সামুদ্রিক বড়ো বেলে মাছের মজাদার রেসিপি
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে আমি একটা রেসিপি শেয়ার করে নেবো। রেসিপিটি দুইদিন আগে করেছিলাম। এই রেসিপিটা হলো সামুদ্রিক বড়ো বেলে মাছের। এটি করেছিলাম পটল দিয়ে। সামুদ্রিক বেলে মাছগুলো খুবই বড়ো বড়ো হয়, দেখতে অনেকটা যেন দৈত্যাকার হা হা। মুখের দিকটা যেন দেখতে একদম সরু হুলের মতো আর সেই লম্বা লম্বা দেখতে হয়। তবে সামুদ্রিক বেলে মাছ ছোট, বড়ো অনেকটাই পাওয়া যায়। বেলে মাছ অনেক খেয়েছি, কিন্তু সেগুলো দেশি বেলে বা চাষের বেলে মাছ। এই সামুদ্রিক বেলে মাছ আমি এই প্রথম খেলাম। আসলে বেলে মাছ এতো বড়ো বড়ো হয় এটাও জানতাম না। গত সপ্তাহের দিকে আমাদের এখানে আড়তে গিয়েছিলাম তখন কেনার সময় জিজ্ঞাসা করলে সামুদ্রিক বেলের কথা বললো। দেখতে যেমন এই বেলেগুলো খেতেও খুবই টেস্ট। তবে সামুদ্রিক বেলে মাছের দাম খারাপ না, ছিল অনেকগুলো আর কিনবোও ভেবেছিলাম ৪-৫ টা কিন্তু দাম যা বলে তাতে আর কেনা যায় না আর ক্যাশও বেশি নিয়ে যাইনি। ৪০০ টাকা করে কিলো ছিল, দুটো নিয়ে এসেছিলাম। পটল দিয়ে এই মাছের স্বাদটা অনেক টেস্ট ছিল আর সাথে যদিও টক দইটা দিয়েছিলাম এইজন্য। পটলের সাথে আমি নরমালি আগে টক দই দিতাম না, কিন্তু কয়েক তারিখ টক দই দিয়ে দেখলাম খাওয়ার সময় বেশ আলাদা একটা টেস্ট লাগছে। তরকারিতে একটু টক টক ভাব থাকলে খেতে আমার কাছে বেশি ভালো লাগে। যাইহোক, এখন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে আমি এই সামুদ্রিক বড়ো বেলে মাছের রেসিপিটা তৈরি করলাম।
☬প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:☬
✔এখন রেসিপিটা যেভাবে প্রস্তুত করলাম---
☫প্রস্তুত প্রণালী:☫
➤সামুদ্রিক বেলে মাছগুলো আগে থেকে কেটে ধুয়ে রেখে দেওয়া ছিল। আমি পরে পটলগুলোর খোসা ভালোভাবে ছালিয়ে কেটে নেওয়ার পরে জল দিয়ে ধুয়ে রেখেছিলাম।
➤আলুগুলোর খোসা প্রথমে ভালোভাবে ছালিয়ে কেটে নেওয়ার পরে ধুয়ে রেখেছিলাম। এরপর পেঁয়াজ-এর খোসা ছালিয়ে নেওয়ার পরে ধুয়ে নিয়েছিলাম।
➤রসুনের কোয়াগুলো থেকে খোসা ছাড়ানোর পরে একটু ছুরি দিয়ে কুচিয়ে নিয়েছিলাম। এরপর লঙ্কাগুলো কেটে নিয়েছিলাম।
➤সামুদ্রিক বেলে মাছের পিসগুলোতে লবন আর হলুদ দিয়ে ভালোভাবে মিক্স করে নিয়েছিলাম।
➤কড়াইতে সরিষার তেল দিয়ে সামুদ্রিক বেলে মাছের পিচগুলো অল্প অল্প করে দিয়ে ভালোভাবে সব ভেজে তুলে নিয়েছিলাম।
➤মাছ ভাজা হয়ে গেলে পরে কড়াইতে আরেকটু তেল দিয়ে আলুর পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর আলুগুলো হালকা লাল করে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম।
➤আলু ভাজা হয়ে গেলে কড়াইতে আরেকটু তেল দিয়ে পটলের পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর পটল ভালোভাবে ভাজা সম্পন্ন হয়ে গেলে তুলে নিয়েছিলাম।
➤পটল ভাজা হয়ে গেলে কড়াইতে আরেকবার তেল দিয়ে শুকনো লঙ্কা আর গোটা জিরা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে পেঁয়াজ দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤পেঁয়াজ ভালোভাবে ভাজা করে নিয়েছিলাম এবং পরে তাতে অল্প করে জিরা গুঁড়ো দিয়েছিলাম।
➤ভাজা পেঁয়াজ এর সাথে মিক্স করে নিয়েছিলাম এবং পরে তাতে ভেজে তুলে রাখা পটল আর আলুর পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে স্বাদ মতো লবন আর হলুদ দিয়ে দিয়েছিলাম এবং সাথে কাঁচা লঙ্কাগুলো। সব মশলা উপাদানের সাথে ভালোভাবে মিক্স করে নিয়েছিলাম।
➤মিক্স করা হয়ে গেলে তাতে জল দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তরকারিটা খানিক্ষন ফুটিয়ে আলু আর পটল সেদ্ধ করে নিয়েছিলাম। সেই ফাঁকে টক দইটা একটি বাটিতে নিয়ে ফেটিয়ে নিয়েছিলাম।
➤আলু-পটল ভালোভাবে সেদ্ধ হয়ে গেলে তাতে ভেজে রাখা সামুদ্রিক বেলে মাছের পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤এরপর তাতে ফেটিয়ে রাখা টক দই দিয়ে দিয়েছিলাম এবং তরকারির সাথে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে দেওয়ার পরে আরো কিছুক্ষন ধরে জ্বাল দিয়ে নিয়েছিলাম।
➤তরকারিটা আমার ভালোভাবে সম্পন্ন হয়ে গেলে জ্বাল নিভিয়ে পরে আরেকটু জিরা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিয়েছিলাম। এরপর পরিবেশনের জন্য একটি পাত্রে কিছু তরকারি তুলে নিয়েছিলাম।
রেসিপি বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
সামুদ্রিক বড়ো বেলে মাছের মজাদার রেসিপি সুস্বাদু মনে হচ্ছে। এই ময়দার রেসিপি ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার ধাপ গুলো দেখে রেসিপি তৈরি করা শিখে নিলাম।
সামুদ্রিক মাছগুলো রান্না করলে কিন্তু ভীষণ মজা লাগে খেতে। বেলে মাছ আমারও অনেক পছন্দের। তবে বড় মাছগুলো দেখতে দৈত্যের মত কথাটা শুনে হাসি পেল। তাছাড়া আপনি তো দেখছি টক দই দিয়ে রান্না করেছেন। এরকম ভাবে রান্নার কথা শুনেই তো জিভে জল চলে আসলো। আবার দেখছি পটল দিয়ে রান্না করেছেন। আমার বেশ কয়েকটা বেলে মাছ খাওয়া হয়েছে কিন্তু এত বড় বেলে মাছ খাওয়া হয়নি। আপনি তো দেখছি এত বড় বেলে মাছ প্রথম বার করেন। আসলে এই ধরনের সামগ্রিক মাছ খাওয়ার অভিজ্ঞতাটা ও ভীষণ ভালো। আপনাদের এখানে তো দেখছি সামুদ্রিক মাছের দাম আরো বেশি। বিশেষ করে এত বড় মাছ হলে তো দাম হচ্ছে আকাশছোঁয়া। এইজন্য তো এখন চাইলেও পছন্দের মাছ মাংস খাওয়া যায় না। তবে আপনার রান্না গুলো দেখে জিভে জল আসে। আজকের রেসিপিটাও দেখতে বিষন্ন জায়গায় হয়েছে মনে হচ্ছে।
দাদা সামুদ্রিক যে কোন মাছ খেতে আমি খুবই পছন্দ করি। আর সামুদ্রিক বড় বেলে মাছগুলো যদিও আমার এখনো পর্যন্ত খাওয়া হয়নি, তবে আপনার রেসিপিটা দেখেই মনে হচ্ছে এগুলো অনেক বেশি টেস্টি হয় রান্না করলে। আপনি পটল দিয়ে এই সামুদ্রিক বড় বেলে মাছগুলো রান্না করেছেন দেখে জিভে জল চলে আসলো। টক দই দেওয়ার কারণে নিশ্চয়ই অনেক বেশি মজাদার হয়েছিল এই রেসিপিটা। আপনি দুইদিন আগে রেসিপিটা তৈরি করে নিশ্চয়ই খুব মজা করে খেয়েছিলেন দাদা। তবে যাই বলা হোক না কেন, যে কোন তরকারিতে টক দই দিলে কিন্তু অনেক বেশি ভালো লাগে খেতে। তরকারির মধ্যে একটু টক টক ভাব থাকলে আমার কাছেও কিন্তু অনেক বেশি ভালো লাগে। এমনিতেই কিন্তু তরকারিতে টক দিয়ে দিলে স্বাদ দ্বিগুণ বেড়ে যায়। উপস্থাপনার মাধ্যমে এত সুন্দর করে মজাদারের রেসিপিটা তৈরি করে সবার মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো দাদা। কখনো যদি বড় বেলে মাছ নিয়ে আসা হয় বাড়িতে, তাহলে এই পদ্ধতিতে তৈরি করব আমি।
সামুদ্রিক মাছ অনেক ভালো লাগে।তবে এই সামুদ্রিক বেলে মাছটি আমার খাওয়া হয়নি এখনো।
সামুদ্রিক বড় বেলে মাছ পটল আলু দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে রান্না করেছেন।দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে এবং এই রেসিপির সাথে টক দই এড করেছেন তাহলে তো আরো অসাধারণ মজা হওয়ার কথা। আসলে দাদা লোভ সামলাতে পারছি না রেসিপিটি দেখে। অনেক দারুন ও ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
দাদা আপনি সবসময় বেশ মজাদার রেসিপি তৈরি করে থাকেন। আপনার তৈরি করা রেসিপি গুলো দেখলে আমার তো জিভে জল চলে আসে, সেই সাথে লোভ তো একেবারেই সামলানো যায় না। আজকের রেসিপিটাও কিন্তু বেশ মজাদার ভাবে তৈরি করেছেন। সামুদ্রিক বড় বেলে মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন আজকে। এই মাছগুলো যদিও কখনো খাওয়া হয়নি তবে খেতে ইচ্ছে করছে। আপনার রেসিপি পোষ্টের মাধ্যমে দেখলে অবশ্যই খেতে তো ইচ্ছে করবেই। মাছগুলো অনেক বেশি লম্বা দেখতে দেখছি। আপনি এই মাছ পটল দিয়ে রান্না করেছেন, সেই সাথে টক দই দিয়েছেন দেখে মনে হচ্ছে আরো বেশি মজাদার হয়েছিল। এরকম ইউনিক এবং মজাদার রেসিপি দেখলে কার কাছেই না ভালো লাগবে বলুন তো দাদা? সেজন্যই তো আমার একটু বেশি লোভ লেগেছে। তবে আমি যদি সামনে পেতাম তাহলে আপনার আগেই খাওয়া শুরু করতাম। হা হা হা। রেসিপিটা দেখতেও খুবই লোভনীয় মনে হচ্ছে। সম্পূর্ণ রেসিপি টা ধাপে ধাপে উপস্থাপনা করে সবার মাঝে ভাগ করে নিলেন দেখে খুব ভালো লেগেছে দাদা।
টক দই দিয়ে বেলে মাছ রান্না করেছেন ভাবতেই তো জিভে জল চলে এসেছে দাদা😋। টক দইয়ের ফ্লেভারে মাছ রান্না করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। যদিও সামুদ্রিক বেলে মাছ খুব একটা খাওয়া হয়নি। তবে আমাদের অঞ্চলে বড় নদীর বেলে মাছ পাওয়া যায়। সেগুলো মাঝারি সাইজের হয়। আর খেতে ভীষণ ভালো লাগে। এছাড়া ছোট ছোট দেশি বেলে মাছ খেতে আমার বেশ ভালো লাগে। বেলে মাছের চচ্চড়ি করলে অনেক মজার হয় খেতে। আমার বাবা বেলে মাছের ভর্তা খেতে অনেক পছন্দ করেন। পটল এবং টক দই দিয়ে বেলে মাছ কখনো রান্না করে খাওয়া হয়নি দাদা। সামুদ্রিক এই বেলে মাছ গুলো বেশ বড় দেখেই বোঝা যাচ্ছে। তবে দেশি বেলে মাছ গুলো আমাদের অঞ্চলে ৮০০ টাকা কিংবা ৭০০ টাকা কেজি নেয়। সামুদ্রিক মাছ গুলো আমাদের এদিকে পাওয়া যায় না বললেই চলে। তবে অনেকের কাছেই শুনেছি সামুদ্রিক বেলে মাছের টেষ্ট অনেক বেশি। দাদা আপনি এত সুন্দর করে সামুদ্রিক বেলে মাছের একটি মজার রেসিপি তৈরি করেছেন দেখে সত্যিই ভালো লেগেছে। দেখেই খেতে মন চাইছে দাদা। অবশ্যই এভাবে একদিন দই এবং পটল দিয়ে সামুদ্রিক বেলে মাছের রেসিপি তৈরি করে খেয়ে দেখব। ধন্যবাদ দাদা দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দাদা এই মাছটা খেতে কিন্তু ভীষণ মজার। এই মাছটাকে আমার শ্বশুর বাড়িতে তুলার ডান্ডি মাছ বলে।মাছের এমন নাম শুনে আমি তো অবাক।😯 আগে কখনো এই মাছ দেখিনি।খাওয়া তো দূরেরই কথা।এই মাছ আমার ভুনা করেই খাওয়া হয় বেশী।সবজি দিয়ে কখনও খাওয়া হয়নি।আপনি আলু আর পটল ভেজে নিয়ে রান্না করলেন এর স্বাদ তো ভালোই আসার কথ। ভেজে নেয়া সবকিছুর স্বাদই অন্য রকম।আবার টক দই ও ব্যবহার করেছেন।টেস্ট আরো দ্বিগুণ হলো। অনেকদিন এই মাছ খাওয়া হচ্ছে না।আপনার রেসিপি দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে।আপনি রান্নার ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। দেখে ভীষন ভালো লাগলো দাদা।মজার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
অনেকদিন হলো বেলে মাছ চোখে দেখি না।তবে সামুদ্রিক বেলে মাছ যে এত বড় হয় আমার জানা ছিল না।দেশি বড় বেলে ও এমন সাইজের হয়ে থাকে।খুবই স্বাদ ও নরম ধরনের মাছ এটি।তবে সামুদ্রিক বেলে মাছের মুখ কত লম্বা প্রথম দেখলাম।দাদা টক দই দেওয়াতে দারুণ টেস্ট হয়েছিল নিশ্চয়ই।তাছাড়া বেলে মাছ নাকি হার্টের অসুখ সারে তাই অনেক দাম হয় জানি।রেসিপিটি দারুণ ছিল👌👌ধন্যবাদ দাদা।
ঠিক বলেছেন দাদা টক দই দিয়ে রান্না করলে কিন্তু বেশ মজা লাগে যেকোনো রান্না। তবে সামুদ্রিক বেলে মাছ খেয়েছি অনেকদিন হয়েছে। আসলে বর্তমানে যে হারে দাম বেড়েছে এখন তো এই ধরনের মাছ কিনে খাওয়াটা অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। আপনাদের ওইখানে যদি ৪০০ টাকা হয় তাহলে আমাদের এখানে তো ৮০০ টাকার বেশি হবে। আসলে এখন প্রত্যেকটা জিনিস ডবল এর চেয়ে বেশি হয়ে গেছে। তবে মাছগুলো এত বড় হয় এটা আমার জানা ছিল না। কিন্তু আপনার কাছ থেকে এত বড় মাছের একটা রেসিপি দেখতে পেয়ে ভালো লাগলো । তাছাড়া সামুদ্রিক মাছ খেতে কিন্তু দারুণ লাগে। আপনার রেসিপি টা দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুবই মজা হয়েছে। বিশেষ করে বেলে মাছের সাথে পটল দিয়েছেন এতে নিশ্চয়ই আরো বেশি সুস্বাদু হয়েছে।