কিস্তিতে পণ্য সামগ্রী বিক্রি করা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।

আসসালামু আলাইকুম আমি, @abdullah-44

আশা করি সবাই ভালো আছেন,আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আমিও ভালো আছি।(আলহামদুলিল্লাহ )



কিস্তিতে পণ্য সামগ্রী বিক্রি করা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।



IMG_20230821_124505.jpg

গ্রামাঞ্চলে নিম্নবিত্ত,মধ্যবিত্ত বেশিরভাগ মানুষই এখন কিস্তির উপর নির্ভরশীল। গ্রামে অনেক মানুষ আছে তারা অন্যের বাড়িতে জন খাটে।আবার অনেকে নিজের জমিতে চাষাবাদ করে কিছু টাকা উপার্জন করে। নিজের জমিতে চাষাবাদ করে বা অন্যের বাড়িতে জন খেটে দিনশেষে যে টাকা উপার্জন করে, সেই টাকা দিয়ে বাজার করতেই প্রায় ৮০% টাকা শেষ হয়ে যায়। আর বাকি কিছু টাকা অবশিষ্ট থাকে তা দিয়ে তাদের পোশাক আশাক এবং ছেলে মেয়েদের পড়ালেখার খরচ যোগাইতে হিমশিম খেতে হয়।

DiHLrjiPetHt6ciV9azim9NPHuTMQ59H51nYE8xqo83cHxoWjkEXJT9iFny5FDK6V87zhnX5kJcSGE6ahn1RouZuijdX8aHZSZuNzNLrHL...5JkLh48hmSy2Vocb8Q1ZmVRFSQE6pKeyXuZTkTt2EgzjyyZw14xbJEQeSpMhQGMsjfy2JgnjmiZATtiTZUt9hdaNJ5oWr4DTthVH964jvSwCVZQRoyCX3KLi6i.png

IMG_20230821_124441.jpg

IMG_20230821_123819.jpg

আর যারা ছোটখাটো কোন কোম্পানিতে চাকরি করে তারা যে বেতন পায়, তা দিয়ে সংসার চালিয়ে মাস শেষে দেখা যায় আর কোন টাকা অবশিষ্ট থাকে না। এই জন্য তাদের ঘরে কোন সৌখিন জিনিসপত্র বা দামি কোন আসবাবপত্র তারা কিনতে পারেনা বা কিনা হয়ে ওঠে না।এইসব মানুষের কথা চিন্তা করে কিছু ব্যবসায়ী তাদের সেল বাড়ানোর জন্য এবং মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষেরা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী কিছু পণ্য সামগ্রী কিনতে পারে এইজন্য ওই ব্যবসায়ীরা সপ্তাহিক কিস্তিতে, কিস্তি ভিত্তিক ব্যবসা চালু করেন।গ্রামের এরকম ব্যবসায়ীদের প্রায়ই ভ্যান অথবা পিকআপ নিয়ে আসতে দেখা যায়।

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjddfwF5kKVgfqKcJVzUC9zYpVySrombAoJ3HAAeFQAp75RFb8MQ43pMYHPBT9qy...HWxLhWyc4W792ch6jCeMvo9kmPKWSQ1iuhrHF8xTv7psP2kRTN87Vk3bZKTqMK7opAJm74uk39zpSkWn47CVhohgarZXChtLKqQadYStZyy9eBJ4io27N3AWjg.png

IMG_20230821_123923.jpg

IMG_20230821_124117.jpg

IMG_20230821_124145.jpg

IMG_20230821_124338.jpg

তারা প্রতি দিনই এরকম পণ্য সামগ্রী গুলোকে কে বিক্রি করে ভিন্ন ভিন্ন এলাকায় গিয়ে।তারা এক এলাকায় সপ্তাহে একবারই যায় এবং পূর্বে বিক্রি করা পণ্য সামগ্রী গুলোর কিস্তি আদায় করে এবং তাদের সাথে করে নিয়ে যাওয়া আরো বিভিন্ন প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র ও দ্রব্য সামগ্রী গুলোকে গ্রামের মানুষের চাহিদা অনুযায়ী বিক্রি করে থাকেন। আমার শেয়ার করা ছবিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা কিস্তিতে কিছু পণ্য সামগ্রী বিক্রি করছে। আমাদের বাড়ির পাশে একজন এই পণ্য সামগ্রী এগুলো কিনছিল। আমি এই বিষয়টা জানালা দিয়ে দেখে বাইরে বেরিয়ে এসে তাদের কার্যক্রমটি দেখছিলাম।

C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNzq2MSXKSji21JRspt4nqpkXPR5ea7deLzvmJtuzVBwdLJUpBqtgAZ5gHtHPbayD2jR3CWqjkJ.png

IMG_20230821_124041.jpg

IMG_20230821_124017.jpg

IMG_20230821_124236.jpg

এসে দেখলাম আমাদের বাড়ির পাশের একজন দুইটা আর এফ এল এর চেয়ার কিনলো। দুইটা চেয়ারের দাম ছিল ১১০০ টাকা। কিন্তু সে কিস্তিতে নেওয়ার কারণে তাকে বারোশো টাকা দিতে হবে। আমরা সবাই জানি কিস্তিতে কোন কিছু কিনলে তার দাম একটু বেশি দিতে হয়। ব্যবসায়ীরা তাকে বললেন বারোশো টাকার জন্য প্রতি সপ্তাহে ১০০ টাকা করে দিতে হবে। এভাবে স্বল্প কিস্তিতে তারা বিভিন্ন ধরনের পণ্য সামগ্রী বিক্রি করে আসছে।এতে করে গ্রামের মানুষেরা যেমন নিজেদের চাহিদা মেটাতে পারছে, তেমনি ব্যবসায়ীরা ও লাভবান হচ্ছে।

6VvuHGsoU2QBt9MXeXNdDuyd4Bmd63j7zJymDTWgdcJjnzw3nqBFcbV2rkkbgRUhb3PMHJNHgbsQ5qUWmScc684CKjSggSGYS26MN3rnCgoayDzBGuhfuG2g2pAFAn.png

আমার পোস্টটি পড়ার  জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ 

আমার পরিচয়


FB_IMG_1686764702485.jpg

slLXtTGa_2x.jpg

আমার নাম,মোঃ আব্দুল্লাহ। আমার বাসা কুষ্টিয়া জেলা, খোকসা থানায়,আমবাড়িয়া ইউনিয়নে,গোসাইডাঙ্গী গ্রামে। কিন্তু ,আমি লেখাপড়ার জন্য কুষ্টিয়া সদরে থাকি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে, কম্পিউটার ডিপার্টমেন্টে লেখাপড়া করছি। আমার ফটোগ্রাফি এবং ভ্রমন করতে খুব ভালো লাগে। আমার ফটোগ্রাফি করতে ভালো লাগলেও, খুব একটা ভালো ছবি আমি তুলতে পারিনা। আশা করি খুব তাড়াতাড়িই আমার ফটোগ্রাফি গুলো আরো ইমপ্রুভমেন্ট করতে পারব। (ধন্যবাদ সবাইকে )

Sort:  
 10 months ago 

জ্বি আপনি ঠিক বলেছেন এখন গ্রাম অঞ্চলে নিম্নবিত্ত থেকে শুরু করে মধ্যবিত্তরাও এই কিস্তির উপর নির্ভরশীল। এবং বর্তমানে পণ্যের যে পরিমাণের দাম বাড়তেছে মানুষ একেবারে সবকিছু নিতে পারতেছে না। তাই কিস্তির উপর নিয়ে ধীরে ধীরে ঋণ শোধ করতেছে। আসলে আমাদের দেশে এটি অনেক সুন্দর একটি প্রক্রিয়া। ধন্যবাদ ভাইয়া এরকম সুন্দর একটি বিষয়ে আমাদের সকলের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।

ধন্যবাদ ভাই।

 10 months ago 

বাহ! চমৎকার একটা বিষয়।ফেরিওয়ালারা এভাবে কিস্তিতে বাড়িতেও বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিক্রি করতে আসেন এটা আমার জানা ছিল না। তবে আমাদের এলাকায় এভাবে কিস্তিতে পণ্য বিক্রি করতে আসা কোন ফেরিওয়ালাকে আমি কখনো দেখিনি। হ্যাঁ আপনি ঠিক বলেছেন গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত এর মধ্যে পড়ে। সবকিছুর খরচ চালাতে তারা একটা পর্যায়ে এসে অনেক হিমশিম খায়। অসাধারণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ আপু।

 10 months ago 

আমাদের এলাকায় ও মাঝে মাঝে এমন ফেরিওয়ালা আসেন যারা কিস্তিতে পণ্য সামগ্রী বিক্রি করেন। আমাদের এলাকায় এমন বেশ কয়েকটি দোকানো রয়েছে। আবার চেষ্টা নামে এমন একটি সংস্থাও রয়েছে। এতেই নিম্ন আয়ের মানুষেরা উপকৃত হয়ে থাকেন। কারণ তারা দিনে এনে দিনেই খায়।জমানোর মত বেশি পয়সা থাকে না। তাই এমন কিস্তিতে হলে তাদের একটু সুবিধা হয়। আপনি দারুন একটি বিষয়ে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

ধন্যবাদ আপু।

 10 months ago 

বাহ্ চমৎকার তো কিস্তিতে পণ্য বিক্রি করা হয়, আমার জানা ছিলো না। গ্রামে ঘুরে ঘুরে মালামাল বিক্রি করে থাকে এসব ভ্রাম্যমান দোকানদার, আমিও যখন গ্রামে ছিলাম, তখন এসব ফেরিওয়ালা দেখতাম, মাল বিক্রি করতে। আপনি অনেক সুন্দর পোস্ট উপস্থাপন করছেন ভাই, অনেক ধন্যবাদ ভাই

ধন্যবাদ ভাই।

Loading...
 10 months ago 

কমবেশি প্রায় সব গ্রামেই এমন ভ্যানে করে পন্য বিক্রি করতে দেখতে পাওয়া যায়। তারা সহজ কিস্তিতে পন্য মানুষকে দিয়ে থাকে।আপনি ঠিক বলেছেন ভাই মধ্যবিত্ত মানুষের যে টাকা আয় এতে তার সংসার পরিচালনা করতে সমস্যা হয় তাই পরিবারের পন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় আসবাবপত্র কিনতে পারে না। কিন্তু সহজ কিস্তি ব্যবস্থা থাকার কারনে টাকা পরিশোধ করতে সুবিধা হয়।ব্যতিক্রমধর্মী একটি পোস্ট আমাদের উপহার দিয়েছেন ভাই।

ধন্যবাদ ভাই।

 10 months ago 

বর্তমানে গ্রামে এ ধরনের ফেরিওয়ালা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। তারা কিছু লাভের বিনিময়ে এসব পণ্য দিয়ে থাকে কিস্তির মাধ্যমে। এরা টিভি ফ্রিজ সহ ঘরের সকল সামগ্রী কিস্তির মাধ্যমে দিয়ে থাকে। আমাদের এলাকায় ও প্রায় এ ধরনের দোকান নিয়ে আসে আর মাসিক ও সাপ্তাহিক কিস্তির মাধ্যমে তাদের এই পণ্যগুলো নিম্নবিত্ত পরিবারের মধ্যে দিয়ে থাকে। এসব জিনিসপত্র কিস্তির মাধ্যমে দেওয়াতে নিম্নবিত্ত পরিবারের একটু উপকারে আসে। কোন জিনিস নেওয়ার ফলে তারা ধীরে ধীরে সেটার দাম পরিশোধ করে নিজের ঘর সাজাতে পারে। ধন্যবাদ অসাধারণ একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ ভাই।

 10 months ago 

অনেক সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আপনি আলোচনা করেছেন ভাইয়া। এরকম কিস্তির মাধ্যমে আসবাবপত্র পাওয়ার কারণে মানুষটা খুব সহজেই বাসা বাড়ির জিনিসপত্র কিনতে পারেন। যদিও একটু দাম বেশি নেয় তবে তারা আসতে ধীরে টাকা পরিশোধ করতে পারে। এরকম ফেরিওয়ালার মাধ্যমে আমাদের এলাকায়ও কিস্তিতে কেয়ার টেবিল দিয়ে থাকে ভাইয়া। আপনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছে। এর জন্য আপনাকে জানাচ্ছি অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ ভাই।

 10 months ago 

আপনি দারুন একটা বিষয় নিয়ে পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই। গ্রাম অঞ্চলে এইরকম কিস্তিতে অনেক ফেরিওয়ালা দেখা যায়। আমাদের এইদিকে কিস্তিতে এমন ফেরিওয়ালা একবার আসছিল। তবে কেউ এইরকম কিস্তিতে পন্য কিনে নাই।আপনি ঠিকই বলছেন কিস্তিতে তারা পন্য সামগ্রি বিক্রি করতেছে আর এইদিকে গ্রামের মানুষদেরও ভালো হচ্ছে।আপনি সুন্দর আলোচনা করছেন।আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

ধন্যবাদ ভাই।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.029
BTC 56087.39
ETH 2965.10
USDT 1.00
SBD 2.15