খাবারে বিষক্রিয়ার প্রভাব...
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
Copyright free image source: pixabay
আজকে আপনাদের সাথে একটি সাধারণ লেখা শেয়ার করে নেবো। এই বিষয়টা সাধারণত বিহারের রাজ্যের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে। আসলে বিষয় কিছুটা হলেও কাকতালীয় ঘটনার সম্মুখীন। আসলে ওখানে একই দিনে দুটি রাজ্যে এই ঘটনাটা ঘটেছে। ঘটনাটা হলো, ওখানে হঠাৎ খাদ্যের মাধ্যমে অনেকের মধ্যে বিষক্রিয়ার প্রভাব ছড়িয়ে পড়ে। এখন ওখানে আসলে অনেকের দাবি যে, ওই খাবারের মধ্যে টিকটিকি পড়েছিল আর তার ফলেই সবার মধ্যে এই বিষক্রিয়া ছড়িয়ে পড়ে। এখন এটা দুটি রাজ্যের মধ্যে একটি গ্রামে ঘটেছে আবার আরেকটি রাজ্যের একটি সরকারি কলেজে ঘটেছে। গ্রামের যে ঘটনাটা ঘটেছে সেখানে নাকি খিচুড়ি রান্না করেছিল আর তার মধ্যেই টিকটিকি পড়েছিল আর ওই খাবার খায় অনেকজন শিশু, আর প্রত্যেকটা শিশুর বয়স ৫ বছরের মধ্যে।
তাহলে কি অবস্থা একবার ভাবুন, এতো ছোট ছোট বাচ্চার শরীরে এই বিষক্রিয়ার প্রভাব কতটা খারাপ হতে পারে, কারণ সেটার ধারণ ক্ষমতাও তাদের শরীরে থাকা উচিত, কিন্তু এই বয়েসে সেটা সম্ভব না। প্রায় ১০ জনের বেশি শিশুর খারাপ অবস্থা হয়ে যায়। এরপর আরেক জায়গায় কলেজে খাবার ছিল নাকি চিকেন। আর কলেজে অনেকজনই থাকে একসাথে হোস্টেলে খাওয়াদাওয়া করতে গেলে। তো ওখানে সবাই খাওয়ার পরে তাদের মধ্যে একজন নাকি তার পাত্রে টিকটিকি পায়। তবে খেয়েছে প্রায় ১০০ জনের উপরে, এখন তার মধ্যে ৭০+ অসুস্থ। আচ্ছা, তাহলে যে বাকি কয়জন খেলো তাদের শরীরে কেন এই বিষক্রিয়ার প্রভাব পড়লো না, এই কয়জন কেন অসুস্থ হলো!
একই খাবার যদি এতজন মানুষ খেতে পারে, তাহলে সবার শরীরেই ইফেক্টটা পড়া উচিত। সে যাইহোক, অনেকের শরীরে ইফেক্ট পড়েনি এটা ভালো খবর, কিন্তু বাকিদের অবস্থা আসলে অনেক খারাপ হয়ে গিয়েছিলো নাকি যা শুনেছিলাম। টিকটিকি পড়ুক বা তার মল, এটা খুবই বিষাক্ত। এর ফলে আসলে বমি, পেটে ব্যাথা সহ বিভিন্ন ধরণের সমস্যা হয়ে থাকে। তবে বিষয় হলো দুটি জেলায় একই ঘটনা কিভাবে হলো! একটা কাকতালীয় ঘটনা ঘটে গিয়েছে আসলে। তবে চিকিৎসার পরে এখন নাকি অবস্থা কন্ট্রোলে আছে সবার।
তবে এই ঘটনাগুলো হয়ে থাকে অনেকসময় যে, খাবার তৈরি বা পরিবেশনের সময়ে পড়তে পারে। সম্ভবত পরিবেশনের সময়েই পড়েছে যা মনে হলো, কারণ রান্নার সময়ে পড়লে তো রান্নাই হয়ে যেত হা হা। এইগুলো হোস্টেলে বা গ্রামের যেখানে খিচুড়ি পরিবেশন করেছে, ওখানেই খামখেয়ালির ফলেই এইটা ঘটেছে। তবে এই বিষয়গুলোতে সচেতন না হলে খুবই সমস্যা, কারণ যে খাবারটা সবাই খাচ্ছে, সেটা তৈরি এবং পরিবেশনের উপরেও গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
কি আর বলবো দাদা টিকটিকি আমার খুবই অপছন্দ।টিকটিকি দেখলে আমি সেখানে যাব ই না,সরে না যাওয়া পর্যন্ত।আর তা যদি খাবারে পাওয়া যায়। গা গুলিয়ে উঠলো আমার।যাই হোক খাবারে সচেতনতা খুব জরুরী। এতো গুলো মানুষ অসুস্থ হয়ে গিয়েছিল।চিকিৎসা নেয়ার পর তারা সুস্থ হয়েছে জেনে ভালো লাগলো।
টিকটিকি মাকড়শা এগুলোতে অনেক প্রয়োজন থাকে। যদি ভুলক্রমে কোন খাবারের মধ্যে এগুলো পড়ে যায় এবং রান্নার সাথে যুক্ত হয়ে যায় তাহলে খবর খারাপ। ঠিক তেমনটাই ঘটেছে আপনার আজকের এই পোষ্টের ঘটনার মধ্যে। বাচ্চাদের অবস্থা যেমন খারাপ তেমন বয়স্কদের অবস্থা ও কারণ এগুলো তো এক প্রকার বিষাক্ত জিনিস। তাই রান্না করার সময় আমাদের ভেবেচিন্তে রান্না করতে হবে এবং দেখেই রান্না করতে হবে। কারণ যে কোন মুহূর্তে এই জাতীয় জিনিসের কারণে মানুষের ভোগান্তির শিকার হতে হবে।
আসলে এমন কাকতালীয় ঘটনা অনেক সময় ঘটে থাকে। তবে খাবার খেয়ে যাদের পেটে সমস্যা হয়েছে, তারা এখন কিছুটা হলেও সুস্থ আছে, এটা জেনে খুব ভালো লাগলো। আসলেই খাবার রান্না করার সময় এবং পরিবেশন করার সময় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
এমন ঘটনা আমাদের সমাজে অহরহ ঘটে চলেছে।যতদূর মনে হচ্ছে এইরকমই একটি ঘটনা আপনি পূর্বেও শেয়ার করেছিলেন আর সেটার বিষয় টিকটিকি ছিল না তেলের ছিল।যাইহোক আজকের ঘটনাটি পড়েও খুবই খারাপ লাগলো, সচেতন থাকাটা খুবই জরুরী ছিল।বিষয়টি তুলে ধরার জন্য,ধন্যবাদ দাদা।