স্পোর্টস রিভিউ :- পঞ্চম শেষ ওডিআই ম্যাচ।
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। আজকে আমি খেলাধুলা বিষয় সম্পর্কে আপনাদের সামনে একটি পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি।
খেলার রিভিউ।
বেশ কিছুদিন ধরে ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে সিরিজ চলছে ওডিআই ম্যাচ। ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে খেলা মানে একটা অন্যরকম উত্তেজনা। প্রথমে ম্যাচগুলো অস্ট্রেলিয়া জিতলেও শেষ দুইটা ম্যাচ ইংল্যান্ড যেতে সিরিজের সমতা নিয়ে আসে। আসলে অন্য যেকোনো দেশের খেলার মধ্যে যেমন ভারত পাকিস্তান উত্তেজনা কোন ম্যাচ হয় ঠিক তেমনি অস্ট্রেলিয়া ইংল্যান্ডের মধ্যে একই অবস্থা হয়। টসে প্রথমে ইংল্যান্ড ব্যাট করতে নেবে বেশ ভালো সূচনা করেন। তারা প্রথমদিকে যেভাবে খেলছিল তাতে মনে হয়েছিল বিশাল সংগ্রহের পথে এগিয়ে যাচ্ছে তারা। প্রথমে একটা হারানো রাত পর্যন্ত তারা প্রতি ওভারে ৮ এর উপরে রান নিয়ে যাচ্ছিল।
প্রথম এবং দ্বিতীয় উইকেট খুব দ্রুত পড়ে গেলেও অস্ট্রেলিয়াকে নাজেহাল করে ছাড়ে ব্রক এবং ডাকেট। তৃতীয় পার্টনারশিপে তারা বেশ বড় একটা ইনিংস খেলেন। তবে তারা সব সময় তোমার ভাবেই মুভমেন্ট নিয়ে খেলেছিল। যখন ব্লক আউট হয়ে যান তখন মাত্র ২৫ ওভারেই তারা ২০০ রানে গণ্ডি ছাড়িয়েছে। আর এতে মনে হয়েছিল এরা প্রথম ইনিংসে ৪০০ রানের কাছাকাছি করবে। তবে সেই আউট হয়ে যাওয়ার পরে পরে ব্যাটসম্যানগুলো একেবারেই টিকতে পারে নাই। এক কথায় বলতে হয় তারা সাজঘরে যাচ্ছিল এবং আসছিল এই অবস্থা হয়েছিল ইংল্যান্ডের ব্যাটিং দের। তবে এক প্রান্ত থেকে দাঁড়িয়ে ছিল বেন ডাক্টেট।
ইংল্যান্ডের উইকেট যাতাশের মধ্য দিয়ে এক প্রান্ত থেকে দাঁড়িয়ে ছিল বেনডাকেট এবং শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরি করার পরেই আউট হয়ে যায়। সে আউট হয়ে যাওয়ার পরে তাদের রানের ঘর আরো কমে যায়। আসলে অস্ট্রেলিয়া স্পেনদের মুখে তারা দাঁড়াতে পারে নাই যেমন তাবিজ হেড দারুন স্পেলিং বল করেন তিনি তিনি প্রায় তিন উইকেট নেন। অস্ট্রেলিয়া তারা ফিরে আসে ম্যাচে আর এ কারণে ইংল্যান্ড তাদের রানের শাকাটা বেশ নরম হয়ে যায়। আর এতে করে মনে হয়েছিল তারা এখন তিনশ রানের গুনডিও ছাড়াতে পারবে না।
শেষ পর্যন্ত আদিল রাশেদের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে অর্থাৎ ৩৬ রান করেন তিনি। ১০ নম্বর উইকেটে এত সুন্দর একটা খেলা খেলেছেন দিনে এত একটা সুন্দর ইনিংসের কারণেই তারা কিন্তু 300 রান ছাড়তে পারেন। শেষ পর্যন্ত যা মনে হয়েছিল দিন সরানো হবে না কিন্তু আদিল রাশেদের অসাধারণ ব্যাটিং নৈপুনে তারা ৩০০ রান ছাড়াতে সক্ষম হয়। তাদের সর্বোচ্চ রান করেন সেঞ্চুরি এবং তারপরে রান করেন সল্ট এবং তার পরে আছেন আদিল রাশেদ। তবে আদিল রাশেদকে স্পেশালিভাবে থ্যাংকস দেয়ার দরকার কারণ সে দারুণ একটি ইনিংস খেলেছেন শেষের দিকে।
এই সিরিজে অস্ট্রেলিয়া প্রথম থেকেই যেন তারা একটা ভিন্ন মুখে নিয়ে খেলছিল। ক্রিসে যে ব্যাটসম্যান এ আসুক না কেন তারা মনে হয়েছিল টি-টোয়েন্টি খেলতেছে। আপনাদেরকে একটু বলে রাখা দরকার বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল যার কারণে অস্ট্রেলিয়া আরও একটু বেশি গরম মেজাজেই খেলছিল। খেলাটি ওডিআই ম্যাচ হলেও টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তারা খেলছিল আট ওভারে খেলা শেষ না হতে প্রায় আসি রান করছিল। যদিও তাদের ব্যাটিং টাপিস হেড আউট হয়ে যায়। তিনি আউট হয়ে যাওয়ার পরেও তাদের রানের শাখা সচল রাখছিল।
খেলা যখন ২০ ওভার শেষের দিকে তখন তাদের রান ছিল ১৬৫ রান অর্থাৎ প্রতি ওভারে তারা রান করছিল আট করে। তারমানে বলাই যেতে পারে তারা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিল। এর পরে আর মাঠে খেলা করায়নি অর্থাৎ বৃষ্টিতে হানা দেয়। কুড়ি ওভার খেলে দুই পেটে 160 রান প্লাস অর্থাৎ ডি এল ম্যাথরে তারা অনেক তারা নিয়ে গিয়ে থাকেন। পরে যখন আর খেলা হয় না তখন তারা রিয়েল মেথরে এই ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ তারা ৪৯ রানে ইংল্যান্ড কে পরাজিত করেন। পরবর্তীতে অনেকক্ষণ তারা অপেক্ষা করার পরেও অধিক বৃষ্টির কারণে এই ম্যাচটিতে আর খেলা গড়াই না।
পঞ্চম ও শেষ ওডিআই ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ডিএল ম্যাথরে অস্ট্রেলিয়া ইংল্যান্ডকে ৪৯ সালে হারিয়ে তারা ৩-২ সিরিজ জিতে নেয়। আমি কয়েকটি ম্যাচের খেলা দেখেছি অস্ট্রেলিয়া সব সময় আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে খেলেছিল ম্যাচগুলো। তবে একটা বিষয় আমি উপলব্ধি করতে পারি যে অস্ট্রেলিয়া যেকোনো সিরিজ বা টুর্নামেন্টে তারা অন্য রকম ভাবে জ্বলে ওঠে। এটা যেন তাদের চিরস্থায়ী তো একটা ব্যাপার। তবে ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার খেলা গুলো দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। আসলে সত্যি বলতে তাদের খেলার মধ্যে একটা আলাদা অনুভূতি পায় যেটা অনেক ভালো লাগে।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | স্পোর্টস |
---|---|
ডিভাইস | poco M2 |
স্ক্রিনশট সোর্স | sony liv |
লোকেশন | মেহেরপুর |
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ইংল্যান্ডের চেয়েও অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং ছিল বেশি মারাত্মক। প্রথম দশ ওভারে তারা ১০০ পেরিয়ে যায়। সবমিলিয়ে অসাধারণ জমজমাট ছিল সিরিজ টা। টি টুয়েন্টি সিরিজের পর ওয়ানডে সিরিজেও বেশ হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে।