লাইফ স্টাইল :- প্রতিবেশী চাচাতো বোনের বিয়ে খাওয়ার মুহূর্ত।
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। বর্তমান সময়ে যে আবহাওয়া চলছে তাতে মানুষের অসুখ হবে এটাই স্বাভাবিক। বেশ কিছুদিন ধরে প্রচন্ড খরা চলছে। আজ দুই দিন ধরে রোদের তাপ কম। কিন্তু গরম আছে তারপরও বলবো ভালো আবহাওয়া। আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি চাচাতো বোনের বিয়ে খাওয়ার সুন্দর একটা মুহূর্ত। যাইহোক কথা না বাড়িয়ে তাহলে শুরু করা যাক আমার আজকের ব্লগ ...।
এইতো সবে মাত্র দুই দিন ঈদ শেষ হলো। এরই মধ্যে পাশের বাড়ির একজন লোক তার মেয়ে বিয়ে দিবে তার জন্য দাওয়াত করে গিয়েছিল। বুঝতে পারছেন এমনিতেই ঈদ তার ওপর আবার বিয়ে সব মিলিয়ে আমার কাছে একটু বিব্রত অবস্থা। কারণ ঈদের সময় মানসিকতা একরকম থাকে। এই সময় বিয়ের খাওয়াটা খুব বেশি ভালো দেখায় না। তারপরও প্রতিবেশী যেহেতু দাওয়াত করে গিয়েছে সেখানে তো যেতেই হবে। বরাবরই আমি একটু ভোজন রসিক। সবসময় খেতে আমি খুবই ভালোবাসি। ভালো খাবারের কথা বললেই তো মাথা ঠিক থাকে না। প্রথমে ভেবেছিলাম গতকালকে এই অনুষ্ঠানটি হবে। তাই সেজেগুজে বসে আছি এর মধ্যে জানতে পারলাম অনুষ্ঠানটি আজকে না আগামীকাল অর্থাৎ আজকের এই দিনে। তাই দুপুরের পরপরই চলে গেলাম বিয়ের অনুষ্ঠানে।
সেখানে গিয়ে দেখি বরপক্ষ চলে এসেছে। ৫ থেকে ৬ টা মাইক্রো এসেছে। তার মানে বর পক্ষ থেকে বেশ অনেক মানুষের দাওয়াত রয়েছে। বরের কার খুব দারুন ভাবে সাজিয়েছে। দেখে বেশ ভালই লাগলো। তাই দেরি না করে ঝটপট একটি ফটোগ্রাফি করে নিলাম। বিয়ের প্যান্ডেল তৈরি করেছিল বেশ মানানসই ভাবে তৈরি করে নাই। তবে গ্রাম্য ভাবে বলবো ভালোই বানিয়েছেন। গতকাল রাত্রে যখন লাইট জ্বলছিল তখন বেশ ভালই লাগছিল। ঈদের আনন্দ বিয়ের আনন্দে দেখলাম তাদের বাড়ির মানুষ সব আনন্দে একাকার হয়ে গেছে।
যেহেতু গ্রামের মেয়ে বিয়ে সেহেতুু গ্রামে অনেক মানুষের দাওয়াত দিয়েছিল। আমার চাচাতো ভাই নাম শাহিন। তার সাথে দেখা হওয়ার পরে তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম ভাই কখন খেতে দিবে? প্রথমে তিনি যে কথা বললেন তাতে মনে হল আর খাওয়া হবে না। কারণ বরপক্ষ যখন আসলো তাদের প্রথম নাস্তা দিয়েছিল। নাস্তা দেবার পর বিয়ে পড়াবে। তাদের খেতে দেবে তারপরে দাওয়াতি মানুষদের খাওয়াবে। সবকিছু শুনে মনে হল তাহলে আর খাওয়া হলো না। আমার চাচাতো ভাই শাহিন সে তো বলেই দিল তাহলে আর দেরি করে লাভ নেই বাড়িতে যাই গিয়ে খেয়ে বাহিরে যাই। আমিও পাশের বাড়ির একটা ভাই আছে ভাইয়ের সাথে বসে কথা বলছিলাম। এই বিষয়ে আলোচনা করছিলাম দাওয়াতে মানুষদের যদি এই তিনটা বা চারটার দিকে খেতে দেওয়া হয় তাহলে তারা কি করে থাকবে? কারণ দুপুরের খাবার তিনটা চারটা দিকে খাওয়া হয় না। এগুলো নিয়ে আলোচনা করতে করতে হঠাৎ করে আমি বাহিরে আসলাম। আসতেই তারা বলল যারা দাওয়াতি মানুষ আছেন তারা একসাথে বসে যান। কথাটা শুনে একটু স্বস্তি পেলাম যে ঠিক সময় খাবারটা খেতে পাচ্ছি।
ভিতরে পরিবেশটা বেশ ভালো ছিল। ভালো একটা জায়গা বেছে নিলাম এবং বসে পড়লাম এরপরে খাওয়া-দাওয়া যারা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন তারা আমাদের খাওয়া-দাওয়া দিতে লাগলেন আমরা এক দিক থেকে খেতে লাগলাম। খাওয়া-দাওয়া তারা যথেষ্ট ভালো দিয়েছিল কারণ যারা খাওয়া দিয়েছিল সবাই বেশ ভালোভাবেই আপ্যায়ন করেছিল। এরপর আমি খাওয়া-দাওয়া শেষ করে যখন বাহিরে আসলাম। আমাদের এলাকায় কিছু প্রথা রয়েছে অন্য এলাকায় এটা আছে কিনা জানি না।খাবারের পরে সবাই কেউ গিফট করে যায় আবার কেউ যতটুকু ইচ্ছা সে টাকা দিয়ে থাকেন। আমিও সেই কাজটি করলাম। এরপরে বাড়িতে চলে আসলাম। হঠাৎ করেই বিয়ে দাওয়াত করাটা বেশ ভালো লাগলো। আর সবচেয়ে বড় কথা বিয়ে খাওয়ার দাওয়াত পেলে বেশ ভালো লাগে। এবং খাওয়াটা বেশি আনন্দ উপভোগ করি। প্রথমেই বলেছি আমি একটু ভোজন রসিক খেতে বেশ পছন্দ করি। দাওয়াতি খাওয়া কখনোই কম খায় না যতক্ষণ দেয় ততক্ষণ খেতে থাকি😃। তবে খাওয়া-দাওয়া টা বেশ ভালো দিয়ে ছিল। সব মিলিয়ে পরিবেশটা অনেক সুন্দর ছিল।
ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
আজ এই পর্যন্ত। সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ডিভাইস | poco M2 |
---|---|
লোকেশন | https://w3w.co/witticisms.incarnation.schemers |
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness

OR
https://twitter.com/ABashar45/status/1803412503935979669?t=NUz5IGljlZqgKXueF77RUA&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বরের গাড়িটা তো অনেক সুন্দরভাবে সাজিয়েছে। গতকালকে গিয়েছিলাম বিয়ে বাড়িতে দেখে আসলাম অনেক সুন্দরভাবে সাজিয়েছে বাড়ি। আপনি আজকে বিয়ে খেতে গিয়ে অনেক সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। আব্বাও গিয়েছিল খেতে বলল বেশ ভালই দিয়েছে। আপনার পোস্ট দেখে বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
আপনি ঠিক বলেছেন যথেষ্ট ভালো খেতে দিয়েছে যে যতটুকু পেরেছে ততটুকুই খেয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বিয়ের দাওয়াত খেতে গেলে সবাই একটু বেশি খায় মনে হয়। আর ঈদের সময় বিভিন্ন রকমের অনুষ্ঠান বেশী হয়। বিয়ে-শাদী অনেক বেশি হয়। যেহেতু আপনার প্রতিবেশীর বিয়ে তাই মনে হচ্ছে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। আপনার পোস্ট দেখে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া।
এমনিতেই আমি একটু খেতে বেশি পছন্দ করি। যদিও ঈদের মধ্যে খাওয়া-দাওয়া বেশি হয়েছে। তারপরও কমতি করিনি খেতে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
তাহলে তো আপনার সময় বেশ ব্যস্ততার মধ্যে কাটলো খাওয়া দাওয়া নিয়ে। এক সাথে ঈদ আবার বিয়ের খাওয়া-দাওয়া। আমার কাছেও খুব বেশি একটা বিশ্রী লাগে কারণ একসাথে ঈদের খাওয়া-দাওয়া আবার অন্যদিকে বিয়ের দাওয়াত। সবকিছু মিলিয়ে আসলেই অনেক বেশি বিব্রতকর অবস্থা। তারপরও আপনার চেহারা দেখে বুঝতে পারলাম বেশ ভালো খাওয়া দাওয়া করলেন।
বাবা আপনি চেহারা দেখেই বুঝে ফেললেন খাওয়া-দাওয়া ভালো খেয়েছি। আসলে খাওয়া-দাওয়া বেশ যথেষ্ট ভালো দিয়েছে। আর এটা ঠিক বলেছেন ঈদের সময় অন্য যে কোন খাওয়া-দাওয়া অনুষ্ঠানটা বিব্রতকর।
প্রতিবেশী চাচাতো বোনের বিয়ে খাওয়ার দারুন মুহূর্ত শেয়ার করেছেন। ঈদের মধ্যে এরকম ভাবে দাওয়াত খাওয়ার মজাটা যেন ঠিকভাবে আসে না। ঈদের মধ্যে বাড়িতেও যা আবার বিয়ে বাড়িতেও তাই। তবে যাই হোক বিয়ে খাওয়ার দাওয়াত পেলে কিন্তু বেশ ভালই লাগে। বেশি ভালো লাগে বর পক্ষ হয়ে দাওয়াত খেতে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
এটা ঠিক বরের পক্ষ থেকে দাওয়াত পেলে আনন্দটা বেশি ভালো হয়। আর মেয়ের পক্ষে গেলে শুধু খাওয়া-দাওয়া টাই হয়। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
চাচাতো বোনের বিয়ে খাওয়ার খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত শেয়ার করেছেন আপনি৷ আসলে ঈদের সময় আমাদের সকলের অনেক ধরনের আয়োজন থাকে৷ আজকে আপনি সেরকম একটি আয়োজনে গিয়েছেন এবং সেই বিয়ে বাড়িতে গিয়ে খুব সুন্দর কিছু সময় অতিবাহিত করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগছে৷
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ঈদের ছুটিতে বাড়িতে গিয়ে মেজো খালা বাড়ি যাওয়ার সময় পথে মধ্যে দেখলাম সুন্দর করে গেইট সাজানো। বুঝতে পারলাম যে কারো বিয়ে হবে। পরে জানতে পারিলাম কাজিম চাচার মেয়ের বিয়ে। বিয়ের দাওয়াত খেতে সবাই অনেক পছন্দ করে। কারন অনেক ভালো মন্দ খাবার খাওয়া যায়। আসলে বিয়ে খেতে গেলে এই ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়। আগে বর যাত্রীদের খেতে দেওয়া হয় তারপর কনে পক্ষ। যাইহোক খুব ভালো ভাবেই বিয়ের দাওয়াত খাওয়া সহ উপহার দেওয়ার কাজ সম্পন্ন করেছেন । ধন্যবাদ অনেক সুন্দর একটা মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
কাজেম চাচার মেয়ের বিয়ে ছিল। ঈদের সময় খুব একটা খাওয়া হয়নি, তবুও ছেড়ে দেয়ার পাত্র আমি না। যতদূর পেরেছি খেয়ে গেছি😄।
বিয়ে-শাদী মানেই খাওয়া-দাওয়ার ধুম পড়ে। পাশের বাড়ির চাচাতো বোনের বিয়েতে কবজি ডুবিয়ে খেলেন। বিয়ে-শাদী হলে ভালই লাগে, অনেক আনন্দ লাগে, খাওয়া দাওয়া হয়, নতুন নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হওয়া যায়। যাই হোক আপনার অনুভূতি দারুন ছিল। ধন্যবাদ।
জি ভাই আপনি ঠিক বলেছেন বিয়ে শাদী মানে কব্জি ডুবে খাওয়া। আর নতুন মানুষের সাথে আত্মীয়তা করা। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।