অন্ধকার থেকে আলোয় ফেরা (চতুর্থ পর্ব)
এর ভেতরে সাইফের মা মানুষের বাড়িতে কাজ করে কোনরকমে ছেলে মেয়ে তিনটের মুখে দুবেলা খাবার তুলে দেয়। কিন্তু তাদের কষ্টের দিন যেন আর ফুরোয় না। এর ভিতরে হঠাৎ করে একদিন সাইফের ছোট বোনটা খুব অসুস্থ হয়ে পড়ে। ডাক্তারের কাছে তাকে নিয়ে গেলে ডাক্তার জানায় তার একটা জটিল অসুখ হয়েছে। চিকিৎসা করতে অনেক টাকা লাগবে। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস। যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। তিন বেলা খাবার ঠিকঠাক মত জোটে না। তারা ব্যয়বহুল চিকিৎসার টাকা কোথায় পাবে?
যার ফলে সাইফের ছোটো বোনটা বিনা চিকিৎসায় তিলে তিলে তার চোখের সামনে মারা যায়। সাইফ তখনই সিদ্ধান্ত নেয় আর না অনেক হয়েছে। তারপর থেকে সে তার এলাকার বখাটে ছেলেদের সাথে মিলে চুরি ছিনতাই এগুলো করতে শুরু করে। অপরাধীর খাতায় নাম লেখানোর পরে সাইফদের অর্থনৈতিক অবস্থা কিছুটা ভালো হয়। তবে সাইফের মা কখনোই সাইফের এই কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করতো না। যার ফলে সাইফকে একসময় তার বাড়ি ফিরে বের হয়ে আসতে হয়।
আর একবার বাড়ি থেকে বের হওয়ার পরে সাইফের আর পিছুটান বলে কিছু থাকে না। তারপর থেকে সে নানা রকম বড় অপরাধের সাথে যুক্ত হয়ে যায়। তবে গতকাল রাতের মেয়েটার চেহারা তার চোখের সামনে ভাসতে থাকে। মেয়েটার চেহারা ছিলো অবিকল তার ছোট বোনের মতো। চেহারাটা গলার আওয়াজটা ও অনেকটা তারই মতো। সাইফ তার ছোট বোনটাকে খুব আদর করতো। তার বোনটার বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু সাইফ কিছুতেই মেনে নিতে পারে না। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।