ক্রিমিনাল জাস্টিস: অধুরা সাচ ( সিজন ১: পর্ব ৪ )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে "ক্রিমিনাল জাস্টিস: অধুরা সাচ" ওয়েব সিরিজটির চতুর্থ পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "সেকশন ১৫"। গত পর্বে দেখেছিলাম যে, জুভিনাইল জেলের ভিতরে মুকুলকে ছাদে একটি জলের ট্যাংক এর ভিতরে ফেলে দিয়েছিলো। এই পর্বে দেখা যাক কি হয়।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
✠মূল কাহিনী:✠
তো মুকুলকে ট্যাংক এর ভিতরে ফেলে দিলে ওখানে একটা ছেলে তাকে সেখান থেকে টেনে বের করে। আর কিছুক্ষন ওর ভিতরে থাকলে মারা যাওয়ার সম্ভাবনাও। তবে ওখানে ভিতরে একটা রড ছিল, আর ওখানে বেরোনোর সময়ে লেগে মাজার দিকে গভীর ক্ষত হয়ে কেটে যায়। এরপর ওখানে জেলের মধ্যে মেডিকেল ট্রিটমেন্ট দেওয়া হয়, তো ওখানে জিজ্ঞাসা করলে সেই ছেলেগুলোর কথা বলে দেয় আর যে মেইন অফিসার ওখানে, তাকে বলে দেয়। এরপর তাদের মোটামুটি থ্রেড দিয়ে দেয় যে, তার গায়ে আর ঘেষলে তাদেরই খাওয়া বন্ধ করে দেবে। যাইহোক, ওখানে মোটামুটি ট্রিটমেন্ট করার পরে এখন যে পাবলিক প্রসিকিউটর আছে, সে মোটামুটি তার এডাল্ট ট্রায়াল দেওয়ানোর জন্য কোর্টে আর্জি জানায়। এখন মেইন বিষয় হলো, এই পাবলিক প্রসিকিউটর মুকুলকে যাবতজীবন জেল খাটানোর প্ল্যান করছে।
কিন্তু সে যেহেতু মাইনর হিসেবে আছে, তাই সে যত বড়ো ক্রাইম করুক না কেন, বড়োজোর ৩-৪ মাসের জেল হতে পারে। কিন্তু যদি কোনোমতে এডাল্ট প্রমান করতে পারে, তাহলে তার জেল থেকে বেরোনো একপ্রকার অসম্ভব করে দেবে। আর এই মার্ডার কেসে বেইলও পাবে না। এদিকে মুকুলের মায়ের তো সন্দেহ আছে মতি নামের একটা লোকের উপরে, কারণ প্রায় সময় জারার আশেপাশে ঘোরাঘুরি করতো। তো পুলিশকে ফোন করে জানালে গৌরী নামের অফিসার সেই হিসেবে তার কাছে ইনভেস্টিগেশন করতে যায়। আর তার ফোন এও জারার ছবি আছে আর তার ওখানে অ্যাসিড এর টবও ছিল। এখন যেহেতু জারার মুখ এবং শরীর অ্যাসিড দিয়ে গোলানো হয়েছে, তাই সন্দেহটা আরো বেড়ে যায় মতির উপরে। গৌরী ওখান থেকে অ্যাসিড এর টব নিয়ে ফরেনসিক ল্যাবে পাঠায়, কিন্তু সেখানে এই মার্ডারের সাথে কোনো প্রমান ম্যাচ হয় না। কিন্তু তার প্রতি একটা সন্দেহ আছেই।
এদিকে মুকুলের উকিল মাধব ক্রাইম স্পটগুলোতে গিয়ে পুনরায় সবকিছু আবার চেক করে, যাতে কোনো প্রমান হাতে লাগে। এদিকে কোর্ট এর নির্দেশ অনুযায়ী মুকুলের উপর এডাল্ট এর ট্রায়াল শুরু হয়ে যায়, কিন্তু সবকিছু তার কথা শোনার পরে মনে হয়নি যে, সে এইধরণের মার্ডার করতে পারে, কারণ যে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত থাকে অধিক নেশার ফলে, তার ভাবনায় এতো কিছু করে মার্ডার করার প্ল্যান আসে না। তাই তাকে জুভিনাল জেলেই রাখার দাবি করে। কোর্ট মেনেও নিয়েছিল, কিন্তু মাঝখানে পুলিশ এসে সবকিছু উলটপালট করে দেয়। এখানে একটা ব্যাপার আছে, এই পাবলিক প্রসিকিউটর আর প্রশান্ত নামের পুলিশ অফিসার একসাথে মিলিত হয়েছে। কারণ এখানে যেমন পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে তার প্রথ কেস জিততে চাচ্ছে, তেমন এই পুলিশ অফিসার আবার প্রমোশন এরও চিন্তা করছে। মূলত মুকুলকে যেকোনোভাবে ফাঁসানোর চেষ্টায় আছে। এদিকে সেই পাবলিক প্রসিকিউটর এর চাপে পড়ে দ্রুত মুকুলের নামে চার্জশিট ওপেন করে দিয়েছে। কারণ এই চার্জশিট একবার করে দিলে সহজে আর বেইল পাওয়া যায় না।
✠ব্যক্তিগত মতামত:✠
এই কেসে মুকুলকে মোটামুটি সেকশন ১৫ অনুযায়ী তাকে এডাল্ট প্রমাণিত করে জুভিনাইল জেল থেকে ট্রান্সফার করতে চাইছে, যাতে এই কেস বড়ো কোনো আদালত বা হাইকোর্টে লড়তে পারে। আর সেখানে এই জুভিনাইল জেলের মতো তার সাথে কোনো বাচ্চাদের মতো নরম ব্যবহার করার সুযোগ থাকে না। একদিক থেকে এতে পাবলিক প্রসিকিউটর এর সহজ হয় মামলা লড়তে। তবে এই কেসে সবকিছু স্বাভাবিক চলতে লাগলে, জুভিনাইল কোর্টে মুকুলকে নরমাল ব্যবহার করার পারমিশন আর এই জেলেই রাখার অনুমতি গ্র্যান্টেড হতে যাচ্ছিলো। কিন্তু ওই প্রশান্ত পুলিশ অফিসার এসে মুকুলের এমন একটা বিষয় তুলে ধরে যে, সবকিছু ক্যানসেল হয়ে যায়। কারণ মুকুল প্ল্যান করেছিল যে, ইন্টারনেট এর মাধ্যমে কোথাও মেইল করে তার এই এডাল্ট ট্রায়াল এর বিষয়টা আটকাতে। আর ইন্টারনেট এক্সেস একমাত্র ওই অফিসারের কাছে অর্থাৎ জুভিনাইল জেলের ভিতরে। তো মুকুল আর একজনের সহযোগিতায় সেখানে গিয়ে সার্চ করে আর এইসব করে। এদিকে তার সাথে যে ছেলেটা খারাপ ব্যবহার করতো, সে আবার দেখে ফেলে আর রিপোর্ট করলে, সেটা পুলিশের কাছে গেলে, তারা এসে সার্চ করে প্রমান বের করে কোর্টে জমা দেয়। বিষয়টা এই দাঁড়ায় এখানে।
✠ব্যক্তিগত রেটিং:✠
৮.৯/১০
✠ট্রেইলার লিঙ্ক:✠
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দাদা আপনি আজকে অনেক সুন্দর করে এই ওয়েব সিরিজের চতুর্থ পর্ব আমাদের সবার মাঝে শেয়ার করেছেন। মুকুলকে যদি সময় মত ট্যাংক থেকে না বের করা হতো, তাহলে তো সে ওখানে থেকে মারাই যেতো। ছেলেটা তাকে উঠিয়ে নিয়েছিল তাই বেঁচে গিয়েছে। সবকিছু দেখছি এক দিক থেকে অন্য দিকে যাচ্ছে। আর পুলিশ সার্চ করে প্রমাণ বের করে কোর্টে জমা দিয়ে দিয়েছে। এখন দেখা যাক আগামীতে কি হতে চলেছে। আশা করি খুব শীঘ্রই আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন পরবর্তী পর্বটা।
দাদা এই ওয়েব সিরিজের আগের পর্বগুলোর রিভিউ আমার পড়া হয়েছে। আর আজকে তো আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে এই পর্বটার রিভিউ পড়তে। এই পর্বে দেখছি মুকুলকে ট্যাংক এর ভেতর থেকে একটা ছেলে বের করেছে। আর মুকুল দেখছি একজনের সহযোগিতায় সার্চ করে সব কিছু করেছে। আর ওই ছেলেটাও রিপোর্ট করে। যার ফলে পুলিশ সার্চ করে প্রমাণ বের করে নিয়েছে। আবার সেই প্রমাণ কোর্টে জমা দিয়েছে। আশা করছি এই ওয়েব সিরিজের প্রতিটা পর্বের রিভিউ সুন্দর করে এভাবেই শেয়ার করবেন।
তাহলে কি মতি খুন করেছে জারাকে। আমার কেনো জানি মনে হয় মুকুল খুনটা করেনি। তবে মুকুলকে যদি এডাল্ট প্রমাণ করে ফেলে,তাহলে মুকুল বেশ ঝামেলায় পড়ে যাবে। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়। যাইহোক এই পর্বের রিভিউ পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো দাদা। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমাদের সমাজে কিছু কিছু লোক রয়েছে যারা আইনের রক্ষক হয়েও ভক্ষক রুপে কাজ করে। ঠিক তেমনটাই প্রতিরূপ দেখতে পাচ্ছি আপনার রিভিউ করা ক্রিমিনাল জাস্টিস এর অধুরা সাচ সিজন ১ এর চার নং পর্বে। মুকুল কে ঐ উকিল এবং পুলিশ অফিসার দুজনে মিলে যেকোনো উপায়ে ফাঁসাতে চাচ্ছে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের লক্ষ্যে। অথচ মুকুল নির্দোষ। যাইহোক শেষ পর্যায়ে এসে পুলিশ কি গোলমাল পাকিয়ে দিলো আশা করা যায় পরবর্তী পর্বে সেটা স্পষ্টভাবে বুঝতে পারবো। খুবই সাবলীল এবং গুছিয়ে এই পর্বটি রিভিউ করেছেন দাদা। খুবই ভালো লাগলো আপনার রিভিউ টি পড়ে।