ওয়েব সিরিজ রিভিউ: হোস্টেজেস ( সিজন ১: পর্ব ৮ )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে 'হোস্টেজেস' ওয়েব সিরিজটির অষ্টম পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "এস্কেপ"। গত পর্বে দেখেছিলাম যে, মিরা তার ছেলেমেয়েদের বাড়ির থেকে পালিয়ে যেতে একপ্রকার সাহায্য করেছিল। এই পর্বে দেখা যাক পরে কি ঘটনা ঘটে ।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
❄মূল কাহিনী:❄
তো যখন মোটামুটি তারা গেট টপকে রোডের উপর চলে যায়, তখন ওদের মধ্যে একজন যে সাইকো ছিল, সে মোটামুটি অনেকবার তাদের উপর গুলি চালায়। তবে ভাগ্য ভালো তাদের হাত থেকে অনেকটা দূরে চলে যেতে পেরেছিলো। আর ওখানে পাশেই ছিল ঘন জঙ্গল, যেটা পার করার পরেই হাইওয়ে। এখন এই হাইওয়েতে যেতে পারলেই তারা মোটামুটি যেকোনো একটা ব্যবস্থা করে সেফটি জায়গায় বা তাদের সাথে যে ফৌজি ছেলেটা ছিল তাদের ক্যাম্পে নিয়ে যেতে পারবে। কিন্তু ওই জঙ্গলে দৌড়িয়ে পার হওয়াটাও একপ্রকার মুশকিল ছিল, কারণ এক তো ঘুটঘুটে অন্ধকার এবং তার সাথে পিছনে তাদের তাড়া। তবে ওখানে একটা সমস্যা হয়ে যায় যে, মীরার বড়ো মেয়ে অর্থাৎ শায়লা পা মচকিয়ে পড়ে যায়। এখন ওখানে তাদের একপ্রকার ধরেই ফেলে, তাই তাদের সাথে যে ফৌজি ছেলেটা ছিল, সে তার বন্দুক শায়লার ভাইকে দিয়ে আর কিভাবে চালাতে হয় বলে দিয়ে হাইওয়ের দিকে চলে যেতে বলে।
কিন্তু তাদের অজানা ছিল যে, ওখানে একটা জঙ্গল ক্রস করতেই সামনে আরেক বিপদ এসে পড়লো। কারণ পৃথ্বী গাড়ি নিয়ে ঠিক ওই রাস্তা দিয়ে আসছিলো। যদিও শায়লার ভাই সাথে সাথে পাশের আরেকটি জঙ্গলে প্রবেশ করে, কিন্তু বেশিদূর যেতে পারেনি, পৃথ্বী ঠিক খুঁজে বের করে ফেলে। যদিও ছেলেটি বড়ো একটি খাদের ওখানে লুকিয়ে ছিল, হাতে গান থাকতেও কিছু করতে পারেনি, কারণ কিভাবে চালাতে হয় সেটাই ভুলে যায়। এখন যাইহোক, তাকে নিয়ে এসে ঘরে বন্ধ করে রাখে। কিন্তু বাকি যে দুইজন ছিল তাদের ধরে ফেললেও আর গুলি চালালেও কোনোমতে পালায়, আর হাইওয়েতে উঠতেই সেই ফৌজি ছেলেটির এক্সিডেন্ট হয়ে যায় অর্থাৎ দ্রুত স্পিডে আসা একটি কার এর ধাক্কায় মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হয়। আর কোনো উপায় না পেয়ে শায়লাও হাইওয়ের পাশে একটি পেট্রল পাম্পের ওখানে একটি দোকানে গিয়ে লুকায়।
আর তার মা হসপিটালের সে মুখ্যমন্ত্রীর অ্যাসিস্ট্যান্ট এর নম্বর নিয়ে এসেছিলো, সেইটা তাকে দিয়ে ফোন করতে বলে। আর ফোন করে ওখানে আসতেও বলে। কিন্তু সেই সাইকোটা আবার খুঁজতে খুঁজতে ঠিক ওই দোকানে পৌঁছিয়ে যায় তাকে ধরার জন্য, কিন্তু দোকানদারটা আবার সাহায্য করে এক্ষেত্রে, ফলে তাকে আর না খুঁজে চলে যায়। আর ওই লোকটা পরে ওখানে এসে তাকে গাড়িতে তুলে নেয়, কিন্তু লোকটা একটু চালাকি করেছে, কারণ কফি দেওয়ার নাম করে তাতে নেশালী ঔষধ মিশিয়ে দেয় বা ঘুমের এক ধরণের ঔষধ। লোকটা ভালো ভালো কথা বলতে বলতে রাস্তার এক জায়গায় গিয়ে গাড়ি থামায় আর ঘটনাটা কি সেটা শুনতে চায়।
❄ব্যক্তিগত মতামত:❄
এই যে লোকটা শায়লাকে হেল্প করার বা তাকে সেফটি জায়গায় পৌঁছিয়ে দেওয়ার নাম করে তাকে তুলে নেয় গাড়িতে, কিন্তু তাকে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে দেয়, যাতে নেশায় কোনো ঝামেলা না করতে পারে। আসলে শায়লার কাছে যখন জিজ্ঞাসা করেছিল যে, তাদের বাড়িতে কতজন লোক আছে অর্থাৎ যারা মুখ্যমন্ত্রীকে মারার জন্য এসেছে। এখন শায়লা ৪ জনের কথা বলে, কিন্তু ওখানে কতজন পুরুষ বা মহিলা আছে, সেটা উল্লেখ করিনি, কিন্তু লোকটা নিজে থেকেই বলে বসে যে, তিনজন লোক আর একজন মহিলাকে হ্যান্ডেল করা কোনো ব্যাপার না, কারণ তার কাছে স্পেশাল ফোর্স আছে। কিন্তু শায়লার সন্দেহ হয় যে, ওখানে তো কোনো মেয়ের কথা বলিনি আলাদা করে, তাহলে সে জানলো কি করে। এখানে একটা গল্প আছে এখনো যে, এই লোকটাও হয়তো তাদের সাথে আছে, আর নাহলে অন্য কোনো মতলব আছে। আর যে ফৌজি ছেলেটি এক্সিডেন্ট করেছিল, তাকে আবার পৃথ্বী লোক লাগিয়ে হসপিটালে পৌঁছিয়ে দেয় এবং মীরাকেই যেতে বলে তার অপারেশনের জন্য। কাহিনী এইবার কি দাঁড়ায় সেটা পরপর দেখার বিষয়, কারণ পরপর আরো কিছু মাথা বের হচ্ছে।
❄ব্যক্তিগত রেটিং:❄
৮.৮/১০
❄ট্রেইলার লিঙ্ক:❄
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এই ওয়েব সিরিজের কাহিনী তো দেখছি আস্তে আস্তে অন্যদিকে চলে যাচ্ছে। তবে আমার কাছে কিন্তু রিভিউগুলো পড়তে ভালোই লাগতেছে দাদা। ভেবেছিলাম যে লোকটা শায়লা কে হেল্প করেছে সে হয়তো ভালো। কিন্তু এখন তো দেখছি তার কোনো কিছু নিয়ে মতলব অবশ্যই রয়েছে। শায়লা পরিবারের সদস্যের সংখ্যা বললেও কোনো মেয়ের কথা বলে নি। তবে লোকটা কিভাবে জানলো একটা মেয়েও রয়েছে। আমি তো শুধু এটা ভেবে ভয় পাচ্ছি ওদের সাথে কি লোকটাও জড়িত নাকি। আর অন্যদিকে ফৌজি ছেলেটার এক্সিডেন্টের কথা শুনে একটু খারাপ লেগেছে। কিন্তু তাকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়ার বিষয়টা শুনে ভালো লাগলো। এখন পরবর্তীতে কাহিনীটা কোন দিকে মোড নিবে এটাই দেখতে হবে। অপেক্ষায় থাকলাম দাদা পরবর্তী পর্বটা রিভিউ পোস্ট পড়ার জন্য। আশা করছি অনেক তাড়াতাড়ি আপনি পরবর্তী পর্বের রিভিউটা সবার মাঝে ভাগ করে নিবেন।
দাদা দেখতে দেখতে 'হোস্টেজেস' ওয়েব সিরিজটার ৮ টি পর্ব শেষ হয়ে গিয়েছে। আর দেখছি এই অষ্টম পর্বের নাম ছিল "এস্কেপ"। মিরার ছেলেমেয়েরা ঘর থেকে বের হলেও তাদের পেছনে দেখছি ওরা লেগেই ছিল। আর অন্যদিকে মীরার মেয়ের পা মচকে যাওয়ার কারণে ধরা পড়তে পড়তে বেঁচে গিয়েছে। কিন্তু ফৌজি নামের ছেলেটা হঠাৎ করেই দেখছি এক্সিডেন্ট হয়ে যায়। আর অন্যদিকে শায়লার ভাইকে বন্দুক চালানো শিখিয়ে দিলেও সে দেখছি ভুলেই গিয়েছে। তার যেহেতু এই বিষয়ে ধারণা নেই তাই বারবার ভুলে গিয়েছে। আর শায়লা দোকানে লুকিয়ে পড়ার পর আরেকজন এসে দেখছি তাকে বাঁচায়। কিন্তু সেই লোকটা আসলে কে এটা বুঝলাম না। কারণ একে তো নেশার ওষুধ খাইয়ে দিয়েছে, অন্যদিকে আবার শায়লার ফ্যামিলি সম্পর্কে সে অনেক ভালো করেই জানে। না হলে কিভাবে বলতে পারবে ফ্যামিলিতে একজন মেয়ে রয়েছে। তার মতলব এই পর্বে ভালোভাবে বুঝলাম না। আশা করছি বিষয়টা পরবর্তী পর্বে ভালোভাবেই ক্লিয়ার হবে। অপেক্ষায় থাকলাম পরবর্তী পর্বের রিভিউটা পড়ার জন্য দাদা।
তার মানে মীরার ছেলে পালাতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত পৃথ্বীর কাছে ধরা পড়ে যায়। তবে মীরার ছেলে যদি বন্দুক চালাতে পারতো,তাহলে হয়তোবা ধরা পড়তো না। যাইহোক মীরার বড় মেয়ে শায়লার বয়ফ্রেন্ড আদি অর্থাৎ ফৌজি ছেলেটির এক্সিডেন্ট হয়ে যায়,এটা জেনে খুব খারাপ লাগলো দাদা। পৃথ্বী তো আসলেই খুব চালাক,সেই ছেলেটাকে খুঁজে বের করে ফেলেছে। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে মীরা সেই ছেলেটার অপারেশন করে কিনা। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।