আউটস্ট্যান্ডিং ইনিংস রোহিতের!
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
Image Created by OpenAI
আজকে আপনাদের সাথে খেলাধুলা বিষয়ে পোস্ট শেয়ার করে নেবো। টি২০ সিরিজ এর পরে এখন ৫০ ওভারের সিরিজ খেলা চলছে। ইতোমধ্যে দুটি সিরিজ শেষ হয়ে গিয়েছে। প্রথম সিরিজে খেলাটাও দারুণ হয়েছিল। ইংল্যান্ড প্রথম সিরিজে টস জিতে ব্যাটিং করেছিলো ঠিকই, কিন্তু স্কোর তেমন ভালো করতে পারেনি। সে ক্ষেত্রে ইন্ডিয়া খুব সহজেই রান তুলে ফেলেছিল। ওই ম্যাচে যদিও আবার কোহলি খেলেনি । গতকাল দ্বিতীয় সিরিজে খেলেছিল, কিন্তু স্কোর করতে পারেনি। গতকালও ইংল্যান্ড টস জিতেছিল আর সেম আগের সিরিজ এর মতো আগে ব্যাটিং এর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো। তবে এই দ্বিতীয় সিরিজের খেলা তারা বেশ ভালোই শুরু করেছিলো।
প্রথম পাওয়ার প্লে তে মোটামুটি যে রান তুলেছিল, তাতে এটাই মনে হয়েছিল যে, রান আজকে ৩০০ মিনিমাম তো হবেই। কিন্তু পরে দ্বিতীয় পাওয়ার প্লে তে তেমন একটা স্কোর বেশি করতে পারেনি। এতে রান তেমন হওয়ার সম্ভাবনা একদমই নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো বলতে গেলে, আর তারপরে ৪-৫ টা উইকেট পড়ে গিয়েছিলো। লাস্ট ১০ ওভারে রান এতটা উঠবে ভাবা যায়নি, আমি ধরে নিয়েছিলাম মিনিমাম ২৫০ আর সর্বোচ্চ হলে ২৮০ । কিন্তু লাস্ট পর্যায়ে সবাই যেকোনো মূল্যে টেনে ৩০০ ক্রস করে দিয়েছিলো। এতে উইকেটও সব পড়ে গিয়েছিলো, হাতে যদিও আবার ১ ওভার বেঁচে ছিল।
ইন্ডিয়া এই সিরিজে ফিল্ডিং মারাত্মক করেছে। সবাই ভালো করেছে বলতে গেলে, কোহলি দারুণ একটা বাউন্ডারি বাঁচিয়ে ছিল, আবার অনেকে ক্যাচও দারুণ ধরেছে। মোট কথা ফিল্ডিং একদমই মিস হয়নি। ইন্ডিয়া সত্যি বলতে এই রান চেজ করতে গিয়ে যেনো জল ভাতের মতো খেলেছে। এটা সত্যি মানতে হবে যে, রোহিত যে সিরিজে দাঁড়িয়ে যায় বা মার শুরু করে, সেটা আসলে ৫০ ওভারের খেলা হয় না। হয় যেটা, টি২০ বা টি১০। এই সিরিজেও ঠিক তেমনই খেলা হয়েছে। রোহিত এসেই ৬ মারা শুরু করে দিলো। যখন ১৯ ওভারে ১৫০+ রান, তখনই ভাবলাম এই রান তুলতে আর তৃতীয় পাওয়ার প্লে অব্দি যাওয়া লাগবে না। আর সাথে গিলও খেলেছিলো ভালোই।
গিল পরে পড়ে গেলেও রোহিত টিকে ছিল। আর ও যেদিন দাঁড়ায়, সেদিন সেঞ্চুরি না করে ছাড়ে না। যদিও এই খেলায় মাঝে লাইট এর প্রব্লেম দেখা দিয়েছিলো। বেশিক্ষণ এই সমস্যা হলে আবার রান ওভার সব কেটে দিতো। যদিও এতে ফায়দা ইন্ডিয়ারই হতো। সে যাইহোক, সমস্যা বেশি হয়নি, তবে রান উঠেছে রকেট এর বেগে। মোটামুটি সবাই এসে দারুণ খেলেছে। এটা পুরোটাই ব্যাটিং পিচ ছিল, ইংল্যান্ড যদি পরে ব্যাট করত, তাহলে চান্স থাকতো। তবে শ্রেয়াস এর আউটটা একদমই বাজে ছিল। আসলে এতে অক্ষর এরও কোনো ভুল ছিল না, কারণ অক্ষর অনেক আগেই দৌড়াতে মানা করেছিলো। কিন্তু শ্রেয়াস না দেখেই অনেকদূর দৌড়ে চলে গিয়েছিলো।
আদিল রান আউট করতে ভুল করেনি, সেক্ষেত্রে। শ্রেয়াস টিকে থাকলে হাফ সেঞ্চুরিটা করতে পারতো। আর সেট ব্যাটসম্যান হিসেবে রান আরো দ্রুত করতে পারতো দলীয় রানের ক্ষেত্রে। সে যাইহোক, তারপরেও রান অনেক দ্রুত উঠে গিয়েছিলো। এই নিয়ে পর পর দুটি সিরিজ হারলো, ইংল্যান্ড এর আসলে ফরম তেমন নেই। কারণ ব্যাটিং এর দিক থেকে মোটামুটি রান করতে পারলেও বল আর ফিল্ডিং এর ক্ষেত্রে অবস্থা খারাপ। সেই সাথে এই সিরিজটাও হারলো । যদিও আরো একটা সিরিজ বাকি, যদি হোয়াইটওয়াশ হাত থেকে রক্ষা করতে পারে এই সিরিজে।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
রোহিত শর্মা আমার খুব পছন্দের একজন ব্যাটসম্যান। সে যদি ক্রিজে কিছুক্ষণ টিকে থাকতে পারে,তাহলে বেশিরভাগ সময়ই অনেক বড় ইনিংস খেলে থাকে। ইন্ডিয়া এই ওয়ানডে সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে গিয়েছে অর্থাৎ এই সিরিজ জিতে নিয়েছে। আশা করি তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচও ইন্ডিয়া জিতে নিবে। এতে করে চলতি সিরিজে ইংল্যান্ড হোয়াইট ওয়াশ হবে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
ভারতীয় খেলোয়াদের ফিল্ডিং সবসময় দারুণ। এরা একটা রান বাঁচাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে। এটা সম্ভবত রোহিতের ওয়ানডেতে ৩২ অথবা ৩৫ তম সেঞ্চুরি ছিল। দারুণ ব্যাটিং করেছিল রোহিত শর্মা। সত্যি প্রশংসনীয়।