ক্রিয়েটিভ রাইটিং :- শীতের সকাল কুয়াশায় ঢাকা।

in আমার বাংলা ব্লগyesterday
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। আজকে আমার আলোচনার বিষয়টি হলো শীতের সকাল কুয়াশায় ঢাকা। আশা করি আজকের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনাটি আপনাদের ভালো লাগবে। তাই শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ...


spiderweb-8430411_1280.webp

Source


পৃথিবীতে সব কিছু পরিবর্তনশীল। আজকে আপনি যা দেখছেন কালকে দেখবেন তার ভিন্নতা। যাকে বলে কালের পরিবর্তন। কালের পরিবর্তনের সাথে সাথে পৃথিবীতে অনেক কিছুর পরিবর্তন ঘটে চলেছে। একটা সময় আপনারা দেখবেন আরো কিছু ঘটবে পরিবর্তন। পরিবর্তনের এই ধারা কত রয়ে যাবে যতদিন পৃথিবী থাকবে। আমরা তখন ছোট দেখেছিলাম শীতের সকালে কুয়াশায় আশ্চর্য চারিদিকে কোন কিছু দেখা যায় না। মজার ব্যাপার হলো এটা যে এক মাসের মধ্যেও অনেক সময় কুয়াশা যায় নাই। আমরা সবাই জানি পৌষমাল এই দুইটা শীতের কাল। এ সময় প্রচুর পরিমাণে শীত পড়ে আর এই শীতের মধ্যে মানুষের বেশ কষ্ট হয়। কিন্তু বর্তমান আমরা লক্ষ্য করে দেখছি শীতের সেই প্রভাব আর নেই। বিবর্তনের পরিবর্তনের ফলাফল ফলে সব কিছুর পরিবর্তন ঘটে চলেছে। আর এই পরিবর্তনের ধারাবাহিকতা অবশ্যই বজায় থাকবে। কারণ পৃথিবী একদিন ধ্বংস হয়ে যাবে। আজকে আমি শীতের সকালে কুয়াশা ঢাকার কিছু কথা নিয়ে হাজির হয়েছি। বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে আমি লিখতে চলেছি আশা করি ভালো লাগবে।


তখন আমাদের বয়স ১২-১৫ এর মাঝামাঝি। সেই সময় শীতের সময় আসলেই যেন অন্যরকম একটা প্রচন্ড শীতের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করেছি। কৃষকেরা ধান কাটে ধানের নারা এবং চিঠির মানুষ সবসময় গুছিয়ে রাখতো। এগুলো গুছিয়ে রাখার কিছু কারণ ছিল সেই কারণগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সামনে শীত আসছে। শীতের প্রভাবটা এতই বেশি ছিল অন্ততপক্ষে ৪ মাসের পড়তো। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য পুরুষ এবং মাঘ মাস এই দুই মাস প্রচন্ড পরিমাণে শীত পড়তে যাকে বলে হাড় কাঁপানো উচিত। আমার এখনো মনে আছে এমন এমন একটা শীতের সময় গেছে সাত দিনের মধ্যে সূর্যের আলো দেখতে পারি নাই। মানুষ না খেয়ে থাকতে পারলেই মনে হয় ভালো হতো এমন একটা অবস্থা। সারাদিন মানুষ আগুন সামনে করে বসে থাকতো আর সবাই একত্রে বসে গল্প গুজব করত। আমার আর একটা বিষয় বেশ মনে আছে রুহু উদ্দিন মা নামে একজন নানা ছিল উনি এখন মৃত অবশ্য তিনি যখন বেঁচে ছিলেন তার একটা রেডিও ছিল। আমরা প্রতিদিন সফলতার বাড়িতে যেতাম আগুন তাফনের জন্য এবং রেডিওতে খবর শুনতাম। আসলে সে সময়কালটা ছিল অনেক সুন্দর কারণ মানুষের মধ্যে আন্তরিকতা ছিল ভালোবাসা ছিল। বর্তমানে বলতেই হয় আবহাওয়া যেমন পরিবর্তন হয়েছে ঠিক তেমনি মানুষেরও কিন্তু অনেক পরিবর্তন হয়েছে। অর্থাৎ মানুষ কিন্তু এখন মানুষের সাথে সেভাবে আর যোগাযোগ বা ভালোবাসার বন্ধনী মিলিত হয় না। বলতেই হয় মানুষ একপ্রকার নিজ স্বার্থপর হয়ে গেছে।


সে সময় শীতের সকালের এতটাই কুয়াশা ঢাকা ছিল যে সকালবেলায় যদি প্রাইভেট পড়তে যেতাম মনে হতো এক থেকে দেড় হাতে দূরের মানুষ দেখা যেত না। প্রচন্ড হার কাঁপানো শীতে থরথর করে কাঁপতে কাঁপতে যেতাম। সারারাত এত পরিমাণে কুয়াশা পড়তে সকালবেলায় রাস্তায় বের হলে মনে হতো যে বৃষ্টি হয়েছে। আর সকাল সকাল উঠে যারা রস তৈরি করতে হয় এরা খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করতে আসলে তাদের এই অবস্থা দেখলে অবাক হয়ে যেতাম। যে কুয়াশার মধ্য দিয়ে নিজের শরীর দেখা যায় না সেই কুয়াশার মধ্য দিয়ে তারা সংগ্রহ করত। যেখানে আমরা চাদর জড়িয়ে থাকতাম সেখানে তারা বলতেই পারে না একপ্রকার খালি গায়ে চরিত্র আসলে কাজের মধ্যে দিয়ে তাদের শরীর গরম হয়ে যেত অর্থাৎ তারা ঘেমে যেতো। যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে সব কিছুর পরিবর্তন ঘটেছে এখন আর সেই শীতে সকাল আর পাই না। হয়তোবা আরো কয়েক বছর পরে এই সময়টা আমরা আর পাব না। দিনে দিনে বসে তাপমাত্রা যেভাবে বাড়ছে হয়তোবা একটা সময় সারা বছর জুড়ে শুধু গরম পড়বে শীতের এই সকালটা আর আমরা পাব না।


আজ এই পর্যন্ত। সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

ডিভাইস poco M2
লোকেশন মেহেরপুর


👨‍🦰আমার নিজের পরিচয়👨‍🦰


1666192548913_1666192548801_1666192548599_1666192548416_1666192548270_1666192548091_1666192547839_1666192547665_1666192022150.jpg

আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার দুইটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।


Logo.png

(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )


4gZTTLyoV1msFb1u1BdB14ZHSP5sNg8hbP9cbJyTmUqfzLdXDsNijBKWNGJn5ogmozSiA7cyReMsKwomyC79dv8nHgZj3RKbXhPtULzHviAUBY9Vc8ousmvcnNywqK...hMHPzmtXdqcE25kuBukgtAciNVXSHonSRqmAmfHf9YgyuYwwZo1Nd9dUCogeVvSsKh3MRCxw1Khi2NyeZh4Rt4J9n7wTsZvJ1tiUMafwrMjZ5AQz2ERchsjjJv.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 yesterday 

আসলেই এখন আর সেরকম একটা শীতের প্রভাব লক্ষ্য করা যায় না। দিনে দিনে আমাদের মধ্য থেকে শীতের প্রভাবটা যেন বিদায় নিতে চলেছে। আসলেই কয়েক বছর আগেও প্রচন্ড পরিমাণের কুয়াশা এবং শীত হতো যেটা এখন অনেকটা কমে গিয়েছে। ঠিক বলেছেন আপনি ভাই সে সময়ে মানুষ না খেয়ে থাকলেও ভালো থাকতো কিন্তু শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচার চেষ্টা করত। সেসময় সকালে মক্তব যাওয়ার যে বিষয়টি ,সত্যি সোনালী স্মৃতি এখন সেগুলো। পোস্টে অনেক জায়গায় ভুল হয়েছে ভাই দয়া করে একটু ঠিক করে নিবেন। পড়তে বিব্রত লাগতেছে। ধন্যবাদ ভাই।

 12 hours ago 

সবকিছুই পরিবর্তনশীল।তবে প্রকৃতির এই পরিবর্তন এরজন্য আমরাই দায়ী।এখন শীতের সময় শীত নেই,বৃষ্টির দিনে বৃষ্টি নেই।আবহাওয়া শুধু গরম আর গরম।আপনি অতীতের সুন্দর কিছু শীতকালের মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার অনুভূতির সাথে আমিও একমত।আগের মত কিছু এখন আর দেখা যায় না।আজ আমরা যেমনটা দেখছি কাল বা কিছুদিন পর তাও দেখব না।

 12 hours ago 

শীতের সেই হারানো সকালে কুয়াশা, শীতের তীব্রতা এবং মানুষের আন্তরিকতা, এই সব কিছু এক সুন্দর সময়ের সাক্ষী। সময়ের সঙ্গে সাথে আবহাওয়া এবং মানুষের জীবনযাত্রার পরিবর্তন সত্যিই চিন্তার বিষয়। আপনার স্মৃতি, যা একসময় ছিল জীবনের অঙ্গ, বর্তমানে তার পরিবর্তনকে অনুভব করাটা গভীরভাবে মনে হয়। এটি সত্যিই প্রমাণ করে কালের ধারায় প্রকৃতি ও সমাজের পরিবর্তন।

Coin Marketplace

STEEM 0.22
TRX 0.24
JST 0.037
BTC 102892.57
ETH 3257.73
SBD 4.75