জনপ্রিয় খাবার মিষ্টি ও ফাস্টফুড
আসসালামু আলাইকুম আমি, @abdullah-44
আশা করি সবাই ভালো আছেন,আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আমিও ভালো আছি।(আলহামদুলিল্লাহ )
জনপ্রিয় খাবার মিষ্টি ও ফাস্টফুড |
---|
মিষ্টি আমার পছন্দের একটি খাবার।মিষ্টি পছন্দ করে না এমন মানুষ নেই বললেই চলে। আমরা সবাই কমবেশি মিষ্টি খেয়ে থাকি। তবে মিষ্টির কিছু উপকারী ও অপকারী দিক রয়েছে।যেমন,খাদ্য গ্রহণের পরে সেই খাদ্য হজম করার জন্যে আমাদের পাকস্থলীতে অ্যাসিড ক্ষরণ শুরু হয়। ঝাল বা তেলমশলাযুক্ত খাবার খেলে অ্যাসিড ক্ষরণের পরিমাণ বাড়ে। অতিরিক্ত এসিড ক্ষরণের ফলে পরিপাক ক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে এমনকি পরিপাকতন্ত্রের বিভিন্ন অসুখ দেখা দিতে পারে।
মিষ্টিজাতীয় খাবার এই অ্যাসিড ক্ষরণের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। এর ফলে পরিপাকক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হতে পারে।
মিষ্টি তৈরিতে দুধ ও ছানা ব্যবহৃত হয়। তাই মিষ্টি আমাদের দাঁত ও হাড় গঠনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।মিষ্টি তৈরিতে দুধ, ছানা ব্যবহৃত হয় ফলে এতে প্রোটিন,ফ্যাট, বিভিন্ন ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।এছাড়া মিষ্টিতে অধিক পরিমাণে ক্যালরি থাকে যা আমাদের শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি যোগাতে সাহায্য করে। এছাড়া তেলে ভাজা কোন খাবার বা তেল চুদতো কোনো খাবার
খাবার পর , শরীরে রক্তচাপ অনেক আংশিক কমে যায়। এই অবস্থায় মিষ্টি জাতীয় খাবার শরীরে রক্তচাপ স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে।মিষ্টির আরো অনেক উপকারী দিক থাকতে পারে,আপনারা জানলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। মিষ্টি খেতে আমরা সবাই পছন্দ করি, তবে অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না, অতিরিক্ত মিষ্টি খেলে আমাদের দেহে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত মিষ্টি খেলে শরীরে বাড়তি মেদ জমে যা ভবিষ্যতে নানা রোগের কারণ হতে পারে। মিষ্টি বা মিষ্টি জাতীয় যে কোন খাবার অতিরিক্ত খেলে ফ্যাট এর পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে অনেকটাই।
অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়ার ফলে শরীরে মেদ বা চর্বি বাড়তে থাকে এমনকি হার্ডে চর্বি জমে হাডো ব্লক হয়ে যেতে পারে।
তাই আমাদের এখন থেকেই স্বাস্থ্য সচেতন হতে হবে, এবং যেকোনো খাবারই পরিমান মত গ্রহণ করতে হবে। অতিরিক্ত কোন খাবারই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নয়। এবার ফাস্টফুড নিয়ে কিছু কথা বলা যাক। ফাস্টফুড এ কোন উপকার আছে কিনা আমার তা জানা নেই। ফাস্টফুড এ যদি উপকার থাকে ও তার থেকে ক্ষতি অনেক বেশি। ফাস্ট ফুডে এত ক্ষতি জানার পর ও কেন জানি ফাস্টফুড এর প্রতি আকর্ষণ আমাদের সবারই একটু বেশি থাকে। রাস্তার পাশে যে ফাস্টফুড এর দোকানগুলো রয়েছে, এইখানকার খাবার এগুলো আরো বেশি ক্ষতিকর।
কারণ তারা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এই খাবারগুলো তৈরি করে এবং একই তেল বারবার ব্যবহার করে। ফাস্টফুড যদি খেতে হয় তাহলে ভালো মানের কোন দোকান থেকে খাওয়া উচিত।যেসব দোকানে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে খাবার গুলো বিক্রি করা হয় এবং তৈরি করা হয়, সেসব দোকান থেকে আমাদের খাবার গুলো কিনা উচিত। এতে তুলনামূলক শরীরে কম ক্ষতির আশঙ্কা থাকে।
আমি আর আমার ভাইয়া একটা দোকান থেকে কেক,স্যান্ডউইচ আর লোফ কিনেছিলাম, সেই ছবিগুলোই আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আর বলতেই হবে খাবারগুলো অনেক মজাদার ছিল। সবশেষে একটা কথাই বলতে চাই আমাদের সবারই স্বাস্থ্য সচেতন হতে হবে, পরিমাণ মতো খাবার খেতে হবে পরিমাণের চেয়ে বেশি খাবার খাওয়া যাবে না এবং বাইরের খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। সবাই সুস্থ থাকবেন সাবধানে থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
আমার পোস্টটি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
আমার নাম,মোঃ আব্দুল্লাহ। আমার বাসা কুষ্টিয়া জেলা, খোকসা থানায়,আমবাড়িয়া ইউনিয়নে,গোসাইডাঙ্গী গ্রামে। কিন্তু ,আমি লেখাপড়ার জন্য কুষ্টিয়া সদরে থাকি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে, কম্পিউটার ডিপার্টমেন্টে লেখাপড়া করছি। আমার ফটোগ্রাফি এবং ভ্রমন করতে খুব ভালো লাগে। আমার ফটোগ্রাফি করতে ভালো লাগলেও, খুব একটা ভালো ছবি আমি তুলতে পারিনা। আশা করি খুব তাড়াতাড়িই আমার ফটোগ্রাফি গুলো আরো ইমপ্রুভমেন্ট করতে পারব। (ধন্যবাদ সবাইকে )
মিষ্টি আমার খুবই পছন্দের, ফাস্ট ফুট মাঝে মাঝেই খাওয়া হয়। আপনি দারুণ উপস্থাপন করছেন ভাই। ফটোগ্রাফি দারুণ করেছেন ভাই।
জি ভাই সঠিক বলছেন, অতিরিক্ত কোনো কিছু ভালো না । মিষ্টি খাওয়া ভালো তবে অতিরিক্ত খাওয়া ভালো না। আপনার উপস্থাপনা যথেষ্ট ভালো। অনেক কিছু জানতে পারলাম, অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই
ধন্যবাদ ভাই।
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
https://twitter.com/abdullah_steem/status/1698353678988779624?t=dldWMF8QeZcp2xNAPyfkkQ&s=19
আমার তো ঝালমুড়ি খেলে এসিডিটির কারনে রাতে একদম ঘুম আসে না ভাই । তবে মিষ্টি খাবার খেলে শরীর অনেকটা শীতল থাকে। আমিও সবসময় পরিমান মতই খাবার খাওয়ার চেষ্টা করি। মিষ্টি এবং ফাস্টফুড নিয়ে আপনি অনেক সুন্দর তত্ব দিলেন।
ধন্যবাদ ভাই।
ঠিকই বলেছেন মিষ্টি পছন্দ করে না এমন মানুষ নেই বললেই চলে।আমারও মিষ্টি অনেক পছন্দ।আপনি মিষ্টির উপকারী ও অপকারী দিক অনেক সুন্দর করে বিস্তারিত তুলে ধরেছেন।আমাদের বাসায় সব সময় মিষ্টি এনে রাখা হয়,মেহমান আপ্যায়নে এর কোনো বিকল্প নেই।ঠিকই বলেছেন অতিরিক্ত কোনো খাবারই খাওয়া ভালো না।মিষ্টি অতিরিক্ত খেলে শরীরে যেমন বাড়তি মেদ জমে তেমনি অনেক ক্ষতিকর দিকও রয়েছে।যাদের ডাইবেডিকস সে রোগিদের ডাক্তার মিষ্টি খেতে বাধা করেন।ঠিকই বলেছেন ফাস্টফুড এ যদি উপকার থাকেও তার থেকে ক্ষতি অনেক বেশি।রাস্তায় বসে বা ভ্যান নিয়ে দাঁড়িয়ে ফাস্টফুড সব জায়গায় বিক্রি করে এখন।তা দেখে অনেকেই লোভ সামলাতে পারেনা।আপনি ঠিকই বলেছেন রাস্তার পাশে ফাস্টফুডের যে দোকান গুলো রয়েছে,সেখানকার খাবার গুলো আরো বেশি ক্ষতিকর।কারণ তারা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি করে।সবাই তবে এক না,অনেকে খাবার ঢেকে রাখে অনেক সচেতন ভাবে খাবার বানায় ফলে খাবার বানানোর সময় বা বানানো খাবারে রাস্তার ধুলা বালি পরেনা।তবে এখন ভালো ভালো নামি-দামি রেস্টুরেন্টে অস্বাস্থ্যকর খাবার বানানোর জন্য জরিমানা দিতে হচ্ছে।সব সময় যে দামি খাবারের হোটেল বা রেস্টুরেন্ট যে স্বাস্থ্যকর হবে তা কিন্তু না।আপনি অনেক সুন্দর করে বিস্তারিত মিষ্টি ও ফাস্টফুড নিয়ে অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন।আপনাকে ধন্যবাদ আপনি কেক এবং স্যান্ডউইচ কিনেছেন তা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।সাথে রিভিউ দিয়েছেন খাবারের।আপনি মিঠাই দোকান থেকে খাবার নিয়েছেন,এদের মিষ্টি এবং ফাস্টফুড অনেক মজাদার আমিও প্রায় নিয়ে থাকি এখান থেকে।আপনার ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু।
মিষ্টি পছন্দ করে না এমন মানুষ পৃথিবীতে খুব কমে পাওয়া যাবে। ঠিক তেমনি আমারও মিষ্টি জাতীয় খাবার অনেক পছন্দের। তবে মিষ্টির উপকার ও অপকার নিয়ে সুন্দর করে বিস্তারিত বর্ননা করেছেন। পড়ে আমার অনেক ভালো লেগেছে। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
ধন্যবাদ ভাই।
মিষ্টি ও ফাস্টফুড সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া। আসলে মিষ্টি কার না পছন্দের ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে প্রাপ্ত বয়স্ক সবাই এ মিষ্টি খেতে অনেক বেশি ভালোবাসে। এবং মিষ্টি খাওয়ার পর আমাদের শরীর অনেক শীতল হয়ে যায়। এবং আমরা মাঝে মাঝে যদি কোন ঝাল খাবার খেয়ে থাকি তার পর সঙ্গে সঙ্গে মিষ্টি খাওয়া চেষ্টা করি মিষ্টি খেলে ঝাল আর তেমনটা লাগেনা। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
ধন্যবাদ ভাই।
মিষ্টি আমার অত্যন্ত প্রিয় একটি খাবার। আমাদের বাড়িতে যখন মিষ্টি নিয়ে আসে আমি একাই অর্ধেক খেয়ে ফেলি। আপনার পোস্টের প্রথম ছবিটি দেখেই মনে মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছা জাগলো। খুবই সুন্দরভাবে মিষ্টির উপকারী ও অপকারী দিকগুলো তুলে ধরেছেন। মিষ্টি নিয়ে চমৎকার একটি পোস্ট করেছেন।
ধন্যবাদ ভাই।