ক্রিয়েটিভ রাইটিং :- খারাপ মানুষের বাজে কথাই কখনো কান দিবেন না।

মানুষ সমাজে বসবাস করে আর এই সমাজের মধ্যে বিভিন্ন প্রকারের মানুষ থাকে। কেউ ভালো মানুষ, কেউ সহজ সরল, কেউ পাগলা, কেউ চালাক, কেউ রাগী মানুষ, কেউ বাবার খারাপ মানুষ এই নিয়েই সমাজে বসবাস করে। তবে এত মানুষের মধ্যে কিছু খারাপ মানুষ হয়েছে যারা সবসময় তাদের মুখে ভালো কথা আসে না। সমাজের কিছু মানুষ হয়েছে তাদের আচরণগত দিক কেমন একটু উদাহরণ দেয়, একদিন আমি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম হঠাৎ করে একজন মহিলা অনেক গালিগালাজ করছে। সেটা শুনে আমি দাঁড়িয়ে পড়লাম ভাবলাম কাকে এত গালিগালাজ করছে। পরের লক্ষ্য করে দেখলাম তিনি ছাগল পালন করেন সেই ছাগলকে গালি দিচ্ছেন 😄। এটা শোনার পরে আমার অনেক হাসি পেয়েছিল। একটা পশুকে কিভাবে মানুষ গালি দিচ্ছে। তাহলে এই ধরনের মানুষ গুলো আপনাকে যদি কিছু বলে থাকে তাহলে আপনি তার কথায় কান দিলে মানুষ আপনাকে পাগল ছাড়া কিছুই বলবে না।

আপনি একজন খারাপ মানুষকে ভালো কথা বলবেন সে সেই কথাটা উল্টিয়ে অনেক কিছু বানিয়ে আপনাকে অনেক খারাপ কথা বলবে। আপনাকে সমাজের মধ্যে এমনভাবে উপস্থিত উপস্থাপন করবেন মনে হবে আপনি কত বড় অন্যায় করেছেন। যদি আপনার পাশে কেউ থাকে তাহলে বেঁচে গেলেন আর যদি না থাকে তাহলে ফেঁসে গেলেন। কারণ যাদের মুখের কথা ভালো নয় যারা মানুষ হিসেবে ভালো না তারা যে কোনো সহজ সরল মানুষকে ফাঁদে ফেলে দিতে পারে। তারা নিজেই খারাপ তাই খারাপটাকে তারা ভয় পায় না। তারা সব সময় নিজের দিকটা নিজের মতো করে দেখে। একজন বড় ভাই আমাকে একদিন বলেছিল, যে ব্যক্তি যেমন সে তেমন ভাবে চলে, তেমন ভাবে মানুষের সাথে ব্যবহার করে। যদি একটা ভালো কথাও বলো একজন খারাপ মানুষকে তাহলে সেই ভালো কথাটাও সে খারাপ হিসেবে নিবে এটাই হলো তার চরিত্র।

আমরা যারা সমাজে বসবাস করি তারা নিশ্চয়ই সমাজের বাইরে নয়। আর সমাজে বসবাস করলে সব মানুষের কথায় কান দিতে নেই। যদি সব মানুষের কথায় কান দিতে হয় তাহলে সমাজে বিশৃঙ্খলাটা বেড়ে যাবে। মারামারি হানাহানি এগুলো লেগেই থাকবে। যে ব্যক্তি খারাপ তাকে আপনি সৎ বুদ্ধি দেবেন তিনি সবই বুদ্ধিটাও নিবেন না। বা কখনো সে ভুল পথে থাকবে তাকে আপনি সঠিক পথে আনার চেষ্টা করবেন সেখানেও তার সমস্যা। এক কথায় এই ধরনের মানুষ গুলোর সাথে সমাজে চলাফেরা করাটাই অনেক কষ্টকর। বর্তমানে এই ধরনের মানুষের সংখ্যা কিন্তু দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাদেরকে কোন কিছু বলার বা বোঝার জন্য কিছু বলবেন তারা আপনাকে উল্টো চেপে ধরবে। আসলে সমাজের এসব মানুষদের মান সম্মান বোধ নেই। যদি তাদের মান সম্মান বোধের ছিটিফোটে থাকত তাহলে তারা এই ধরনের আচরণ করত না।

খারাপ মানুষ গুলো কখনো চায় না তার পাশের মানুষ গুলো ভালো থাকুক। তাদের মনের মধ্যে সবসময় এমন কথাই বলে চলে, আমি যেমন ঠিক এদেরকে ঠিক তেমনভাবেই পরিচালনা করব। ছোট্ট একটা ইস্যু নেই আপনার সাথে বাজে মন্তব্য করবে। আচরণগত দিকে এতটাই খারাপ করবে আপনি যদি সহ্য করতে পারেন করলেন না হলে তার সাথে ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হতে হবে। ঐ সমস্ত কুরুচি সম্পূর্ণ ব্যক্তিদের কাছ থেকে নিজেকে যতটা পারা যায় দূরে সরে রাখতে হবে। তাদের কথা শুনে না শুনে ভান করে পাশ দিয়ে চলে যাবেন দেখবেন তারা সুযোগ পাবে না। আর এসব মানুষদের সুযোগ দেওয়া উচিত না। যদি আপনি সুযোগ দেন তাহলে আপনার উপরে পেড়ে বসবে। এদের রুচি টা অনেক নিম্নমানের যার জন্য সমাজের মানুষের কাছে তারা কখনোই ভালো হতে পারে না।

আমাদের সবার উচিত সমাজে বসবাস করতে হলে সব কিছুর দিক দিয়ে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। একজন খারাপ মানুষ পাঁচটা কথা বলে গেলে আপনি চুপ করে থাকবেন। হয়তো সে মনে করছে আমাকে ভয় পেয়েছে বা আমি জিতে গেছি। কিন্তু বাস্তবি পক্ষে সে হেরে গেছে। আর হেরে গেছে বলেই সে এ ধরনের খারাপ রুচি সম্পন্ন কথাবার্তা বলছে। আমার দেখার সমাজে অনেক মানুষ হয়েছে এ ধরনের। কারণ এই সমাজে ছোট থেকে বড় হয়ে উঠেছিস। সর্বশেষে একটা কথা মাথায় রেখে আমাদের চলা উচিত সেটা হল, ভালো পথে চলবো, ভালো কথা বলবো, ভালো সঙ্গীদের সাথে ভালো সঙ্গ দিব। তাহলে ভালো থাকবো।

আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।