লাইফ স্টাইল :- লালনশাহের মাজারে কিছুক্ষণ। পর্ব :২
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। বর্তমান সময়ে যে আবহাওয়া চলছে তাতে মানুষের অসুখ হবে এটাই স্বাভাবিক। বিশেষ করে বাচ্চাদের আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো যাইহোক কথা না বাড়িয়ে তাহলে শুরু করা যাক আমার আজকের ব্লগ ...।
এর আগে লালন শাহের মাজারের প্রথম পর্ব আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম। আসলে এই জায়গাটিতে এটাই ছিল আমার প্রথম যাওয়া তো আর এজন্য আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগছিল। যদিও একটা বিষয় কি জানেন আমি কিন্তু নিজেও জানিনা যে আমি এখানে আসছি আসলে একটা কাজে আসছিলাম হঠাৎ করে আমার চোখে পড়ে আমি নিজেই অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। যেহেতু একটি ফকিরদের একটা আস্তানায় বলা যায় লালনের মাজারে একতারাটা কিন্তু একটা গুরুত্বপূর্ণ বহন করে। আর এখানে একতারার ভিত্তি বস্তুর স্থাপন উদ্বোধন করা হয় আর যিনি এখানে যেটা করে থাকেন তার সুন্দর একটা লিস্ট এখানে কিন্তু দেওয়া আছে যদিও আমি এখানে একতারাটি আপনাদের মাঝে এখানে শেয়ার করিনি তবে নিচে ছবি তুলেছি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। লালন শাহের মাজহারির মধ্যে ঢুকে কিছুক্ষণ আপনি সামনে দেখে এগিয়ে যাওয়ার পরে ঠিক ডানহাতে দেখতে পারবেন এই একতারাটি। বেশ উঁচু করে যেমন মূর্তি তৈরি করে ঠিক তেমনভাবে এটি তৈরি করেছে। আমি জানি না এখানকার জায়গাটি সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নভাবে রাখে কিনা তবে আমি যেদিন গিয়েছিলাম সুন্দর পরিষ্কার ছিল দেখে বেশ ভালো লাগছিল। এই জায়গাটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত যেদিকে গিয়েছে সেদিকেই আমি খুবই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা পেয়েছি । আর এই বিষয়টি আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে আর অন্য কিছু যাই বা যেমনই হোক না কেন এটা আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে।
এখানে আপনারা যেগুলো দেখতে পারছেন লালন শাহের মাজার আর বাকিগুলো হচ্ছে এগুলো মাঝারি বলা হয় হয়তোবা আমি জানিনা তবে আমি কবর হিসাবে সম্বোধন করছি অর্থাৎ এগুলোকে কবরে বলতেছি। এখানে অনেকগুলো কবর রয়েছে আর কবরের এগুলো সবগুলোই ইট দিয়ে গাধা এবং উপর টাইলস দিয়ে আটকানো রয়েছে এবং তারা নিচে যে মরেছে বা এখানে যার যার খবর তার নাম গুলো সুন্দরভাবে লেখা আছে। তবে তাদের নাম পড়ে একটা বিষয় বুঝতে পারলাম এখানে যারা মরেছে সবাই এই লালন শাহির মতই ফকির অর্থাৎ এরা সবাই সাধুসঙ্গের সাথে জড়িত। অবশ্যই সেটা তো বটে না হলে তো তাদের এই লালনের ফকিরের পাশে তাদের কবর হয়নি তারাও বেশ বড় বড় এ ধরনের সাইজি । আমি আরো একটা বিষয়ে লক্ষ্য করে দেখলাম এরা কিন্তু অনেক আগের মানুষ স্বাধীনতা স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যেসব লোকগুলো অবস্থান ছিল সেগুলোও দেখলাম না নাম লেখা আছে। আর একটা বিষয় আমার কাছে অবাক লেগেছে সেটা হল এর মধ্যে আমার মনে হয় ওইটাই হচ্ছে আসল মাজার এবং ওর মধ্যে একজন লোক বসেছিল আর উনি গাঁজা টানতেছে। হিসাব করা যায় না এটি যখন আমি লিখছিলাম তখন একটা বিষয় জানতে পারলাম আর সেটা হল যেদিন লালন শাহের এখানে অনুষ্ঠান হয় সেখানে ওখানে এত পরিমাণ গাঁজা আসে যা বলি হিসাব করা যায় না। আরেকটা বিষয় এখানে যারা আসে নারী পুরুষ উভয় গাঁজা টানে । অর্থাৎ কথায় বলে না যে এত কিছু করেও সাত খুন মাফ তো এই জায়গায় তেমনি গাঁজা যতই টানা যায় না কেন এই তিনজন সব মাফ। যদি কারো ইচ্ছা হয় আপনারা যাবেন গাঁজা একটু টেনে আসবেন।
আমি শুরুতেই বলেছি জায়গাটা খুবই পরিষ্কার এই ফটোগ্রাফিতে আপনারা দেখেই বুঝতে পারছেন এই জায়গাটা কত পরিষ্কার এবং কত সুন্দর। এখানে শুধু যখনই অনুষ্ঠান হয় তখনই এর বিপরীত ধর্মী কিছু দেখা যায় কিন্তু তাছাড়া বরাবর সারা বছরই এই জায়গাটা বাড়ানোর জন্য খুবই উপযুক্ত। এখানে অনেকেই বেড়াতে আসে কিন্তু নিজের পরিবার-পরিজন নিয়েও দেখতে সেই জায়গাটা । বললে ভুল হবেনা জায়গাটা আসলে বেড়ানোর মত একটা জায়গা আর এখানে বেশ কিছু শিক্ষনীয় জিনিসও রয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ধরনের ঐতিহ্য রয়েছে যেগুলো বাংলাদেশের জন্য একটি গর্ব। লালন শাহের মাজারের মধ্যে আমি অনেকক্ষণ সময় কাটিয়েছিলাম আমার বেশ ভালো লাগছিল ভালো লাগার বিষয়টা একটাই ছিল যেখানকার পরিবেশটা সত্যি অনেক সুন্দর ছিল। এখানে যখন অনুষ্ঠান থেকে তখন এখানে অবস্থা সম্পর্কে আমার জানা নেই তবে কিছু অনুধাবন করতে পেরেছি। তবে আমি মনে করি ব্যক্তিগতভাবে এখানে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানুষ বেড়াতে আসতে পারে কারণ অন্যদিনের কতটা ভালো যায় না তবে বাকি দিনগুলো বেড়ানোর জন্য সত্যি অনেক ভালো একটা জায়গা। আর এটা কিন্তু অনেক পরিচিত জায়গা যার কারণে বিভিন্ন এলাকা থেকে এখানে মানুষ ঘুরতে আসে।
ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
আজ এই পর্যন্ত। সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ডিভাইস | poco M2 |
---|---|
লোকেশন | https://w3w.co/undivided.disbelief.objectively |
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার দুইটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness

OR
https://x.com/ABashar45/status/1895779271844774328?t=y2fm-u6MHKRrYpVqq_aEFg&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
লালন শাহের মাজারে কাটানো সুন্দর আরো একটা মুহূর্ত আপনি আজকে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লেগেছে। আপনার কাটানো পুরো সময়টা ছিল অনেক সুন্দর। এরকম ভাবে কিন্তু বাহিরে ঘুরাঘুরি করতে অনেক ভালো লাগে। জায়গাটার পরিবেশ সত্যি অনেক বেশি সুন্দর।
পরিবেশটা অনেক সুন্দর। যেকোনো সময় পরিবার নিয়ে বেড়ানোর জায়গা এটা।
লালন শাহের মাজারে প্রথম পর্বটি যদিও বা পড়া হয়নি তবে দ্বিতীয় পর্বটা বেশ মনোযোগ সহকারে পড়ে ফেললাম। খুবই ভালো লাগলো পড়ে। আপনি যেমন এখানে প্রথম গিয়েছিলেন ঠিক তেমনি আপনার পোস্টে আমিও এই প্রথম লালন সাহের মাজার সম্পর্কে জানতে পারলাম। পরবর্তী পর্বের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রইলাম ভাই।
এটা বেশ দারুণ ব্যাপার আমিও প্রথম গিয়েছি আর আপনার প্রথম এটা করলাম। ধন্যবাদ সুন্দর মত উপকারের জন্য।
আসলে গাজা যারা সেবন করে তারা মানসিক বিকৃত ব্যক্তি। আর আপনি সুস্থ ব্যক্তি হয়ে এভাবে অন্যজনকে বলতে পারেন না। বিষয়টা আমার কাছে খুব অন্যরকম মনে হলো। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
এই বিষয় সম্পর্কে আপনার জানা নেই ভাই তাই আপনি এমন মন্তব্য করেছেন। এখানে অনুষ্ঠানের দিন পুরাটাই ভিন্নতা।