বিদায় নাটোর- ব্যাক টু দ্যা প্যাভিলিয়ন
হ্যাল্লো বন্ধুরা
|| আজ ৮ জানুয়ারি, ২০২৫|| বুধবার ||
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করছি আপনারা সকলেই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় পরিবারসহ সুস্থ আছি, ভালো আছি। আশা করছি সবাই জেকে বসা শীতকে বেশ ভালোই উপভোগ করছেন সকলে! যাই হোক, আজ আপনাদের সাথে নতুন একটি পোষ্ট শেয়ার করতে চলে এসেছি। পোস্ট টি আপনাদের কেমন লাগলো জানাবেন অবশ্যই। তো চলুন, আর বেশি কথা না বাড়িয়ে চলে যাই আজকের পোষ্ট টি তে.... ৷
আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম বছরের ১ম জার্নির কথা। গত ৫ তারিখে গিয়েছিলাম নাটোরে। প্রায় ১২/১৩ বছর পর যাওয়া হলো এবার। নাটোরে মূলত আমার ছোট পিসির বাড়ি। এত বছর কেন কিভাবে গ্যাপ পরে গিয়েছে, আসলে টের ই পাই নি। মূলত ক্যাম্পাসে ক্লাস শুরু করার পর থেকেই হয়তো এই গ্যাপটা শুরু। তারপর তো পড়াশুনো শেষ করে চাকরিতে জয়েন করা, মাস্টার্স করা, বিয়ে সব মিলিয়ে আর হয়ে উঠে নি। আজ সেই নাটোর থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসলাম, যাকে বলে ব্যাক টু দ্যা প্যাভিলিয়ন! আবার আদৌ কত বছর পর যাওয়া হবে কে একমাত্র উপরওয়ালা ই ভালো জানেন৷ হুট করে নাটোর যাওয়ার ডিসিশন টা ভীষণ ভালো ছিলো। মোট ৩ দিন থাকলাম পিসির বাড়িতে৷ ভীষণ ভীষণ মজা করেছি, ভীষণ ইঞ্জয় করেছি পুরোটা সময়ই।
আজ গাড়ি ছিলো সকাল ৯ টায় নাটোর থেকে। সেই গাড়ি আসতে আসতে আধা ঘন্টা লেট করে সাড়ে নয়টায় আসলো। তারপর যথারীতি যাত্রাবিরতি তে থামে আগের দিনের মতোই হোটেল সিল্ক সিটি ইন এ। সেখান থেকে আবারো রওনা দিয়ে মোটামুটি ইপিজেড পর্যন্ত ভালোই আসে গাড়ি। ইপিজেড এ যখন পৌঁছে তখন একদম ১ টা বাজে। যেহেতু সেখানে অলমোস্ট সব ই গার্মেন্টস কারখানা, আর দুপুর ১ টা হচ্ছে একদম লাঞ্চ টাইম, তাই সেখানে অনেকক্ষণ জ্যামে আটকে ছিলাম। মাঝে অবশ্য আগের দিনের মতোই বেশ প্রাকৃতিক পরিবেশ ইঞ্জয় করতে করতে এসেছি। বিশেষ করে মাঠ জুড়ে সরিষা ফুলের দৃশ্য বরাবরই আমাকে বেশি নাড়া দেয়। এছাড়াও যমুনাসেতুর ওখানে দেখলাম নদীর জল মাঝে অনেকখানিই শুকিয়ে গিয়েছে। যেহেতু শীতকাল চলছে এখন। সেসব দৃশ্য ইঞ্জয় করতে করতে এসেছি পুরোটা পথ। ইপিজেড থেকে শুরু করে বাকিটা পথ অবশ্য ঢাকার চিরচেনা জ্যাম ঠেলতে ঠেলতেই আসতে হয়েছে। অবশেষে বিকেল তিনটার দিকে বাসায় পৌঁছাতে পেরেছি। তবে সুস্থভাবে যে বাসায় ফিরতে পেরেছি, উপরওয়ালার কাছে শুকরিয়া জানাই। ইদানীং হাইওয়ে রোড গুলোয় এত বেশি এক্সিডেন্ট এর ভিডিও চোখে পরে, যে ঠিকমতো বাসায় ফিরতে পারাটাও অনেক বড় কিছুই মনে হয়। নাটোরে অবস্থান কালিন তিন দিনের সময়গুলো সামনে আস্তেধীরে অবশ্যই আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
যাই হোক, আজ আর আমি বেশি কথা বাড়াচ্ছি না। আমার জন্য দোয়ার দরখাস্ত রইলো আপনাদের কাছে। সকলের সুস্থতা কামনা করে আজকের লেখা এখানেই শেষ করছি।
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি। OR
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.