রেশমি কাপড় তৈরির পূরণো স্থান।
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। বর্তমান সময়ে যে আবহাওয়া চলছে তাতে মানুষের অসুখ হবে এটাই স্বাভাবিক। আর সেটাই আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো যাইহোক কথা না বাড়িয়ে তাহলে শুরু করা যাক আমার আজকের ব্লগ ...।
প্রাচীনকালে একটা কাপড়ের নাম হয়তোবা অনেকেই জানেন। যে কাপড়টি একটি আংটির মধ্যে প্রবেশ করানো যেত। এ বিষয়টি আমরা শুধু বইয়ের পড়েছি বাস্তবে কখনো দেখিনি বা কখনো দেখার সৌভাগ্য ঘটেনি। তবে জীবনের জীবন চক্রে অনেক সময় অনেক কিছু সামনে চলে আসে। যদিও সেভাবে আমরা দেখিনি কিন্তু তার কিছুটা অংশ দেখেছিলাম। এই মুসোলিন কাপড়টির কারখানার বাইরের অংশ দেখেছিলাম আসলে ভেতরটা তো অনেকদিন আগে থেকে বন্ধ হয়ে গেছে। তবে শুনেছিলাম এই কাপড়ের এই কারখানাটা নাকি পুনরায় আবার হবে। রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম আমার জায়গাটার নাম এখন মনে নাই তবে সেখানে একটা বড় ভাইয়ের সাথে গিয়েছিলাম উনি বলেছিল যে জায়গাতে এই পুরনো যুগের রেশমি কাপড় তৈরি হয়। শোনার পরে নিজের কাছে বেশ অবাক লাগছিল কখনো ভাবি নাই এমন বিষয়টা আমার চোখের সামনে আসবে। কিছু জিনিস থাকে যেগুলো বাইরে থেকে দেখলে অনেকটা নিজের কাছে বিস্মিত লাগে কারণ যখন আমাদের কোন জন্ম ছিল না তখনকার সেই যুগের কথাগুলো কিছু জিনিস গুলো যদি জানতে পারে তাহলে ভালো লাগে।
বাইরের অংশ দেখে মনে হয়েছিল ভুতুড়ে একটা ভাব আর যদি ভেতরে দিকে যেতাম তাহলে হয়তোবা আরো ভালো কিছু হয়তোবা দেখতে পারতাম। আমি বাইরে থেকে ছবি তুলছিলাম এবং লক্ষ্য করে দেখলাম বাড়িটার মধ্যে উপরে যে সব গাছপালা রয়েছে গাছের শিকড় করে ভেতরে ঢুকে গেছে। আমার সাথে যে ভাই ছিল সে বলছিল এগুলা আবার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে পুনরায় নাকি এই কারখানাটি চালু করবে। তবে তার কথার সাথে বাস্তবিক কোন মিল পাচ্ছিলাম না কারণ বর্তমান সময়ে এটা চালু করা আমার মনে হয় না সম্ভব। কারন বাংলাদেশে এমন ঐতিহ্য অনেকগুলো আছে যেগুলো এখন পর্যন্ত চালু করা সম্ভব হয়নি আর এটাই তো অবস্থা আরো খারাপ। একটা বিষয় লক্ষ্য করে দেখেন আপনারা দেখতে পারবেন শিকড় গুলো কিভাবে ইটের মধ্যে ঢুকে উপরে গাছ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বহু পুরনো কারখানায় ঈদগুলো যেন কেমন ফ্যাকাসে হয়ে গেছে এক কথায় এখানে কিন্তু আর কিছু হোকবা না হোক ভুতুড়ে সিনেমার কিছু কাজ করলে বেশ ভালো লাগবে।
এখানে যেটা আমি আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি এটা হল দেওয়ালের উপরের দিকের অংশ উপরের দিকের অংশ দেখলে আপনারা বুঝতে পারবেন এটা আসলে কতটা ভুতুড়ে মনে হচ্ছে। আমি অনেকক্ষণ এখানে ছিলাম এবং পর্যবেক্ষণ করে দেখলাম আসলে এই জায়গাটা যে সময় এটা তৈরি হতো সেই সময়ের অবস্থা এখনকার অবস্থার মধ্যে অনেক তফাৎ যদিও আমি দেখিনি কিন্তু অনুমান করছিলাম। কিছু জিনিস থাকে যেগুলো বাইরে থেকে দেখলেও নিজের কাছে ভালো লাগে কারণ এগুলো আমাদের দেশের একটা ঐতিহ্য। সেই সময় জমিদাররা এই পোশাক পরিধান করত। রেশম অর্থাৎ গুটি পোকা দিয়ে তৈরি হতো এই সুতার এই সুতা দিয়ে তারা তৈরি করতে রেশমি কাপড়। তবে সত্যি বলতে এর সত্যতা আমার কিন্তু জানা নেই পাশে বড় ভাই বলেছিল তাই আমি সেটা হিসাবেই আমি আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
এখানে ঘরের যে লেখাটা ছিল সেই লেখাটা আমি পরিপূর্ণভাবে বুঝতে পারছি না কারণ লেখাটা মুছে গেছে। আসলে ভাবা যায় এটা কোন সময়কালের কথা। আসলে সত্যি কথা বলতে অনেক আগের কথা তাই এটাকে দেখার মতো বোঝার কোন উপায় নাই যে এটার নাম কি। অনেকবার চেষ্টা করেছিলাম লেখাটি পড়ার কিন্তু তাও পারছিলাম না তার উপরে যখন আমি ছবি তুললাম তারপরও করার চেষ্টা করেও সেটা বুঝতে পারলাম না আসলে এখানে কে লেখা ছিল। তবে জায়গাটা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে তবে এখানে যে খুব দর্শনধারী জায়গা তা নয় কিন্তু যদি থাকতো তাহলে অনেকে দেখতে আসতো তবে শুনেছি অনেক জন মাঝে মধ্যে আসে এবং দেখেই জায়গাটা। আমি আবারও বলছি এর সত্যতার আমারও কাছে নাই প্রমাণ নাই কারণ আমি একটা ভাইয়ের কাছ থেকে জানলাম এবং সে সম্পর্কে আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করলাম। যদি এ সম্পর্ক আরো বেশি ধারণা থাকতো হয়তোবা আরো কোন কিছু আপনাদের সামনে তুলে ধরতে পারতাম কিন্তু ধারণা আমার নেই।
ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
আজ এই পর্যন্ত। সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ডিভাইস | poco M2 |
---|---|
লোকেশন | https://w3w.co/blitzes.toolbox.standouts |
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার দুইটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Thank you for sharing on steem! I'm witness fuli, and I've given you a free upvote. If you'd like to support me, please consider voting at https://steemitwallet.com/~witnesses 🌟
আসলে অনেক দিনের পুরাতন একটি ঘর তাই দেখতে এমন লাগছে। না জানি ভিতরের অবস্থা দেখতে কেমন। পুরাতন ঘর এজন্য লেখাটাও না বোঝার মত হয়ে গেছে। তবে আপনি ঘরটা আমাদের দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো ভাইয়া।
অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্য জন্য।
https://x.com/ABashar45/status/1883166480990347761?t=y2_xJn8VzF1z3gGnaC_NTg&s=19
একটা রেশমি কাপড় একটি আংটির ভেতর দিয়ে প্রবেশ করানো যেত এই কথাটা আমিও শুনেছিলাম কিন্তু দেখার সৌভাগ্য হয়নি। তবে এই রেশমি কাপড় তৈরির কারখানাটি দেখে একটু খারাপ লাগলো ।একসময়ের জনপ্রিয় শিল্প কারখানাটি এখন ভুতুড়ে কারখানা হয়ে গেছে।কি জরাজীর্ণ অবস্থা হয়ে গেছে বিল্ডিংটির। যাইহোক পুনরায় এটি চালু হবে শুনে একটু ভালো লাগলো। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি এই কারখানাটি সংস্কার করা হবে। দারুন টপিক্স নিয়ে আজকের পোস্টটি লিখেছেন ভাই বেশ ভালো লাগলো আপনার পোস্ট।
তবে চলমান যে ভারপ্রাপ্ত আছেন উনি যদি থাকেন তাহলে হয়তো বা সংস্করণ হলেও হতে পারে।
যদিও এটা রেশমি কাপড় তৈরির পূরণো স্থান কিন্তু বাহির থেকে দেখলে ভূতের বাড়ি মনে হয়। অনেক পুরাতন স্থান তো তাই সুন্দর্য নষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু এই স্থানের বিখ্যাত গুন রয়েছে। ব্লগটি পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ।
কিছু জায়গা থাকে দেখতে অসুন্দর লাগলেও তার হিস্টোরি কিন্তু বেশ চমৎকার থাকে এটা কিন্তু তেমন একটা বিষয়।