বাংলার ঐতিহ্যবাহী একটি খাবার কাচ্চি বিরিয়ানি ||🍪🥘🍝
হ্যালো বন্ধুরা।
সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি।
আশা করি আপনারা যে যেখানে রয়েছেন সবাই সুস্থ,সুন্দর রয়েছেন আর Steem For Tradition এর সাথেই রয়েছেন।
কাচ্চি বিরিয়ানি এমন একটা খাবার যা দেখলেই জিভে জ্ল চলে আসে। আমাদের দেশের যে কোন অনুষ্ঠান বা আনন্দ আয়োজনে এখন হরহামেশাই কাচ্চির দেখা পাওয়া জায়। আমাদের এই দেশে এখন কাচ্চির কদর অন্যরকম আর তা যদি হয় পুরান ঢাকার কাচ্চি তাহলে আরো ভালো হয়। কাচ্চি বিরিয়ানি খাবারটি কম বেশি সব বয়সের মানুষের কাছে বিশেষ পছন্দের। আজ ামি আমাদের এই ঐতিহ্যবাহী খাবারের ্বিভিন্ন দিক আপনাদের সামনে তুলে আনার চেস্টা করবো-
কাচ্চি বিরিয়ানি খাবারটি প্রথমে আরব,ইরান, আফগানিস্তানে এই দিকে জাত্রা শুরু করলেও এখন আমাদের উপমহাদেশের মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে। বাংলাদেশ, পাকিস্তান আর ভারত এই তিন দেশেই এটি এখন তুমুল জনপ্রিয় একটি খাবার। এক সময় মধ্য আরবের শীত প্রধান অঞ্চলের প্রিয় খাবার ছিল উট, দুম্বা আর ভেড়ার মাংস। পরবর্তীতে এই মাংসকে বিভিন্ন সুস্বাদু মসলা ,বাসমতী চাল , ঘি এর সমন্বয়ে এক মুখ্রোচক খাবারের উৎপত্তি ঘটে। পরবর্তীতে এই খাবারের নাম হয় কাচ্চি বিরিয়ানি। এই খাবারের উতপত্তি মূলত ১৪০০-১৬০০ এর ভিতরেই ঘটে। পুস্টিগুনে ভরপুর এই খাবার একটা সময় রাজারা তাদের সৈন্যদলের শারীরিক শক্তি বাড়ানোর কাজেও তাদের খাওয়াতেন। এছাড়াও এই দেশে জখন মুঘল শাসন চলমান ছিল তখন মুঘল শাসকরা অতিথিদের দুপুর কিংবা রাতের ভোজে কাচ্চি দিয়ে আপ্যায়ন করতেন। আদি শাসকরা, এরপর ইংরেজরা তারপর পাকিস্থান শাসক এবং দেশ স্বাধীন যুগের পর যুগ ধরে এই খাবার জনপ্রিয় ছিল এবং আমাদের ঐতিহ্যবাহী খাবার হিসেবে রয়ে গেছে।
আমাদের ঢাকা শহরের রেস্তোরা গুলোতে এখন কাচ্চি খুবই একটি কমন খাবারে পরিনত হয়েছে। পুরান ঢাকার পাশাপাশি নতুন ঢাকাতেও অনেক কাচ্চির দোকান রয়েছে। তবে কাচ্চির আসল স্বাদ নিতে হলে আপনাকে অবশ্যই পুরান ঢাকায় জেতে হবে। এখানে এমন কিছু গলি রয়েছে জার ভেতর সুধু কাচ্চি পাওয়া জায়। এছাড়াও এখানকার বোরহানির স্বাদ অন্য জায়গার থেকে বেশ ভালো। কলিকাতা কাচ্চি, নবাব, সুলতান, রাজ্জাক, রয়েল ছাড়াও আরো অসংখ্য কাচ্চির দোকান আছে এখানে। তাই বড় বড় কোন ঊতসব আয়োজনে এখান থেকে রাধুনি নিয়ে জাওয়া হয় কিংবা মানুষ এখানে এসে খেয়ে জায়।
বিরিয়ানি শব্দটি মূলত একটি ফারসি শব্দ। ফারসি শব্দ বিরিঞ্জি থেকে বিরিয়ানি নামটি এসছে। বিরিঞ্জি মানে চাল। আর কাচ্চি শব্দি হলো একটি উর্দু শব্দ এর অর্থ কাচা। এই রান্নার প্রধান বিশেষত্ব হলো আধা সেধধ চালের নিচে কাচা মংস দিয়ে এর উপর জাফ্রান, বিভিন্ন ধরনের মস্লা, ঘি,দুধ ও অন্যান্য উপকরন দিয়ে ঢাকনায় ঢেকে দমে সেদ্ধ করে রান্না করা।
মাংস,লবন, চাল, আদা বাটা, রসুন বাটা, টকদই, ঘি, জাফরান, পেয়াজবেরেস্তা ,আলূ, তেজপাতা,গল মরিচ, পেস্তা বাদাম, জিরা, বিভিন্ন রকম মসলার গুড়া।
প্রথমে মাংস ভালো করে ধুয়ে পরিসজার করে নিতে হবে। এই রান্নায় মাংস এক্তু বড় করে কাটা হয়। তারপর কাটা মাংসগুলো একটি লবন পানি মিস্রিত পাত্রে কয়েক ঘন্টা ভিজিয়া রাখা লাগে। মাংস লবন পানিতে ভেজালে কিছুটা নরম হয় এবং তাড়াতাড়ি সেদ্ধ হয়। এরপর সব গুলো মসলা দিয়ে ভালো করে মাংস গুলোকে মেখে নিতে হবে । মাংস গুলো মেখে কিছু ক্ষন রেখে দিতে হয়। এরপর আলাদা একটি পাত্রে আলু গুলোী এবং পেয়াজ ভেজে রেখে দিতে হবে এবং অন্য পাত্রে চাল আধা সেদ্ধ করে নিতে হবে ।এরপর যে পাত্রে মাংস মেডিনেট করে রাখা হয়েছিল সেই মাংসের উপর আলু, পেয়াজ বেরেস্তা, এবং আধা সেদ্ধ চাল দিয়ে দিতে হবে। এরপর চুলার উপর বসিয়ে এর উপর একটা ঢাকনা দিয়ে ঢাকনার চারপাশ আটার দলা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। এরপর হালকা আচে ২/৩ ঘণ্টা ঢেকে রান্না করার পর ঢাকানা খুলে দিতে হবে। তারপর হালকা করে নেড়ে মাংস আর চাল মিশিয়ে দিতে হবে। এরপর সুন্দর করে পরিবেশ্ন করে দিতে হবে।
কাচ্চিতে রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টি গুন। কারবোহাইড্রেট, প্রোটিন,ফ্যাট এর ভালো একটি উৎস হলো কাচ্চি। বিরিয়ানিতে যে মসলা ব্যবহার করা হয় তা আমাদের হজম সগক্তিকে বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া আমাদের মুখের রুচি বাড়াতে সাহাজ্য করে। সব্দিক বিবেচনায় কাচ্চিকে বিরিয়ানিকে একটি সুষম খাবার হিসেবে মর্যাদা দেয়া জেতে পারে
![WhatsApp Image 2023-03-06 at 11.01.57 PM.jpeg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmdmNvXT1ZU9UjdAofyzDmsWqQ9kYt4skzNTh1GKjGLsw2/WhatsApp%20Image%202023-03-06%20at%2011.01.57%20PM.jpeg)
কাচ্চির ছবি দেখেই মনে মানল না কমেন্ট করার জন্য চল্র আসলাম। আমার অনেক প্রিয় একটি খাবার কাচ্চি। কাচ্চি খাওয়ার জন্য প্রায় আমি পাশের শহর ফুলবাড়িতে খাইতে জাই।আপনি অনেক সুন্দর লিখেছেন। বিশেষ করে গুনগুলো তুলে ধরেছেন কাচ্চির।
কাচ্চি বিরিয়ানি মানে জ্বিহায় পানি চলে আসা একই কথা। কাচ্চি বিরিয়ানি আমার খুব পছন্দের একটি খাবার। আমি বাইরে গেলে খিদা আর সুযোগ দুটোই মিলে গেলে আর আশেপাশে বিরিয়ানির দোকান থাকলে কোন কথাই নাই। আগে বিরিয়ানি খাওয়া তারপর অন্য কাজ। মোট কথা আপনার বিরিয়ানির পোস্ট দেখে আমার বর লোভ ধরে রাখতে পারছি না। আপনারা পোস্ট অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনার উপস্থাপনা অনেক সুন্দর হয়েছে আপনাকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ।
অসাধারণ একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন।অনেক মানুষ আর প্রিয় খাবারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি খাবার এই কাচ্চি বিরিয়ানি। দিনাজপুর আর একটি রেস্টরেন্টে একবার খাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার।ভালো না লাগার মতো খাবার না তাই আমার ও ভালো লাগছে।আপনি অনেক কিছুই সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
বিরিয়ানি আমারও প্রিয় খাবার। কাচ্চি বিরিয়ানি খুব সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর খাবার। অনেকদিন থেকে কাচ্চি বিরিয়ানি খাওয়া হয় না। একদিন দাওয়াত দেন কাচ্চি খাওয়ার।
কাচ্চি বিরিয়ানি খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ পাওয়া যাবে না। আমার কাচ্চি বিরানির আলু সবচেয়ে পছন্দ। কাচ্চি বিরিয়ানি খাওয়ার নানা ভালো দিক যেমন রয়েছে ঠিক উল্টো ভাবে এই বিরিয়ানি খাওয়ার ক্ষতিকারক প্রভাব রয়েছে অনেক। আপনার তোলা ছবিগুলো খুবই চমৎকার হয়েছে। এই ছবিগুলো দেখে যে কারো কাচ্চি খেতে ইচ্ছে করবে। ধন্যবাদ আপনাকে।
এটি একটি পাশ্চাত্য সংস্কৃতির খাদ্যাভাস। বাঙ্গালীরা অন্যের সংস্কৃতি আত্বিকরণ করতে পছন্দ করে। এই সব পাশ্চাত্য সংস্কৃতির কারণে আমাদের ঐতিহ্য গুলো হারিয়ে যাচ্ছে।ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
কাচ্চি বিরিয়ানির দেখে জিভে জল আসল ভাই অনেক লোভনীয় একটি খাবার যে কেউ দেখলো লোভ সামলাতে পারবে না। তবে কাচ্চি বিরিয়ানির আমার পছন্দের খাবার। আমি বেশি ভাগ সময় এই কাচ্চি বিরিয়ানির খাই। আপনার পোস্ট কোয়ালিটি যথেষ্ট ভাল আর পোস্ট অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন ভাই।
আপনার পোস্ট এর প্রথম ছবিটি আপনি এর আগেও ব্যবহার করেছেন৷ এক ছবি বার বার ব্যবহার করা যাবে না৷ রিপিট করা স্পামিং এর আওতাধীন। এই কাজ থেকে বিরত থাকুন৷ তানাহলে ব্লাকলিস্টে দেওয়া হবে আপনার একাউন্ট।
কাচ্চি দেখলে মাথা ঠিক থাকে না, শুধু খেতে ইচ্ছে করে, আপনি তো লোভ লাগাই দিলেন, অনেক তো খাওয়া দাওয়া করছেন, আর মনে হয় কাচ্চি টা অসাধারণ সুস্বাদু হয়েছিল। অনেক সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করছেন অনেক ধন্যবাদ
কাচ্ছি বিরিয়ানি আমি খাইছি ঢাকায়। অনেক সুস্বাদু খাবার। অনেক কয়েকবার খেয়েছি। আর আপনি সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখছেন।আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।