হাজার বছরের ঐতিহ্য সমৃদ্ধ নৌযান, নৌকা।
আসসালামু আলাইকুম আমি, @abdullah-44
আশা করি সবাই ভালো আছেন, আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আমিও ভালো আছি। (আলহামদুলিল্লাহ )
হাজার বছরের ঐতিহ্য সমৃদ্ধ নৌযান, নৌকা৷
সর্বপ্রথম নৌকা আবিষ্কৃত হয় মুসলমানদের মধ্যেই। আল্লাহ তায়ালার সাহায্যে সর্বপ্রথম হযরত নূহ (আ) নৌকা আবিষ্কার করেন। হযরত নূহ (আ) নৌযান, নৌকা আবিষ্কার করার পর থেকে এখন পর্যন্ত নদীপথে নৌকার ব্যাপক ব্যবহার চলে আসছে।নৌকার বহুমুখী ব্যবহার রয়েছে যেমন, অনেক নৌকা মাঝি জীবিকা নির্বাহের জন্য নৌকা নিয়ে মাঝ নদীতে চলে যায় মাছ ধরার জন্য। সাধারণত যেসব নৌকার মাঝিরা মাছ ধরেন তারা বেশিরভাগই রাতে মাছ ধরতে যান। তারা সারারাত মাছ ধরে সেগুলোকে সকালে মাছের আড়তে নিয়ে গিয়ে ব্যাপারীদের কাছে বিক্রি করেন। আর দিনের বেলায় মাছ ধরলে মাছগুলোকে যথাসময়ে বিক্রি করা যায় না এবং অনেক মাছ নষ্ট হয়।
দিনের বেলায় প্রচন্ড রোদে মাছ ধরে ফিরে আসতে আসতে বিকেল হয়ে যায়। আর বিকালে মাছ বাজারে নিয়ে গেলে তখন আর তেমন বিক্রি হয় না। তখন কোন বেপারীই আর মাছ কিনতে চায় না, কারণ তখন মাছ কিনে আর বিক্রি করার মত সময় থাকে না। এজন্য যেসব মাঝি মাছ বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে, তারা রাতের বেলায় নৌকা নিয়ে বের হয় মাছ ধরার জন্য, যাতে তারা সকালে ওই মাছগুলো যথা সময়ে বিক্রি করতে পারে। শুধু মাছ ধরাই নয় অনেক বালু বাহি নৌকাও রয়েছে। এই বালু বাহি নৌকাগুলো মোটা বালু অর্থাৎ ঘরবাড়ি তৈরিতে যে বালু ব্যবহার করা হয় ঐ বালু ডিজারের মাধ্যমে তুলে নৌকায় ভরে নির্দিষ্ট কোন স্থানে নিয়ে গিয়ে জমা করে রাখে।
পরবর্তীতে বালু গুলো শুকিয়ে গেলে নির্ধারিত কোন দামে ক্রেতার কাছে বিক্রি করে থাকে। অনেক সময় মালবাহী নৌকাও দেখা যায়। বিভিন্ন ধরনের মালামাল এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য বড় বড় নৌকা ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে চর অঞ্চলের মানুষ এই নৌকার উপর বেশি নির্ভরশীল। তারা তাদের যাবতীয় মালামাল নদীর এপার থেকে ওপারে আনা নেওয়া করে। অনেক সময় দেখা যায় অনেক পন্য সামগ্রী গাড়িতে নিয়ে যেতে অনেক পথ ঘুরে আসতে হয়,আর নৌকায় গেলে দেখা যায় নদী পার হলেই সেই জায়গায় চলে যাওয়া যায়। আবার বিভিন্ন ঘাটে অনেক নৌকা থাকে, ওই নৌকা গুলো নদীর এপারের মানুষ ওপারে এবং ওপারের মানুষ এপারে আনা-নেওয়া করে।
এভাবে নদী পথে যাবতীয় সব কাজের জন্য নৌকা ব্যবহার করা হয়। আমার শেয়ার করা যে ছবিগুলো দেখতে পাচ্ছেন, এই ছবিগুলো গড়াই নদীর ব্রিজের উপর থেকে এবং ব্রিজের নিচে থেকে তোলা। গড়াই নদীর পাড়ে যে নৌকা গুলো দেখতে পাচ্ছেন এই নৌকাগুলো মাছ ধরার কাজেও ব্যবহার করা হয় এবং এই নদীর পারে যারা ঘুরতে আসে তাদেরকে টাকার বিনিময় ঘোরানোর জন্যও এই নৌকা গুলো ব্যবহার করা হয়। পাশেই দর্শনীয় স্থান পদ্মা গড়াই মোহনা রয়েছে।এইখানে ঘুরতে আসা ভ্রমণ প্রিয় মানুষদের ৫০ টাকার বিনিময়ে, নৌকা মাঝিরা মোহনা থেকে ঘুরিয়ে নিয়ে আসেন।
প্রতিবার ১৫ থেকে ২০ জন করে দর্শনার্থীদের নিয়ে মাঝি পদ্মা গড়াই মহানার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। প্রতি একবার ঘুরে আসার পর নৌকা মাঝিদের ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা ইনকাম হয়। ব্রিজের নিচে গড়াই নদীর তীরে প্রতিদিনই বিকেলে অনেক মানুষের ভিড় জমে। এতে করে নৌকা মাঝিদের ব্যবসা খুব ভালোই হয়। আর শেষের দুইটা ছবি হলো পদ্মা নদীর শাখা নদী থেকে তোলা। এই ছোট ছোট নৌকা দুটি নদীতে জাল পাতা এবং জাল থেকে মাছ উঠানোর কাজে ব্যবহার করা হয়।
আমার পোস্টটি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
আমার নাম,মোঃ আব্দুল্লাহ। আমার বাসা কুষ্টিয়া জেলা, খোকসা থানায়,আমবাড়িয়া ইউনিয়নে,গোসাইডাঙ্গী গ্রামে। কিন্তু ,আমি লেখাপড়ার জন্য কুষ্টিয়া সদরে থাকি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে, কম্পিউটার ডিপার্টমেন্টে লেখাপড়া করছি। আমার ফটোগ্রাফি এবং ভ্রমন করতে খুব ভালো লাগে। আমার ফটোগ্রাফি করতে ভালো লাগলেও, খুব একটা ভালো ছবি আমি তুলতে পারিনা। আশা করি খুব তাড়াতাড়িই আমার ফটোগ্রাফি গুলো আরো ইমপ্রুভমেন্ট করতে পারব। (ধন্যবাদ সবাইকে )
ঐতিহ্যবাহী সামুদ্রিক নৌকা নিয়ে অনেক সুন্দর দেখেছেন ভাইয়া। প্রাচীনকালে প্রতিটি নদীর ঘাটে এরকম নৌকা দেখা যাইতো। তবে এখন প্রতিটি নদীতে ব্রিজ হওয়ার কারণে নৌকা তেমন একটা দেখা যায় না। গ্রামের মানুষেরা আগে নদী পার হওয়ার জন্য নৌকা ব্যবহার করত। আর এখন মানুষেরা শখের বসে নৌকায় চড়ে। জোক অনেক পরিবর্তন হয়েছে ভাইয়া। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই।
নৌকাতে চড়তে আমার বেশ ভালো লাগে। কারণ আমাদের এই দিকে তেমন নৌকা নেই তাই নৌকার চড়ার অনেক আগ্রহ আমার। কোথাও বেড়াতে গেলে এসব ঘাটে নৌকা ভাড়া করে সবাই মিলে ঘুরতাম বেশ ভালো লাগতো। ছবিগুলো অনেক সুন্দর তুলেছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই।
নৌকা নিয়ে অসাধারণ একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ভাই। ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে। বড় জলাশয় থেকে মাছ ধরার জন্য জেলেদের ব্যবহারযোগ্য একমাত্র যানবাহন হলো নৌকা। বিভিন্ন জায়গায় নৌকা দিয়ে নদী পারাপারের জন্য যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া নেয়া হয়। নৌকায় উঠতে আমার অনেক ভালো লাগে। মাঝে মাঝে আমাদের গ্রামের পাশে বয়ে চলা নদীতে নৌকায় করে বিভিন্ন জলের সাহায্যে জেলেদের মাছ ধরা দেখতেও আমার অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু।
https://twitter.com/abdullah_steem/status/1692571834460549312?t=k1ZJWGHf7P0BfWdpiV7Cyw&s=19
নৌকা আমাদের একটি ঐতিহ্যবাহী বাহন। আগেকার দিন নদী পারাপারের একমাত্র মাধ্যম ছিলো এই নৌকা। নৌকা দিয়ে বর্তমানে মাছ ধরা ছাড়া তেমন নদী পারাপার হওয়ার কাজ হয় না। অনেকেই আবার শখ করে নৌকায় উঠে। গড়াই নদীর ঘাট দেখতে বেশ সুন্দর লাগছে ভাই। ছবিগুলো সুন্দর তুলেছেন।
ধন্যবাদ ভাই।
নৌকা নিয়ে অনেক সুন্দর উপস্থাপন করছেন ভাই, নৌকা বর্ষাকালে নৌকা অনেক উপকারী মাধ্যম। মাঝ ধারার জন্য নৌকা ব্যবহার করা হয়। আমি গ্রামে থাকাকালীন সময়ে বর্ষাকালে নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে এবং শাপলা ফুল তুলতাম। আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে সেই স্মৃতি মনে পরে গেলো। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই।
নৌকাতে চলার একটা মজাই আলাদা। অন্যরকম একটি অনুভূতি কাজ করে কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো আমাদের এদিকে তেমনটা নৌকা নেই বললেই চলে। কিন্তু আমি ছোট থেকে নৌকায় চড়ে বড় হয়েছি কারণ আমার নানার বাড়ি নৌকায় পার হয়ে যাওয়ার লাগতো অনেক ভালো লাগতো নৌকা চড়তে। কিন্তু এখন ব্রিজ হয়ে যাওয়ায় আর ওই নৌকাগুলো চলে না অনেক মিস করি ছোটবেলার সেই মুহূর্তগুলো। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
ধন্যবাদ ভাই।
নৌকা নিয়ে সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরছেন ভাই। নৌকায় আমি এখনো উঠি নাই।নৌকা দিয়ে তারা মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করেন।কোন কোন মাঝি নৌকায় মাছ ধরে বিক্রি করে তার জীবিকা নির্বাহ করে।আপনি সুন্দর ভাবে আলোচনা করছেন ভাই। তাছাড়া যারা নৌকা দিয়ে যাতায়াত করে তাদের জন্য নৌকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। নৌকার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের মালামাল এপার থেকে ওপার আনা নেওয়া করে।আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ ভাই।
গ্রাম বাংলার নদী পথের এক অন্যতম অংশ হলো নৌকা। নৌকা হল প্রাচীন ঐতিহ্য এদেশের নদনদীর জন্য নৌকা ব্যবহার করা হয়।পদ্মার পাড়ের চিত্রগুলো খুব সুন্দর তুলেছেন আপনি।দেখে অনেক ভালো লাগলো খুব সুন্দর লিখেছেন ভাই। দারুন একটি পোষ্ট উপস্থাপন করেছেন আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ ভাই।