নাটোরের কাচাগোল্লা
হ্যাল্লো বন্ধুরা
|| আজ ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫|| রোজ: বৃহস্পতিবার ||
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করছি আপনারা সকলেই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় পরিবারসহ সুস্থ আছি, ভালো আছি। যাই হোক, আজ আপনাদের সাথে নতুন একটি পোষ্ট শেয়ার করতে চলে এসেছি। আজ একটি লাইফস্টাইল বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। পোস্ট টি আপনাদের কেমন লাগলো জানাবেন অবশ্যই। তো চলুন, আর বেশি কথা না বাড়িয়ে চলে যাই আজকের পোষ্ট টি তে.... ৷
আপনারা ইতিমধ্যে জানেন যে আমি এ বছরের শুরুতেই নাটোরে গিয়েছিলাম। আসলে নাটোর ভ্রমণ সংক্রান্ত কোনো পোস্ট এখনো শেয়ার করা হয় নি। শুধুমাত্র নাটোর যাওয়া এবং ঢাকায় ব্যাক করার বিষয় টুকুই শেয়ার করা হয়েছিলো। আশা করছি ভ্রমণ পর্ব খুব দ্রুতই শেয়ার করবো। তবে আজ তখনকার সময়ের একটি লাইফস্টাইল বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। প্রতি জেলার কিছু বিখ্যাত কিছু জিনিস থাকে। নাটোর জেলার নাম যারা জানেন, আমি নিশ্চিত ই যে তারা নাটোরের কাচাগোল্লার নামও শুনে থাকবেন। নাটোরের কাচাগোল্লা তো এত বিখ্যাত যে সেটি জি- আই পণ্য হিসেবেও স্বীকৃতি লাভ করেছে।
নাটরে গিয়ে বিখ্যাত জায়গা গুলো তো ভ্রমণ করার চেষ্টা করেছিই। তবে যেহেতু আমি একা গিয়েছিলাম, আমার হাজবেন্ড যেতে পারেন নি। আর ঢাকায় আমার দুই ননদ ও এসেছিলো যেদিন আমি ঢাকায় ফিরেছি সেদিন। তাই ওদের সকলের জন্য আমি ফেরার দিন সাথে করে নাটোরের কাচাগোল্লা নিয়ে এসেছিলাম। কাচাগোল্লা মূলত গরুর কাঁচা দুধের ছানা দিয়ে তৈরি এক ধরনের মিষ্টি। নাটোর ছাড়া অন্যান্য জেলাতেও এই কাচাগোল্লা তৈরি হয়, তবে নাটোরের কাচাগোল্লাই বেশি বিখ্যাত। কথিত আছে যে এই নাটোরের কাচাগোল্লা রানী ভবানীর রাজত্বকালে এই মিষ্টির ভীষণ প্রচার- প্রসার হয়। এমনকি বিলাতের রাজপরিবারেও নাকি এই কাচাগোল্লা যেতো! সেই নাটোরে গিয়ে পরিবারের বাকিদের জন্য যদি না নিয়ে আসি, তবে কি মন মানে! আমার বাস ছিলো সকাল সাড়ে নয়টায়। পিসির বাড়ি থেকে সকাল সাতটায় বের হয়ে রিক্সা নিয়ে সরাসরি চলে গিয়েছিলাম লালবাজারের জয় কালীবাড়ি মিষ্টির দোকানে। বর্তমানে সেই দোকানের কাচাগোল্লাই নাকি সবচেয়ে বেশি ভালো। তাই সেখান থেকেই নিতে চেয়েছিলাম। এবং এই লালবাজারেই নাকি এই বিখ্যাত মিষ্টির সৃষ্টি হয়েছিলো। সকাল সকাল টাটকা কাচাগোল্লা কিনতে পারায় বেশ খুশী লাগছিলো। যেহেতু কাচা দুধের ছানা থেকে তৈরি মিষ্টি, টাটকা না হলে রাস্তায় জার্নিতে ব নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ঢাকায় ফিরে এই কাচাগোল্লা বাসার সকলেই বেশ মজা করে খেয়েছে। সকলেই খেয়ে ভীষণ ভীষণ পছন্দ করেছে। প্রথম দিন এমনিই খেয়েছিলাম। আবার পরের দিন সকালে পরোটা দিয়েও খেয়েছিলাম। নাটোরের কাচাগোল্লা আমার আগেও খাওয়া হয়েছিলো। তবে আমার হাজবেন্ড এর জন্য এবং ননদদের জন্যও সেটা ছিলো কাচাগোল্লার প্রথম অভিজ্ঞতা। সেটা আমার মাধ্যমে হওয়াতে আমার ভীষণ আনন্দ হচ্ছিলো।
যাই হোক, আজ আর আমি বেশি কথা বাড়াচ্ছি না। আমার জন্য দোয়ার দরখাস্ত রইলো আপনাদের কাছে। সকলের সুস্থতা কামনা করে আজকের লেখা এখানেই শেষ করছি।
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি। OR
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
নাটোরের কাচা গোল্লা একটি বিশেষ মিষ্টি। নাটোর ঘুরতে গেলে আগে এই কাঁচাগোল্লা খাওয়ার চিন্তা থাকে।তবে আমার কখনো যাওয়া হয়নি নাটোরে। কিন্তু আমি এই কাঁচাগোল্লা খেয়েছি আমার ভাইয়া এনে দিয়েছিলো। আসলেই অনেক সুস্বাদু এই কাঁচাগোল্লা ।
হ্যা আপু, কোথাও গেলে সেখানে যা যা বিখ্যাত, সেগুলো ট্রায় করার কথাই সবার আগে মাথায় আসে, সেটাই স্বাভাবিক।
নাটোরের কাঁচাগোল্লা আমিও খেয়েছি। বেশ ভালই লাগে খেতে কিন্তু সব জায়গায় এক রকমের হয়না। বিশেষ করে নাটোরের পার্কের আশেপাশে এই দোকানগুলো একটু বেশি লক্ষ্য করেছি। যাইহোক নাটোরের কাঁচাগোল্লা বগুড়ার দই সবকিছুই আমার অনেক ভালো লাগে।
অবশ্যই সব জায়গার জিনিস তো একই রকম হবে না। একারণেই আমি চেষ্টা করেছি সবচেয়ে ভালো টা যে দোকানে পাওয়া যায়, সেখান থেকেই কিনার জন্য।
আসলে এই ধরনের কাঁচাগোল্লা খেতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে রসগোল্লা তৈরীর আগে যে কাঁচাগোল্লা তৈরি করা হয় সেগুলো আমি একটা দোকান থেকে খেয়েছি এবং এই ধরনের একটা পোস্ট আমি অনেক আগে শেয়ার করেছি। আপনার এই কাঁচা গোল্লা খাওয়ার পোস্টটি পড়ে আমার খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
নাটোরের কাঁচাগোল্লা সম্পর্কে অনেক সুন্দর তথ্য আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। একই সাথে পরিবারের সদস্যদের জন্য নাটোরের কাঁচাগোল্লা ক্রয়ের কথাটি জানতে পেরে আরো বেশি ভালো লেগেছে। নাটোরের কাচাগোল্লা ২০১৮ সালে আমিও ক্রয় করে এনেছিলাম আমার পরিবারের জন্য। সত্যিই নাটোরের কাঁচাগোল্লার সেই স্বাদ আজও আমার মুখে লেগে আছে। আজকে আপনার এই পোস্টটি পড়ে নাটোরের কাচাগোল্লা খেতে খুবই মন চাচ্ছে।
২০১৮ সালে খেয়েও আজও সেই স্বাদ ভোলেন নি- জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। একারণেই তো ভাই সেই কাচাগোল্লা এত বিখ্যাত!