তিলকের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে ভারতের ঐতিহাসিক জয়!
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
Image Created by OpenAI
আজকে আপনাদের সাথে খেলাধুলা বিষয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। গতকাল ইন্ডিয়া আর ইংল্যান্ড এর মধ্যে দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচ এর খেলা হয়েছে। তবে খেলাটা বেশ ইন্টারেষ্টিং ছিল শেষ মুহূর্তের দিকে। এই ম্যাচটাতেও ইন্ডিয়া টসে জিতে পরে ব্যাটিং এর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এটা এমনিতেও নতুন কিছু না, ম্যাক্সিমাম সময়ে তারা টসে জিতলেও পরে ব্যাটিং এর সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। তবে ইংল্যান্ড এর শুরুটা এই ম্যাচে ভালোই ছিল। রান রেট ভালোই ছিল পার ওভারে। কিন্তু শুরু করলেও সেই সল্ট আবারো অশ্বদীপ এর শিকার হয়। এই ম্যাচে আবার প্লেয়ার দুইজন পরিবর্তন হয়েছে, ওয়াশিংটন এর মতো একজন অলরাউন্ডারকে নিয়ে এসেছে। তবে ছেলেটা বল, ফিল্ডিং, ব্যাটিং সবকিছুতেই ভালোই খেলে থাকে। ওপেনের দুইজন তো খেলতেই পারেনি ঠিকমতো।
তবে বাটলার তার মতো ঠিকই খেলে দিয়েছে, ভালোই খেলছিল। ৭৬ রান অব্দি রান রেট ঠিক রাখার পরে উইকেট পড়ে যাওয়ায় ম্যাচটা কয়েক ওভার ধীর গতিতে চলে যায়। ব্ৰুক এবং লিভিংস্টোন এরা মোটামুটি কিছুটা মেরে খেলে দেওয়ায় ১৫ ওভার থেকে আবারো বেশ ভালোই রানের গতি বেড়ে যায়। রান রেট আবারো বেড়ে যাচ্ছিলো তাদের। তবে বাটলার একমাত্র সেট ব্যাটসম্যান হিসেবে উপস্থিত ছিল অনেক্ষন, কিন্তু তাকেই ফেলে দেওয়ায় মেইন জায়গায় রানটা আটকে যায়। পরে কয়েকজন ভালোই মেরেছে, যদিও তারা বেশিক্ষন টিকতে না পারলেও ওই মুহূর্তে যে কয়টা রান করে দিয়েছিলো, সেটা অনেক ছিল। ব্রয়ডন নামের একজন এসে চার/ছয় ইচ্ছামতো মারছিলো, যদিও ৬ বেশিই মারছিলো।
উইকেট যদিও অনেকটা পড়ে গিয়েছিলো, কিন্তু যদি শেষ পর্যন্ত থাকতো তাহলে রান ১৮০ এর মতো হয়ে যেত বা তারও বেশি হতে পারতো। তবে টিকে থাকতে পারতো, যদি ভুল ডিসিশন এর কারণে আউট না হতো। ভুল সিদ্ধান্তের কারণে রান আউট হয়ে যায়। রান আউট না হলে অনেক রান হয়ে যেত। তবে মোটামুটি ইংল্যান্ড এর ওপেনার দুইজন বাদে বাকি সবাই মোটামুটি মেরে খেলেছে আর রান করেও গিয়েছে কিছুটা হলেও। ইন্ডিয়াও এই রান চেজ করতে নেমে শুরুটা মোটামুটি করেছিল। কিন্তু এই ম্যাচে অভিষেক lbw এর শিকার হয়ে যায়। স্যামসনও ক্যাচ তুলে দেয়। ফলে ওপেনের কারো কাছ থেকে তেমন কোনো রানের সুবিধা টিমের পক্ষে আসেনি।
সবাই মোটামুটি টুকিটাকি ৪/৬ মারলেও সেভাবে স্থায়ীভাবে কেউ খেলতে পারেনি। রানের চাপটাও অনেক বেড়ে যায় বাকিদের উপরে। একমাত্র তিলক বর্মা যদি না থাকতো শেষ অব্দি তাহলে এই ম্যাচ গেছিলো প্রায় হাত থেকে ছাড়িয়ে। জিতে যাওয়া ম্যাচটাই যেন মনে হচ্ছিলো হেরে যাবে এইরকম পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছিলো। কারণ তিলক একমাত্র আছে, যে এই ম্যাচ বের করার যোগ্যতা রাখে, কারণ অনেক্ষন ধরে খেলেছে আর সেট ব্যাটসম্যান, সে যদি না জিতাতে পারে, তাহলে ব্যাপারটা কেমন হয়ে যায়।
তবে সে খেলতে থাকলেও বাকিরা এসে এসে আউট হয়ে যাচ্ছে। পরে লাস্ট দুই ওভারে চাপটা আরো বেশি বেড়ে গিয়েছিলো, তবে রানের না, কারণ রান অনেকটা কম ছিল, তবে উইকেট পড়ে যাওয়ার একটা ভয় ছিল। কিন্তু বিষ্ণই পরপর দুইটা ৪ মেরে দারুন একটা কাজ করে, কারণ ওই মুহূর্তে বাউন্ডারি অনেক জরুরি ছিল। আর পরে স্ট্রাইক-এ তিলক যেয়ে ম্যাচটা জেতাতে সক্ষম হয়। লাস্টে বেশ টানটান উত্তেজনার সাথে ম্যাচটা শেষ হয়েছে বলতে গেলে।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দাদা, ইন্ডিয়া এবং ইংল্যান্ডের মধ্যকার টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সম্পর্কে আপনার লেখাগুলো পড়ে মনে হচ্ছে ব্যস্ত অত্যান্ত জমজমাট এবং উত্তেজনাকর একটি ম্যাচে পরিণত হয়েছিল। যদিও খেলাটি দেখার সুযোগ হয়নি আমার, তবে আপনার লেখাগুলো পড়েই স্পষ্টভাবেই বুঝতে পারলাম যে তিলক বর্মা ম্যাচটি জিতাতে মুখ্য ভূমিকা রেখেছিল।
আসলেই দাদা ইন্ডিয়া বেশিরভাগ ম্যাচে টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়ে থাকে। কারণ তারা টার্গেটে বেশ ভালো ব্যাট করে থাকে। যাইহোক এই ম্যাচে তিলক বর্মা এককথায় দুর্দান্ত ব্যাট করেছে। এই ম্যাচ জয়ের মাধ্যমে ইন্ডিয়া এই সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে গিয়েছে। আশা করি ইন্ডিয়া এই সিরিজ অবশ্যই জিতবে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
ভারত এবং ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি ম্যাচের টানটান উত্তেজনাকর একটি ম্যাচের রিভিউ করেছেন দাদা। ইংল্যান্ড মোটামুটি ভালোই রান করেছিল। তবে বিষ্ণু এবং তিলকের ব্যাটিংয়ের কারিশমাতেই ইন্ডিয়া জয়ী হয়। পুরো রিভিউটা বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে। অভিনন্দন ইন্ডিয়া টিমকে। ইন্ডিয়া এবং ইংল্যান্ডের মধ্যে হওয়া ম্যাচটি রিভিউ করে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দাদা।
ইংল্যান্ড এবং ভারতের এই টি টুয়েন্টি ম্যাচটা দেখছি বেশ টান টান উওেজনায় শেষ হয়েছে। টি টুয়েন্টি তে এমন না হলে ম্যাচ দেখে খুব একটা মজা হয় না। আর টসে জিতে ব্যাটিং বোলিং মূলত নির্ভর করে পিচ কেমন সেটার উপর। সুন্দর লিখেছেন দাদা।