ওয়েব সিরিজ রিভিউ: "ক্রিমিনাল জাস্টিস: অধুরা সাচ" ( সিজন ১: পর্ব ২ )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে "ক্রিমিনাল জাস্টিস: অধুরা সাচ" ওয়েব সিরিজটির দ্বিতীয় পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "ওয়েব অফ লাইস"। গত পর্বে দেখা গিয়েছিলো যে জারা মেয়েটির গায়েব হওয়া নিয়ে তার বাবা-মা পুলিশ ডেকেছিল এবং তারপর মুকুলের কাছ থেকে রাতে পার্টির বিষয়ে কথা বলেছিলো।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
☫মূল কাহিনী:☫
তো তারপর পুলিশের কাছে একটা বিচ থেকে ফোন আসে। মূলত ওই এলাকাটা জেলেদের। জেলেরা একদিন মাছ ধরার জন্য সমুদ্রের দিকে গেলে তাদের জালে একটা বড়ো কিছু বাধে এবং তারা তুলে দেখে পলিথিন মোড়ক করা একটা লাশ। এরপর পুলিশ স্পটে আসলে তারা লাশ শনাক্ত করার জন্য পরে জারার বাবা-মাকে ডাকে। যদিও লাশ অ্যাসিড দিয়ে অধিকাংশই গলিয়ে দেওয়া। তবে পায়ের দিকে একটা হার জাতীয় কিছু দিয়ে শনাক্ত করতে পারে তার বাবা-মা। আর পুলিশের ধারণা সঠিক যে, এটা কোনো নরমাল মৃত্যু না, সম্পূর্ণ একটা মার্ডার করা হয়েছে। আর মুকুলকে প্রাইম সাস্পেক্ট হিসেবে রেখেছে, কারণ তাদের ধারণা মুকুলই তার বোনকে খুন করেছে। তাছাড়া ওইদিন রাতে পার্টিতে যা যা হয়েছিল সবটাই সিসি ক্যামেরায় রেকর্ড করা।
মুকুল যে তার বোনকে টেনে গাড়িতে তুলেছিল, এটাই সন্দেহের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরপর কেস তো আরেকটা হলো এই মুকুলের যে বয়স তাতে সে মাইনর, এখন তার কেস একমাত্র জুভিনাইল কোর্টে লড়া যাবে। সেক্ষেত্রে তারা জুভিনাইল অফিসারদের ফোন করে ডাকে এবং ফরেনসিক টিমদেরও ডাকে। এরপর তাদের সামনে মুকুলকে জেরা করার জন্য সবকিছু সত্যি সত্যি বলতে বলে, যা তাদের একটা ফর্মালিটির মধ্যে পড়ে অর্থাৎ তাকে একটা সুযোগ দিচ্ছে, কারণ সবই তো রেকর্ড আছে, তাই মিথ্যা বলার জায়গা নেই। এখন মুকুল মোটামুটি সব সত্যিই বলে। আসলে ওইদিন মুকুলের বক্তব্য অনুযায়ী জারাকে গাড়িতে তোলার পরে তাকে নিয়ে বাড়িই ফিরছিলো, কিন্তু সমুদ্রের পাড়ে ওখানেই বমি করে দেয় আর মুকুল জল আনার জন্য ওখানে একটা বাংলো যা তৈরি হচ্ছে, সেখানে গিয়ে কিছু একটা পাত্র নিয়ে আসে।
কিন্তু জারা বাড়িতে না যেতে চাইলে মুকুল রাগ করে ওখানে গাড়ি লক করে বাড়িতে চলে আসে। এখন মুকুলের ঘর সার্চ দিয়ে ড্রাগও পায় আর এর থেকে জানাজানি হয় সেও ড্রাগ নেয়। এখন এই ড্রাগ জারাকেও নাকি দেওয়া হয়েছিল ওই পার্টিতে। এরপর মুকুল সহ তার পরিবারের সবাইকে গোয়া থেকে বাড়িতে পৌঁছিয়ে দেয়। কিন্তু ফরেনসিক রিপোর্ট আসতেই মুকুলকে জুভিনাইল জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ তো ভাবছেই এই ড্রাগ মুকুলই দিয়েছে। এদিকে একজন সরকারি উকিল এই কেস নিয়ে নিয়েছে মুকুলের বিপক্ষে। আর মুকুলের ছাড়াতে গেলে একজন ভালো উকিল অবশ্যই জরুরি। সেক্ষেত্রে গৌরী নামের একজন অফিসার তাকে হেল্প করে একজন ভালো উকিল খুঁজে দিতে।
☫ব্যক্তিগত মতামত:☫
মুকুল সম্ভবত তার বোনকে খুন করেনি, কিন্তু সমস্ত প্রমান আর সাক্ষী যেভাবে তার বিপক্ষে, তাতে সবারই মনে সন্দেহ এবং অনেকেরই ধারণা নিঃসন্দেহে মুকুল এই কাজ করেছে। এছাড়াও আরো একটা বিষয় হলো, এই মুকুল আর জারা দুইজন আপন ভাই-বোন না। মুকুল তার মায়ের আগের বিয়ের সন্তান আর জারা তার বাবার আগের বিয়ের সন্তান। এখন এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একজন সৎ ভাই-বোনের মধ্যে এইরকম সম্পর্ক আসতেই পারে যে, তাকে খুনের পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে। তাছাড়া ওই পার্টিতে সবার সামনেই তাকে খুনের হুমকি দিয়েছিলো। এটাও সন্দেহের অন্যতম একটা কারন। আর তাছাড়া এমনিতেও তাদের দুই ভাই-বোনের মধ্যে সম্পর্ক অতটাও ভালো ছিল না। এখন মুকুলের বাবা অর্থাৎ সৎ বাবা মিরাজও তাকে আপন ছেলের মতোই ভালোবাসতো, কিন্তু তার এইসব কর্মকান্ডও ভাবতে বাধ্য করছে যে সেই করেছে। তবে মুকুলের আসল যে বাবা, তার কাছে মনে হয়েছে সে খুন করতে পারে না, একটা বিশ্বাস রয়েছে। মিরাজেরও আস্থা আছে, কিন্তু নিজের মেয়ের মৃত্যুতে ভাবার শক্তি হারিয়ে ফেলেছে।
☫ব্যক্তিগত রেটিং:☫
৮.৭.১০
☫ট্রেইলার লিঙ্ক:☫
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দাদা আপনি আজকে এত সুন্দর করে এই ওয়েব সিরিজের সিজন ১ এর দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। মুকুল আর জারা দেখছি সৎ ভাই বোন। আর তাদের নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক দেখছি খুব একটা ভালো নয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপন ভাই বোনের সম্পর্কও খুনের মধ্যে চলে যায়। আর তাদের সম্পর্ক তো সৎ ভাই বোনের। এখন দেখছি সব সন্দেহ তার দিকেই যাচ্ছে। যাই হোক দাদা অপেক্ষায় থাকলাম এখন পরবর্তী পর্বটার রিভিউ পড়ার জন্য। আশা করছি খুব শীঘ্রই পরবর্তী পর্ব সবার মাঝে শেয়ার করে নিবেন।