একটি টি২০ সিরিজে একাধিক নজির সঞ্জু স্যামসনের!
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
Image Created by OpenAI
আজকে আপনাদের সাথে খেলাধুলার বিষয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। এখন বর্তমানে টি২০ সিরিজ চলছে ইন্ডিয়া আর দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে। যদিও এর আগে একটি টি২০ ম্যাচ হয়ে গেছে এবং এটি দ্বিতীয়টা গতকাল হয়েছে। আর এই খেলা দক্ষিণ আফ্রিকায় হওয়ায় অনেক রাতের দিকেই শেষ হচ্ছে। তবে এই খেলায় একজন একাধিক নজির তৈরি করেছে। বিশেষ করে এই দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচে। সঞ্জু স্যামসনকে তো অনেকেই চিনে থাকবেন, এই প্লেয়ারটা উইকেট কিপারের পাশাপাশি মোটামুটি বেশ ভালো খেলে, প্রায় ম্যাচে মোটামুটি একটা ভালো রেজাল্ট থাকে ব্যাটিং বা কিপারের দিক থেকে। তবে ব্যাটে মাঝে মাঝে বড্ড বাজে খেলে, রান একেবারে পায় না বললেই চলে। তবে যে ম্যাচে টিকে যায়, সেটাতে পরে আউট করা একটু ডিফিকাল্ট হয়ে যায় যেকোনো টিমের দিক থেকে।
এই যেমন এই দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচটিতে একমাত্র তার জন্যই কিন্তু জিতেছে, কারণ সে ছাড়া আরো কেউ রান পাইনি এই ম্যাচে। আর বিশেষ করে আপনারা জানবেন যে, এই দক্ষিণ আফ্রিকার পিচে কিন্তু রান করা খুবই কঠিন একটা বিষয়, রান করাই যায় না ম্যাক্সিমাম সময়ে। সেখানে দাঁড়িয়ে সঞ্জু স্যামসন যে এইধরণের খেলবে সেটা অবাক করার মতোই বিষয়। আর ভারতের বর্তমানে টি২০ টিম সম্পূর্ণ নতুন অর্থাৎ ক্যাটাগরি অনুযায়ী প্রায় ভাগ করে ফেলেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার পিচ যেমন খারাপ আবার তেমন তাদের কিছু পেচ বলার+ স্পিনার আছে, যাদের বোলিং ফরম্যাট খুবই স্ট্রং। তবে সঞ্জু কিন্তু কোনো ডিফেন্স ফরম্যাটে খেলেনি একদমই, যতক্ষণ পিচে ছিল, দারুন স্ট্রাইক রেট নিয়ে এগিয়ে গিয়েছে। আর সব থেকে বড়ো বিষয় হলো এই দক্ষিণ আফ্রিকায় সঞ্জু এক সাথে এই একটিই ম্যাচে অনেকগুলো নজির গড়েছে।
যেমন বিগত সময়ে দেখা গিয়েছে যে, টি২০ সিরিজে একজন প্লেয়ার বা ব্যাটারের কিন্তু পরপর কোনো রেকর্ড নেই শত রান করা। আর টি২০ ফরম্যাটে যতই ভালো খেলা হোক না কেন, শত রান পর্যন্ত যাওয়া অতটা সহজ পথ হয় না। এমনকি অনেক সময়ে ৯০-৯৯ রানের মাথায় গিয়েও আউট হয়ে যায়। সেই হিসেবে মাত্র ৩ জন প্লেয়ারের এইরকম রেকর্ড ছিল পরপর দুটি টি২০ তে শতরান করার। এক্ষেত্রে সঞ্জুও নিজের জায়গা করে নিয়েছে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এর আগে একমাত্র সূর্য কুমারের শতরান করার রেকর্ড ছিল ভারতীয় হিসেবে, সেই জায়গায় আরো একজনের নাম যুক্ত হলো। এইরকম আরো রেকর্ড করেছে শতরানের দিক থেকে। আর এই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার পিচে এবং স্ট্রং বোলিং লাইনে দাঁড়িয়ে ১০ টা ছয় হাঁকানো একটা বড়ো বিষয়, সেটাও করে দেখিয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার পিচ এমনিতেই হার্ড। তবে ভারতীয় হিসেবে এক ইনিংসে টি২০ ফরম্যাটে এটা সর্বোচ্চ ছয় এর রেকর্ড। এটাও করেছে। এইরকম একাধিক নজির গড়েছে। ভারতের এই টি২০ এর টিমটা আরো বেশি স্ট্রং হবে আশা করা যায়। সঞ্জু এর সাথে যদি এই ম্যাচে অভিষেক বা সূর্যকুমার বা যে কেউ একজন ব্যাটসম্যান ভালো খেলে দিতো অর্থাৎ মাত্র ৫০-৬০ রান করতে পারতো, তাহলে এই রানটা একটা ৫০ ওভারের ম্যাচের সমান স্ট্রং রান হয়ে যেত,২৫০+ রান টি২০ তে যদিও এর আগে অনেক রেকর্ড আছে আইপিএল সহ এবং চেজিং রেকর্ডও আছে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার পিচে এটা কল্পনার সমান হয়ে যায়। দক্ষিণ আফ্রিকা নিজেরাই স্পিনারের সামনে টিকতে পারেনি দেড়শো হওয়ার আগেই তাদের গুটিয়ে যায়। তবে এটা দেখে বেশ ভালো লাগলো যে, দক্ষিণ আফ্রিকার পিচে কিছু রেকর্ড হলো এবং ভারতীয় হয়ে কয়েকজনের রেকর্ডও ভাঙলো।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দাদা এটা তো এই সিরিজের প্রথম ম্যাচ ছিলো এবং একটু আগে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ শুরু হলো। যাইহোক প্রথম ম্যাচে সঞ্জু স্যামসনের ব্যাটিং দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি। ১০ টা ছক্কা হাঁকিয়েছে এবং স্ট্রাইক রেট ছিলো ২০০ এর উপরে। তবে এটা ঠিক, এই ম্যাচে তাকে যদি ভারতীয় কোনো ব্যাটসম্যান সাপোর্ট দিতে পারতো,তাহলে ভারতের স্কোর মিনিমাম ২৩০/২৪০ হতো। যাইহোক সঞ্জু স্যামসন দ্বিতীয় ম্যাচে একটু আগে ০ রান করে আউট হয়ে গেলো। দেখা যাক এই ম্যাচের রেজাল্ট কি হয়। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
আমি তো সঞ্জু স্যামসনের বিষয়ে লিখেছি আসলে। ও পরপর দুটি টি20 ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছে। তাই এটা আগের একটা বাংলাদেশের সাথে আর একটা দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে। এইজন্য দ্বিতীয় টি20 লিখেছি। ওখানে লেখাটা একটু ওভাবে লেখায় বুঝতে অসুবিধা হয়েছে।
ওহ্ আচ্ছা তাহলে ঠিক আছে দাদা। ভালো থাকবেন সবসময়।
সঞ্জু স্যামসন অনেক আগে থেকেই বেশ ভালো খেলে। কিন্তু ভারতীয় দলে সুযোগ হয়নি। এটা তার প্রতি একপ্রকার অবিচার বলা যায়। সত্যি টি টুয়েন্টি তে ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি এককথায় অভাবনীয়। চমৎকার লাগল আপনার পোস্ট টা দাদা।
ভারতীয় টিমে সুযোগ পাওয়া খুবই মুশকিল। সহজে সুযোগ পাওয়া যায় না, আর একবার সুযোগ মিস হলে চান্স পেতে অনেক দেরি হয়।