জেনারেল রাইটিং :- সুস্থতায় বড় নেয়ামত।
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। আজকে আমার আলোচনার বিষয়টি হলো সুস্থতায় বড় নেয়ামত। । আশা করি আজকের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনাটি আপনাদের ভালো লাগবে। তাই শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ...
মানুষ কখন কোন সময় কোন ব্যস্ততার মধ্যে জড়িয়ে যায় এটা বোঝা অনেক কঠিন। মানুষের ব্যস্ততার কোন শেষ নেই। তবে ব্যস্ততার মধ্যে সময় পার করলে কখন যেন সময় দিন বা মাস সপ্তাহ পার হয়ে যায় সেটা বোঝা যায় না। আরে ব্যস্ততার জন্য নিজেকে ফিরে আনতে অনেক কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এর মধ্য দিয়েও কখনো চেষ্টা করছি ফিরে আসতে আবার কখনো গ্যাপ পড়ে যাচ্ছে। প্রত্যেকটা মানুষের জীবনে মাঝে মাঝে কোন কিছু চাহিদা বা কোন কাজ আছে। এই চাহিদাগুলো পূরণ করার জন্য নিজেকে একটু হারিয়ে ফেলতে হয়। তবে মাথায় রাখতে হয় হারিয়ে ফেলার মধ্যেও ভালোবাসার কোন জায়গা থাকে সেই জায়গাটাকে আঁকড়ে ধরে রাখার জন্য। বেশ অনেকদিন ধরেই আমি অনিয়মিত। জোয়ার এবং ভাটার মতোই যেন জীবনটা পার করছি। তবে আশা করছি হে জীবন থেকে খুব শীঘ্রই আল্লাহর রহমতে বের হয়ে আসবো। জীবনে সাফল্য কথা দিনগুলো আবার সে ফিরে পাবো ফিরে পাবো সেই জীবনের সেই যৌবন। যেখানে আল্লাহর রহমত আছে যেখানে নিজের চাওয়া পাওয়াটা সবকিছুর মূল্য রয়েছে।
বেশ কিছুদিন আগে প্রখর রৌদ্র। আবার বর্ষা আবার রোদ আবার বর্ষা । আর এই আবহাওয়াটা মানুষের জন্য কতটা খারাপ নিশ্চয় অনেকেই বুঝতে পেরেছেন। তবে সব থেকে বেশি খারাপ হলো ছোট বাচ্চা শিশুদের জন্য। আমার ছেলে প্রায় দশ পনেরো দিন ধরে একটানা জ্বর ঠান্ডা কাশির মধ্যে রয়েছে। আর বাড়ির মানুষ যদি অসুস্থ থাকে তাহলে কোন কিছুই ভালো লাগেনা। আর সব থেকে বড় কথা নিজের সন্তান যদি অসুস্থ থাকে তাহলে তো আর কথাই নেই। নিজের সন্তানকে নিয়ে চলমান মাস দৌড়াদৌড়ি ছোটাছুটি চলছে। প্রথমে ভেবেছিলাম শুধু নিজের সন্তান নেই মনে হয় আমি একলা হাঁপিয়ে উঠেছি কিন্তু যখন আমি হাসপাতাল বা কোন ক্লিনিকে গেলাম তখন দেখলাম প্রত্যেকটা মানুষই আমার মত করে ছোটাছুটি করছে। আসলে চলমান আবহাওয়াতে প্রত্যেকটা বাচ্চা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আর এই অসুস্থতার প্রধান কারণই হল সময় অসময়ে বসে এবং রোধ হওয়ার কারণে। কিছু কিছু সময় বড় মানুষ এই ঝোলটা সামাল দিতে পারে না। আরে এমন আবহাওয়াতে বড় মানুষের পাশাপাশি ছোটরাই বেশি অসুস্থ হয়।
মানুষের সুস্থতা কত বড় নেয়ামত যে অসুস্থ সেই ভালো জানে। অবশ্য বলতে পারেন সুস্থ মানুষ অসুস্থতার ব্যাপারে মনে হয় অজ্ঞ। কথাটা বললাম এই কারণে কারণ আপনি অনেক সময় লক্ষ্য করে দেখবেন সুস্থ মানুষ কখনো অসুস্থ মানুষের গুরুত্বটা বুঝতেই চায় না। কিন্তু অনেক সময় সামান্য ঠাণ্ডা লাগলে দেখা যায় চোখ নাক দিয়ে অঝরে পানি বেড়ে যাচ্ছে। এইতো বেশ কিছুদিন আগে সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখলাম মানুষের কত কষ্ট। আসলে হাসপাতালগুলো মানুষের জন্য কষ্টদায়ক। যারা রোগী তাদের তো কষ্ট আছেই সবচেয়ে বেশি কষ্ট যারা সুস্থ সবল মানুষ থাকে। তাদেরকে সুস্থ করতে গিয়ে দেখা যায় এক পর্যায়ে ভালো অসুখ অসুস্থ মানুষগুলো অসুস্থ হয়ে পড়েছে। সুস্থতা কত বড় নেয়ামত একটা বিষয় বা একটা হাদিস সম্পর্কে আপনারা যদি জানেন তাহলে হয়তো বুঝতে পারবেন আসলে সুস্থতা মানুষের কত বড় নেয়ামত । এটি একটি হাদিস যদিও এই ব্যাপারে আমি সরাসরি পড়ি নাই আমি এটা শুনেছিলাম তা আপু আমি সুস্থতার উদাহরণ হিসেবে আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম।
আল্লাহর সাথে সবসময়ই জেদা জেদি করতেন মুসা (আ:)।একদিন আল্লাহ তায়ালাকে তিনি জিজ্ঞাসা করেন আমি যদি আপন হইতাম আর আপনি যদি আমি হতাম তাহলে আপনি আমার কাছে কি চাইতেন। তখন আল্লাহ সুবহানাতায়ালা বলেছিলেন এটা তো কখনো সম্ভব নয় এটা কিভাবে সম্ভব। তখন তিনি বলেছিলেন সম্ভব নয় আমি সেটা জানি কিন্তু তবু আপনি বলেন এবং এভাবে আপনি ধরে নেন। যদি এমনই হয় তাহলে আপনি কি চাইতেন। আল্লাহ জানতেন যে সে অনেক যদি সে শুনবে তারপরে ছাড়বে। এরপরে তিনি তাকে বলেন যদি আমি তাই হতাম তাহলে আমি তোমার কাছে সুস্থতা অর্থাৎ আমি সুস্থ থাকব এমন কিছু কামনা করতাম। এখন বুঝতে পারছেন নিশ্চয়ই সহজ সৃষ্টিকর্তা যখন সুস্থতা কামনা করতে চায় তাহলে সুস্থতা কত বড় মানুষের জীবনে নেয়ামত। এইটুকু বিষয়ে যারা পড়েছেন এবং যারা এখন পর্যন্ত সুস্থ আছেন তারা আমি আশা করব অবশ্যই সুস্থতার জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া এবং আলহামদুলিল্লাহ পড়বেন। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ নেয়ামত হলো সুস্থ থাকা।
আজ এই পর্যন্ত। সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ডিভাইস | poco M2 |
---|---|
লোকেশন | মেহেরপুর |
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মূলত যখন হঠাৎ আবহাওয়ার পরিবর্তন হয় তখন ঠান্ডা জ্বর বেশি ছড়ায়। শুধু বাচ্চারা নয় এখন সবাই কমবেশি ঠান্ডা জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে কেউবা বৃষ্টিতে ভিজে আবার কেউ ঋতু পরিবর্তনের কারণে যাই হোক আপনার ছেলের জন্য দোয়া করি যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়।
আসলে আমাদের সুস্থ থাকা প্রয়োজন আর এই সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই আমাদের সেভাবে সচেতন জ্ঞান নিয়ে চলতে হবে। যে যত বেশি সচেতন তার জন্য ততই মঙ্গল। খুবই ভালো লাগলো এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করতে দেখে।
আসলে ভাইয়া অসুস্থ থাকলে বুঝা যায় সুস্থ কি জিনিস। এখন সিজন পরিবর্তন তাই হয়তো ঘরে ঘরে অসুস্থতা লেগেই আছে। আসলে নিজেরা অসুস্থ হলে যেমন তেমন কিন্তু বাচ্চারা অসুস্থ হলে কিছু করার থাকে না। দোয়া করি আপনার বাচ্চা তারাতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবে। ধন্যবাদ আপনাকে।
একজন মানুষ সুস্থ থাকা ভীষণ জরুরী। অনেকে অনেক কিছুই আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে চেয়ে থাকেন। কিন্তু আমার মনে হয় সুস্থতা ই বড় প্রাপ্তি।এই ওয়েদারে বাচ্চাদের ভীষণ কষ্ট হয়ে যায়। আপনার ছেলে অসুস্থ।ওর দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।
এই ধরনের পোস্ট করতে আমার খুবই ভালো লাগে ভাইয়া। কেননা এই ধরনের পোস্ট থেকে অনেক বিষয়ে জানা যায়। তাছাড়া সুস্থতা হচ্ছে সৃষ্টিকর্তার দেওয়া একটা বড় নেয়ামত। আর এটা তখনই বোঝা যায় যখন অসুস্থ হয়ে যায়। কেননা অসুস্থ হলে বোঝা যায় সুস্থতা কতটা নেয়ামত। ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি খুব সুন্দর করে লিখে শেয়ার করার জন্য।
জি ভাই সুস্থতা আমাদের নিয়ামত।যারা অসুস্থ থাকে তারা এই বিষয় বুঝতে পারেন। তবে বেশ কিছু দিন ধরে আবহাওয়া পরিবর্তন তাই সবাই অসুস্থ হয়ে পরতেছে।যাইহোক আপনি দারুণ একটি ঘটনা আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন।ঘটনা টি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
আসলে এখন প্রতিদিন সবাই কোন না কোন অসুস্থতায় ভুগছে। আসলে এই অসুস্থতার অনেক কারণ রয়েছে এবং এই অসুস্থতার কারণে অনেকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে৷ তবে এই অসুস্থতা বেশি দিনের নয়৷ সব কিছুই আবার ঠিক হয়ে যাবে৷ দোয়া রইল আপনার ছেলে যেন অতি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যায়৷