লাইফ স্টাইল :- মনিদের নিয়ে দুধ মালাই চা খাওয়ার অনুভূতি।
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। গত সপ্তাহে বাড়িতেই ছিলাম। আমাদের গ্রামের কয়েকটা গ্রাম পরে একটা গ্রাম নাম জোড়পুকুরিয়া সেখানে শুনেছিলাম বেশ সুন্দর চা বানাই। সেখানে চা খেতে গিয়েছিলাম আর সেই চাকার মুহূর্ত টাই আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি। যাইহোক কথা না বাড়িয়ে তাহলে শুরু করা যাক আমার আজকের ব্লগ ...।
সন্ধ্যা হয়ে গেছে এমন সময় আমার একটা ভাইয়ের বাসায় গিয়েছিলাম। তাদের বাড়িতে এসেছিল এক আত্মীয় অবশ্য সম্বন্ধে তার বোন হয় পাতানো বোন। তার একটা মেয়ে ছিল আর আমার চাচাতো ভাইয়ের একটা মেয়ে। ঘরে গিয়ে দেখি তারা দুইজন ছাড়া কেউ নেই। জিজ্ঞাসা করলাম বাবু তোমার মা এবং খালা কোথায় গেছে। তারা বলছিল কাকু আমাদেরকে রেখে তারা কোথায় যেন বড় ভাজা খেতে গেছে খালুর সাথে। তখন আমি বললাম বাবু তাহলে একটা কাজ করো চলো আমরা যাই পাশের গ্রামের দুধ মালাইসা রয়েছে খেয়ে আসি। এই কথা বলতেই তো তারা খুশিতে আত্মহারা। কথা না বাড়িয়ে মোটরসাইকেলের চড়ে ফেললাম। অবশ্য গ্রামটি খুব বেশি দূরে নয় মোটরসাইকেলের পথে প্রায় দশ মিনিট মত লাগে। রাস্তার মধ্যে যেতে যেতে তার মা খালা এবং তার খালুর সাথে দেখা। দেখামাত্রই তারা বলেই ফেলল অধ্যাপক ওরা যাইতেছে। মূলত ছিল তাদের জন্যই কিন্তু আমাদের যাওয়াটা কারণ তারা মা হয়ে কিভাবে সন্তানকে রেখে যেতে পারে। আর মেয়েটার বেশ আফসোস করছিল যে কারণে তাদেরকে নিয়ে যাওয়া। আর এমনিতেই আমি ছোটকাল থেকেই ছোট ছোট মানুষের সাথে মেশা তাদের সাথে খেলা করা বা তাদের সাথে ঘোরা খুব ভালোবাসি। আর আমার ভাইয়ের তিনটা মেয়ে আমার নিজের মেয়ের মতোই। তাই চেষ্টা করি সব সময় তাদের হাসিতে আনন্দতে রাখার জন্য।
এখানে যেসব ফরমচম গুলো দেখতে পাচ্ছেন আসলে এগুলো হলো দুধ চা বানানোর যে গ্লাস সেই গ্লাস গুলো এখানে রাখা হয়েছে। মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে এতগুলো গ্লাস কি করে আসলে এখানে বেশ মানুষ হয়। যদিও সেখানে যাওয়াটা এটা আমার প্রথম তবে শুনেছিলাম বেশ অনেক দূর থেকেও মানুষ আসে। অন্যের মুখে শুনেছিলাম কিন্তু সেখানে যেয়ে তার প্রমাণও পেয়েছিলাম। আসলে মাটির জিনিসে যে কোন জিনিস খেতে বেশ ভালো লাগে আর দুধ মাল এটা বেশি সুন্দর ছিল। তবে কিছু কিছু জায়গায় দুধ মালাই খেতে ভালো লাগলেও কিছু কিছু জায়গায় আবার ভালো লাগেনা। সত্যিকার অর্থে এখানে যে দুধমালাটা তৈরি হয়েছিল যতটা নাম শুনেছিলাম আমার কাছে তেমন লাগছিল না। সেখানে যাওয়ার পরে আমরা যেহেতু তিনজন ছিলাম তাই তিন কাপ অর্ডার করেছিলাম যদিও পরবর্তীতে আমার দুইটা মেয়ের বলেছিলাম বাবু তোমরা কি আর খাবা তারা আর খেতে চেয়েছিল না। তবে চায়ের স্বাদ মোটামুটি ভালো ছিল কিন্তু তাদের হিট ছিল কম অর্থাৎ চায়ের যে হিট থাকে দুধ চায় সে হিট টা ছিল না। আর সত্যিকার অর্থে এই কারণে কিন্তু আমার কাছে খুব বেশ ভালো লাগে নাই। তবে মানুষের এক একজনের এক একটা টেস্ট আলাদা আলাদা টেস্ট থাকে একজনের ভালো লাগবে আরেকজনের লাগবে না এটাই স্বাভাবিক। তবে তারপরও বলবো একেবারে খারাপ তা নয় বেশ সুস্বাদু ছিল।তবে একটা বিষয় উনাকে খেয়াল রাখা দরকার ছিল যে এটা যেহেতু মাটির গ্লাস সেহেতু এটাকে আরেকটু বেশি তাপে তৈরি করলে খেতে আরো বেশি সুস্বাদু হতো।
এই চা তৈরি করার যিনি কারিগর তিনি হলেন এই ভাই। চায়ের অর্ডার দেয়ার পর পরে তিনি অবশ্য চা তৈরি করতে বসেন। অবশ্য যেহেতু এটা আমার প্রথম ছিল তাই একটু বিষয়টা অন্য মনে করছিলাম ভাবছিলাম মনে হয় আমাদেরকে দাঁড়িয়ে থাকতে হতে পারে। কারণ এই চাকার পূর্ব আমার অভিজ্ঞতা আছে আমি একবার চা খেতে গিয়ে প্রায় এক ঘন্টা দাঁড়িয়ে ছিলাম শুধু চা পাওয়ার জন্য। কিন্তু এখানে সেটা হয়নি খুব কম সময়ের মধ্যে চা তৈরি করে দিয়েছিল অবশ্য যখন কম সময় লেগেছিল তখনই ভাবছিলাম যে চাটা অত ভালো হবে না। সত্যিকার অর্থে সুস্বাদু দুধ চা তৈরি করতে বেশ সময় নাই এবং দুধের উপরে যে শর পড়ে সেটা তৈরি করতেও সময় নাই। তাই তিনার এই দ্রুত সময়ের মধ্যে চা দেওয়াটা আমার কাছে মোটেও ভালো লাগেনি অর্থাৎ সেই দুধ চাটা কতটা সুস্বাদু হবে সেটা আমি তখনই বুঝতে পারছিলাম। নিজের কথা বাদ দিলাম দুইটা যে মেয়ে নিয়ে এসেছিলাম তারা খেয়ে বেশ মজা পেয়েছিল বলছিল কাকু বেশ ভালো লাগলো। যাক তাদের ভাললাগাটাই হচ্ছে আমার ভালোলাগা কারণ তাদের জন্যই কিন্তু এখানে আসা। এখানে আনার ফলে তারা বেশ খুশি হয়েছিল আর তাদের খুশিতে আমার খুব দারুণ লেগেছিল। আসলে কাউকে খুশি করাটা নিজের কাছে বড় প্রাপ্য।
ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার দুইটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://x.com/ABashar45/status/1872285628463038783?t=hF9NxYbDCswaS3IZ6f6qgA&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনি দেখছি বেশ ভালোই বাচ্চাদের নিয়ে চা খেয়েছেন।এটা ঠিক বলেছেন এগুলো অর্ডার করার সাথে সাথে পাওয়া যায় না। অনেক সময় বেশ ভালোই সময় লাগে। যাইহোক এবার তারাতাড়ি পেয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। নিশ্চয় বেশ মজা করে খেয়েছেন।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
দ্রুত পেয়েছিলাম বলে খেয়ে বেশ মজা পেয়েছিলাম না। আসলে মালাই চা এর সাধ হচ্ছে গরম।
অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। বাবুর আম্মারা যেমন খেতে গেছে। আপনিও বাবুদের সাথে করে নিয়ে মালাই চা পান করতে এসেছেন। আশা করি বাবুরাও অনেক অনেক আনন্দিত হয়েছে। অনেকটা ভালো লাগলো বাচ্চাদের সাথে সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন দেখে।
উদ্দেশ্য ছিল তাদের আনন্দ দেওয়া, আর বাচ্চাদের সাথে মিশতাম বেশ পছন্দ করি।