তীব্র গরমে অসহনীয় ঢাকা শহর
আজকে পত্রিকার পাতায় একটি কলাম দেখে মনে হোলো এই কলামটা তৈরীর জন্য আমরাই দায়ী। কলামটা ছিলো এমন ঢাকাবাসীকে ভোগাচ্ছে জমে থাকাটা তাপ। আমরা বাংলাদেশে যারা বসবাস করি তারা সবাই জানি ঢাকা শহর প্রায় বসবাসের অযোগ্য একটি শহরে পরিণত হয়েছে। অপরিকল্পিতভাবে নগরায়ন, শহরের বনাঞ্চল এবং জলাভূমি গুলো দখল করে সেখানে কংক্রিটে জঙ্গল গড়ে তোলা। আর অপরিকল্পিতভাবে শহরের ভেতরে নানা রকম কলকারখানা স্থাপন করা। এই সব কিছুর কারণে ঢাকা শহর আজ বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
আজকে আমরা ঢাকা শহরের তাপমাত্রা নিয়ে হাহুতাশ করছি। গবেষণায় দেখা গিয়েছে ঢাকা শহরের তাপমাত্রা তার পাশের জেলাগুলো থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। আবার দিনের আলো শেষ হয়ে গেলেও ঢাকা শহরের গরম খুব একটা কমছে না। কারণ শহরের ভেতর জমে থাকা তাপ যেটাকে বলা হচ্ছে হিট আইল্যান্ড। আর এই হিট আইল্যান্ড তৈরি হওয়ার জন্য ঢাকা শহরের লোকেরাই দায়ী। শহরের বিল্ডিং গুলো তৈরি হয়েছে সব অপরিকল্পিতভাবে। বিল্ডিং এর ফাঁকা দিয়ে বাতাস চলাচলের তেমন কোন ব্যবস্থা রাখা হয়নি। বিল্ডিং গুলো তৈরি করা হয়েছে একেবারে একটার সাথে আরেকটা গা ঘেঁষে। সেই সাথে সেই সাথে গত ৩০ বছরে ঢাকা শহরের জলাশয়ের পরিমাণ ৩০ বর্গ কিলোমিটার থেকে কমে মাত্র চার বর্গ কিলোমিটারে এসে দাঁড়িয়েছে। একটি শহরে ন্যূনতম সবুজ এলাকা থাকতে হয় ১৫ শতাংশ। ঢাকা শহরে আছে এখন মাত্র সাত শতাংশ জায়গা। এখন আপনারাই চিন্তা করে দেখুন আজকের এই অসহনীয় অবস্থা কারা তৈরি করেছে?
বাড়িঘর তৈরি করার সময় আমরা ১ ইঞ্চি জায়গাও ছাড় দিতে চাই না। অথচ কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনে বাড়ি তৈরি করলে প্রত্যেকটি বাড়ির আশেপাশে পর্যাপ্ত জায়গা থাকতো। সেখানে সবাই দু চারটি করে গাছও লাগাতে পারতো। কিন্তু এখন আর সেই সুযোগ নেই। কারণ ঢাকা শহরের প্রায় সমস্ত জায়গা দখল হয়ে গিয়েছে বা বাড়িঘর তৈরি করা হয়ে গিয়েছে। এখন যদি ঢাকা শহর নিয়ে চিন্তা করতে হয় তাহলে ঢাকা শহরকে পুরোপুরি ধ্বংস করে আবার নতুন করে তৈরি করতে হবে। যদিও জানি এটা অসম্ভব একটা ব্যাপার। এই শহরে পর্যাপ্ত সবুজ এলাকা নেই, পর্যাপ্ত জলাশয় নেই। মানুষের দুদন্ড শান্তিতে বসে থাকার মতো জায়গা নেই। তারপরও কি শহরের নির্মাণ যজ্ঞ থেমে রয়েছে মোটেও না। এখনো যতটুকু জায়গা বাকি আছে সেটুকু দখল করার পায়তারা চলছে বা দখল করে সেখানে নতুন করে কংক্রিটের জঙ্গল নির্মাণের কাজ চলছে। ঢাকা শহরকে রক্ষা করতে হলে এখন সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত আসতে হবে এবং ঢাকা শহরের পরিবেশ নষ্ট কারী সকলকে কঠোরভাবে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। তারপর দখল হয়ে যাওয়া সমস্ত জমি উদ্ধার করে সেখানে বনাঞ্চল তৈরি করতে হবে এবং জলাশয় তৈরি করতে হবে। তাহলেই একমাত্র সম্ভব ঢাকা শহরের মানুষকে এই সমস্যা থেকে বাঁচানো।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
বর্তমানে ঢাকায় গরমের অবস্থা খুবই খারাপ তবে এর জন্য দায়ী ঢাকার মানুষেরাই। অনিয়ন্ত্রিতভাবে সব বসত বাড়ি তৈরি করে গাছপালা কেটে ফেলে দিয়ে এরকম গরমের সম্মুখীন হচ্ছে এখন। আপনি সত্যি বলেছেন এসব মানুষদের এখন আইনের আওতায় আনার দরকার। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঢাকা শহরের তাপমাত্রা পার্শ্ববর্তী জেলাসমূহ থেকে ২ থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি সব সময় থাকে। ঢাকা শহর একটি ব্যস্তময় শহর এখানে জনসংখ্যা যেমন অনেক বেশি ঠিক যান চলাচলও অনেক বেশি। ধন্যবাদ বাস্তব সম্মত একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অসহ্য গরম। তীব্র গরম। বিশেষ করে গত দু-তিন দিন ধরে ঢাকায় অসহনীয় গরম।আপনি ঠিকেই বলেছেন, ঢাকা শহরে জলাশয়ের পরিমান দিন দিন কমছে। সেদিকে নজর নেই কারো। অপরিকল্পিত এই নগরকে এখন থেকেই যদি কার্যকর ব্যবস্থার আওতায় নিয়ে আশা না হয়, তাহলে বসবাসের অযোগ্য হতে খুব বেশি আর দেরী নেই। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
অন্যান্য শহরের থেকে ঢাকা শহরের মধ্যে একটু বেশি বেশি গরম থাকে। কেননা ঢাকা শহরের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে মানুষ বসবাস করে।আর বিশেষ করে ঢাকা শহরের মধ্যে অনেক গুলো শিল্প কারখানা থাকার কারণে গরমের প্রভাব টা একটু বেশি বেড়ে গিয়েছে। আমরা চাইলে ঢাকা শহরের মধ্যে সবুজ শ্যামল গাছ পালা লাগিয়ে পরিবেশ কে মনোরম করে তুলতে পারি।
ঢাকা শহরের মানুষ বিল্ডিং নির্মাণ করার সময় আসলেই ১ ইঞ্চি জায়গাও ছাড়তে চায় না। সম্ভব হলে তারা অন্যের জায়গার উপর বিল্ডিং নির্মাণ করে ফেলে। যাইহোক গত পরশুদিন বিকেলে আগারগাঁওয়ে ট্র্যাফিক জ্যামে ৩০/৪০ মিনিট বসে ছিলাম। আমার মনে হয়েছিল আমি গরমে একেবারে সিদ্ধ হয়ে যাচ্ছি। সামনে যে কি হবে, সেটাই ভাবছি। যাইহোক সময়োপযোগী একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।