শুভ বিজয়া দশমী।
চলুন শুরু করা যাক আমার আজকের পোস্ট টি।
ষষ্ঠী দিয়ে দুর্গা পুজা শুরু হয়ে দশমীর মাধ্যমে সনাতন ধর্মাবলম্বী দের দুর্গা পুজা শেষ হয়। আবার এক বছর এর অপেক্ষা। তাই সবারই একটু মন খারাপ হয়।দশমীর দিন সকালে উঠে তৈরি হয়ে চলে গেলাম মন্দির সেখানে আগে দশমীর অঞ্জলী দিলাম।
তারপর দীদা আর মাকে নিয়ে গেলাম কঠা যাত্রা করাতে।
তারপর সবাই বই ছোঁয়ালো।আমি ও বই নিয়ে গিয়েছিলাম সেগুলো ছোঁয়ালাম। তারপর সবাই মিলে সিঁদুর খেললাম।
এদিকে ঠাকুর দাদু সবার হাতে অপরাজিতা বেঁধে দিচ্ছিলো। আমি ও বাঁধলাম।
এরপর আবার আমি, মাসি ও বোন মিলে বিভিন্ন মন্দির এ গেলাম।তারপর বাসায় এসে হাতমুখ ধুয়ে পরিষ্কার হয়ে নিলাম।বাসায় এদিকে এলাহী ভোজন আয়োজন।
দশমীর দিন মাছ, মাংস, পোলাও, ডাল আর ও অনেক কিছু ছিলো। এদিন পুরো বাড়ির সবাই একসাথে খাওয়া দাওয়া করা হয়। তাই বেশ মজা হয়।
খাওয়া দাওয়া শেষ করতেই মায়ের বিদায় ঢাক বেজে উঠলো।আবার সবাই মিলে গেলাম মন্দির এ মাকে এ বছরের মতো বিদায় জানালাম। ভক্তি শ্রদ্ধা জানিয়ে মনের সকল কথা বললাম।
তারপর দেখতে দেখতে সন্ধ্যা লেগে গেলো।আবার ও ঢাক বাজা শুরু হলো।এই ঢাকের শব্দ এলাকা বাসিকে জানান দেয় যে মায়ের বিসর্জন সম্পুর্ন। তাই ছোটরা বড়দের প্রনাম করে শুভ বিজয়া জানায়। আর বড়রা আর্শীরবাদ, টাকা ও মিষ্টি দেয়।
আমি ও সবাই কে প্রনাম করলাম। আর্শীরবাদ এর সাথে সাথে বেশ মোটা অংকের টাকা পেলাম প্রনামী হিসেবে।
এরপর মন্দির থেকে ঢাক আসলো, এবার দশমীর জন্য রাতের খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করা হয়েছে। তাই আবার সেখানে গেলাম।
এখানে বেশ ভালো ভোজন এর আয়োজন ছিলো,লুচি,মিষ্টি, আলু কফির রসা, ডাল।
সারাদিন এত কিছু খাওয়া দাওয়া করে শেষ এ গিয়ে আমার অনেক শরীর খারাপ হয়ে যায়। এরপর বাসায় বসলো বিজয়া দশমীর আড্ডা। কারণ সবার ছুটি শেষ এর দিকে। আবার এভাবে সবাই এক হতে হতে আরো এক বছর। তাই সবাই মিলে গভীর রাত পর্যন্ত মজা করলাম। তারপর সবাই মিলে ঘুমিয়ে পড়লাম।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বিজয়া দশমীর দিনে আপনার দিন টি অনেক সুন্দর ভাবে কাটিয়েছেন, দেখে বেশ ভালো লাগলো। সবাই কে আশির্বাদ করার মাধ্যমে মোটা অংকের একটি টাকা পেয়েছেন, জেনে বেশ ভালো লাগলো ভাইয়া।সব কিছু মিলিয়ে দশমির দিন টি খুবই সুন্দর ভাবে উপভোগ করেছেন।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।