যুদ্ধ নয় শান্তি চাই

কেমন আছেন বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


গত দুইদিন থেকে বেশ উৎকণ্ঠায় দিন কাটছিলো। মনে হচ্ছিলো এই বুঝি আবার তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হোলো। ঘটনার সূত্রপাত কয়েকদিন আগে। কয়েক দিন আগে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানি দূতাবাসে ইজরাইল ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিলো। সেই হামলায় ইরানি একজন উচ্চপর্যায়ের সামরিক কর্মকর্তা মারা যান। সেই ঘটনার বদলা হিসেবে ইরান ঘোষণা দেয় ইজরাইলে হামলা করার। আবার এদিকে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন ইরান ইসরাইলে হামরা করলে তারা ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেবে। সবকিছু মিলিয়ে খুবই বাজে একটা অবস্থা তৈরি হয়েছিলো। এদিক থেকে ইজরায়েল ও বেশ হম্বিতম্বি করে যাচ্ছিলো। তারা বলছিলো ইরানের যে কোন ধারণের আগ্রাসন ঠেকানোর ক্ষমতা তাদের রয়েছে।

Black and Gold Fancy New Year Card_20240414_145919_0000.png

ক্যানভা দ্বারা তৈরি করা হয়েছে

যদিও এসবই ফাঁকা বুলি। আমেরিকা ছাড়া ইসরাইলের আসলে টিকে থাকার কোন পথ নেই। আর ইজরাইল কর্তৃপক্ষ ভালোভাবে জানে আমেরিকা তাদেরকে সব সময় সাপোর্ট করে যাবে। কারণ মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার নিয়ন্ত্রণ টিকিয়ে রাখার জন্য ইজরাইলকে আমেরিকার খুবই প্রয়োজন। এই কারণে আমেরিকা সবসময় ইজরাইলের সমস্ত রকম অনৈতিক কর্মকাণ্ডে সহায়তা প্রদান করে। যাই হোক আজকে সকালে প্রথমে ইউটিউব এর মারফত জানতে পারলাম ইরান ইজরাইলে হামলা করেছে। বেশ কিছু ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র তারা ইসরাইলের উদ্দেশ্যে উৎক্ষেপণ করেছে। যদিও সেগুলোর বেশিরভাগই ইসরাইল তাদের আকাশ সীমায় ঢোকার আগেই ধ্বংস করতে সক্ষম হয়। অবশ্য এই ব্যাপারে তাদেরকে আমেরিকা এবং ব্রিটিশ বাহিনী সহায়তা করেছে। দু একটি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলের অভ্যন্তরে আঘাত হানলেও সেখানে তেমন কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এর পর পরই আরেকটি নিউজে দেখলাম জাতিসংঘের নিয়োজিত ইরানি দূত তিনি জানিয়েছেন এবারের মতো ইরানের জবাব দেয়া হয়ে গিয়েছে। তারা আর এই বিষয় নিয়ে আগাতে চায় না।


এই খবরটা দেখার পর বেশ স্বস্তি বোধ করছি। কারণ যুদ্ধ কখনোই কাম্য নয়। যদিও মাঝে মাঝে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যায় যেখানে যুদ্ধই একমাত্র সমাধান। যাই হোক মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ হলে সারা পৃথিবীতে একটা অস্থির অবস্থার তৈরি হয়। সারা পৃথিবীর জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়। কারণ সবকিছুর সাথে জ্বালানি তেল সম্পৃক্ত। পৃথিবীতে যতো পন্য পরিবহন হয় তার সিংহভাগ হয় সমুদ্রপথে। আর এই সমুদ্রপথে জাহাজগুলোর প্রচুর পরিমাণ জ্বালানি খরচ হয়। এই জ্বালানির দাম যখন বেড়ে যায় তখন এমনিতেই দ্রব্যমূল্য অনেক বেড়ে যায়। সেই কারণে অন্য আর সবার মত আমারও চাওয়া যে কোনোভাবেই হোক যেনো যুদ্ধ পরিস্থিতি এড়িয়ে শান্তি স্থাপিত হয়। যুদ্ধক্ষেত্রে নয় সমস্যা সমস্ত সমস্যার সমাধান হোক আলোচনা টেবিলে।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।



ধন্যবাদ

Sort:  
 last month 

আসলে সবাই চায় একটা স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে তবে সাম্প্রতিক মধ্যে প্রাচীরের কিছু ঘটনা বিষয়টা অস্থিতিশীল করেছে। সবাই চায় সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যুদ্ধ বিরতি নেমে আসুক কারণ কোন দেশের ক্ষেত্রেই যুদ্ধ কখনো সফলতা বয়ে আনে না।

 last month (edited)

খুবই চমৎকার বিষয় তুলে ধরেছেন আপনি। যুদ্ধ সমাধান নয় বরং মানবতার ধ্বংস। ইরান এবং ইসরাইলের যুদ্ধ যদি শুরু হয় তাহলে এটার প্রভাব পৃথিবীব্যাপি হবে। ইসরাইলকে সমর্থন দিবে আমেরিকা। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে এটা জেনে ভালো লাগলো যে, ইরান ইজরাইলে হামলা চালাবে না আর। যদি যুদ্ধ চলমান থাকে তাহলে দ্রব্যমূল্যের দাম সহ সব কিছুর দাম আবার বৃদ্ধি পাবে। আপনার সাথে একমত পোষণ করে বলছি, যুদ্ধের মাধ্যমে নয় টেবিল টকের মাধ্যমে সকল কিছু সমাধান হোক।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 60191.28
ETH 3302.01
USDT 1.00
SBD 2.36