বাড়িতে মঙ্গলচন্ডী পুজো
|| আজ ৭ মে ,২০২৪ || রোজ: মঙ্গলবার ||
হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদে পরিবারসহ বেশ ভালোই আছি। আজ আবারো আপনাদের সামনে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে।
বাংলার এখন বৈশাখ মাস চলছে৷ ছোট বেলা থেকেই দেখে আসছি বৈশাখ মাসের প্রতি মঙ্গলবার করে আমার মা " মা মঙ্গলচন্ডী" দেবীর পূজো করেন। একটু বড় হওয়ার পর থেকে আমিও মায়ের দেখাদেখি মায়ের সাথে এই ব্রত পুজো করতাম। এমনিতে তো ঢাকার বাসায় মা নিজেই পুজো করতো। তবে মাসের শেষ মঙ্গলবার বেশ আয়োজন করে বিশাল ভাবেই বাড়ির মন্দিরে আশেপাশের সকল রমণী মিলেই এই পুজো অনুষ্ঠান করা হয়।
কিছুদিন আগে, বৈশাখের শুরুতে যখন আমার বড় দাদার বিয়ে ছিল, সেই বিয়ে উপলক্ষে বিয়ের আগে প্রায় সকল দেবতাদের ই পুজো করা হয়। যেহেতু বৈশাখের ১ম মঙ্গলবার বিয়ের আগেই পরেছিলো, তাই মা মঙ্গলচন্ডীর পুজোও করা হয়েছিলো যথাযথ নিয়ম মেনে। সৌভাগ্যক্রমে সেই মঙ্গলবার মা মঙ্গলচন্ডী পুজোয় আমিও উপস্থিত ছিলাম। বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর আসলে গ্রামের বাড়িতে এটিই আমার প্রথম মঙ্গলচন্ডী পুজোতে উপস্থিত থাকা। তাই ভীষণ খুশি লাগছিলো আমার। আসলে সব সময় তো আর উপস্থিত থাকার সুযোগ হয়ে উঠে না।
মা মঙলচন্ডীর নামের মাঝেই তাঁর মাহাত্ম্য লুকিয়ে আছে। সংসারে সকল প্রকার মঙ্গলের জন্যই মা মঙলচন্ডীর আরাধনা করে থাকেন মেয়েরা। তাঁর পুজোয় কলাপাতায় করে আপত চাল, দূর্বা, কলা, সিন্দুরের ফোঁটা দিয়ে জন প্রতি ব্রতীদের নামে করে আলাদা আলাদা করে সাজিয়ে মায়ের সামনে নিবেদন করা হয়৷ উপরের ছবিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন পনেরো জন এর জন্য পনেরো টি আলাদা আলাদা কলার পাতে নিবেদন সাজিয়ে মায়ের সামনে রাখা হয়েছে। এছাড়াও পান, সুপারী, কলা, আতপ চাল, পাঁচ রকমের গোটা ফল, ফুল, চন্দন, কসাল, বেলপাতা তো প্রয়োজন হয়ই। আমরা সকাল সকালই সকল আয়োজন সেরে নিয়েছিলাম। এরপর পুরোহিত মশাইকে দিয়ে বিধি অনুযায়ী পুজো করে ব্রত মাহাত্ম্য পাঠ করার মাধ্যমে ভালোভাবেই মা মঙলচন্ডীর পুজো সুসম্পন্ন হয়। এরপর যে সকল বিবাহিত রমনী রা উপস্থিত ছিলেন একে অপরকে সিদূর দিয়ে দেন এবং সকলে একসাথে মিলে ফলপ্রসাদ গ্রহণ করেন।ব্রতীগণ এই দিনে কোন প্রকার অন্ন মানে ভাত গ্রহণ করেন না। এভাবেই সকলের মঙ্গলের জন্য মা মঙ্গলচণ্ডীর পুজো সুসম্পন্ন হয়।
এই ছিলো আমার আজকের আয়োজন।
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি। নিয়মিত ভাবে বাংলা ভাষায় নিজের মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য আমার বাংলা ব্লগ প্লাটফর্মের একজন ভ্যারিফাইড মেম্বার হতে পেরে নিজেকে ভীষণ ভাগ্যবান মনে করি। OR
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে, জানতে । যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.