আশ্চর্যজনক ইনিংস অভিষেক শর্মার!
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
Image Created by OpenAI
আজকে আপনাদের সাথে খেলাধুলা বিষয়ে পোস্ট শেয়ার করে নেবো। গতকাল খেলাটা যারা যারা দেখেছেন, তারা বুঝতে পারবেন। এক কোথায় মারাত্মক লেভেলের খেলা হয়েছে। লাস্ট টি২০ সিরিজ তো সেইরকম ফাইনাল ইনিংস এর মতো খেলা হয়েছে। গতকাল মুম্বাই এর পিচ-এ খেলা হয়েছে এবং সেটা গত ম্যাচের মতো ইংল্যান্ড টস-এ জিতে ইন্ডিয়াকে আগে ব্যাটিং করতে পাঠায়। কিন্তু আসলে সত্যি বলতে ওরা কি যে বোকামির মতো কাজ করেছে, সেটা আর বলার মতো না। একদম ফুল দমে ওটা ব্যাটিং পিচ ছিল।
এখন এইসব পিচ এর একটা বিষয় হলো যে, যতই ব্যাটিং পিচ হোক না কেনো, যদি রান হাতের বাইরে করে ফেলায়, তাহলে ব্যাটিং পিচ হলেও সেই রান করা মহা মুশকিল হয়ে যায়। কারণ একটা বিষয় খেয়াল করলে দেখা যাবে যে, প্রতি ওভারে যদি সাড়ে ১৩ থেকে ১৪ রান করে লাগে, তাহলে সেই রান কখনই করা পসিবল না। কারণ ওই রান প্রতি ওভারে তোলার একটা আলাদা টেনশন থাকে। আর রান অতিরিক্ত হলে তখন প্রত্যেক বলে বাউন্ডারি মারার একটা চিন্তা ব্যাটসম্যান দের মাথায় ঘুরতে থাকে। গতকাল ইন্ডিয়া সত্যি বলতে, বিশেষ করে অভিষেক কি খেলাটা না খেলল, সত্যি প্রশংসা করার যোগ্য।
একপ্রকার অভাবনীয় রেকর্ড তৈরী করেছে টি২০ তে। এমনকি পাওয়ার প্লে ওভারেও নতুন রেকর্ড। এক তো পাওয়ার প্লে ওভারে ৯৫ রানের মতো রান, যা আকাশ ছোঁয়া ব্যাপার। তাছাড়া অভিষেক ৩৫ বলে সেঞ্চুরি টি২০ তে, এটা এক নতুন রেকর্ড গড়লো। এত কম বলে সেঞ্চুরি একদমই মুখের কথা না, তারপরে ইংল্যান্ড এর যেসব শক্ত বলার আছে, তাদের সামনে। অনেকে আছে, যাদের বলের স্পিড ১৫০ এর বেশি। মানে এক কোথায় বলা যায় লাগাতার ছয় মেরেছে। আর সত্যিই তাই, একা টোটাল ১৩ টা ছয় মেরেছে। ১৩৫ রান ব্যক্তিগত, এটা সত্যি বলতে খুবই বিরল। কারণ ৫০ ওভারের ম্যাচে এর বিষয় আলাদা, সেখানে ধৈর্য ধরে রান করার এইটা বিষয় থাকে।
কিন্তু ২০ ওভারে এই রান একটা অকল্পনীয় বিষয়ের মতো, যেনো মাটিতে দাঁড়িয়ে মহাকাশে চাঁদ ছোঁয়ার মতো একটা বিষয়। এমনিতেই ইন্ডিয়ার যখন ১২ ওভারে ১৫০ এর মতো রান, তখনই ইংল্যান্ড এর মুখ শুকিয়ে গেছিল। সত্যি বলতে ইন্ডিয়ার আর তেমন বিশেষ কেউ পরে এসে খেলতে পারেনি, কিন্তু অধিকাংশ রান অভিষেক এর। নতুন একটা চমক দিলো সবাইকে। এক কোথায় টি১০ এর মতো ম্যাচ খেলেছে, ৫০ ওভারে এর মতো রানের টার্গেট ছুড়ে দিয়েছিলো ইন্ডিয়া। তবে পিচ হিসেবে এটা আমি ভেবেছিলাম যে, প্রতিযোগিতা হতে পারে, কারণ এরা যখন মেরেছে, তখন ইংল্যান্ডও রান করতে পারবে।
হিসেবে ইংল্যান্ড এর সল্ট এসে কিন্তু শুরু করে দিয়েছিলো। এক ওভারে ১৫ এর মতো রান নিয়েছিলো। আর সল্ট থাকলে প্রতি ওভারে রান কিন্তু এক পর্যায়ে ঠিক উঠে যাচ্ছিলো। তবে দুঃখের বিষয়, তাকে সাপোর্ট দেওয়ার মতো কেউই ছিল না, প্রত্যেকে এসেছে আর আউট হয়ে গিয়েছে। পাওয়ার প্লে ওভারে এত ভালো খেলেও কিন্তু আসলে কায়দা করতে পারলো না। চরম নিরাশা জনক হার হয়েছে তাদের। ১০০ রানও পূর্ণ করতে পারলো না তারা। তবে এই রানে যদি প্রতিযোগিতা হতো, তাহলে আরো রোমাঞ্চকর হতো বিষয়টা। তবে যাইহোক, সেই হিসেবে তাদের দিক থেকে মারাত্মক হতাশা জনক পরিস্থিতি ছিল। তবে সল্ট টিকে থাকলে কিছু একটা হতো। ইন্ডিয়া লাস্ট ইনিংসে সবার মন জয় করতে পেরেছিল, এটাই অনেক। কারণ অনেকেই খেলা দেখতে এসেছিল, বিশেষ করে অভিনেতারা প্রায় অনেকেই। বেশ ভালো চমকপ্রদ ছিল।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অভিষেক তো তাহলে টি টেন খেলেছে দাদা। ৩৫ বলে সেঞ্চুরি মানে টি-টোয়েন্টিতে একেবারে নতুন রেকর্ড। একাই ১৩৫ রান করে ফেলেছে অভিষেক। আর এদিকে ইংল্যান্ড তো পুরো টিম নিয়ে ১০০ রান পূর্ণ করতে পারলো না। বলা যায় হাতির সাথে মশার খেলা হয়েছে হা হা হা। যাই হোক ফাইনাল টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ভারত চমৎকার জয় পেয়েছে। অভিনন্দন টিম ইন্ডিয়া।
মাত্র ১৭ বলে যখন অভিষেক তার অর্ধশত রান পূরণ করে তখনই আমি অনুমান করেছিলাম আজকে হয়তো ভালো একটা ইনিংস হতে যাচ্ছে অভিষেকের জন্য। শেষ পর্যন্ত একটি টর্নেডো ইনিংস উপহার দিয়েছে ক্রিকেট বিশ্বে। যদিও আমি আশা করেছিলাম হয়তো অভিষেক শর্মা দেড়শ রান করতে সক্ষম হবেন, কিন্তু সেটা করতে না পারলেও অসাধারণ একটা ইনিংস আমাদের উপহার দিতে সক্ষম হয়েছে। যার সুবাদে ইন্ডিয়া দুর্দান্ত জয় তুলে নিতে সক্ষম হয়েছে।
এই ম্যাচে অভিষেক শর্মা এককথায় দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছে। এমন ব্যাটিং দেখতে আসলেই খুব ভালো লাগে। অভিষেক শর্মা ক্রিজে আর কিছুক্ষণ থাকতে পারলে নিশ্চিত ১৫০ রান করতে পারতো। তবে ইংল্যান্ড রানের চাপে পড়ে, খুবই বাজে ব্যাটিং করেছে এই ম্যাচে। যাইহোক এই পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
অভিষেক শর্মা এই ছেলেটার ব্যাটিং অ্যাবিলিটি দেখে আমি জাস্ট অবাক হয়ে গেছি। এর আগে টি টুয়েন্টিতে এমন ইনিংস গেইল ডি ভিলিয়ার্স রাও খেলতে পারেনি। ছেলেটার ব্যাটিং নৈপুণ্য অসাধারণ। দারুণ লাগল আপনার পোস্ট টা দাদা। বেশ সুন্দর লিখেছেন।।