আমাদের ঐতিহ্য এবং এক সময় বহুল ব্যবহৃত হওয়া দাড়িপাল্লা।
আসসালামু আলাইকুম আমি,@abdullah-44
আশা করি সবাই ভালো আছেন, আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আমিও ভালো আছি।(আলহামদুলিল্লাহ)
দাঁড়িপাল্লার সাথে আমরা সবাই পরিচিত। আমাদের সবার বাড়িতেই দাঁড়িপাল্লার ব্যবহার রয়েছে, আমরা কম বেশি সবাই দাড়িপাল্লা ব্যবহার করি। কোন কিছু পরিমাপ করার জন্য আমরা যুগ যুগ ধরে আমরা দাঁড়িপাল্লা ব্যবহার করে আসছি। আমরা বিভিন্ন মৌসুমে বিভিন্ন ধরনের ফসল এবং বিভিন্ন ধরনের ফল উৎপাদন করে থাকি। এইসব ফল এবং ফসল দিয়ে আমাদের প্রয়োজন মেটানোর পর, বাকি অংশ আমরা বাজারে বা কোন ব্যাপারীর কাছে বিক্রি করে থাকি।
আবার প্রতিনিয়তই আমরা বাজার থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয় করি।এরকম ক্রয়, বিক্রয়ের জন্য সঠিক পরিমাপের প্রয়োজন হয়, এই ক্ষেত্রে দাড়িপাল্লার ব্যবহার আবশ্যক। সব জিনিস বা সব পণ্য সামগ্রী কিন্তু পরিমাপ করার প্রয়োজন হয় না যেমন, নারিকেল, সুপারি, কলা, জামা কাপড় এরকম আরো অনেক কিছু আছে যেগুলো পরিমাপ করে বিক্রি করা হয় না। ৯০ দশকের মানুষ সবাই কোন কিছু পরিমাপের ক্ষেত্রে দাঁড়িপাল্লায় ব্যবহার করত।
আর তখনকার দাঁড়িপাল্লা ছিল বেতের তৈরি। আমাদের বাড়িতে একটা বেতের তৈরি দাঁড়িপাল্লা আছে যা অনেক পুরানো। আমি ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি এই বেতের তৈরি দাঁড়িপাল্লাটি। আগের দিনের বেত দিয়ে খুব সুন্দর সুন্দর দাড়িপাল্লা তৈরি করত। এখন আর বেতের তৈরি দাঁড়িপাল্লা দেখা যায় না, এমনকি বেতের তৈরি আর কোন জিনিসই এখন আর তেমন একটা দেখা যায় না। আধুনিকতার ছোঁয়ায় আস্তে আস্তে এইসব কিছু বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।
আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন আমাদের বাড়িতে যখন ধান মলা হতো এবং ধান মলা শেষ হয়ে গেলে দাঁড়িপাল্লা দিয়ে ধান মাপা হতো।আমার আব্বু আমাকে দায়িত্ব দিত কয় মন ধান হয় এটা হিসাব রাখতে। আমিও বসে বসে দেখতাম ওরা ঠিকঠাক মত মাপতেছে কিনা এবং কত মণ ধান হল এটাও হিসাব রাখতাম। আর এখন কালের বিবর্তনে আধুনিকতার ছোঁয়ায় দিন দিন যেন দাড়িপাল্লার ব্যবহার উঠে যাচ্ছে।
এখন প্রায় সর্বস্তরেই ওজন মাপার জন্য ডিজিটাল মিটার বা ডিজিটাল ওজন মাপার মেশিন ব্যবহার করা হয়। ব্যবসায়িক কাজে বাজারে দোকানে এখন সব জায়গাতেই ডিজিটাল পরিমাপক যন্ত্র ব্যবহার করা হয়।ডিজিটাল পরিমাপক যন্ত্র বাজারে আসার পর কোন কিছু পরিমাপ করা অনেক আংশেই সহজ হয়ে গেছে । এখন সবাই কাজের সময় বাঁচানোর জন্য এবং সহজে পরিমাপ করার জন্য ডিজিটাল পরিমাপক যন্ত্র ব্যবহার করছে। সর্বস্তরের ডিজিটাল পরিমাপক যন্ত্র ব্যবহার করার ফলে দিন দিন দাঁড়িপাল্লার ব্যবহার কমে যাচ্ছে। আর দশ বছর পর হয়তো এই দাঁড়িপাল্লার ব্যবহার আর তেমন একটা দেখা যাবে না। এভাবেই যতদিন যাবে যতই আমাদের মাঝ থেকে একটা একটা করে ঐতিহ্য হারিয়ে যাবে।
আমার পোস্টটি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
আমার নাম,মোঃ আব্দুল্লাহ। আমার বাসা কুষ্টিয়া জেলা, খোকসা থানায়,আমবাড়িয়া ইউনিয়নে,গোসাইডাঙ্গী গ্রামে। কিন্তু ,আমি লেখাপড়ার জন্য কুষ্টিয়া সদরে থাকি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে, কম্পিউটার ডিপার্টমেন্টে লেখাপড়া করছি। আমার ফটোগ্রাফি এবং ভ্রমন করতে খুব ভালো লাগে। আমার ফটোগ্রাফি করতে ভালো লাগলেও, খুব একটা ভালো ছবি আমি তুলতে পারিনা। আশা করি খুব তাড়াতাড়িই আমার ফটোগ্রাফি গুলো আরো ইমপ্রুভমেন্ট করতে পারব। (ধন্যবাদ সবাইকে )
ধন্যবাদ ভাই।
ঐতিহ্যবাহী দাঁড়িপাল্লা নিয়ে আপনি দারুণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। দানাদার জাতীয় শস্য পরিমাপের ক্ষেত্রে দাঁড়িপাল্লা ব্যবহার করা হয়। গ্রামে প্রায় প্রত্যেকের বাড়িতেই এই দাঁড়িপাল্লা রয়েছে। দাঁড়িপাল্লা দিয়ে নিখুঁতভাবে পরিমাপ করা যায়। ধান চাষ করার পর যখন ফসল ঘরে আসে তখন আমরা খাওয়ার জন্য ধান রেখে বাকি ধানগুলো বিক্রি করে দেই। এই ধানগুলো আগে দাঁড়িপাল্লা দিয়েই মেপে নেওয়া হতো। বেতের তৈরি দাঁড়িপাল্লা আমিও দেখেছি তবে আমাদের বাড়িতে এমন বেতের দাড়িপাল্লা নেই। তবে দাঁড়িপাল্লা তে যে কোন বস্তু মাপতে একটু সময় লাগে। আর সেজন্য মানুষ আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নিচ্ছেন। হাতে মাপা দাঁড়িপাল্লার বদলে ব্যবহার করছেন ডিজিটাল মিটার।এতে করে সময় ও শ্রম বেঁচে যাচ্ছে। আপনি খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপু।
ঐতিহ্যবাহী দাড়িপাল্লা নিয়ে খুবই সুন্দর উপস্থাপন করেছেন ভাই। কোন কিছু পরিমাপ করার জন্য আগের যুগের মানুষ দাড়িপাল্লা ব্যবহার করতো। আমাদের বাড়িতে দাঁড়িপাল্লা রয়েছে, আমার বাবাকে দেখতাম কোনো কিছু বিক্রি করলে দাড়িপাল্লার সাহায্যে ওজন মেপে বিক্রি করতো। বাজারের দোকানদার গুলো তাদের ব্যবসায় শাকসবজি এবং অন্যান্য পণ্য বিক্রি করার জন্য দাঁড়িপাল্লা ব্যবহার করতো, তবে আধুনিক যুগে দাঁড়িপাল্লার ব্যবহার কমে গিয়েছে। ডিজিটাল মিটারে মানুষ এখন জিনিসপত্র পরিমাপ করে, তবে এই ঐতিহ্যবাহী দাঁড়িপাল্লার এক সময় অনেক কদর ছিলো। ছোট ছোট মুদি দোকান থেকে শুরু করে, বড় বড় দোকানেও দাড়িপাল্লা ব্যবহার করা হতো। তবে এখন দাঁড়িপাল্লার ব্যবহার বিলুপ্ত। মানুষ এখন আর দাঁড়িপাল্লা ব্যবহার করতে চায় না, ডিজিটাল মিটার গ্রাম সহ পরিমাপ করা যায়। তাই মানুষ ডিজিটাল মিটার ব্যবহার করে । আপনি অনেক সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন ভাই, ঐতিহ্যবাহী দাঁড়িপাল্লা সম্পর্কে অনেক কিছু লিখেছেন। নতুন প্রজন্ম হয়তো এক সময় দাড়িপাল্লার কি সেটাই চিনবে না। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই, ঐতিহ্যবাহী দাঁড়িপাল্লা নিয়ে এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য। শুভকামনা রইলো।
ধন্যবাদ ভাই।
https://twitter.com/abdullah_steem/status/1700015270449000646?t=-QbLPpWTnDvB29Kx1v_HQA&s=19
দাঁড়িপাল্লার সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া। আসলে আমাদের প্রত্যেকের বাড়িতে এরকম দাঁড়িপাল্লা রয়েছে এবং কোন কিছু পরিমাপের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয় আগে এই দাঁড়িপাল্লা।
এবং এই দাঁড়িপাল্লা দিয়ে ফসলের মৌসুমের সব ফসলের পরিমাপ করা হয়। এবং এটি প্রায় প্রাচীন যুগ থেকে ব্যবহার হয়ে আসতেছে কিন্তু এখন মানুষ ডিজিটাল যুগে এসে সব কিছুই ডিজিটাল ব্যবহার করতেছে এর জন্য এর এখন আর বেশিটা প্রচলন দেখা যায় না। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সকলের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য
ধন্যবাদ ভাই।
দাঁড়িপাল্লা আমাদের গ্রাম অঞ্চলের অন্যতম একটা ঐতিহ্য। এরকম বাঁশের তৈরি দাঁড়িপাল্লা এবং টিনের তৈরি দাঁড়িপাল্লা আগের জমানায় ওজন করার জন্য একমাত্র সম্বল ছিল। তবে এখন দেশ উন্নত হওয়ার কারণে সবাই ডিজিটাল মিটার ব্যবহার করে। এখন গ্রাম অঞ্চল গুলোতেও ডিজিটাল মিটারের ব্যবহার বেড়ে গিয়েছে। তবে মাঝে মাঝে গ্রামীণ বাজার গুলোতে এরকম দাঁড়িপাল্লার ব্যবহার দেখা যায়। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই।
দাড়িপাল্লা নিয়ে চমৎকার একটি পোস্ট করেছেন ভাই। একটা সময় এই দাড়িপাল্লা অনেক বেশী ব্যবহৃত হতো। অজন মাপার জন্য এটিই ছিলো মানুষের একমাত্র অবলম্বন। তবে আস্তে আস্তে আধুনিকতার ছোয়ায় অনেক ডিজিটাল জিনিস বের হয়েছে। এখন এই দাড়িপাল্লা খুব বেশী একটা দেখা যায় না।
ধন্যবাদ
আপনি একদম ঠিকই বলেছেন। আমরা সবাই এই দাড়িপাল্লার সাথে পরিচিতি। আমাদের কোন জিনিস পরিমাপ করার জন্য এই দাঁড়িপাল্লা ব্যবহার করে আছে। তবে বর্তমানে আধুনিক ডিজিটাল কিছু মেশিন বের হয়েছে যেগুলো সাহায্যে খুব সহজেই পরিমাপ করা গেলেও গ্রামের সাধারণ মানুষ আজও এই দাড়িপাল্লায় নির্ভরশীল। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই।
স্টিলের তৈরি এসব দাড়িপাল্লার সঙ্গে আমরা প্রায় সবাই পরিচিত। গ্রামে আমরা প্রায় সবাই চিনে থাকি। ধান গম ভুট্টা চাল ইত্যাদি ওজন করার ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে দুই থেকে তিন বছর আগেও এসব দাঁড়িপাল্লার অনেক কদর ছিল এখন আর তেমন কদর নেই। দিন দিন যেন হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের কাছ থেকে।যার প্রধান কারণ হিসেবে বলা চলে বিভিন্ন রকম ডিজিটাল পাল্লা।ঐতিহ্যবাহী দাঁড়িপাল্লা নিয়ে খুব সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন আপনি ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে ভাই।
ধন্যবাদ ভাই।
প্রাচীনকাল থেকেই এখন পর্যন্ত দাঁড়ি পাল্লার ব্যবহার চলে আসছে। আগেরকার সময়ে দাঁড়ি পাল্লা দিয়ে সবকিছুই পরিমাপ করা হতো। কিন্তু কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসছে এই দাঁড়ি পাল্লা। বর্তমান সময়ে ডিজিটাল দাঁড়ি পাল্লা হওয়ায় হাতে ব্যবহৃত দাঁড়ি পাল্লা তেমন দেখা যায় না। আগেকার দিনের দাঁড়ি পাল্লা নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই।
ধন্যবাদ ভাই।