দেখতে দেখতে চার...
হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করছি আপনারা সকলে সব দিক থেকে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় পরিবার সহ যেমন আছি, বেশ ভালো আছি। আজ বরাবরের মতো আবারো আপনাদের মাঝে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করবো আমার পোস্ট টি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে। এবং আপনারা আপনাদের মূল্যবান মতামত শেয়ার করবেন। তো আর কথা না বাড়িয়ে সরাসরি চলে যাই মূল পোস্ট এ।
মার্চ এর ০১ তারিখে ছিলো আমাদের চতুর্থ বিবাহবার্ষিকী। উপরওয়ালার কৃপায় দেখতে দেখতে চারটি বছর পার করে ফেললাম একসাথে প্রিয় মানুষটির সাথে। পেছনে তাকিয়ে দেখলে নিজের কাছেই মনে হয় এইতো যেনো সেদিনের কথা! ক্যালেন্ডারের দিকে তাকালে, সময়ের হিসেব করলে - মেলাতে পারি না চারটি বছর কিভাবে পার হয়ে গেলো চোখের নিমিষেই! যাই হোক, সেই দিনটির কিছু মুহুর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলে এলাম। নিজের পরিবারের মানুষ গুলোর সাথে যেমন খুশির মুহূর্ত গুলো শেয়ার করতে ভালো লাগে,
" আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সাথেও এমন খুশির মুহূর্ত গুলো শেয়ার করতে আমার একই রকম ভালোই লাগে। সাধারণত সোশ্যাল মিডিয়ায় আমি আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে তেমন কিছুই শেয়ার করি না। তবে আপনাদের সাথে ছোট-খাটো বিষয় গুলোও নিশ্চিন্তে শেয়ার করি।
এবছর দিনটি ছিল শনিবার। শনিবারে আপনাদের ভাইয়ার ছুটির দিন। সকালে উঠে মন্দিরে যাওয়ার ইচ্ছে ছিলো। তবে সকালে উঠেই বাহিরে অন্য একটি জরুরী কাজ থাকায় আর মন্দিরে যাওয়া হয় নি সেদিন। তবে মনে মনে ঠিক ই সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করেছি। নিজের পছন্দের মানুষের সাথে ঘর বাঁধার স্বপ্ন তো অনেকেই দেখে থাকে। তবে কয় জনেরই বা সেই স্বপ্ন পূরণ হয়!! আমি ভীষণ ভীষণ গ্রেটফুল যে সেই সৌভাগ্য আমার হয়েছে। পছন্দের মানুষ টির সাথে সুখে- দুঃখে, ভালো-মন্দে একসাথে আছি, একসাথে গ্রো করছি জীবনে। তারচেয়েও বড় কথা, এই যে দুজনে একসাথে ভালো আছি তা তো সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছেতেই। যাই হোক, ঢাকা শহরে খুব কাছে বলতে এখন দুজন ননদ আছে, আমার এক মাসতুতো বোন রয়েছে। ওদের সকলকে দুপুর বেলাতেই কল দিয়ে বলেছিলাম যে রাতে আমরা একসাথে বাহিরে কোথাও ডিনার করবো। যদিও কোনো উপলক্ষ বলি নি ওদের। সেদিন সন্ধ্যায় ই আবার এক দেবরও চলে আসে আমাদের বাসায়। ও মূলত নারায়ণগঞ্জে চাকরি করে। মাঝে মাঝে ঢাকায় এলে আমাদের বাসায় আসে। ওকেও রাজি করালাম থাকার জন্য যে রাতে একসাথে বাহিরে ডিনার করবো। যেহেতু আমরা দুজনই সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যক্তিগত জিনিসগুলো খুব একটা শেয়ার করি না, তাই সেজন্য সেদিনও আমাদের এনিভার্সারির কোনো পোস্ট ছিলো না, তাই সেই দেবরেরও আইডিয়া ছিলো না আমাদের বিবাহবার্ষিকী নিয়ে। রাতে যখন আমরা রেডি হই, তখন যদিও ও বার বার জিজ্ঞেস করছিলো যে কি উপলক্ষে যাচ্ছি! আমরা কিছু বলি নি। আমরা গিয়েছিলাম ধানমন্ডির ইউনিমার্ট এর বিল্ডিং এর উপরে যে ফুডকোর্ট আছে, সেখানে। পরে রেস্টুরেন্টে যখন ঐশী (ননদ) এর সাথে দেখা হলো, ও দেখি ঠিক ই মনে রেখেছে। উইশ ও করলো আবার সাথে করে খুব সুন্দর একটা গিফট ও এনেছে আমাদের জন্য। সে নিয়ে অবশ্য পরে শেয়ার করবো। যাই হোক, সকলে চলে এলে পরে খাবার অর্ডার করা হয়।
আমরা ওখানে হাক্কা ডাক্কা থেকে খাবার অর্ডার দেই। ওদের খাবার আগেই ট্রায় করেছিলাম। আমাদের কাছে বেশ মজার ই লেগেছে আগেও, সেদিনও। সাথে যার যার পছন্দের কোল্ড ড্রিংকস ও ছিলো। সকলে মিলে বেশ গল্প করতে করতে ডিনার করলাম একসাথে। সেখান থেকে ননদ সহ আমাদের বাসায় চলে আসি। আমাদের দুজনের কাছেই সেলিব্রেশন মানে কাছের মানুষের সাথে ভালো সময় কাটানো। সেদিনও তেমন ই হয়েছে। বেশ ভালো সময় কাটিয়েছি সকলে মিলে একসাথে।
আজকের লেখা আর বাড়াচ্ছি না। সকলের সুস্থতা কামনা করে আমার আজকের লেখা এখানেই শেষ করছি। সাথে সকলের কাছে আমার জিন্য, আমাদের জন্য দোয়ার দরখাস্ত রইলো। শুভরাত্রি।
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শিক্ষগত যোগ্যতায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। দীর্ঘ ৬ বছর চাকরির পর বর্তমানে পুরোদমে একজন গৃহিণী। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি। OR
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
@tipu curate
;) Holisss...
--
This is a manual curation from the @tipU Curation Project.
Upvoted 👌 (Mana: 2/7) Get profit votes with @tipU :)
প্রথমেই আপনাকে চতুর্থ বিবাহ বার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানালাম। এমন স্পেশাল দিনে সকলে মিলে রাত্রে ডিনার করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। এভাবেই প্রতিটি বছর একসঙ্গে সুখে দুঃখে এগিয়ে চলুন। ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি আপনাদের প্রতিটি দিন সুখের হয়ে উঠুক। বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে ননদ এবং বোনের সঙ্গে খুব সুন্দর একটি কোয়ালিটি সময় কাটিয়েছেন।
আপনার শুভকামনার জন্য কৃতজ্ঞ থাকলাম দাদা। এভাবেই যেন থাকতে পারি এটাই চাওয়া। অসংখ্য ধন্যবাদ।
চতুর্থ বিবাহ বার্ষিকীর শুভেচ্ছা আপনাদের দু'জনকে। বেশ ভালো থাকুন দু'জন একসাথে সুখে ,দুঃখে। নিজের কাছের স্বজনদের নিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন। সাথে জম্পেশ খাওয়া দাওয়া। বেশ সুন্দর লাগছে আপনাদের দু'জনকে। অনেক অনেক শুভ কামনা আপনাদের জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। দোয়ায় রাখবেন আমাদের 😍 ভালোবাসা নিবেন।