নব্বই দশকের ২৫ এবং ৫০ পয়সা
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
Image Created by OpenAI
আজকে আপনাদের সাথে একটি সাধারণ লেখা শেয়ার করে নেবো। বিষয়টা হলো আমাদের ৯০ দশকের দিকের ২৫ পয়সা আর ৫০ পয়সা নিয়ে। তখনকার সময়গুলোতে এই কয়েনগুলোর কদর ছিল খুব। ছোট ছোট এই পয়সাগুলো তখন দৈনন্দিন জীবনে একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হতো প্রতি ক্ষেত্রে। ছোট ছোট পেমেন্ট এর ক্ষেত্রে এইগুলো ব্যবহার করা হতো। তবে এই কয়েনগুলো নিয়ে অনেক স্মৃতি আছে আমাদের। এই কয়েনগুলো নিয়ে তখন আমরা খাবার খাওয়ার জন্য বা অন্য কোনোকিছু কেনার জন্য খুব ব্যবহার করতাম। তবে এই কয়েনগুলোর কদর অনেক থাকলেও পরে আস্তে আস্তে সেটা কমতে থাকে। আগে ২৫ পয়সা দিয়ে খাবার কিনে খাওয়া যেত, যেমন চকোলেট এইসব।
তবে অন্যান্য বড়ো কোনো জিনিস কিনতে গেলে যেমন আমরা এখন ১ টাকার কয়েন ব্যবহার করি, তখন এই ২৫ পয়সা ৪ টা ব্যবহার করলে এক টাকা হিসেবে ব্যবহার হতো, এক্ষেত্রে ৫০ পয়সার বিষয়টাও একই, ২ টো ব্যবহার করলে একই ব্যাপার হয়। এই দুইধরনের কয়েনগুলোর ডিজাইন অন্যরকম ছিল। আর এইগুলো ধাতু হিসেবে cupro-nickel এর ব্যবহার করা হতো, যা তামা আর নিকেলের মিশ্রনে হয়ে থাকে, অনেকেই জানেন সেটা । এইগুলো অনেক ক্ষেত্রে কয়েনগুলোতে কিছু কিছু জায়গায় নকশার পরিবর্তন করা হতো, যখন এই কয়েনগুলোর কদর বেশি ছিল। কিন্তু এর মূল মুদ্রিত নকশা একইরকম ছিল। তবে কয়েনগুলো দেখতে দারুন লাগতো, ডিজাইনগুলো একটু ভিন্ন স্টাইলের ছিল।
৯০ দশকের শেষের দিক থেকে ধীরে ধীরে এর কদর অনেকটাই কমে যায় এবং ব্যবহারও কমে যেতে থাকে। আমি বা আমরা এই কয়েনগুলো দিয়ে প্রচুর চকোলেট, বিস্কুট এইসব কিনে খেতাম। একটা আলাদা মজা ছিল এইসব বিষয়ের মধ্যে। ওই যে বললাম ২৫ পয়সাকে ৪ টা আর ২৫ পয়সাকে ২ টা করে চলতো দোকানগুলোতে খুচরা হিসেবে। তবুও অনেক ক্ষেত্রে নিতে চাইতো না সরকারিভাবে বন্ধ না করলেও। তবে এর ব্যবহার আস্তে আস্তে এতটাই কমে যায় যে, সরকার এটির ব্যাপারে বন্ধ করার সিদ্ধান্তে চলে আসে, ২০১০ সালের পরের থেকে পুরোপুরি বন্ধ ঘোষণা করে দেয়।
এইরকম কয়েনগুলোর যেমন ধীরে ধীরে ঐতিহ্যতা হারিয়েছে, তেমনি এখন ১ টাকার কয়েনগুলোতে বিষয়টা একইরকম বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে অর্থাৎ ছোট যে এক টাকার কয়েন আছে, সেগুলোর কদর ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে। অনেক জায়গায় খুচরো লেনদেনে নিতেই চায় না। যদিও আপনি যদি বলে থাকেন যে, সরকার তো বন্ধ ঘোষণা করেনি, তাহলে চলবে না কেন! কিন্তু তারা আপনাকে এমনভাবে বোঝাবে যে, সরকার তারাই আর দেশ তাদের কোথায় চলছে হা হা।
তবে যাইহোক, এইগুলো বর্তমানে একটা স্মৃতি হয়ে রয়েছে এখন, ঐতিহাসিক বিষয় ছিল এইসব কয়েনের ব্যাপার নিয়ে। এখন এই কয়েনগুলো না চললেও স্মৃতি হিসেবে সংরক্ষিত আছে। এইগুলো অর্ডার করলে পাওয়া যায়। এইগুলো সংরক্ষণের মাধ্যমে সেই সময়ের স্মৃতিটা পরবর্তী সময়ের বা এখনকার সময়ের মানুষের কাছে এই কয়েনগুলোর ইতিহাস তুলে ধরা যে, এইধরণের কয়েনগুলোও একসময় চলতো।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
একদম সঠিক বলেছেন দাদা। এই ২৫ বা ৫০ পয়সা সঙ্গে আমাদের অনেক স্মৃতি জুড়ে আছে। এছাড়াও দশ পয়সা কুড়ি পয়সাও তখন ব্যবহার করতাম। কিন্তু ধীরে ধীরে এগুলি সব উঠে যেতে লাগলো। শেষ পর্যন্ত ৫০ পয়সাটাও বাজার থেকে উঠে গেল। খুব খারাপ লাগতো সেই সময়। এখন তো বলতে গেলে এক টাকাও চলে না। আপনার পোস্টটি ছেলেবেলা মনে করিয়ে দিল। কুড়ি পয়সার হজমি খাওয়ার জন্য স্কুলের দরজায় লাইন দিতাম। সব থেকে মজা লাগতো, চার আনা আর আট আনা বলতে। এই আনার ব্যবহার বর্তমান প্রজন্ম আর জানলো না। অনেক ধন্যবাদ এমন সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করবার জন্য।
নব্বইয়ের দশকে তো দাদা দশ পয়সা কুড়ি পয়সাও চলত৷ আমাদের হাতে দশ পয়সা থাকা মানে অনেক৷ একটাকা মানে আমরা নিজেদের বড়লোক ভাবতাম। দশ পয়সা কিন্তু অ্যালুমিনিয়ামের হত৷ কুড়িপয়সাও। এখন সময়ের সাথে কোন কিছুই নেই৷ যেভাবে এক টাকার নোট, দু'টাকার নোট নেই বাজারে৷ ভবিষতে হয়তো আরও অনেক কিছুই থাকবে না৷
ভালো লাগল আপনার পোস্ট পড়ে৷
ছোটবেলায় ২৫ পয়সা,৫০ পয়সা দিয়ে আমরাও অনেক কিছু কিনে খেতাম দাদা। পরবর্তীতে ৫ টাকার কয়েন বের হয়েছিল। ৫ টাকার কয়েন এখনো রয়েছে, তবে ব্যবহার খুবই সীমিত। আপনার পোস্টটি পড়ে ছোটবেলার স্মৃতি মনে পড়ে গেলো দাদা। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
২৫ পয়সা ৫০ পয়সার প্রচলণ আমি দেখেছি। তবে সেটা খুব বেশি না। কিন্তু এক টাকা আমি অনেক ব্যবহার করেছি। যদিও এখন এগুলো আর ব্যবহার করা হয় না। আমার কাছে আমাদের দেশের ২৫ এবং ৫০ পয়সার কয়েন সংগ্রহ করা আছে। এগুলো এখন খুজে পাওয়াও দুস্কর।