ওয়েব সিরিজ রিভিউ: ক্রিমিনাল জাস্টিস: অধুরা সাচ ( সিজন ১: পর্ব ৩ )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে "ক্রিমিনাল জাস্টিস: অধুরা সাচ" ওয়েব সিরিজটির তৃতীয় পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "বেইল ডিনাইড"। গত পর্বে দেখা গিয়েছিলো যে, মুকুলকে জুভিনাইল জেলে নিয়ে গিয়েছিলো এবং তার মা মাধব নামের এক উকিলের সাথে এই বিষয়ে পরামর্শ করতে গিয়েছিলো। এই পর্বে দেখা যাক কি হয়।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
❄মূল কাহিনী:❄
তো মুকুলের জন্য তার মা মাধব নামের একজন উকিলের কাছে যায়। এরপর তাকে মোটামুটি ছোট ছোট সবকিছু বিষয় খুলে বলে। এরপর পরেরদিন মুকুলের কেস জুভিনাইল কোর্টে ওঠে। সেখানে আবার একজন সরকারি উকিলও আছে, যে মুকুলকে দোষী করে সাজা দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। এটা যেহেতু তার প্রথম কেস, তাই সে যেকোনোভাবে জিততে চায়। তবে মুকুলের যেহেতু বয়স কম, মাইনোরিটি, তাই সেই হিসেবে আইন অনুযায়ী মাধব এর কাছে বেইল পেয়ে যাওয়ার কথা। কোর্টে মাধব মোটামুটি সবকিছু পেশ করে আর তাতে বেইল দিয়ে দেওয়ার মতোই অবস্থা ছিল। কিন্তু যে সরকারি উকিলটা তার বিরুদ্ধে লড়ছিল, তার কাছে মুকুলের কলেজ লাইফের একটা ঘটনা অর্থাৎ ভিডিও ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় লিক হয়ে যায়। আর এতে সমস্যাটা আরো বেড়ে যায়।
কারণ ওই ভিডিওতে মুকুলকে দেখা যায় একজনের সাথে ঝগড়া করতে আর তার একটা চোখও ফাটিয়ে দেয়। এটা অত্যন্ত একটা ভায়োলেন্স ছিল, ফলে জজ সরাসরি বেইল ডিনাইড করে দেয়। এদিকে মুকুল যে জুভিনাইল জেলে আছে, সেখানে কিছু গুন্ডা টাইপ এর ছেলেবেলা আছে, প্রায় তার মতোই বয়স বা তার থেকে কিছু ১-২ বছর বড়ো। তো এখানে তাকে একপ্রকার বিরক্ত করতে লাগে। ওখানে আবার যেসব জুভিনাইল অফিসার আছে, তার মধ্যে কয়েকজনকে টাকা খাইয়ে বিভিন্ন প্রকার নেশা করে থাকে, যেমন গাঁজা, হিরোয়িন ইত্যাদি। মুকুলের আবার এইসবের প্রতি নেশা আছে প্রবল। তাই সে দেখে ফেলে এই বিষয়টা। এরপর ওখানে একজনের সাথে যোগাযোগ করে আর তার কাছে এইসব চায়। কিন্তু তা নিতে গেলে আবার টাকা দেওয়া লাগবে।
তো এদিকে জারা অর্থাৎ তার বোনকে শেষ বিদায় দেওয়ার জন্য তাকে স্মশান ঘাটে নিয়ে যায়। কিন্তু তার দ্বিতীয় ফাদার তাকে এলাও করিনি। কারণ তাকে দোষী মনে করছে এখনো। এরপর তার অরিজিনাল বাবার কাছ থেকে ৩০০০ টাকা নিয়ে জেলে যায়। আর এরপর ওই টাকা দিয়ে নেশার জিনিস নেওয়ার জন্য একদিন রাতে ছাদের উপরে যায়। কিন্তু ওখানে সেইসব অসভ্য ছেলেরা তাকে মারধর করে আর তাকে জলের ট্যাঙ্কের মধ্যে ফেলে দেয়। এদিকে আবার এই মার্ডারের সাথে মিডিয়া আরেকটা কেস জুড়ে দিয়েছে। মার্ডারের সাথে রেফ এর মতো একটা জঘন্য বিষয় জড়িয়ে দিয়েছে, কিন্তু ফরেনসিক রিপোর্ট অনুযায়ী এইসবের কোনো নিশানাও নেই পুলিশের কাছে। মিডিয়ার কাজ হলো তিলকে তাল বানানো। কেসটাকে আরো জটিল পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে।
❄ব্যক্তিগত মতামত:❄
মূলত এই কেসের একটা জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে মুকুলের আগের ব্যবহারগুলো। কারণ এইধরণের ব্যবহার তার এই কেসের প্রতি মারাত্মক ইফেক্ট পড়ছে। মুকুলের মেইনলি একটু মাথা গরম আছে, কেউ কিছু উল্টোপাল্টা বললে মাথা ঠিক রাখতে পারে না। এখন যে ছেলেটার চোখ ফাটিয়েছিলো, তার বাবা-মাকে মুকুলের মা টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করে দিয়েছিলো। কিন্তু তারাই আবার টাকা খেয়ে সেই ভিডিও লিক করে দিয়েছে। সেটা অবশ্যই সেই সরকারি উকিলটা এইসব পুরানো রেকর্ড খুঁজে খুঁজে বের করেছে। এখন এটাই তাদের মহান অস্ত্র হয়ে গিয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া এখানে আরো একটা সমস্যা হচ্ছে, জারা যেহেতু একজন এক্টর ছিল, আর পাবলিক সবাই তাকে অনেক পছন্দ করতে। আর পাবলিক তো মুকুলের বিরুদ্ধে অসম্ভব ক্ষেপে আছে, তাকে সাজা দেওয়ানোর জন্য। মূলত মিডিয়া আর পাবলিক ভীষণ ক্ষেপা। ফলে মুকুলের কেস জটিল হয়ে যাচ্ছে পরপর। দুইবার দুইবার বেইল ডিনাইড হয়ে গিয়েছে। এখন এদিকে জুভিনাইল জেলে মুকুলের উপরেও অত্যাচার হচ্ছে।
❄ব্যক্তিগত রেটিং:❄
৮.৯/১০
❄ট্রেইলার লিঙ্ক:❄
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ক্রিমিনাল জাস্টিস: অধুরা সাচ এই ওয়েব সিরিজের প্রথম সিজনের তৃতীয় পর্বের রিভিউটা আমার অনেক ভালো লেগেছে। এখন দেখছি সবাই মুকুলের বিরুদ্ধে চলে গিয়েছে। কারণ সবকিছুই তার বিরুদ্ধে। সবাই তার উপর ভীষণ ক্ষেপে থাকার কারণে, তার কেসটাও আস্তে আস্তে জটিল থেকে জটিল হয়ে যাচ্ছে । আসলে মিডিয়া সব সময় এরকম বিষয়গুলো নিয়েই ব্যস্ত থাকে। কিভাবে তারা ছোট একটা বিষয়কে বড় করবে এটা ভাবে। এখন দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কি হয়। অপেক্ষায় থাকলাম দাদা পরবর্তী পর্বের রিভিউটা পড়ার জন্য।
আসলেই দাদা মিডিয়া তিলকে তাল বানাতে পারে খুব ভালোভাবে। মুকুলের জামিন হওয়াটা খুব মুশকিল হয়ে যাবে দেখছি। তাছাড়া জেলের মধ্যেও মুকুল বেশ ঝামেলার মধ্যে আছে। কিন্তু মুকুল যদি টাকা পেতো সবসময়, তাহলে জেলে বসেই ইচ্ছেমতো নেশা করতো। দেখা যাক মুকুল পরবর্তীতে বেইল পায় নাকি। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।
দাদা আপনি অনেক সুন্দর করে এই ওয়েব সিরিজের প্রতিটা পর্বের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন। আজকের এই পর্বটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। মিডিয়া কোথায় কি পাবে এটাই চিন্তা করে। তারা সবসময় তিলকে তাল বানানোর জন্য প্রস্তুত থাকে। ঠিক এটাই করে থাকে প্রতিটা ক্ষেত্রে। যে রকমটা এখন করছে। আর মুকুলের জন্য সবকিছু আস্তে আস্তে কঠিন হচ্ছে। কারণ এখন সবকিছু তার বিরুদ্ধে। শেষ পর্যায়ে কি হবে এটাই দেখতে হবে। সেই পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকলাম।