ক্রিমিনাল জাস্টিস: অধুরা সাচ ( সিজন ১: পর্ব ৫ )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে "ক্রিমিনাল জাস্টিস: অধুরা সাচ" ওয়েব সিরিজটির পঞ্চম পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "কনফার্মেশন বায়াস"। গত পর্বে দেখা গিয়েছিলো যে, মুকুলকে এডাল্ট ট্রায়াল দিয়ে তাকে জুভিনাইল কোর্টের আওতা থেকে বের করার চেষ্টা করছিলো। এই পর্বে দেখা যাক, বিষয়টা কি হয়।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
❄মূল কাহিনী:❄
মূলত পাবলিক প্রসিকিউটর আর অফিসার প্রশান্ত মিলে যেটা করতে চেয়েছিলো, সেটাতে সফল হয়ে যায়। মেইনলি তার কাগজপত্র এবং আইন অনুযায়ী সে এখনো মাইনর, কিন্তু তার চিন্তাভাবনা এডাল্টদের মতো, সেটা প্রমান করায় জুভিনাইল কোর্টে। তো এরপর মুকুলের কেস বাইরের কোর্টে চলবে বলে এমন নির্দেশ দেয়। এদিকে যে মতি নামের লোকটিকে ধরে এনে জেরা করছিলো, তার থেকে তেমন কিছুই জানতে পারেনি, আর ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর জন্যও যে সেম্পেল পাঠিয়েছিল, সেটাতেও তেমন কোনো প্রমান পায়নি। এদিকে মুকুল মাধব উকিলের সাথে একটার পর একটা মিথ্যে কথা বলেই যাচ্ছে, ফলে কেস কোনোদিক থেকে এগোচ্ছেই না। এদিকে আবার মুকুলের মা এমন একটা সত্যির মুখোমুখি হয়, যেটা তার মন-মানসিকতা আরো ভেঙে দেয়। মূলত মুকুলের রাগের একটা সমস্যা আছে, ফলে একে থেরাপি করতে পাঠাতো একজনের কাছে।
আর তার রাগ কখন কোনটায় কি হচ্ছে, সেটা মাঝেমধ্যে রেকর্ড করতে বলতো। তো একদিন মুকুলের সাথে তার বোন জারার একটু রাগারাগি হয় আর তাই নিয়ে তাকে যা নয় তাই বলে গালি দেয় আর সেটা ফোনে রেকর্ড করে। এই ফোনটা মুকুলের মা হঠাৎ তার রুমের ড্রয়ার থেকে পায়, আর সবকিছু শোনে। এরপর মুকুলের সাথে এসে দেখা করে এইসবের কারণ কি। মুকুল তার মাকে যদিও সেই থেরাপির বিষয়ে বলে, কিন্তু বিশ্বাস করতে পারছিলো না, কারণ ওই রেকর্ড -এ এতো এতো গালি, যে একজনের উপর কতটা ঘৃণা থাকলে সেটা করতে পারে। এটা সত্যি যে, জারার উপর তার প্রথম থেকেই একটু একটু করে ঘৃণা জমতে জমতে অনেক বেড়ে যায়। আসলে তার মায়ের ডিভোর্স হওয়ার পরে আরেকজনের সাথে বিয়ে হলে ওখানে এই জারারকে নানাভাবে তার মা অর্থাৎ মুকুলের মা সময় দিতো, ভালোবাসতো।
আর এইসব দেখে মুকুলের আরো মন ভেঙে যেত এবং জারার প্রতি তার ঘৃণা চরম পর্যায়ে পৌঁছিয়ে যায়, এক কোথায় তাকে সহ্যই করতে পারতো না। কিন্তু তাই বলে তাকে আবার খারাপ কোনো কাজ করতে দিতেও না কোনো জায়গায়, যেমনটা এই পার্টিতে হলো আর কি। তো এই নিয়ে অনেক বিবাদ হয়। এখন মাধব সবকিছুর পরেও লাস্ট আরেকবার মুকুলকে রিকোয়েস্ট করে সবকিছু সত্যি বলতে। এমনকি শেষ পর্যন্ত তাকে দোষী প্রমান করার জন্য উত্তেজিত করে তোলে, এরপরে সবকিছু সত্যি বলতে শুরু করে। মোটামুটি ওই রাতের থেকে যা যা হয়েছিল সবকিছুই বলে। পাবলিক প্রসিকিউটর আর মাধব মোটামুটি যে যার মতো প্রমান জোগাড় করতে থাকে। এরপরে একদিন কোর্টে কেস শুরু হয়ে যায়। সেখানে মোটামুটি মুকুলকে বিভিন্ন ভাবে প্রমান করার চেষ্টা করে যে, সে দোষী, তার বিভিন্ন সময়ে ভায়োলেন্স হওয়া এইসব বিষয়গুলো তার বিপক্ষে নিয়ে যেতে থাকে বারবার। এদিকে মিরাজ মুকুলকেই দোষী মনে করছে, ফলে তার ব্যাপারে কোনপ্রকার সাহায্যই করছে না সে ।
❄ব্যক্তিগত মতামত:❄
মূলত মুকুলকে যেকোনোভাবেই প্রমান করার চেষ্টা চলছে যে, সে এই মার্ডার করেছে। কারণ ক্রাইম স্পট থেকে যেসব প্রমান, ফিঙ্গারপ্রিন্ট পেয়েছে, তার সাথে সবকিছুই মুকুলকেই নিরিখ করছে যে, সেই মার্ডার করেছে। ওখানে যে অ্যাসিড দিয়ে তাকে মারা হয়েছে, সেই টবের উপরেও তার হাতের ফিঙ্গারপ্রিন্ট আছে। আসলে মেইনলি ওইদিন পার্টিতে মুকুলের সাথে আরো দুইজনের দেখা হয়েছিল এবং তাদের সাথে ডিল হয়েছিল এই ড্রাগ কেনার। মুকুল তাদের এই ড্রাগ দিলে সে আবার তার অন্য বন্ধুদের মধ্যে শেয়ার করে আর তারাই জারার গ্লাসে এই ড্রাগ ড্রিংক এর সাথে মিশিয়ে দেয়। কিন্তু প্রশান্ত নামের এই অফিসার আগে থেকেই ভেবে বসে আছে যে, এই মার্ডার মুকুলই করেছে, তাই সে আর ফরেনসিক রিপোর্ট পাওয়ার আগেই সেটা চার্জশিটে তুলে ধরেছে। সমস্ত কনফার্মেশন বায়াস করা হচ্ছে, মুকুলও তাই করেছে সেম কাজ। এই কেসে এখন নতুন মোড় নিতে যাচ্ছে, দেখা যাক কি হয়।
❄ব্যক্তিগত রেটিং:❄
৮.৭/১০
❄ট্রেইলার লিঙ্ক:❄
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনি আজকে চমৎকার একটি ওয়েব সিরিজ রিভিউ শেয়ার করেছেন।অধুরা সাচ" ওয়েব সিরিজটির পঞ্চম পর্ব রিভিউ করলেন।এর আগের পর্ব গুলো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে,এই পর্বটি পড়েও অনেক বেশি ভালো লাগলো। আসলে রিভিউ পড়লে আমার মনে হয় না যে আর দেখার প্রয়োজন হয় । আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা এতো সুন্দর একটি রিভিউ শেয়ার করার জন্য।
দাদা আপনি অনেক সুন্দর করে এই ওয়েব সিরিজের পঞ্চম পর্বের রিভিউ টা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আমার কাছে সব গুলো পর্বের মত এই পর্ব টাও অনেক ভালো লাগলো। এখানে দেখছি মুকুল মার্ডার করেছে এটা প্রমাণ করার চেষ্টা করছে তারা। অন্যদিকে ওই লোকগুলো ড্রিংকসের সাথে মিশিয়ে ছিল ড্রাগ। এখন দেখছি এই কেস এ নতুন মোড় নিতে যাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত কি হয় এটাই দেখার জন্য এখন অপেক্ষায় আছি। আশা করি খুব শীঘ্রই শেয়ার করবেন পরবর্তী পর্বের রিভিউ।
আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো এই ওয়েব সিরিজের পঞ্চম পর্বটার রিভিউ পড়তে। অপেক্ষায় ছিলাম এই পর্বটার রিভিউ পড়ার জন্য। এখন তো দেখছি কেসের মোড় অন্যদিকে চলে যাচ্ছে। আর মুকুল মার্ডার করেছে এটা প্রমাণ করার চেষ্টা চলছে। তার হাতের চাপের কারণেই বেশি শিউর। কিন্তু ড্রাগস ড্রিংসের সাথে মিশিয়ে ছিল ওই বন্ধুরা। পরবর্তীতে কি হবে এখন এটা দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম দাদা। ধন্যবাদ দাদা, সবগুলো পর্বের মতো এই পর্বটাও সুন্দর করে শেয়ার করার জন্য।
মুকুল তো দেখছি সবদিক দিয়েই ফেঁসে গিয়েছে। কিন্তু আমার কেনো জানি মনে হচ্ছে মুকুল খুন করেনি জারাকে। দেখা যাক মাধব উকিল মুকুলের জন্য কিছু করতে পারে কিনা। তবে এই ওয়েব সিরিজটা একেবারে জমে গিয়েছে দাদা। বেশ ভালো লাগলো এই পর্বের রিভিউ পড়ে। যাইহোক এই পর্বের রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।