দূর্গা পুজো ২০২৪ ( পর্ব ৬ )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
আজকে আপনাদের সাথে দুর্গাপুজোর আরেকটি পর্ব শেয়ার করে নেবো। গত পর্বে হিন্দুস্থান পার্কের দুর্গাপুজোর কিছু আলোকচিত্র শেয়ার করে নেবো। তো ওখান থেকে বালিগঞ্জ এর দিকে চলে গিয়েছিলাম। বালিগঞ্জ হিন্দুস্থান ক্লাব এর থেকে প্রায় আধা ঘন্টার মতো পথ হেঁটে, তবে পুজোর সময় সহজ পথ এমন ঘুরে ঘুরে যেতে হয় যে, সময় ডবল লেগে যায়। আর ওখানে মূলত বেশ কিছু পুজো হয় যেগুলো অনেক বিখ্যাত। তবে ওখানে একটাই দেখেছিলাম, বালিগঞ্জ কালচারাল এসোসিয়েশন এর। এই ক্লাবের পুজোটা প্রতিবারই দারুন করে থাকে, বিশেষ করে মায়ের মূর্তিটা দারুন হয়ে থাকে। এই বছর এই বালিগঞ্জ কালচারাল এর পুজোটার থিম ছিল "আরশিনগর"।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
আরশিনগর থিমটা আসলে যেমন নাম দিয়েছিলো, ঠিক তেমনই সাজিয়েছে তারা। তবে সত্যি বলতে প্যান্ডেলটি এমনভাবে সাজানো অর্থাৎ একটু খোলামেলা ছিল প্রায়, ফলে মনে হয়েছিল যে, খুব কম সাজানোর মধ্যে দিয়ে সেরেছে এইবার। কিন্তু না, আসলে এই যে থিম ছিল, তার অনুসারে রডের মাধ্যমে পুরো ডিজাইনটা ফুটিয়ে তুলেছিল। এখানে অনেকগুলো রডের সমন্বয়ে পুরো একটি প্যান্ডেল তৈরি করা। তবে প্যান্ডেলের একটি বিষয় খুব ভালো লেগেছিলো যে, বাইরে যেখানে নামগুলো দেখতে পাচ্ছেন এবং একদম ঢোকার মুখে যেখানে থিম উল্লেখ করা আছে, সবখানেই যেন ডিজাইনটা আল্পনার মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছে। তবে এই আল্পনা রডের মাধ্যমে দিয়েছে, এটা অনেকটা আকর্ষণীয় একটা ব্যাপার ছিল।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
এই ডিজাইন এর বিষয়টা আসলে সত্যিই অনেক প্রশংসার দাবিদার। আর এই আল্পনার ডিজাইনের উপরে আসলে বিভিন্ন টিপের লাইটিং এর ইফেক্ট ফেলেছে, যার কারণে এটা আরো দৃষ্টি আকর্ষিক হয়েছে আসলে। তবে এই আরশিনগর দেখার জন্য প্রচুর লোক হয়েছিল। মূল পুজোতো আসলে তখন শুরু হয়নি, চতুর্থীতে এইরকম কিছু কিছু প্যান্ডেলে অসম্ভব ভিড় হয়েছিল। এই বালিগঞ্জ কালচারালেও প্রচুর লোকজন হয়েছিল। প্যান্ডেলের ভিতরে গিয়ে যেন আর ঠেলে ফাঁক করা যাচ্ছিলো না। প্যান্ডেলের ভিতরে উপরের দিকের ডিজাইনগুলো দেখলে বুঝতে পারবেন যে রডের মাধ্যমে কিভাবে ডিজাইনগুলো ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, অনেক সুন্দর লাগছিলো আসলে।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
সব থেকে অসাধারণ যে বিষয়টা সেটা হলো মায়ের মূর্তিটা, চোখ ফেরানোর মতো না। এতটাই সুন্দর করে সাজিয়েছিল মায়ের মূর্তিটাকে। যেন স্বয়ং মা দূর্গা মর্তে এসে বসে আছে। যেন মাকে একটা জীবন্ত রূপ দিয়েছে এখানে। যে তৈরি করেছিল, আসলে পুরস্কার পাওয়ার মতো যোগ্যতা রাখে এই কাজের জন্য। আসলে অনেক মূর্তি দেখেছি, কিন্তু এইরকম জীবন্ত রূপ কোনোটায় দেখিনি তেমন। তাছাড়া ব্যাকগ্রাউন্ডটা দেখলে বোঝা যাবে যে, ময়ূরের পাখনা মেলালে যেমনটা লাগে, একদম ঠিক তেমনটা ডিজাইনে পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্যান্ডেল মোটামুটি যা করুক না কেন, সেরার সেরা প্রতিমা আমার দেখা এটাই ছিল দক্ষিণ কলকাতায় যতগুলো দেখেছি তার মধ্যে ।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
ক্যামেরা | স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G |
---|---|
লোকেশন | কলকাতা |
তারিখ | ৭ অক্টোবর ২০২৪ |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলেই অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছর প্যান্ডেলগুলি কম জাকজমকপূর্নভাবে তৈরি করেছে সবখানেই।আরশিনগর থিমটির নাম যেমন সুন্দর তেমনি মায়ের মূর্তিখানিও।মায়ের মুখখানি ভীষণই মিষ্টি করে তৈরি করেছেন শিল্পীরা,খুবই ভালো লাগলো পূজা প্যান্ডেলটি দেখে।ধন্যবাদ দাদা।
হিন্দুস্তান পার্কের পুজোর থিম খুব ভালো লাগলো দাদা। অসাধারণ মণ্ডপ সজ্জা এবং প্রতিমা। আপনি দারুণভাবে ছবির মাধ্যমে সম্পূর্ণটা ফুটিয়ে তুললেন। ভীষণ সুন্দর করে পোস্টটি উপস্থাপনা করলেন। দূর্গা পূজার স্মৃতি গুলো ফিরে এলে খুব ভালো লাগে নিজের মধ্যে।
দাদা আজকে আপনি অনেক সুন্দর করে দুর্গাপুজোর সপ্তম পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার প্রত্যেকটা পর্বের মত আমার কাছে এই পর্বটাও অনেক ভালো লেগেছে। এটার থিম অনেক বেশি সুন্দর ছিল। আমার কাছে পুরো ডেকোরেশনটা ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখতে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। এই ধরনের বিষয়গুলো সরাসরি দেখতে একটু বেশি সুন্দর লাগে। লাইটিং টাও ছিল একেবারে দুর্দান্ত। অপেক্ষায় থাকলাম দাদা দুর্গাপূজার পরবর্তী পর্ব টা দেখার জন্য।
দাদা আজকের তোলা এই ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ছিল। দুর্গা পুজোর এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন এখানে। এই জায়গাটাও অনেক সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। অনেক সুন্দর থিমের উপর পুরোটা করা হয়েছে। এইটা দেখে আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। আপনি দূর্গা পূজার সময় অনেক জায়গায় গিয়েছেন বুঝতেই পারছি। ভালোই ঘুরাঘুরি করা হয়েছিল। আজকেও একটা সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করে নিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ দাদা এই পর্বটা এত সুন্দর করে শেয়ার করার জন্য।
বাহ্! পূজার থিমটা তো খুব সুন্দর "আরশিনগর"। রড দিয়ে কতো সুন্দর ভাবে প্যান্ডেলটা সাজিয়েছে, যা দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি। তাছাড়া পূজা মন্ডপটাও দারুণ হয়েছে। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দারুণভাবে ক্যাপচার করেছেন দাদা। এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।