সময় দেখা যায় সবার বাড়িতে দেশী কবুতর লালন পালন করা হয়। দেশি কবুতরের রোগবালাই কম হয় তেমন কোন যত্ন করতে হয় না। এজন্য সবাই দেশি কবুতর লালন পালন করে। বিদেশি কবুতরের গুলোর দামে বেশি হয় এগুলো সবাই কিনতে পারে না আবার এগুলোর রোগ বালাই বেশি হয় খাবার বেশি দিতে হয়। এদের খাবারের দাম একটু বেশি এজন্য এগুলো লালন পালন করা একটু কঠিন হয়ে যায়। বাজারে এখন কবুতরের দাম বেশ ভালই কবুতর লালন পালন করে বেশ ভালো পরিমাণে টাকা আয় করা সম্ভব। অনেকে কবুতর লালন পালন করে হাটে বিক্রি করে বেশ ভালো টাকা আয় করে। আমাদের এলাকায় একটি ছেলে রয়েছে সে কবুতর কেনাবেচা করে এবং কবুতর বাড়িতে লালন পালন করে এতে করে সে ভালো টাকা আয় করে। ধন্যবাদ আপনাকে এত চমৎকার একটি কবুতরের বাসা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনি ছবিগুলো বেশ চমৎকার তুলেছেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা
কাঠের তৈরি কবুতরের ঘর সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া। আসলে আপনি ঠিক বলেছেন, এখন প্রত্যেকের বাড়িতে কমবেশি এই কবুতর পালন করে এবং কবুতরের মাংস খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু আমার সবচেয়ে পছন্দের একটি মাংস হলো এই কবুতরের মাংস। এবং আসলে আগেরকার মানুষরা এই কবুতরের মাধ্যমে চিঠি আদান প্রদান করত এবং এ কবুতরকে আমরা পোষা প্রাণীও বলে থাকি। এবং আমি শুনেছিলাম এই কবুতর নাকি যার তার বাড়িতে থাকে না কারণটা হলো কবুতর নাকি সুখী প্রাণী এবং যার বাড়িতে বেশি ভেজাল এবং কিপটামি করে থাকে তাদের বাড়িতে নাকি কবুতর থাকে না আমি এটি লোকদের কাছ থেকে শুনেছিলাম। জানিনা ঘটনা সত্য কি মিথ্যা কিন্তু এটি আমি গ্রাম অঞ্চলের মানুষের মুখে শুনেছিলাম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এরকম সুন্দর একটি বিষয় আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই
কাঠের তৈরি কবুতরের খোপ নিয়ে চমৎকার একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই। কবুতর পোষা এক ধরনের শখ। গ্রামের মানুষদের এই কবুতর পালনের শখ বেশী এবং তারা বাড়িতে কবুতর পালনও করে। আমাদের বাড়িতেও কবুতরের খোপ আছে এবং ২৫-৩০ টা কবুতরও আছে। তবে আমাদের বাড়িতে বাশের তৈরি কবুতরের খোপ আছে। তবে বেশীরভাগ বাড়িতেই কাঠের তৈরি কবুতরের খোপ দেখা যায়।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
কাঠের তৈরী কবুতরের খোপ নিয়ে আপনি দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। এগুলো গ্রামাঞ্চলের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই দেখা যায়। তবে শহরের বিভিন্ন বাড়িতেও এখন ছাদের উপরে এই ঘরগুলো বসানো হচ্ছে। এবং এগুলোতে কবুতর প্রতিপালন করা হচ্ছে। এই খোপ গুলোতে কবুতর পালন করলে কবুতর সুরক্ষিত থাকে। কারণ ওপরে এসে বেড়াল বা অন্যান্য প্রাণী কবুতরের ক্ষতি করতে পারেনা। আমাদের বাড়িতেও আগে একটি কবুতরের খোপ ছিল। তবে এখন কবুতরের খোপটি আর নেই। আপনি অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু