একটা রোমাঞ্চকর টেস্ট ম্যাচ!
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
Image Created by OpenAI
আজকে আপনাদের সাথে খেলাধুলা বিষয়ক একটি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। বর্তমানে ইন্ডিয়া আর অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে টেস্ট সিরিজ খেলা শুরু হয়েছে, যার মধ্যে ইতোমধ্যে একটি ম্যাচ শেষ হয়েছে। তবে এই ম্যাচটাতে একটা রোমাঞ্চকর ম্যাচের মতো খেলা হয়েছে। এই ম্যাচটিতে যদি লক্ষ্য করা যায়, তাহলে দেখবেন যে এই ম্যাচে প্রথম ইনিংস এবং দ্বিতীয় ইনিংসের মধ্যে একটি আকাশ পাতাল তফাৎ রয়েছে। প্রথম ইনিংসে ইন্ডিয়া আগে ব্যাটিং করার সুযোগ পায়, কিন্তু আসলে প্রথম ইনিংসে পিচের কন্ডিশন দেখে আমি অবাক, কারণ এতো দ্রুত উইকেট কিভাবে পড়তে পারে! ভীষণ স্লো উইকেট ছিল। ইন্ডিয়া তো কোনো মতে দেড়শো রান তুলতে পারে।
একজনও ঠিকভাবে দাঁড়িয়ে খেলতে পারেনি এই ম্যাচে। এক রেড্ডি কোনোমতে টেনেটুনে হাফ সেঞ্চুরির মতো জায়গায় নিয়ে যায়, কিন্তু একজনে ওইটুকু রান করে আর টেস্ট ম্যাচ ধরে রাখা যায়! কোনোমতেই সম্ভব না। আমি তো তাদের এই প্রথম ইনিংস দেখে ভেবেছিলাম, এটা গো হারা হারবে। কিন্তু এই ম্যাচের ঘোর একদম পুরো চেঞ্জ করে দিয়েছে বুমরা। ইন্ডিয়ার যেমন উইকেট ঝরঝর করে পড়েছিল, তেমন অস্ট্রেলিয়ার উইকেটও ঝরঝর করে পড়ে, একটা ঐতিহাসিক কান্ড ঘটেছে যেন এই ইনিংসে। বুমরাহ একাই প্রথম ৩-৪ বিপদজনক ব্যাটসম্যানকে আউট করে দেয় আর এখানেই মনোবল ভেঙে দেয় তাদের।
অস্ট্রেলিয়া এই দেড়শো রান তোলার আগেই অলআউট হয়ে যায়। এখন আরো এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটলো দ্বিতীয় ইনিংসে। এখানে দ্বিতীয় ইনিংসে পিচ এর ধরণ একদম চেঞ্জ অর্থাৎ যে পিচে প্রথম ইনিংসে এতো স্লো উইকেট থাকলো, সেই একই পিচে এতো স্মুথ রানের পিচ হবে এটা আশা করাই যায়নি। এখানে যশস্বী একাই তো নায়ক এর মতো কাজ করে দিয়েছে। উইকেট আর পড়েই না, তবে রান অনেক দ্রুত উঠতে থাকে। মানে বলা যায় যে, এই দ্বিতীয় ইনিংসে যশস্বী যেন একটা অরিজিনাল টেস্ট ম্যাচের মতো ফরম্যাট তৈরি করে খেলেছে। এতো সময় ধরে পিচে দাঁড়িয়ে রান করা অনেক কঠিন আর ধৌর্যের বিষয়। যশস্বী আর রাহুল ওপেনে যথেষ্ট স্ট্রং রান করে দেয়।
যশস্বী তো পুরো ডাবল সেঞ্চুরি করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করে ফেলেছিলো, ১৬১ রান আর আরেকটু দাঁড়িয়ে থাকলে নির্ঘাত ২০০ করে ফেলতো। এটা এই ইয়ং জেনেরেশন এর মধ্যে একটা বড়ো রেকর্ড বলা যায়। মাঝখানে প্যাডিকেল একটু খেলছিল, কিন্তু আউট হয়ে যায় দ্রুত। তবে এই ম্যাচে কোহলি একটা রোমাঞ্চকর মুহূর্ত উপহার দিয়েছে। কারণ বিগত বহুদিন ধরে কোহলির কাছ থেকে এইরকম কোনো ম্যাচ উপহার পাওয়া যাচ্ছে না দর্শক হিসেবে। তবে এমনিতে কোহলি অনেক দিন থেকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভালো খেলে, তবে পারফরমাঞ্চ একটু ডাউন দেখা যাচ্ছে সব ক্ষেত্রে। তবে যাইহোক কোহলির এই সেঞ্চুরি ছিল অস্ট্রেলিয়ার টিমে বজ্রাঘাতের মতো। রানের টার্গেট আসলে এতটাই হয়ে গিয়েছিলো যে, অস্ট্রেলিয়ার হাতের বাইরে চলে গিয়েছিলো। ৫০০+ রানের টার্গেট যেকোনো টিমকে মনোবল ভাঙার জন্য যথেষ্ট। তবে ইন্ডিয়া ডিক্লায়ার না করলে ৬০০ ক্রস করে ফেলতো। ম্যাচটা বেশ ইন্টারেষ্টিং ছিল আসলে।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
একদম ঠিক বলেছেন দাদা। এই ম্যাচের প্রথম ইনিংস দেখে তো একেবারেই অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। প্রথম ইনিংসে ইন্ডিয়া ১৫০ রানে অলআউট হওয়ার পর, ভেবেছিলাম একেবারে লো স্কোরিং ম্যাচ হবে। হয়তো দ্বিতীয় ইনিংসেও ইন্ডিয়া ১৫০-২০০ রান করতে সক্ষম হবে। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে ইন্ডিয়া একেবারে বাজিমাত করে দিয়েছে। আর জেসওয়াল এককথায় দুর্দান্ত একজন ব্যাটসম্যান। সে যেকোনো ফরম্যাটে দুর্দান্ত ব্যাট করে থাকে। যাইহোক এতো চমৎকার ভাবে এই পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।