সিম্পলভাবে তৈরি মুরগির মাংসের রেসিপি
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই সুস্থ, স্বাভাবিক আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজকে আপনাদের সাথে একটা রেসিপি ভাগ করে নেবো। আজকে আমি মুরগির মাংস রান্না করেছি। অনেকদিন বাদে আজকে মাংস রান্না করলাম। এমনিতে মাংস প্রায় সময় খাওয়া হয় তবে ব্রয়লার মাংস রান্না করে খাইনা, সবসময় ভেজে খেয়ে নেই। ব্রয়লার মাংস ভেজে খেতে অনেক ভালো লাগে আমার কাছে, তরকারিতে মোটেও ভালো লাগতে চায় না, গালে যেন রাবারের মতো লাফাতে থাকে কিছুক্ষন খাওয়ার পরে 😁। এই ব্রয়লার মাংস আমি আধা সেদ্ধও খেতে পারি, আর ভাজার সময় শুধু অল্প একটু বাটার আর হালকা লবন, হলুদ দিয়ে কাজ চালিয়ে দেই। যাইহোক, অনেকদিন পরে ব্রয়লার মাংস একটু তরকারি মতো রান্না করলাম আর অনেকদিন বাদে খেলাম ফলে বাঁশকাঠি চালের সাথে খেতে ভালোই লেগেছিলো। তবে এই মাংস ফ্রিজে রেখে রেখে এখনো ২ দিন চালাবো কারণ এই গরমে অতো খেয়ে আর সহ্য করতে পারবো না। যাইহোক আর বেশি কথা না বাড়িয়ে এখন রেসিপিটির মূল পর্বের দিকে চলে যাবো।
❂প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:❂
✔এখন রেসিপিটি যেভাবে প্রস্তুত করলাম----
❆প্রস্তুত প্রণালী:❆
➤প্রথমে মুরগির মাংসগুলোকে জল দিয়ে ২ বার ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছিলাম।
➤আলুগুলোর খোসা ছালিয়ে নিয়েছিলাম এবং পরে কেটে নেওয়ার পরে জল দিয়ে ধুয়ে নিয়েছিলাম।
➤পেঁয়াজগুলোর খোসা ছাড়িয়ে নিয়েছিলাম এবং সেই সাথে আদার খোসা ছালিয়ে নিয়েছিলাম। এরপর পেঁয়াজ কেটে নিয়েছিলাম।
➤রসুনের খোসা ছালিয়ে নেওয়ার পরে কোয়াগুলো আলাদা করে নিয়েছিলাম। এরপর আদা কেটে পিচ করে নিয়েছিলাম।
➤পেঁয়াজ আর রসুনের কোয়াগুলো মিক্সারে দিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিয়েছিলাম।
➤জিরা, মরিচ, লবঙ্গ, দারুচিনি, শুকনো লঙ্কা কড়াইতে করে গরম করে নিয়েছিলাম। এরপর সেগুলো মিক্সারের বাটিতে ঢেলে তাতে একটু জল দিয়ে দিয়েছিলাম এবং পরে পেস্ট তৈরি করে নিয়েছিলাম।
➤আলুর পিচগুলো ভাজা মতো করে নিয়েছিলাম।
➤কড়াইতে পরিমাণমতো তেল দিয়ে তাতে তেজ পাতা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে মাংসগুলো সব ঢেলে দিয়েছিলাম।
➤মাংস দেওয়ার পরে তাতে লবন, হলুদ আর পেস্ট করে রাখা সব মশলা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর মশলাগুলো মাংসের গায়ে ভালো করে উল্টেপাল্টে মিশিয়ে নিয়েছিলাম।
➤মেশানোর পরে মাংস ভালো করে কষিয়ে নিয়েছিলাম। কষানো হয়ে গেলে তাতে ভেজে রাখা আলুর পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤আলু কষানো মাংসের সাথে ভালো করে মিশিয়ে নিয়েছিলাম এবং পরে তাতে পরিমাণমতো জল দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤জল দেওয়ার পরে মাংসটা ভালোমতো হয়ে যাওয়া পর্যন্ত দেরি করেছিলাম।
➤অপেক্ষার পরে মাংসের তরকারি সম্পন্ন হয়ে গিয়েছিলো। এই তারিখ জ্বাল দিয়ে ঝোলটা অনেকখানি কমিয়ে নিয়েছিলাম কারণ গরমে ঝোল বেশি খাওয়া হবে না। যাইহোক এরপর খাওয়ার মতো অল্প করে মুরগির মাংস একটি প্লেটে তুলে নিয়েছিলাম।
রেসিপি বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

অনেকদিন বাদে আপনার মুরগির মাংসের রেসিপি দেখে অনেক ভালো লাগলো।খুবই সুন্দর করে রান্নার প্রতিটি ধাপ আপনি তুলে ধরেছেন।আসলে মুরগির মাংস প্রায় বেশিরভাগ মানুষেরই পছন্দ।আর আমিও তার বাইরে নই।মুরগির মাংস খেতে আসলেই আমার খুবই ভালো লাগে এটি আমার প্রিয় একটি তরকারি।
আপনার মুরগির মাংসের রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু ও মজাদার হয়েছে গতকাল আমরাও মুরগির মাংস রান্না করে বাসায় খেয়েছি তবে আপনার রেসিপি দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছিল প্রিয় দাদা♥♥
ব্রয়লার মুরগির মাংস সপ্তাহে প্রায় ৩ দিনই খেতে হয়। বয়লার মুরগি অল্পতেই সিদ্ধ হয়ে যায়। তবে আমার কাছে ভালোই লাগে মুরগির মাংস খেতে। বিশেষ করে আপনি যতোই সিম্পল করে রান্না করেন না কেন তার পরও আমার কাছে আপনার রেসিপি স্পেশাল লাগে। বাঁশকাঠি চাল দিয়ে সত্যি মুরগির মাংস অনেক মজা লাগে।
আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আপনার রেসিপির প্রতিটি স্টেপ আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। গতকালও মুরগির মাংস রান্না করছিলাম। মুরগি এতো খাই তাও মুরগি খেতে রুচি নষ্ট হয় না। দাদা, অনেক ধন্যবাদ আপনার অসাধারণ রেসিপির জন্য। অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য। 💕💕💕
অনেক সুন্দর একটি রেসিপি করেছেন ভাইয়া। দেখতে খুবই লোভনীয় হয়েছে খেতেও নিশ্চয়ই খুব মজাদার হয়েছে। দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে। বরাবরই আপনার রেসিপি খুব সুন্দর হয় ভাইয়া আজকেরটা ও তার ব্যতিক্রম নয়। আমার প্রতি সপ্তাহে প্রায় 2 থেকে 3 বার এই ব্রয়লার মুরগি খাওয়া হয়। এত সুন্দর একটি চমৎকার রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা ভালো থাকবেন সবসময়।
দাদা প্রথমত আমি মাংস খাই না।তাই এর স্বাদ সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নেই।তবে এটি বেশ সুস্বাদু এটি শুনেছি।তাছাড়া আপনার রান্না দেখেই বুঝতে পারছি।তবে এটি রান্না করতে দেখতাম কাকিমাকে,তখন রান্না করাটা বেশ সহজ লাগতো আমার কাছে।সত্যিই গরমে সিম্পল রান্না খেতেই ভালো লাগে ।নাহলে খুবই সমস্যা গরমের সময়, বেশি মসলা খেলে ও পেটে সহ্য করা কঠিন হয়ে পড়ে।খুবই সুন্দর হয়েছে রেসিপিটা👌👌, ধন্যবাদ আপনাকে।ভালো থাকবেন, শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
দাদা আপনার তৈরি করা মজার এই মাংসের রেসিপি ফ্রিজে রেখে খাওয়ার কি দরকার আমাদের সকলকে খাওয়ালেই তো হয় 😋😋। আপনার তৈরি করা রেসিপি দেখে মন চাচ্ছে গরম ভাত নিয়ে বসে পড়ি খাওয়ার জন্য। ব্রয়লার মুরগির মাংস খেতে আমার ভালোই লাগে। আর যদি হয় আপনার হাতের রান্না তাহলে তো আরো মজাদার হয়েছে। কারণ আপনি হচ্ছেন আমার দেখা সেরা রন্ধনশিল্পী। লোভনীয় একটি রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা। সেইসাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।
💝💝💝💝
আলু দিয়ে ব্রয়লার মুরগির মাংস রান্না করলে খেতে খুবই ভালো লাগে। দুপুরবেলায় এত মজার রেসিপি দেখে লোভ লেগে গেলো দাদা 😋😋😋। দাদা আপনার মত আমার কাছেও ব্রয়লার মুরগির মাংস ভাজা খেতে বেশি ভালো লাগে। আপনি এতো সুন্দর করে এই রেসিপি তৈরি করেছেন দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। আপনার রেসিপি তৈরির ধাপ গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপনার এই রেসিপি খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আপনি যেহেতু অনেকদিন বাদে এই রেসিপি তৈরি করে খেয়েছেন তাই নিশ্চয়ই আপনার কাছে খেতে আরও বেশি ভালো লেগেছে। আর আপনি সবসময় সেরা রাঁধুনি এটা আমরা সকলেই জানি। আপনি আপনার দক্ষতায় অনেক সুন্দর ভাবে মজার এই রেসিপি শেয়ার করেছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।
আসলে দাদা ব্রয়লার মুরগির মাংস যদি ভাজি করে রান্না করা যায়। তাহলে খেতে খুবই মজা হয়। ব্রয়লার মুরগির মাংস একটানা বেশি দিন খেলে আবার খাওয়ার ইচ্ছাটা কমিয়ে যায় তবে আমি বলেন মুরগির মাংস মাঝেমধ্যে খাই আর মাঝেমধ্যে খেতে ভালই লাগে।এই রেসিপিটি ঝাল ঝাল করে রান্না করা হয়। তাহলে খেতে খুবই মজা লাগে।আজকে আপনি ব্রয়লার মুরগি সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করলেন। আসলে আলু দিয়ে ব্রয়লার মুরগির মাংস রান্না করলে অনেক মজা লাগে ।আমার কাছে অনেক দিন পর পর খেতে মজা লাগে। আপনার উপস্থাপনা আমার খুবই ভালো লেগেছে। আপনি খুবই সুন্দরভাবে পরিবেশন করলেন। সত্যি ফ্রিজে রেখে অল্প অল্প করে খাওয়ায় ভাল। বেশি খেলে আমার সমস্যা দেখা দিতে পারে। যাইহোক আপনার রেসিপি আমার খুবই ভালো লেগেছে। আপনার জন্য রইল শুভকামনা।
মুরগির মাংস খেতে অনেক সুস্বাদু আর আমারে মাংস খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনার আজকে মুরগির মাংস রান্নার পদ্ধতিটা আমার বেশ ভাল লেগেছে দাদা। আপনি খুবই সুন্দর করে এই রান্নার পদ্ধতি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে
মুরগির মাংসের খুব লোভনীয় রেসিপি প্রস্তুত করেছেন দাদা ।রেসিপি দেখেই জিভে জল চলে আসলো। খেতে ভারি মজা হয়েছিল এতে কোন সন্দেহ নেই ।এভাবে মুরগির মাংস রান্না করে রুটি অথবা পরোটা দিয়ে খেতে সব থেকে বেশি ভালো লাগে আমার কাছে ।রেসিপিটি সম্পর্কে অসাধারণা উপস্থাপনা করেছেন শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য
ঝটপট সিম্পল ভাবে কিভাবে মুরগির মাংস রান্না করতে হয় সেটা আপনার এই পোস্ট দেখলে খুব সহজেই বোঝা যায়। আপনার শেয়ার করা মাংসের রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক মজা হয়েছে তাছাড়া আলু দেয়াতে আমার কাছে মনে হয় মাংসের রেসিপি আরো বেশি মজা লাগবে।