এলোমেলো আলোকচিত্র ( পর্ব ২৭ )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে কিছু এলোমেলো আলোকচিত্র শেয়ার করে নেবো। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক আজকের আলোকচিত্রগুলি।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
এই আলোকচিত্রগুলি তুলেছিলাম পুজোর সময়ে। প্রথমের এই আলোকচিত্রগুলো কালী পুজোর সময়ে মন্ডপের বাইরের থেকে তুলেছিলাম। মুখোশটা অনেক বড়ো আকারের ছিল, আর দেখতেও অনেক সুন্দর লাগছিলো। এটা বাইরের সৌন্দর্যের জন্য ডিজাইনটা দারুন ছিল। এরপর একটা চায়ের দোকানের ছবি তুলে নিয়েছিলাম, এখানে আমরা সবাই পুজো দেখে বেরোনোর সময়ে তান্দুরি চা খেয়েছিলাম, আর এই চা খেতে অসাধারণ লাগে। এরপর আরেকটা যে ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন সেটা বাচ্চাদের খেলার একটা জায়গা অর্থাৎ বাচ্চারা এর উপর উঠে লাফালাফি করে, এতে তারা খুব আনন্দ করে থাকে। এরপরে একটা লোককে লাঠি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখছেন, এই লোকটা কিন্তু আসলে এক নাগাড়ে এইভাবে মূর্তির মতো স্টিলভাবে দাঁড়িয়ে ছিল আর সাজটা সেজেছে যেমনটা স্মশানের লোকজন থাকে।
ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: কলকাতা
তারিখ: ১৩ নভেম্বর ২০২৩
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
এই আলোকচিত্রগুলি তুলেছিলাম একটা পিকনিক স্পট থেকে। এখানে জায়গা থাকলেও, ভিতরে অনেক বড়ো গ্রাউন্ড আছে। এখানে মোটামুটি খেলাধুলা করে সময় কাটানো যায় বা বেশ আনন্দময় সময় কাটানো যায়। পরিবেশটা অনেক সুন্দর ছিল এখানের, অনেক কিছু সাজানো গোছানো। এছাড়া এখানে একটা ময়ূর এবং তার পাশে দুটি মূর্তি দেখতে পাচ্ছেন, এই ভাস্কর্যগুলো দেখতে এক কোথায় অসাধারণ ছিল। মূলত কোনো পিকনিক স্পট বা কোনো সৌন্দর্যপূর্ণ জায়গা হোক না কেন, এইসব ভাস্কর্যের জন্য দেখতে অনেক ভালো লাগে। ময়ূরের ভাস্কর্যটা দেখতে দারুন লাগছিলো আসলে।
ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: সন্তোষপুর
তারিখ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
এই আলোকচিত্রগুলি তুলেছিলাম সবজি ক্ষেতের থেকে। এইগুলো শীতকালের দিকে তুলেছিলাম। এখানে কিছু টমেটো দেখছেন, এইগুলো বড়ো বড়ো হাইব্রিড জাতের। আজকাল আসলে দেশি টমেটোর চাষ তেমন একটা দেখা যায় না, সব হাইব্রিডের দিকে চলে যায়। তবে টমেটোগুলোর চেহারা দারুন ছিল, পাকাগুলোর তো আরো সুন্দর লাগছিলো দেখতে। আর শেষে একটা বেগুনের ছবি তুলেছিলাম, আসলে বেগুনটা একটা অদ্ভুত ভাবে বেড়ে উঠেছিল, আসলে ফ্রন্টে বোঝা যাচ্ছে না ঠিকই, কিন্তু বেঁকে দারুন একটা স্টাইলে বেড়ে উঠেছিল। যাইহোক, আসলে দেখতে অনেক সুন্দর লাগছিলো তাই ছবিটা তুলে নিয়েছিলাম।
ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: বালাগড়
তারিখ: ৩১ জানুয়ারি ২০২৩
Photo by @winkles
এই ছবিটা তুলেছিলাম গঙ্গার ঘাটের থেকে। আসলে এখানে অনেক জেলে বা সাধারণ লোকালয়ের লোকজন আছে, যারা ভাটা পড়লে কারেন্ট এক ধরণের জাল আছে, যেগুলো পেতে রাখে। আর এখানে প্রচুর পরিমানে মাছও ধরা পড়ে। এখানে একটা লোক দেখছিলাম জাল টেনে টেনে তুলছিলো আর তাতে বড়ো বড়ো সাইজের কৈ মাছ ধরা পড়েছিল, তা প্রায় অর্ধেক জালে ৫ কিলোর উপরে হবে। এদের কাছ থেকে কিনলে দাম কম হবে বলে গিয়েছিলাম কিনতে, কিন্তু সে ৫০০ করে বলে, ফলে আর নেওয়া হয়নি । অনেক দাম আসলে কৈ মাছের।
ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: ব্যারাকপুর
তারিখ: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
Photo by @winkles
Photo by @winkles
এই আলোকচিত্রগুলি তুলেছিলাম মঙ্গলপান্ডে পার্কের ভিতর থেকে। এখানে হাতির মাধ্যমে দারুন একটা পজিশন তৈরি করেছে বাচ্চাদের খেলার জন্য। এখানে আসলে বাচ্চাদের সাথে বড়োগুলোও আনন্দ নিতে ছাড়ে না, তাদেরই বেশি আগ্রহ হা হা। তবে হাতি আর হাতির শুঁড়ের মাধ্যমে তৈরিকৃত এই ডিজাইনটা দেখতে অনেক সৌন্দর্যমন্ডিত লাগছিলো।
ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: ব্যারাকপুর
তারিখ: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ফটোগ্রাফিগুলি এলোমেলো হলেও বিশেষ অর্থ বহন করে।প্রথম ছবিটি কিছুটা ভয়ংকর ছিল, তবে চতুর্থ ছবিটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।মনে হচ্ছে একজন তান্ত্রিকের দৃশ্য।তাছাড়া ময়ূর ও হাতির শুরের বাচ্চাদের এই রাইডটি অসাধারণ ছিল এককথায়।একবারে অনেক বিষয় তুলে ধরেছেন দাদা,যেটা দেখে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে।
দাদা আপনার তোলা আজকের এই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। এক কথায় অসাধারণভাবে আপনি এই ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন। ভিন্ন ভিন্ন জায়গা থেকে ভিন্ন ভিন্ন সময়, এই ফটোগ্রাফি গুলো করাতে দেখতে অনেক বেশী সুন্দর লাগতেছে। এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো সত্যি দারুণ হয়েছে দাদা। সবজির ফটোগ্রাফি দেখে তো আরো ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর ভাস্কর্য ও দেখলাম আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে। আর বাচ্চাদের খেলা করার জন্য এত সুন্দর একটা স্লিপার দেখে তো আরো ভালো লেগেছে। এই স্লিপার টা একেবারে নতুন স্টাইলের। বাচ্চারা এটাতে উঠতে আরো বেশি আনন্দ পাবে। পুজোর সময় তোলা সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো দেখতেও ভালো লেগেছে অনেক বেশি। মুগ্ধ হওয়ার মত এত সুন্দর ফটোগ্রাফি করে শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো দাদা। আশা করছি আপনি এরকম ফটোগ্রাফি গুলো সব সময় আমাদের মাঝে ভাগ করে নিবেন। অপেক্ষায় থাকলাম পরবর্তী ফটোগ্রাফির পর্ব দেখার জন্য।
দাদা আপনার এলোমেলোভাবে তোলা ফটোগ্রাফি গুলোর কথা আজকে আর নতুন করে কি বলবো। আপনার ফটোগ্রাফি আমার কাছে প্রতিনিয়তই অনেক বেশি ভালো লাগে দেখতে। আমি তো প্রতিনিয়তই আপনার তোলা সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো দেখার চেষ্টা করি। ভিন্ন রকমের বেশ কিছু আলোচিত্র দেখলাম আজকে। যেগুলো আপনি ভিন্ন ভিন্ন জায়গা থেকে করেছিলেন। সবজি ক্ষেত থেকে তোলা সবজির ফটোগ্রাফি অসম্ভব ভালো লেগেছে। এরকম সবজি গুলো কিন্তু তাজা তাজা রান্না করি খেতে ভালোই লাগে। পুজোর সময়ও দেখছি অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। পূজোর প্যান্ডেলটা অনেক বেশি সুন্দর ছিল। পিকনিক স্পট থেকে তোলা ফটোগ্রাফিও ভালো লেগেছে। এরকম জায়গা গুলো আমার অনেক বেশি পছন্দের। আর মঙ্গল পান্ডে পার্ক থেকে তোলা বাচ্চাদের খেলাধুলা করার রাইড এর ফটোগ্রাফিটা দেখে আমি তো মুগ্ধ। কারণ হাতির ভাস্কর্যের এরকম সুন্দর রাইড প্রথমবারের মতো দেখেছি। ধন্যবাদ দাদা আপনাকে। সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
বাহ্! মাত্র একটি পোস্টের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম। ফটোগ্রাফি গুলো এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে দাদা। পূজার সময় তোলা ফটোগ্রাফিগুলো সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। তাছাড়া গঙ্গার ঘাটের ফটোগ্রাফিটাও দারুণ হয়েছে। সব মিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
আপনি তো খুব সুন্দর আলোকচিত্র শেয়ার করলেন দাদা দেখে ভালো লাগলো। একটি অ্যালবামের মধ্যে বিভিন্ন ক্যাটাগরির আলোকচিত্র আপনি শেয়ার করলেন। পুজো মন্ডপ থেকে নেওয়া আলোক চিত্রগুলো দারুণ হয়েছে। এছাড়াও প্রাকৃতিক দৃশ্যের আলো্কচিত্র গুলো অনেক ভালো লাগে আমার সব সময়। খুব সুন্দর করে ক্যাপচার করলেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আলোকচিত্র গুলো শেয়ার করার জন্য।
পুজোর সময় করা বিভিন্ন ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো দাদা। আর পার্কের ফটোগ্রাফি দেখেও ভালো লাগলো। হাতির সুর এবং অন্যান্য ডিজাইন খুবই সুন্দর হয়েছে। গঙ্গার পাড়ের ফটোগ্রাফিও দারুন হয়েছে দাদা। ধন্যবাদ আপনাকে দারুন সব ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
এলোমেলো আলোকচিত্র দেখতে আমার সব সময়ই ভীষণ ভালো লাগে।কারন এতে করে একই আলোকচিত্রের পোস্টে নানা রকমের আলোকচিত্র দেখা যায়। যা দেখতে আমার ভীষণ ভালো লাগে।আপনি আজ একই পোস্টে আলাদা আলাদা ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন দাদা । প্রতিটি ফটোগ্রাফি ও তার সুন্দর বর্ননা আমাকে ভীষণ আকৃষ্ট করেছে।ধন্যবাদ দাদা সুন্দর বর্ননার মাধ্যমে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। অনেক অনেক অভিনন্দন দাদা আপনার জন্য। ভালো থাকবেন সব সময়।
দাদা, দারুণ উপভোগ করলাম সবগুলো ছবি। তবে সবচেয়ে বেশি ভাবিয়েছে আমাকে এই ছবিটা।
কৈ মাছ দেশী হওয়াই দাম বেশি চাই দাদা। এটা আমাদের দিকেও। ক্ষেত থেকে টমেটো এবং বেগুনের ফটোগ্রাফি গুলো বেশ দারুণ করেছেন। পিকনিক স্পট থেকে করা ফটোগ্রাফি গুলো বেশ চমৎকার ছিল। সবমিলিয়ে দারুণ করেছেন ফটোগ্রাফি গুলো। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।